alt

মতামত » সম্পাদকীয়

এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা : ফল বিপর্যয় নাকি বাস্তবতা

: শুক্রবার, ১৭ অক্টোবর ২০২৫

দুই দশকের মধ্যে এবার সবচেয়ে খারাপ ফল হয়েছে এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষায়। পাসের হার নেমে এসেছে ৫৮ দশমিক ৮৩ শতাংশে, যা ২০০৪ সালের পর সর্বনিম্ন।

আশার কথা হচ্ছে, এবারও মেয়ে শিক্ষার্থীরা ভালো ফল করেছে। এ বছর ৬২ দশমিক ৯৭ শতাংশ ছাত্রী পাশ করেছে। ছাত্রদের পাসের হার ৫৪ দশমিক ৬০ শতাংশ। জিপিএ-৫ পাওয়ার ক্ষেত্রেও মেয়েরাই এগিয়ে।

এবার করোনাকালীন অটোপাসের সুযোগ ছিল না। সংক্ষিপ্ত সিলেবাসের সুবিধাও নেই। প্রশ্ন হচ্ছে, পূর্ণ সিলেবাসে ফিরে বাস্তব মূল্যায়ন শুরু হওয়ার কারণেই কি এমন ফল। এটাই কি দেশের শিক্ষা ব্যবস্থার আসল চিত্র?

অভিযোগ আছে, আগে “বেশি নম্বর” দিয়ে পাস করানোর প্রবণতা ছিল। অনেক সময় তা রাজনৈতিক সাফল্য দেখানোর অংশ হিসেবেও ব্যবহৃত হয়েছে। ফলে পাশের হার ও জিপিএ-৫ এর সংখ্যা ক্রমে বেড়েছে। অনেকে বলছেন, এতে শিক্ষার্থীদের শেখার গভীরতা ও দক্ষতা কমেছে। বাস্তব জ্ঞান, বিশ্লেষণক্ষমতা ও লেখার দক্ষতা না বাড়িয়ে কৃত্রিমভাবে সাফল্যের চিত্র আঁকার ফলই এখন দেখা যাচ্ছে।

বোর্ড কর্তৃপক্ষের বক্তব্য অনুযায়ী, এবার কেউ বাড়তি নম্বর পায়নি। যা প্রাপ্য, সেটিই দিয়েছে পরীক্ষকরা।

আমরা বলতে চাই, শিক্ষা ব্যবস্থায় যথাযথ মূল্যায়ন করা জরুরি। তবে প্রশ্ন হচ্ছে, শিক্ষার্থীদের এত বিপুল সংখ্যক অকৃতকার্য হওয়ার পেছনে দায় কি শুধুই ‘কঠোর মূল্যায়নের’। নাকি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অনিয়মিত পাঠদান, শিক্ষক সংকট, শ্রেণিকক্ষের পাঠপরিবেশ বা এমন আরও অনেক কিছুর দায় রয়েছে? এই প্রশ্নের উত্তর জানা জরুরি।

শিক্ষা ব্যবস্থাকে সত্যিকার অর্থে শেখার কেন্দ্রে ফিরিয়ে আনতে হবে। প্রাথমিক স্তর থেকেই শিক্ষার্থীদের পাঠের প্রতি আগ্রহী করে তুলতে হবে। কেবল পাশ নয়, শিক্ষার্থীরা যেন সত্যিকার অর্থে শেখে, সেই লক্ষ্যেই নতুন করে ভাবতে হবে।

বায়ুদূষণ রোধে কার্যকর পদক্ষেপ নিন

কুমারভোগের বাসিন্দাদের জলাবদ্ধতা থেকে মুক্তি দিন

বেহাল রাজবাড়ী বিসিক শিল্পনগরী: ব্যবস্থা নিন

শিক্ষক-কর্মচারীদের দাবি: যৌক্তিক পদক্ষেপ নিন

গার্মেন্টস কারখানায় অগ্নিকাণ্ড: প্রশ্নবিদ্ধ নিরাপত্তা ব্যবস্থা

ভিডব্লিউবি কর্মসূচিতে অনিয়ম-দুর্নীতি বন্ধ করুন

টিআরএম প্রকল্পের ক্ষতিপূরণ পেতে আর কত অপেক্ষা

জয়পুরহাটে ডায়রিয়ার প্রকোপ

লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধার করা যাচ্ছে না কেন

টাইফয়েড টিকা: ভালো উদ্যোগ

হামাস-ইসরায়েল চুক্তি: শান্তি প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ সফল হোক

বকুলতলায় স্থগিত শরৎ উৎসব!

সুন্দরগঞ্জে অ্যানথ্রাক্স টিকাদান কার্যক্রমে জনবল সংকট দূর করুন

বনভূমি দখল: ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন

নন্দীগ্রামে বর্জ্য ব্যবস্থাপনার সংকট

জরাজীর্ণ বিদ্যালয়গুলো সংস্কার করুন

কমছেই আলুর দাম, লোকসান বাড়ছে কৃষকের

এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের দাবি কি পূরণ হলো?

