alt

মতামত » সম্পাদকীয়

তাজরীনের ১৩ বছরের ক্ষত ভুক্তভোগীর ন্যায়বিচার কোথায়?

: মঙ্গলবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৫

তাজরীন ফ্যাশনসে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ১৩ বছর পরও ন্যায়বিচার ও ক্ষতিপূরণের দাবিতে পথে নামতে হচ্ছে ভুক্তভোগীদের। ২০১২ সালের ২৪ নভেম্বর তাজরীনের আগুনে ১১১ শ্রমিক মারা যান, আরও অনেকে দগ্ধ ও পঙ্গু হন।

আহত শ্রমিকদের বর্ণনা শুনলে বুঝতে অসুবিধা হয় না যে, তাজরীন অগ্নিকাণ্ড শুধুই দুর্ঘটনা ছিল না। ঘটনার দিন আগুন লাগার পর অ্যালার্ম বাজলে শ্রমিকেরা নিচে নামার চেষ্টা করেছেন, কিন্তু দরজা ছিল তালাবদ্ধ। কেউ ছাদে উঠে বাঁচতে চেয়েছেন, কেউ জানালা দিয়ে লাফ দিয়েছেন। শ্রমিক সংগঠনগুলো তাজরীনকে ‘পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড’ বলছে। এ সংক্রান্ত তদন্ত প্রতিবেদনে ব্যবস্থাপনার গুরুতর ব্যর্থতা উঠে এসেছে। কিন্তু এর বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।

কোনো দুর্ঘটনায় শ্রমিক হতাহতের ঘটনার পর উচ্চপর্যায়ের কমিটি হয়, আশ্বাস আসে, কিন্তু বাস্তবায়ন হয় না। তাজরীন ট্র্যাজেডির ১৩ বছরেও কেন ন্যায়বিচার মিলছে না সেটা আমরা জানতে চাইব। ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ বা পুনর্বাসন নিয়ে ওঠা প্রশ্নগুলোরইবা সমাধান করা যাচ্ছে না কেন?

আমরা বলতে চাই, তাজরীন ট্র্যাজেডির সব ভুক্তভোগীকে উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ ও স্থায়ী পুনর্বাসন অবিলম্বে নিশ্চিত করতে হবে। এই ঘটনায় মালিকসহ দায়ী ব্যক্তিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা জরুরি। সমাজে এই বার্তা দেওয়া জরুরি যে, অপরাধী যেই হোক না কেন তাকে আইনের কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হবে, শাস্তি পেতে হবে।

তাজরীন ট্র্যাজেডির পরও দেশের অনেক কারখানায় দুর্ঘটনা ঘটেছে, শ্রমিক হতাহত হয়েছে। কারখানাগুলোর নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কা রয়েছে। সব পোশাক কারখানায় নিরাপত্তা-মান নিশ্চিত করতে স্বাধীন ও শক্তিশালী নজরদারি কাঠামো গড়ে তোলা জরুরি।

অ্যান্টিবায়োটিকের অপব্যবহার বন্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নিন

চরাঞ্চলের বিদ্যালয়ে নিয়মিত পাঠদান নিশ্চিত করুন

অসহিষ্ণুতার সংস্কৃতি থামাতে হবে

কাঠ পাচার বন্ধে ব্যবস্থা নিন

ফিরে এল তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা

বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধে জিও ব্যাগ ব্যবহারে অনিয়মের অভিযোগ

দুই দফা ভূমিকম্প: এখনই প্রস্তুতির সময়

অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি

গভীর রাতে সাংবাদিককে তুলে নেয়ার প্রকৃত কারণ উদঘাটন করতে হবে

সাময়িকী কবিতা

ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র ভাড়া দেওয়ার অভিযোগ

স্কুল ফিডিং কর্মসূচিতে অনিয়ম কাম্য নয়

ছবি

শীতজনিত রোগ প্রতিরোধে চাই সচেতনতা

গাজনার বিলে জলাবদ্ধতা দূর করতে ব্যবস্থা নিন

বাল্যবিয়ে: সংকট এখনো গভীর

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের রায়: সব প্রশ্নের কি মীমাংসা হলো?

