২০২১ সালে বাংলাদেশে বায়ুদূষণের প্রভাবে পাঁচ বছরের কম বয়সী ১৯ হাজারের বেশি শিশু মারা গেছে। অর্থাৎ গড়ে প্রতি ঘণ্টায় দুটি শিশু মারা যাচ্ছে কেবল দূষিত বাতাসে শ্বাস নেওয়ার কারণে। জিরো কার্বন অ্যানালিটিকসের সাম্প্রতিক প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে এই তথ্য।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, শিশুমৃত্যুর প্রধান দুটি উৎস হলো-গৃহস্থালি ধোঁয়া ও বাইরের বায়ুদূষণ। গৃহস্থালিতে কাঠ, কয়লা বা কেরোসিনের মতো অপরিশোধিত জ্বালানি ব্যবহারের ফলে ঘরের ভেতর কার্বন ও অতিক্ষুদ্র ধূলিকণা জমে। এই ধোঁয়া শিশুদের ফুসফুসে গিয়ে নিউমোনিয়া ও অন্যান্য শ্বাসতন্ত্রের রোগের ঝুঁকি বাড়ায়। প্রতিবেদনের হিসাব বলছে, পরিবেশবান্ধব চুলা ও জ্বালানিতে রূপান্তর ঘটাতে পারলে প্রতিবছর প্রায় ১৬ হাজার শিশুর মৃত্যু রোধ করা যেত।
শহুরে বায়ুদূষণের প্রধান উৎস হলো ইটভাটা, পুরোনো যানবাহন ও শিল্পকারখানার বর্জ্য। ঢাকায় ১০ বছরের এক গবেষণায় দেখা গেছে, ইটভাটার ধোঁয়া থেকে নির্গত অতিক্ষুদ্র বস্তুকণাই শিশুদের শ্বাসতন্ত্রের সবচেয়ে বড় হুমকি।
বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষগুলোর মধ্যে কার্যকর সমন্বয় নেই। মাঝে মাঝে ইটভাটায় অভিযান চালানো হয়। কিছু পরিবহনের বিরুদ্ধে কালেভদ্রে ব্যবস্থা নেওয়া হয়। কিন্তু মূল সমস্যার উৎস অপরিবর্তিত থেকে যায়।
অর্থনৈতিক দিক থেকেও বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ। বিশ্বব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, বায়ুদূষণজনিত অসুস্থতা ও উৎপাদনক্ষমতা হ্রাসের কারণে বাংলাদেশের জিডিপির প্রায় ৩-৪ শতাংশ ক্ষতি হয়। অর্থাৎ, দূষণ নিয়ন্ত্রণ শুধু স্বাস্থ্যনীতি নয়, এটি অর্থনৈতিক প্রয়োজনও।
বায়ুদূষণ এখন কেবল পরিবেশ নয়, সবখাতের একটি সমন্বিত সমস্যা। এর সমাধানও হতে হবে সমন্বিত। প্রতীকী অভিযান বা সাময়িক জরিমানা নয়, দরকার দীর্ঘমেয়াদি কর্মসূচি।
শুক্রবার, ১৭ অক্টোবর ২০২৫
২০২১ সালে বাংলাদেশে বায়ুদূষণের প্রভাবে পাঁচ বছরের কম বয়সী ১৯ হাজারের বেশি শিশু মারা গেছে। অর্থাৎ গড়ে প্রতি ঘণ্টায় দুটি শিশু মারা যাচ্ছে কেবল দূষিত বাতাসে শ্বাস নেওয়ার কারণে। জিরো কার্বন অ্যানালিটিকসের সাম্প্রতিক প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে এই তথ্য।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, শিশুমৃত্যুর প্রধান দুটি উৎস হলো-গৃহস্থালি ধোঁয়া ও বাইরের বায়ুদূষণ। গৃহস্থালিতে কাঠ, কয়লা বা কেরোসিনের মতো অপরিশোধিত জ্বালানি ব্যবহারের ফলে ঘরের ভেতর কার্বন ও অতিক্ষুদ্র ধূলিকণা জমে। এই ধোঁয়া শিশুদের ফুসফুসে গিয়ে নিউমোনিয়া ও অন্যান্য শ্বাসতন্ত্রের রোগের ঝুঁকি বাড়ায়। প্রতিবেদনের হিসাব বলছে, পরিবেশবান্ধব চুলা ও জ্বালানিতে রূপান্তর ঘটাতে পারলে প্রতিবছর প্রায় ১৬ হাজার শিশুর মৃত্যু রোধ করা যেত।
শহুরে বায়ুদূষণের প্রধান উৎস হলো ইটভাটা, পুরোনো যানবাহন ও শিল্পকারখানার বর্জ্য। ঢাকায় ১০ বছরের এক গবেষণায় দেখা গেছে, ইটভাটার ধোঁয়া থেকে নির্গত অতিক্ষুদ্র বস্তুকণাই শিশুদের শ্বাসতন্ত্রের সবচেয়ে বড় হুমকি।
বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষগুলোর মধ্যে কার্যকর সমন্বয় নেই। মাঝে মাঝে ইটভাটায় অভিযান চালানো হয়। কিছু পরিবহনের বিরুদ্ধে কালেভদ্রে ব্যবস্থা নেওয়া হয়। কিন্তু মূল সমস্যার উৎস অপরিবর্তিত থেকে যায়।
অর্থনৈতিক দিক থেকেও বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ। বিশ্বব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, বায়ুদূষণজনিত অসুস্থতা ও উৎপাদনক্ষমতা হ্রাসের কারণে বাংলাদেশের জিডিপির প্রায় ৩-৪ শতাংশ ক্ষতি হয়। অর্থাৎ, দূষণ নিয়ন্ত্রণ শুধু স্বাস্থ্যনীতি নয়, এটি অর্থনৈতিক প্রয়োজনও।
বায়ুদূষণ এখন কেবল পরিবেশ নয়, সবখাতের একটি সমন্বিত সমস্যা। এর সমাধানও হতে হবে সমন্বিত। প্রতীকী অভিযান বা সাময়িক জরিমানা নয়, দরকার দীর্ঘমেয়াদি কর্মসূচি।