alt

মতামত » সম্পাদকীয়

অ্যান্টিবায়োটিকের অপব্যবহার বন্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নিন

: মঙ্গলবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৫

অ্যান্টিবায়োটিক একসময় ছিল চিকিৎসাবিজ্ঞানের ‘বিস্ময়’। অনেক দিন ধরেই শোনা যাচ্ছে যে, এই ‘বিস্ময়’ ধীরে ধীরে রোগ নিরাময়ের শক্তি হারাচ্ছে। আইইডিসিআর জানিয়েছে, দেশের আইসিইউতে ভর্তি ৪১ শতাংশ রোগীর শরীরে কোনো অ্যান্টিবায়োটিকই কাজ করছে না।

গত এক বছরে ৯৬ হাজারের বেশি রোগীর নমুনা পরীক্ষা করে দেখা গেছে, বেশির ভাগ অ্যান্টিবায়োটিকের কার্যকারিতা ৬০ শতাংশের নিচে নেমে গেছে। কিছু ওষুধে ইতিবাচক পরিবর্তন দেখা গেলেও সামগ্রিক চিত্র ভয়াবহ। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই পরিস্থিতি শুধু চিকিৎসাব্যবস্থার দুর্বলতা নয়, নাগরিকদের অভ্যাসগত ভুলেরও প্রতিফলন। সামান্য জ্বর-সর্দিতেই মানুষ নিজে নিজে অ্যান্টিবায়োটিক কিনে খায়, চিকিৎসকের পরামর্শ নেয় না। আবার অনেক চিকিৎসকও অপ্রয়োজনে অ্যান্টিবায়োটিক লিখে থাকেন। সব মিলিয়ে রোগ প্রতিরোধী অণুজীবগুলো আরও শক্তিশালী হয়ে উঠছে।

উদ্বেগজনক বিষয় হচ্ছে, ৭ শতাংশ রোগীর ক্ষেত্রে পাওয়া গেছে প্যান-ড্রাগ-রেজিস্ট্যান্স। অর্থাৎ একটি রোগের জন্য ব্যবহৃত সব ধরনের ওষুধই ওই অণুজীবের ওপর ব্যর্থ। আইসিইউতে এই হার ৪১ শতাংশ। উন্নত চিকিৎসা ব্যবস্থা রয়েছে এমন দেশেও এ ধরনের পরিস্থিতি ভয়াবহ বলে বিবেচিত হয়। সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, বাংলাদেশের মতো ঘনবসতিপূর্ণ দেশে এটি বড় জনস্বাস্থ্য দুর্যোগের পূর্বাভাস।

ঢাকায় অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহারের হার সবচেয়ে বেশি। সারা দেশে যত অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার হয় তার ৫৭ শতাংশ ব্যবহৃত হয় রাজধানীতে। গবষেণায় জানা যাচ্ছে, কক্সবাজারের রোহিঙ্গা শিবিরে অ্যান্টিবায়োটিকের কার্যকারিতা তুলনামূলক বেশি। কারণ সেখানে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ ব্যবহার করা হচ্ছে। এই তুলনাই প্রমাণ করে যে নিয়ম মেনে ওষুধ ব্যবহার করলে অ্যান্টিবায়োটিক কার্যকর থাকে।

প্রশ্ন হচ্ছে, এই পরিস্থিতিতে রাষ্ট্র কী করছে? অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহারের কঠোর জাতীয় নীতিমালা এখনো কার্যকর হয়নি। ওষুধের দোকানে প্রেসক্রিপশন ছাড়া অ্যান্টিবায়োটিক বিক্রি বন্ধ হয়নি। জনসচেতনতা এখনো সীমিত। এভাবে চললে আগামী এক দশকে আমরা এমন এক চিকিৎসা-সংকটের মুখে দাঁড়াব, যেখানে সাধারণ সংক্রমণেও হয়তো কার্যকর ওষুধ পাওয়া যাবে না।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রেসক্রিপশন ছাড়া অ্যান্টিবায়োটিক বিক্রি বন্ধ করতে হবে কঠোরভাবে। অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহারের গাইডলাইন অনুসরণ বাধ্যতামূলক করতে হবে। জনসচেতনতা সৃষ্টি করাও জরুরি। পাশাপাশি গবেষণা ও নজরদারি ব্যবস্থা আরও শক্তিশালী করতে হবে।

তাজরীনের ১৩ বছরের ক্ষত ভুক্তভোগীর ন্যায়বিচার কোথায়?