সড়ক দুর্ঘটনা রোধে সমন্বিত পদক্ষেপ নিতে হবে

কন্যাশিশু নিপীড়নের উদ্বেগজনক চিত্র

ট্রাম্পের পরিকল্পনা একটি সম্ভাবনাময় সূচনা, কিন্তু পথ এখনও দীর্ঘ

বিজয়া দশমী: সম্প্রীতি রক্ষার অঙ্গীকার

প্লাস্টিক দূষণের শিকার সুন্দরবন: চাই জনসচেতনতা

খাগড়াছড়িতে সহিংসতা কি এড়ানো যেত না

এক প্রবীণের আর্তনাদ: সমাজ কি শুনবে?

সাঁওতালদের বিদ্যালয় ও খেলার মাঠ রক্ষা করুন

সারের কৃত্রিম সংকট ও কৃষকদের দুর্ভোগ

কুড়িগ্রামে সার ও বীজ সংকট দূর করুন

খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাল পাচার: প্রশাসনের তৎপরতা ও প্রত্যাশা

অ্যান্টিভেনম সংকট দূর করুন

বিলাসবহুল গাড়ি কেনার ‘অতিআগ্রহ’ নিয়ে প্রশ্ন, উত্তর কি মিলবে?

তাপমাত্রা বাড়ার মূল্য

গাছে পেরক ঠোকার নিষ্ঠুরতার অবসান হোক

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি : দায় চাপানোর সংস্কৃতি নয়, ব্যবস্থা নিন

কবর থেকে লাশ তুলে আগুন: কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন

বর্জ্য ব্যবস্থাপনার অচলাবস্থা ও নাগরিক দুর্ভোগ

tab

মতামত » সম্পাদকীয়

এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা : ফল বিপর্যয় নাকি বাস্তবতা

শুক্রবার, ১৭ অক্টোবর ২০২৫

দুই দশকের মধ্যে এবার সবচেয়ে খারাপ ফল হয়েছে এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষায়। পাসের হার নেমে এসেছে ৫৮ দশমিক ৮৩ শতাংশে, যা ২০০৪ সালের পর সর্বনিম্ন।

আশার কথা হচ্ছে, এবারও মেয়ে শিক্ষার্থীরা ভালো ফল করেছে। এ বছর ৬২ দশমিক ৯৭ শতাংশ ছাত্রী পাশ করেছে। ছাত্রদের পাসের হার ৫৪ দশমিক ৬০ শতাংশ। জিপিএ-৫ পাওয়ার ক্ষেত্রেও মেয়েরাই এগিয়ে।

এবার করোনাকালীন অটোপাসের সুযোগ ছিল না। সংক্ষিপ্ত সিলেবাসের সুবিধাও নেই। প্রশ্ন হচ্ছে, পূর্ণ সিলেবাসে ফিরে বাস্তব মূল্যায়ন শুরু হওয়ার কারণেই কি এমন ফল। এটাই কি দেশের শিক্ষা ব্যবস্থার আসল চিত্র?

অভিযোগ আছে, আগে “বেশি নম্বর” দিয়ে পাস করানোর প্রবণতা ছিল। অনেক সময় তা রাজনৈতিক সাফল্য দেখানোর অংশ হিসেবেও ব্যবহৃত হয়েছে। ফলে পাশের হার ও জিপিএ-৫ এর সংখ্যা ক্রমে বেড়েছে। অনেকে বলছেন, এতে শিক্ষার্থীদের শেখার গভীরতা ও দক্ষতা কমেছে। বাস্তব জ্ঞান, বিশ্লেষণক্ষমতা ও লেখার দক্ষতা না বাড়িয়ে কৃত্রিমভাবে সাফল্যের চিত্র আঁকার ফলই এখন দেখা যাচ্ছে।

বোর্ড কর্তৃপক্ষের বক্তব্য অনুযায়ী, এবার কেউ বাড়তি নম্বর পায়নি। যা প্রাপ্য, সেটিই দিয়েছে পরীক্ষকরা।

আমরা বলতে চাই, শিক্ষা ব্যবস্থায় যথাযথ মূল্যায়ন করা জরুরি। তবে প্রশ্ন হচ্ছে, শিক্ষার্থীদের এত বিপুল সংখ্যক অকৃতকার্য হওয়ার পেছনে দায় কি শুধুই ‘কঠোর মূল্যায়নের’। নাকি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অনিয়মিত পাঠদান, শিক্ষক সংকট, শ্রেণিকক্ষের পাঠপরিবেশ বা এমন আরও অনেক কিছুর দায় রয়েছে? এই প্রশ্নের উত্তর জানা জরুরি।

শিক্ষা ব্যবস্থাকে সত্যিকার অর্থে শেখার কেন্দ্রে ফিরিয়ে আনতে হবে। প্রাথমিক স্তর থেকেই শিক্ষার্থীদের পাঠের প্রতি আগ্রহী করে তুলতে হবে। কেবল পাশ নয়, শিক্ষার্থীরা যেন সত্যিকার অর্থে শেখে, সেই লক্ষ্যেই নতুন করে ভাবতে হবে।

back to top