কুষ্টিয়ায় গাছ কাটার ‘গোপন টেন্ডার’ নিয়ে বিতর্কের অবসান হোক

ধান কেনায় অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

লালমনিরহাটের বিসিক শিল্পনগরীর দুরবস্থা

তৃণমূলে ব্যাহত হচ্ছে স্বাস্থ্যসেবা, ব্যবস্থা নিন

শ্রীপুরের মানুষের দুর্ভোগ লাঘবে ব্যবস্থা নিন

ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে চলছে ক্লাস, পদক্ষেপ জরুরি

শিশু ধর্ষণচেষ্টা: সালিসের নামে প্রহসন কাম্য নয়

বিশুদ্ধ পানির প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগ আমলে নিন

সুপেয় পানির জন্য মোরেলগঞ্জের মানুষের অপেক্ষার অবসান হবে কবে

কেন একজন নিরপরাধ মানুষকে কিসের আগুনে পুড়ে মরতে হলো

জেলেদের মাঝে বকনা বাছুর বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ সুরাহা করুন

রাজধানীতে প্রকাশ্যে হত্যা: আইনশৃঙ্খলা নিয়ে উদ্বেগ

নলবিলা খাল খনন করুন

অগ্নি-নিরাপত্তায় উদাসীনতা কাম্য নয়

কারেন্ট পোকা দমনে কৃষককে সহায়তা দিন

আলুর বাজারে নীরব বিপর্যয়

বিদ্যালয়ের মাঠ দখলমুক্ত করুন

টিলায় পাথর লুট : কার্যকর ব্যবস্থা নিন

ঝুঁকিপূর্ণ স্কুল ভবন সংস্কারে দ্রুত পদক্ষেপ দরকার

ডেঙ্গু মোকাবিলায় দায়িত্বহীনতা আর নয়

tab

মতামত » সম্পাদকীয়

তাজরীনের ১৩ বছরের ক্ষত ভুক্তভোগীর ন্যায়বিচার কোথায়?

মঙ্গলবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৫

তাজরীন ফ্যাশনসে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ১৩ বছর পরও ন্যায়বিচার ও ক্ষতিপূরণের দাবিতে পথে নামতে হচ্ছে ভুক্তভোগীদের। ২০১২ সালের ২৪ নভেম্বর তাজরীনের আগুনে ১১১ শ্রমিক মারা যান, আরও অনেকে দগ্ধ ও পঙ্গু হন।

আহত শ্রমিকদের বর্ণনা শুনলে বুঝতে অসুবিধা হয় না যে, তাজরীন অগ্নিকাণ্ড শুধুই দুর্ঘটনা ছিল না। ঘটনার দিন আগুন লাগার পর অ্যালার্ম বাজলে শ্রমিকেরা নিচে নামার চেষ্টা করেছেন, কিন্তু দরজা ছিল তালাবদ্ধ। কেউ ছাদে উঠে বাঁচতে চেয়েছেন, কেউ জানালা দিয়ে লাফ দিয়েছেন। শ্রমিক সংগঠনগুলো তাজরীনকে ‘পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড’ বলছে। এ সংক্রান্ত তদন্ত প্রতিবেদনে ব্যবস্থাপনার গুরুতর ব্যর্থতা উঠে এসেছে। কিন্তু এর বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।

কোনো দুর্ঘটনায় শ্রমিক হতাহতের ঘটনার পর উচ্চপর্যায়ের কমিটি হয়, আশ্বাস আসে, কিন্তু বাস্তবায়ন হয় না। তাজরীন ট্র্যাজেডির ১৩ বছরেও কেন ন্যায়বিচার মিলছে না সেটা আমরা জানতে চাইব। ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ বা পুনর্বাসন নিয়ে ওঠা প্রশ্নগুলোরইবা সমাধান করা যাচ্ছে না কেন?

আমরা বলতে চাই, তাজরীন ট্র্যাজেডির সব ভুক্তভোগীকে উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ ও স্থায়ী পুনর্বাসন অবিলম্বে নিশ্চিত করতে হবে। এই ঘটনায় মালিকসহ দায়ী ব্যক্তিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা জরুরি। সমাজে এই বার্তা দেওয়া জরুরি যে, অপরাধী যেই হোক না কেন তাকে আইনের কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হবে, শাস্তি পেতে হবে।

তাজরীন ট্র্যাজেডির পরও দেশের অনেক কারখানায় দুর্ঘটনা ঘটেছে, শ্রমিক হতাহত হয়েছে। কারখানাগুলোর নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কা রয়েছে। সব পোশাক কারখানায় নিরাপত্তা-মান নিশ্চিত করতে স্বাধীন ও শক্তিশালী নজরদারি কাঠামো গড়ে তোলা জরুরি।

back to top