চরাঞ্চলের বিদ্যালয়ে নিয়মিত পাঠদান নিশ্চিত করুন

অসহিষ্ণুতার সংস্কৃতি থামাতে হবে

কাঠ পাচার বন্ধে ব্যবস্থা নিন

ফিরে এল তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা

বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধে জিও ব্যাগ ব্যবহারে অনিয়মের অভিযোগ

দুই দফা ভূমিকম্প: এখনই প্রস্তুতির সময়

অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি

গভীর রাতে সাংবাদিককে তুলে নেয়ার প্রকৃত কারণ উদঘাটন করতে হবে

সাময়িকী কবিতা

ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র ভাড়া দেওয়ার অভিযোগ

স্কুল ফিডিং কর্মসূচিতে অনিয়ম কাম্য নয়

ছবি

শীতজনিত রোগ প্রতিরোধে চাই সচেতনতা

গাজনার বিলে জলাবদ্ধতা দূর করতে ব্যবস্থা নিন

বাল্যবিয়ে: সংকট এখনো গভীর

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের রায়: সব প্রশ্নের কি মীমাংসা হলো?

কুষ্টিয়ায় গাছ কাটার ‘গোপন টেন্ডার’ নিয়ে বিতর্কের অবসান হোক

ধান কেনায় অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

লালমনিরহাটের বিসিক শিল্পনগরীর দুরবস্থা

তৃণমূলে ব্যাহত হচ্ছে স্বাস্থ্যসেবা, ব্যবস্থা নিন

শ্রীপুরের মানুষের দুর্ভোগ লাঘবে ব্যবস্থা নিন

ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে চলছে ক্লাস, পদক্ষেপ জরুরি

শিশু ধর্ষণচেষ্টা: সালিসের নামে প্রহসন কাম্য নয়

বিশুদ্ধ পানির প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগ আমলে নিন

সুপেয় পানির জন্য মোরেলগঞ্জের মানুষের অপেক্ষার অবসান হবে কবে

কেন একজন নিরপরাধ মানুষকে কিসের আগুনে পুড়ে মরতে হলো

জেলেদের মাঝে বকনা বাছুর বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ সুরাহা করুন

রাজধানীতে প্রকাশ্যে হত্যা: আইনশৃঙ্খলা নিয়ে উদ্বেগ

নলবিলা খাল খনন করুন

অগ্নি-নিরাপত্তায় উদাসীনতা কাম্য নয়

কারেন্ট পোকা দমনে কৃষককে সহায়তা দিন

আলুর বাজারে নীরব বিপর্যয়

বিদ্যালয়ের মাঠ দখলমুক্ত করুন

টিলায় পাথর লুট : কার্যকর ব্যবস্থা নিন

ঝুঁকিপূর্ণ স্কুল ভবন সংস্কারে দ্রুত পদক্ষেপ দরকার

ডেঙ্গু মোকাবিলায় দায়িত্বহীনতা আর নয়

tab

মতামত » সম্পাদকীয়

অ্যান্টিবায়োটিকের অপব্যবহার বন্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নিন

মঙ্গলবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৫

অ্যান্টিবায়োটিক একসময় ছিল চিকিৎসাবিজ্ঞানের ‘বিস্ময়’। অনেক দিন ধরেই শোনা যাচ্ছে যে, এই ‘বিস্ময়’ ধীরে ধীরে রোগ নিরাময়ের শক্তি হারাচ্ছে। আইইডিসিআর জানিয়েছে, দেশের আইসিইউতে ভর্তি ৪১ শতাংশ রোগীর শরীরে কোনো অ্যান্টিবায়োটিকই কাজ করছে না।

