alt

মতামত » সম্পাদকীয়

বায়ুদূষণ রোধে কার্যকর পদক্ষেপ নিন

: শুক্রবার, ১৭ অক্টোবর ২০২৫

২০২১ সালে বাংলাদেশে বায়ুদূষণের প্রভাবে পাঁচ বছরের কম বয়সী ১৯ হাজারের বেশি শিশু মারা গেছে। অর্থাৎ গড়ে প্রতি ঘণ্টায় দুটি শিশু মারা যাচ্ছে কেবল দূষিত বাতাসে শ্বাস নেওয়ার কারণে। জিরো কার্বন অ্যানালিটিকসের সাম্প্রতিক প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে এই তথ্য।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, শিশুমৃত্যুর প্রধান দুটি উৎস হলো-গৃহস্থালি ধোঁয়া ও বাইরের বায়ুদূষণ। গৃহস্থালিতে কাঠ, কয়লা বা কেরোসিনের মতো অপরিশোধিত জ্বালানি ব্যবহারের ফলে ঘরের ভেতর কার্বন ও অতিক্ষুদ্র ধূলিকণা জমে। এই ধোঁয়া শিশুদের ফুসফুসে গিয়ে নিউমোনিয়া ও অন্যান্য শ্বাসতন্ত্রের রোগের ঝুঁকি বাড়ায়। প্রতিবেদনের হিসাব বলছে, পরিবেশবান্ধব চুলা ও জ্বালানিতে রূপান্তর ঘটাতে পারলে প্রতিবছর প্রায় ১৬ হাজার শিশুর মৃত্যু রোধ করা যেত।

শহুরে বায়ুদূষণের প্রধান উৎস হলো ইটভাটা, পুরোনো যানবাহন ও শিল্পকারখানার বর্জ্য। ঢাকায় ১০ বছরের এক গবেষণায় দেখা গেছে, ইটভাটার ধোঁয়া থেকে নির্গত অতিক্ষুদ্র বস্তুকণাই শিশুদের শ্বাসতন্ত্রের সবচেয়ে বড় হুমকি।

বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষগুলোর মধ্যে কার্যকর সমন্বয় নেই। মাঝে মাঝে ইটভাটায় অভিযান চালানো হয়। কিছু পরিবহনের বিরুদ্ধে কালেভদ্রে ব্যবস্থা নেওয়া হয়। কিন্তু মূল সমস্যার উৎস অপরিবর্তিত থেকে যায়।

অর্থনৈতিক দিক থেকেও বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ। বিশ্বব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, বায়ুদূষণজনিত অসুস্থতা ও উৎপাদনক্ষমতা হ্রাসের কারণে বাংলাদেশের জিডিপির প্রায় ৩-৪ শতাংশ ক্ষতি হয়। অর্থাৎ, দূষণ নিয়ন্ত্রণ শুধু স্বাস্থ্যনীতি নয়, এটি অর্থনৈতিক প্রয়োজনও।

বায়ুদূষণ এখন কেবল পরিবেশ নয়, সবখাতের একটি সমন্বিত সমস্যা। এর সমাধানও হতে হবে সমন্বিত। প্রতীকী অভিযান বা সাময়িক জরিমানা নয়, দরকার দীর্ঘমেয়াদি কর্মসূচি।

এক খ্রিস্টান পরিবারের জমি দখলের চেষ্টা: ব্যবস্থা নিন

অবৈধ ইটভাটা: প্রশাসন কী করছে

পথ হারাচ্ছে রেলপথে পণ্যপরিবহন

মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্টদের আন্দোলন: আলোচনায় সমাধান খুঁজতে হবে

জয়ন্তীপুর ঘাটে সেতু নির্মাণে বিলম্ব কাম্য নয়

শিক্ষকদের আন্দোলন, সরকারের কঠোরতা এবং শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ

রায়গঞ্জের ক্ষতিগ্রস্ত বেইলি ব্রিজ দ্রুত সংস্কার করুন

সওজের জমি দখল : ব্যবস্থা নিন

পার্বত্য চুক্তি: পাহাড়ে শান্তি কি ফিরল?

রাজধানী কি অগ্নিকাণ্ডের ঝুঁকি মোকাবিলায় প্রস্তুত?

সেতু নির্মাণের কাজ কবে শেষ হবে

খুলনায় আদালতের সামনে হত্যাকাণ্ড

মীরসরাইয়ে বন রক্ষায় ব্যবস্থা নিন

পুরান ঢাকায় রাসায়নিক ঝুঁকি

মহেশপুরে অনুমোদনহীন করাত কল

বিদ্যালয়ের মাঠ দখলমুক্ত করুন

থমকে আছে সেতু নির্মাণের কাজ

হাকালুকি হাওরে মাছ লুট: প্রশাসন কী করছে

রাঙ্গাবালীর সংরক্ষিত বন ধ্বংসের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

টিসিবির পণ্য নিয়ে অনিয়ম-দুর্নীতি কাম্য নয়

কক্সবাজারে পাহাড়ের মাটি কাটা বন্ধ করুন

দারিদ্র্যের নতুন ঢেউ

তাজরীনের ১৩ বছরের ক্ষত ভুক্তভোগীর ন্যায়বিচার কোথায়?

