alt

মতামত » সম্পাদকীয়

ফিরে এল তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা

: রোববার, ২৩ নভেম্বর ২০২৫

বাংলাদেশের রাজনীতিতে নির্বাচনকে ঘিরে বিতর্ক এক গভীর সমস্যা। স্বাধীনতার এত বছর পরও আমরা একটি স্থায়ী ও সবার কাছে গ্রহণযোগ্য নির্বাচনব্যবস্থা গড়ে তুলতে পারিনি। এটা আমাদের রাজনৈতিক ব্যাবস্থার অন্যতম দুর্বলতা। ক্ষমতাসীন সরকারের অধীনে নির্বাচনের প্রতি অনাস্থা, বিরোধী দলের নির্বাচন বর্জন, রাজনৈতিক অচলাবস্থা আর নির্বাচন কমিশন নিয়ে বিতর্ক নিয়মিত ঘটনা। এসব কারণে দেশ প্রায়ই রাজনৈতিক সংকটে পড়ে। আর এসব সংকটই আমাদের বারবার তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থার দিকে ঠেলে দিয়েছে।

সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের রায়ে দেশে আবার তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা ফিরেছে। যদিও এটি কার্যকর হবে এবার নয়, এর পরের নির্বাচনে।

সুস্থ গণতন্ত্রে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রয়োজন হয় না। পৃথিবীর যেসব দেশে এই ব্যাবস্থা সেখানে কোথাও টেকসই গণতন্ত্র নেই। স্থিতিশীল গণতান্ত্রিক দেশগুলোতে নির্বাচন সামনে রেখে ক্ষমতা হস্তান্তর বা নির্দলীয় সরকারের দরকার পড়ে না। কারণ সেখানে সরকার ও বিরোধী-দুই পক্ষই গণতান্ত্রিক সংস্কৃতিতে অভ্যস্ত, আর রাষ্ট্রযন্ত্র দলবদলে নিরপেক্ষ থাকে। কিন্তু যেখানে গণতন্ত্র দুর্বল, অনাস্থা বেশি, সেসব দেশে বিকল্প পদ্ধতির প্রয়োজন দেখা দেয়।

লক্ষণীয়, আওয়ামী লীগ একসময় এই ব্যবস্থার দাবিতে আন্দোলন করেছে। পরে ক্ষমতায় এসে এটি বাতিল করেছে। এখন ক্ষমতাচ্যুত হয়ে আবার তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনে অংশ নেওয়াকে গ্রহণযোগ্য মনে করছে।

তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে দেশ চারটি তুলনামূলক গ্রহণযোগ্য নির্বাচন পেয়েছে। কিন্তু সেসব নির্বাচনের ফলও পরাজিত দল বা তাদের সমর্থকরা মেনে নেয়নি।

তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা ফিরে এসেছে। আমরা সতর্কতার সাথে একে স্বাগত জানাই। তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা ফেরানো মূলত নির্বাচন নিয়ে মানুষের আস্থার সংকট থেকে বেরিয়ে আসার একটি উপায়। তবে এটিকে চূড়ান্ত সমাধান বলা যায় না। এই ব্যবস্থা যেন নতুন কোনো অনিশ্চয়তা তৈরি না করে, সেদিকে নজর রাখতে হবে। কারণ অতীতে এ ব্যবস্থার কিছু দুর্বলতা ছিল। অনেকে মনে করেন, ১/১১’র সৃষ্টি হয়েছিল এই ব্যবস্থার দুর্বলতার ফাঁকফোকর দিয়ে। ভবিষ্যতে যাতে কোনো পক্ষ এই ব্যবস্থার সুযোগ নিয়ে ক্ষমতা দখল করতে না পারে, তা নিশ্চিত করতে হবে। একই সঙ্গে বিচারবিভাগকে সরাসরি এই ব্যবস্থার সঙ্গে না জড়ানোই ভালো।