গত এক বছরে ৯৬ হাজারের বেশি রোগীর নমুনা পরীক্ষা করে দেখা গেছে, বেশির ভাগ অ্যান্টিবায়োটিকের কার্যকারিতা ৬০ শতাংশের নিচে নেমে গেছে। কিছু ওষুধে ইতিবাচক পরিবর্তন দেখা গেলেও সামগ্রিক চিত্র ভয়াবহ। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই পরিস্থিতি শুধু চিকিৎসাব্যবস্থার দুর্বলতা নয়, নাগরিকদের অভ্যাসগত ভুলেরও প্রতিফলন। সামান্য জ্বর-সর্দিতেই মানুষ নিজে নিজে অ্যান্টিবায়োটিক কিনে খায়, চিকিৎসকের পরামর্শ নেয় না। আবার অনেক চিকিৎসকও অপ্রয়োজনে অ্যান্টিবায়োটিক লিখে থাকেন। সব মিলিয়ে রোগ প্রতিরোধী অণুজীবগুলো আরও শক্তিশালী হয়ে উঠছে।

উদ্বেগজনক বিষয় হচ্ছে, ৭ শতাংশ রোগীর ক্ষেত্রে পাওয়া গেছে প্যান-ড্রাগ-রেজিস্ট্যান্স। অর্থাৎ একটি রোগের জন্য ব্যবহৃত সব ধরনের ওষুধই ওই অণুজীবের ওপর ব্যর্থ। আইসিইউতে এই হার ৪১ শতাংশ। উন্নত চিকিৎসা ব্যবস্থা রয়েছে এমন দেশেও এ ধরনের পরিস্থিতি ভয়াবহ বলে বিবেচিত হয়। সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, বাংলাদেশের মতো ঘনবসতিপূর্ণ দেশে এটি বড় জনস্বাস্থ্য দুর্যোগের পূর্বাভাস।

ঢাকায় অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহারের হার সবচেয়ে বেশি। সারা দেশে যত অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার হয় তার ৫৭ শতাংশ ব্যবহৃত হয় রাজধানীতে। গবষেণায় জানা যাচ্ছে, কক্সবাজারের রোহিঙ্গা শিবিরে অ্যান্টিবায়োটিকের কার্যকারিতা তুলনামূলক বেশি। কারণ সেখানে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ ব্যবহার করা হচ্ছে। এই তুলনাই প্রমাণ করে যে নিয়ম মেনে ওষুধ ব্যবহার করলে অ্যান্টিবায়োটিক কার্যকর থাকে।

প্রশ্ন হচ্ছে, এই পরিস্থিতিতে রাষ্ট্র কী করছে? অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহারের কঠোর জাতীয় নীতিমালা এখনো কার্যকর হয়নি। ওষুধের দোকানে প্রেসক্রিপশন ছাড়া অ্যান্টিবায়োটিক বিক্রি বন্ধ হয়নি। জনসচেতনতা এখনো সীমিত। এভাবে চললে আগামী এক দশকে আমরা এমন এক চিকিৎসা-সংকটের মুখে দাঁড়াব, যেখানে সাধারণ সংক্রমণেও হয়তো কার্যকর ওষুধ পাওয়া যাবে না।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রেসক্রিপশন ছাড়া অ্যান্টিবায়োটিক বিক্রি বন্ধ করতে হবে কঠোরভাবে। অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহারের গাইডলাইন অনুসরণ বাধ্যতামূলক করতে হবে। জনসচেতনতা সৃষ্টি করাও জরুরি। পাশাপাশি গবেষণা ও নজরদারি ব্যবস্থা আরও শক্তিশালী করতে হবে।

back to top