মুন্সীগঞ্জের লৌহজং উপজেলার কুমারভোগের মানুষ বছরের পর বছর এক অদ্ভুত দুঃসহ বাস্তবতার মধ্যে দিন কাটাচ্ছে। সেখানে ৫০ থেকে ৬০টি পরিবার বছরের অর্ধেক সময় হাঁটুসমান পানিতে ডুবে জীবনযাপন করছে। মানুষের ঘরবাড়ির আঙিনা, রান্নাঘর এমনকি বসার ঘরেও জমে আছে পানি। ঘরে ঘরে পানিবাহিত রোগব্যাধি, বাইরে কাদা ও দুর্গন্ধ, মাঝে মাঝে সাপ ও ব্যাঙের উপদ্রব-এ যেন এক অনন্ত দুর্ভোগের চিত্র। এ নিয়ে সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, ড্রেনের জায়গা থাকলেও তা তৈরি করা হয়নি। আগের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন পানি নিষ্কাশনের ড্রেন নির্মাণের, কিন্তু সেই প্রতিশ্রুতি বাস্তবে রূপ পায়নি। প্রশাসনের অবহেলা ও স্থায়ী সমাধানের অভাবে মানুষের কষ্ট আজ সীমাহীন হয়ে উঠেছে।
ইউনিয়ন পরিষদ থেকে বলা হয়েছে, ড্রেন পরিষ্কারের কাজ শুরু হয়েছে। প্রশ্ন হচ্ছে, এই সাময়িক পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা কি দীর্ঘস্থায়ী সমাধান দিতে পারবে? মূল সমস্যাটি অবকাঠামোগত। যথাযথ ড্রেনেজ নেটওয়ার্ক না থাকলে প্রতি বছরই এই ভোগান্তি ফিরে আসবে।
জলাবদ্ধতা শুধু ভোগান্তি নয়, এটি স্বাস্থ্যঝুঁকি, আর্থিক ক্ষতি ও মানসিক যন্ত্রণার নামও বটে। পানিতে নিমজ্জিত এলাকায় মশার বংশবিস্তার বেড়ে ডেঙ্গুর প্রকোপ তৈরি হচ্ছে। এই অব্যবস্থাপনা এখন জনস্বাস্থ্যের হুমকিতেও পরিণত হয়েছে।
উক্ত এলাকার দুর্ভোগ নিরসনে স্থানীয় প্রশাসন, ইউনিয়ন পরিষদ এবং পানি উন্নয়ন বোর্ডকে সমন্বিতভাবে এগিয়ে আসতে হবে। এলাকাবাসীর দীর্ঘদিনের দাবি অনুযায়ী একটি টেকসই ড্রেনেজ ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে। পাশাপাশি পানি নিষ্কাশনের রাস্তাগুলো খনন ও নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণ নিশ্চিত করতে হবে।
বৃহস্পতিবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৫
মুন্সীগঞ্জের লৌহজং উপজেলার কুমারভোগের মানুষ বছরের পর বছর এক অদ্ভুত দুঃসহ বাস্তবতার মধ্যে দিন কাটাচ্ছে। সেখানে ৫০ থেকে ৬০টি পরিবার বছরের অর্ধেক সময় হাঁটুসমান পানিতে ডুবে জীবনযাপন করছে। মানুষের ঘরবাড়ির আঙিনা, রান্নাঘর এমনকি বসার ঘরেও জমে আছে পানি। ঘরে ঘরে পানিবাহিত রোগব্যাধি, বাইরে কাদা ও দুর্গন্ধ, মাঝে মাঝে সাপ ও ব্যাঙের উপদ্রব-এ যেন এক অনন্ত দুর্ভোগের চিত্র। এ নিয়ে সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, ড্রেনের জায়গা থাকলেও তা তৈরি করা হয়নি। আগের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন পানি নিষ্কাশনের ড্রেন নির্মাণের, কিন্তু সেই প্রতিশ্রুতি বাস্তবে রূপ পায়নি। প্রশাসনের অবহেলা ও স্থায়ী সমাধানের অভাবে মানুষের কষ্ট আজ সীমাহীন হয়ে উঠেছে।
ইউনিয়ন পরিষদ থেকে বলা হয়েছে, ড্রেন পরিষ্কারের কাজ শুরু হয়েছে। প্রশ্ন হচ্ছে, এই সাময়িক পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা কি দীর্ঘস্থায়ী সমাধান দিতে পারবে? মূল সমস্যাটি অবকাঠামোগত। যথাযথ ড্রেনেজ নেটওয়ার্ক না থাকলে প্রতি বছরই এই ভোগান্তি ফিরে আসবে।
জলাবদ্ধতা শুধু ভোগান্তি নয়, এটি স্বাস্থ্যঝুঁকি, আর্থিক ক্ষতি ও মানসিক যন্ত্রণার নামও বটে। পানিতে নিমজ্জিত এলাকায় মশার বংশবিস্তার বেড়ে ডেঙ্গুর প্রকোপ তৈরি হচ্ছে। এই অব্যবস্থাপনা এখন জনস্বাস্থ্যের হুমকিতেও পরিণত হয়েছে।
উক্ত এলাকার দুর্ভোগ নিরসনে স্থানীয় প্রশাসন, ইউনিয়ন পরিষদ এবং পানি উন্নয়ন বোর্ডকে সমন্বিতভাবে এগিয়ে আসতে হবে। এলাকাবাসীর দীর্ঘদিনের দাবি অনুযায়ী একটি টেকসই ড্রেনেজ ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে। পাশাপাশি পানি নিষ্কাশনের রাস্তাগুলো খনন ও নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণ নিশ্চিত করতে হবে।