আমাদের লক্ষ্য হওয়া উচিত এমন একটি নির্বাচনব্যবস্থা গড়ে তোলা, যেখানে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রয়োজন পড়বে না। গণতন্ত্রের আসল শক্তি এখানেই। সে জন্য দরকার শক্তিশালী, নিরপেক্ষ, স্বাধীন ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচনব্যবস্থা।

কাঠ পাচার বন্ধে ব্যবস্থা নিন

বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধে জিও ব্যাগ ব্যবহারে অনিয়মের অভিযোগ

দুই দফা ভূমিকম্প: এখনই প্রস্তুতির সময়

অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি

গভীর রাতে সাংবাদিককে তুলে নেয়ার প্রকৃত কারণ উদঘাটন করতে হবে

সাময়িকী কবিতা

ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র ভাড়া দেওয়ার অভিযোগ

স্কুল ফিডিং কর্মসূচিতে অনিয়ম কাম্য নয়

ছবি

শীতজনিত রোগ প্রতিরোধে চাই সচেতনতা

গাজনার বিলে জলাবদ্ধতা দূর করতে ব্যবস্থা নিন

বাল্যবিয়ে: সংকট এখনো গভীর

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের রায়: সব প্রশ্নের কি মীমাংসা হলো?

কুষ্টিয়ায় গাছ কাটার ‘গোপন টেন্ডার’ নিয়ে বিতর্কের অবসান হোক

ধান কেনায় অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

লালমনিরহাটের বিসিক শিল্পনগরীর দুরবস্থা

তৃণমূলে ব্যাহত হচ্ছে স্বাস্থ্যসেবা, ব্যবস্থা নিন

শ্রীপুরের মানুষের দুর্ভোগ লাঘবে ব্যবস্থা নিন

ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে চলছে ক্লাস, পদক্ষেপ জরুরি

শিশু ধর্ষণচেষ্টা: সালিসের নামে প্রহসন কাম্য নয়

বিশুদ্ধ পানির প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগ আমলে নিন

সুপেয় পানির জন্য মোরেলগঞ্জের মানুষের অপেক্ষার অবসান হবে কবে

কেন একজন নিরপরাধ মানুষকে কিসের আগুনে পুড়ে মরতে হলো

জেলেদের মাঝে বকনা বাছুর বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ সুরাহা করুন

