দুই দশকের মধ্যে এবার সবচেয়ে খারাপ ফল হয়েছে এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষায়। পাসের হার নেমে এসেছে ৫৮ দশমিক ৮৩ শতাংশে, যা ২০০৪ সালের পর সর্বনিম্ন।
আশার কথা হচ্ছে, এবারও মেয়ে শিক্ষার্থীরা ভালো ফল করেছে। এ বছর ৬২ দশমিক ৯৭ শতাংশ ছাত্রী পাশ করেছে। ছাত্রদের পাসের হার ৫৪ দশমিক ৬০ শতাংশ। জিপিএ-৫ পাওয়ার ক্ষেত্রেও মেয়েরাই এগিয়ে।
এবার করোনাকালীন অটোপাসের সুযোগ ছিল না। সংক্ষিপ্ত সিলেবাসের সুবিধাও নেই। প্রশ্ন হচ্ছে, পূর্ণ সিলেবাসে ফিরে বাস্তব মূল্যায়ন শুরু হওয়ার কারণেই কি এমন ফল। এটাই কি দেশের শিক্ষা ব্যবস্থার আসল চিত্র?
অভিযোগ আছে, আগে “বেশি নম্বর” দিয়ে পাস করানোর প্রবণতা ছিল। অনেক সময় তা রাজনৈতিক সাফল্য দেখানোর অংশ হিসেবেও ব্যবহৃত হয়েছে। ফলে পাশের হার ও জিপিএ-৫ এর সংখ্যা ক্রমে বেড়েছে। অনেকে বলছেন, এতে শিক্ষার্থীদের শেখার গভীরতা ও দক্ষতা কমেছে। বাস্তব জ্ঞান, বিশ্লেষণক্ষমতা ও লেখার দক্ষতা না বাড়িয়ে কৃত্রিমভাবে সাফল্যের চিত্র আঁকার ফলই এখন দেখা যাচ্ছে।
বোর্ড কর্তৃপক্ষের বক্তব্য অনুযায়ী, এবার কেউ বাড়তি নম্বর পায়নি। যা প্রাপ্য, সেটিই দিয়েছে পরীক্ষকরা।
আমরা বলতে চাই, শিক্ষা ব্যবস্থায় যথাযথ মূল্যায়ন করা জরুরি। তবে প্রশ্ন হচ্ছে, শিক্ষার্থীদের এত বিপুল সংখ্যক অকৃতকার্য হওয়ার পেছনে দায় কি শুধুই ‘কঠোর মূল্যায়নের’। নাকি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অনিয়মিত পাঠদান, শিক্ষক সংকট, শ্রেণিকক্ষের পাঠপরিবেশ বা এমন আরও অনেক কিছুর দায় রয়েছে? এই প্রশ্নের উত্তর জানা জরুরি।
শিক্ষা ব্যবস্থাকে সত্যিকার অর্থে শেখার কেন্দ্রে ফিরিয়ে আনতে হবে। প্রাথমিক স্তর থেকেই শিক্ষার্থীদের পাঠের প্রতি আগ্রহী করে তুলতে হবে। কেবল পাশ নয়, শিক্ষার্থীরা যেন সত্যিকার অর্থে শেখে, সেই লক্ষ্যেই নতুন করে ভাবতে হবে।
শুক্রবার, ১৭ অক্টোবর ২০২৫
দুই দশকের মধ্যে এবার সবচেয়ে খারাপ ফল হয়েছে এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষায়। পাসের হার নেমে এসেছে ৫৮ দশমিক ৮৩ শতাংশে, যা ২০০৪ সালের পর সর্বনিম্ন।
আশার কথা হচ্ছে, এবারও মেয়ে শিক্ষার্থীরা ভালো ফল করেছে। এ বছর ৬২ দশমিক ৯৭ শতাংশ ছাত্রী পাশ করেছে। ছাত্রদের পাসের হার ৫৪ দশমিক ৬০ শতাংশ। জিপিএ-৫ পাওয়ার ক্ষেত্রেও মেয়েরাই এগিয়ে।
এবার করোনাকালীন অটোপাসের সুযোগ ছিল না। সংক্ষিপ্ত সিলেবাসের সুবিধাও নেই। প্রশ্ন হচ্ছে, পূর্ণ সিলেবাসে ফিরে বাস্তব মূল্যায়ন শুরু হওয়ার কারণেই কি এমন ফল। এটাই কি দেশের শিক্ষা ব্যবস্থার আসল চিত্র?
অভিযোগ আছে, আগে “বেশি নম্বর” দিয়ে পাস করানোর প্রবণতা ছিল। অনেক সময় তা রাজনৈতিক সাফল্য দেখানোর অংশ হিসেবেও ব্যবহৃত হয়েছে। ফলে পাশের হার ও জিপিএ-৫ এর সংখ্যা ক্রমে বেড়েছে। অনেকে বলছেন, এতে শিক্ষার্থীদের শেখার গভীরতা ও দক্ষতা কমেছে। বাস্তব জ্ঞান, বিশ্লেষণক্ষমতা ও লেখার দক্ষতা না বাড়িয়ে কৃত্রিমভাবে সাফল্যের চিত্র আঁকার ফলই এখন দেখা যাচ্ছে।
বোর্ড কর্তৃপক্ষের বক্তব্য অনুযায়ী, এবার কেউ বাড়তি নম্বর পায়নি। যা প্রাপ্য, সেটিই দিয়েছে পরীক্ষকরা।
আমরা বলতে চাই, শিক্ষা ব্যবস্থায় যথাযথ মূল্যায়ন করা জরুরি। তবে প্রশ্ন হচ্ছে, শিক্ষার্থীদের এত বিপুল সংখ্যক অকৃতকার্য হওয়ার পেছনে দায় কি শুধুই ‘কঠোর মূল্যায়নের’। নাকি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অনিয়মিত পাঠদান, শিক্ষক সংকট, শ্রেণিকক্ষের পাঠপরিবেশ বা এমন আরও অনেক কিছুর দায় রয়েছে? এই প্রশ্নের উত্তর জানা জরুরি।
শিক্ষা ব্যবস্থাকে সত্যিকার অর্থে শেখার কেন্দ্রে ফিরিয়ে আনতে হবে। প্রাথমিক স্তর থেকেই শিক্ষার্থীদের পাঠের প্রতি আগ্রহী করে তুলতে হবে। কেবল পাশ নয়, শিক্ষার্থীরা যেন সত্যিকার অর্থে শেখে, সেই লক্ষ্যেই নতুন করে ভাবতে হবে।