অ্যান্টিবায়োটিকের অপব্যবহার বন্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নিন

চরাঞ্চলের বিদ্যালয়ে নিয়মিত পাঠদান নিশ্চিত করুন

অসহিষ্ণুতার সংস্কৃতি থামাতে হবে

কাঠ পাচার বন্ধে ব্যবস্থা নিন

ফিরে এল তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা

বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধে জিও ব্যাগ ব্যবহারে অনিয়মের অভিযোগ

দুই দফা ভূমিকম্প: এখনই প্রস্তুতির সময়

অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি

গভীর রাতে সাংবাদিককে তুলে নেয়ার প্রকৃত কারণ উদঘাটন করতে হবে

সাময়িকী কবিতা

ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র ভাড়া দেওয়ার অভিযোগ

স্কুল ফিডিং কর্মসূচিতে অনিয়ম কাম্য নয়

ছবি

শীতজনিত রোগ প্রতিরোধে চাই সচেতনতা

tab

মতামত » সম্পাদকীয়

বায়ুদূষণ রোধে কার্যকর পদক্ষেপ নিন

শুক্রবার, ১৭ অক্টোবর ২০২৫

২০২১ সালে বাংলাদেশে বায়ুদূষণের প্রভাবে পাঁচ বছরের কম বয়সী ১৯ হাজারের বেশি শিশু মারা গেছে। অর্থাৎ গড়ে প্রতি ঘণ্টায় দুটি শিশু মারা যাচ্ছে কেবল দূষিত বাতাসে শ্বাস নেওয়ার কারণে। জিরো কার্বন অ্যানালিটিকসের সাম্প্রতিক প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে এই তথ্য।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, শিশুমৃত্যুর প্রধান দুটি উৎস হলো-গৃহস্থালি ধোঁয়া ও বাইরের বায়ুদূষণ। গৃহস্থালিতে কাঠ, কয়লা বা কেরোসিনের মতো অপরিশোধিত জ্বালানি ব্যবহারের ফলে ঘরের ভেতর কার্বন ও অতিক্ষুদ্র ধূলিকণা জমে। এই ধোঁয়া শিশুদের ফুসফুসে গিয়ে নিউমোনিয়া ও অন্যান্য শ্বাসতন্ত্রের রোগের ঝুঁকি বাড়ায়। প্রতিবেদনের হিসাব বলছে, পরিবেশবান্ধব চুলা ও জ্বালানিতে রূপান্তর ঘটাতে পারলে প্রতিবছর প্রায় ১৬ হাজার শিশুর মৃত্যু রোধ করা যেত।

শহুরে বায়ুদূষণের প্রধান উৎস হলো ইটভাটা, পুরোনো যানবাহন ও শিল্পকারখানার বর্জ্য। ঢাকায় ১০ বছরের এক গবেষণায় দেখা গেছে, ইটভাটার ধোঁয়া থেকে নির্গত অতিক্ষুদ্র বস্তুকণাই শিশুদের শ্বাসতন্ত্রের সবচেয়ে বড় হুমকি।

বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষগুলোর মধ্যে কার্যকর সমন্বয় নেই। মাঝে মাঝে ইটভাটায় অভিযান চালানো হয়। কিছু পরিবহনের বিরুদ্ধে কালেভদ্রে ব্যবস্থা নেওয়া হয়। কিন্তু মূল সমস্যার উৎস অপরিবর্তিত থেকে যায়।

অর্থনৈতিক দিক থেকেও বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ। বিশ্বব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, বায়ুদূষণজনিত অসুস্থতা ও উৎপাদনক্ষমতা হ্রাসের কারণে বাংলাদেশের জিডিপির প্রায় ৩-৪ শতাংশ ক্ষতি হয়। অর্থাৎ, দূষণ নিয়ন্ত্রণ শুধু স্বাস্থ্যনীতি নয়, এটি অর্থনৈতিক প্রয়োজনও।

বায়ুদূষণ এখন কেবল পরিবেশ নয়, সবখাতের একটি সমন্বিত সমস্যা। এর সমাধানও হতে হবে সমন্বিত। প্রতীকী অভিযান বা সাময়িক জরিমানা নয়, দরকার দীর্ঘমেয়াদি কর্মসূচি।

back to top