রাজধানীতে প্রকাশ্যে হত্যা: আইনশৃঙ্খলা নিয়ে উদ্বেগ

নলবিলা খাল খনন করুন

অগ্নি-নিরাপত্তায় উদাসীনতা কাম্য নয়

কারেন্ট পোকা দমনে কৃষককে সহায়তা দিন

আলুর বাজারে নীরব বিপর্যয়

বিদ্যালয়ের মাঠ দখলমুক্ত করুন

টিলায় পাথর লুট : কার্যকর ব্যবস্থা নিন

ঝুঁকিপূর্ণ স্কুল ভবন সংস্কারে দ্রুত পদক্ষেপ দরকার

ডেঙ্গু মোকাবিলায় দায়িত্বহীনতা আর নয়

সার সংকট সমাধানে দ্রুত পদক্ষেপ দরকার

নির্বাচনী সহিংসতা বন্ধে কঠোর পদক্ষেপ প্রয়োজন

প্রান্তিক মানুষের স্বাস্থ্যসেবা যেন অবহেলার শিকার না হয়

প্রাথমিকে সংগীত শিক্ষক নিয়োগ বাতিল : একটি ভুল বার্তা

tab

মতামত » সম্পাদকীয়

ফিরে এল তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা

রোববার, ২৩ নভেম্বর ২০২৫

বাংলাদেশের রাজনীতিতে নির্বাচনকে ঘিরে বিতর্ক এক গভীর সমস্যা। স্বাধীনতার এত বছর পরও আমরা একটি স্থায়ী ও সবার কাছে গ্রহণযোগ্য নির্বাচনব্যবস্থা গড়ে তুলতে পারিনি। এটা আমাদের রাজনৈতিক ব্যাবস্থার অন্যতম দুর্বলতা। ক্ষমতাসীন সরকারের অধীনে নির্বাচনের প্রতি অনাস্থা, বিরোধী দলের নির্বাচন বর্জন, রাজনৈতিক অচলাবস্থা আর নির্বাচন কমিশন নিয়ে বিতর্ক নিয়মিত ঘটনা। এসব কারণে দেশ প্রায়ই রাজনৈতিক সংকটে পড়ে। আর এসব সংকটই আমাদের বারবার তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থার দিকে ঠেলে দিয়েছে।

সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের রায়ে দেশে আবার তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা ফিরেছে। যদিও এটি কার্যকর হবে এবার নয়, এর পরের নির্বাচনে।

সুস্থ গণতন্ত্রে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রয়োজন হয় না। পৃথিবীর যেসব দেশে এই ব্যাবস্থা সেখানে কোথাও টেকসই গণতন্ত্র নেই। স্থিতিশীল গণতান্ত্রিক দেশগুলোতে নির্বাচন সামনে রেখে ক্ষমতা হস্তান্তর বা নির্দলীয় সরকারের দরকার পড়ে না। কারণ সেখানে সরকার ও বিরোধী-দুই পক্ষই গণতান্ত্রিক সংস্কৃতিতে অভ্যস্ত, আর রাষ্ট্রযন্ত্র দলবদলে নিরপেক্ষ থাকে। কিন্তু যেখানে গণতন্ত্র দুর্বল, অনাস্থা বেশি, সেসব দেশে বিকল্প পদ্ধতির প্রয়োজন দেখা দেয়।

লক্ষণীয়, আওয়ামী লীগ একসময় এই ব্যবস্থার দাবিতে আন্দোলন করেছে। পরে ক্ষমতায় এসে এটি বাতিল করেছে। এখন ক্ষমতাচ্যুত হয়ে আবার তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনে অংশ নেওয়াকে গ্রহণযোগ্য মনে করছে।

তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে দেশ চারটি তুলনামূলক গ্রহণযোগ্য নির্বাচন পেয়েছে। কিন্তু সেসব নির্বাচনের ফলও পরাজিত দল বা তাদের সমর্থকরা মেনে নেয়নি।

তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা ফিরে এসেছে। আমরা সতর্কতার সাথে একে স্বাগত জানাই। তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা ফেরানো মূলত নির্বাচন নিয়ে মানুষের আস্থার সংকট থেকে বেরিয়ে আসার একটি উপায়। তবে এটিকে চূড়ান্ত সমাধান বলা যায় না। এই ব্যবস্থা যেন নতুন কোনো অনিশ্চয়তা তৈরি না করে, সেদিকে নজর রাখতে হবে। কারণ অতীতে এ ব্যবস্থার কিছু দুর্বলতা ছিল। অনেকে মনে করেন, ১/১১’র সৃষ্টি হয়েছিল এই ব্যবস্থার দুর্বলতার ফাঁকফোকর দিয়ে। ভবিষ্যতে যাতে কোনো পক্ষ এই ব্যবস্থার সুযোগ নিয়ে ক্ষমতা দখল করতে না পারে, তা নিশ্চিত করতে হবে। একই সঙ্গে বিচারবিভাগকে সরাসরি এই ব্যবস্থার সঙ্গে না জড়ানোই ভালো।

আমাদের লক্ষ্য হওয়া উচিত এমন একটি নির্বাচনব্যবস্থা গড়ে তোলা, যেখানে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রয়োজন পড়বে না। গণতন্ত্রের আসল শক্তি এখানেই। সে জন্য দরকার শক্তিশালী, নিরপেক্ষ, স্বাধীন ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচনব্যবস্থা।

back to top