তাজরীন ফ্যাশনসে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ১৩ বছর পরও ন্যায়বিচার ও ক্ষতিপূরণের দাবিতে পথে নামতে হচ্ছে ভুক্তভোগীদের। ২০১২ সালের ২৪ নভেম্বর তাজরীনের আগুনে ১১১ শ্রমিক মারা যান, আরও অনেকে দগ্ধ ও পঙ্গু হন।
আহত শ্রমিকদের বর্ণনা শুনলে বুঝতে অসুবিধা হয় না যে, তাজরীন অগ্নিকাণ্ড শুধুই দুর্ঘটনা ছিল না। ঘটনার দিন আগুন লাগার পর অ্যালার্ম বাজলে শ্রমিকেরা নিচে নামার চেষ্টা করেছেন, কিন্তু দরজা ছিল তালাবদ্ধ। কেউ ছাদে উঠে বাঁচতে চেয়েছেন, কেউ জানালা দিয়ে লাফ দিয়েছেন। শ্রমিক সংগঠনগুলো তাজরীনকে ‘পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড’ বলছে। এ সংক্রান্ত তদন্ত প্রতিবেদনে ব্যবস্থাপনার গুরুতর ব্যর্থতা উঠে এসেছে। কিন্তু এর বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
কোনো দুর্ঘটনায় শ্রমিক হতাহতের ঘটনার পর উচ্চপর্যায়ের কমিটি হয়, আশ্বাস আসে, কিন্তু বাস্তবায়ন হয় না। তাজরীন ট্র্যাজেডির ১৩ বছরেও কেন ন্যায়বিচার মিলছে না সেটা আমরা জানতে চাইব। ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ বা পুনর্বাসন নিয়ে ওঠা প্রশ্নগুলোরইবা সমাধান করা যাচ্ছে না কেন?
আমরা বলতে চাই, তাজরীন ট্র্যাজেডির সব ভুক্তভোগীকে উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ ও স্থায়ী পুনর্বাসন অবিলম্বে নিশ্চিত করতে হবে। এই ঘটনায় মালিকসহ দায়ী ব্যক্তিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা জরুরি। সমাজে এই বার্তা দেওয়া জরুরি যে, অপরাধী যেই হোক না কেন তাকে আইনের কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হবে, শাস্তি পেতে হবে।
তাজরীন ট্র্যাজেডির পরও দেশের অনেক কারখানায় দুর্ঘটনা ঘটেছে, শ্রমিক হতাহত হয়েছে। কারখানাগুলোর নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কা রয়েছে। সব পোশাক কারখানায় নিরাপত্তা-মান নিশ্চিত করতে স্বাধীন ও শক্তিশালী নজরদারি কাঠামো গড়ে তোলা জরুরি।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
মঙ্গলবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৫
তাজরীন ফ্যাশনসে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ১৩ বছর পরও ন্যায়বিচার ও ক্ষতিপূরণের দাবিতে পথে নামতে হচ্ছে ভুক্তভোগীদের। ২০১২ সালের ২৪ নভেম্বর তাজরীনের আগুনে ১১১ শ্রমিক মারা যান, আরও অনেকে দগ্ধ ও পঙ্গু হন।
আহত শ্রমিকদের বর্ণনা শুনলে বুঝতে অসুবিধা হয় না যে, তাজরীন অগ্নিকাণ্ড শুধুই দুর্ঘটনা ছিল না। ঘটনার দিন আগুন লাগার পর অ্যালার্ম বাজলে শ্রমিকেরা নিচে নামার চেষ্টা করেছেন, কিন্তু দরজা ছিল তালাবদ্ধ। কেউ ছাদে উঠে বাঁচতে চেয়েছেন, কেউ জানালা দিয়ে লাফ দিয়েছেন। শ্রমিক সংগঠনগুলো তাজরীনকে ‘পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড’ বলছে। এ সংক্রান্ত তদন্ত প্রতিবেদনে ব্যবস্থাপনার গুরুতর ব্যর্থতা উঠে এসেছে। কিন্তু এর বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
কোনো দুর্ঘটনায় শ্রমিক হতাহতের ঘটনার পর উচ্চপর্যায়ের কমিটি হয়, আশ্বাস আসে, কিন্তু বাস্তবায়ন হয় না। তাজরীন ট্র্যাজেডির ১৩ বছরেও কেন ন্যায়বিচার মিলছে না সেটা আমরা জানতে চাইব। ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ বা পুনর্বাসন নিয়ে ওঠা প্রশ্নগুলোরইবা সমাধান করা যাচ্ছে না কেন?
আমরা বলতে চাই, তাজরীন ট্র্যাজেডির সব ভুক্তভোগীকে উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ ও স্থায়ী পুনর্বাসন অবিলম্বে নিশ্চিত করতে হবে। এই ঘটনায় মালিকসহ দায়ী ব্যক্তিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা জরুরি। সমাজে এই বার্তা দেওয়া জরুরি যে, অপরাধী যেই হোক না কেন তাকে আইনের কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হবে, শাস্তি পেতে হবে।
তাজরীন ট্র্যাজেডির পরও দেশের অনেক কারখানায় দুর্ঘটনা ঘটেছে, শ্রমিক হতাহত হয়েছে। কারখানাগুলোর নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কা রয়েছে। সব পোশাক কারখানায় নিরাপত্তা-মান নিশ্চিত করতে স্বাধীন ও শক্তিশালী নজরদারি কাঠামো গড়ে তোলা জরুরি।