alt

মতামত » সম্পাদকীয়

সীতাকুণ্ডে আরেকটি ট্র্যাজেডি

: রোববার, ০৫ মার্চ ২০২৩

বছর না ঘুরতেই আবারও ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটল চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে। এবারের ঘটনাটি ঘটেছে সীতাকুণ্ড উপজেলার কদমরসুল এলাকায় সীমা অক্সিজেন লিমিটেড নামের একটি কারখানায়। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত বিস্ফোরণে ৬ জন মারা গেছেন। আহত হয়েছেন অর্ধশতাধিক শ্রমিক। আগুনে দগ্ধ ১২ জনকে চমেকে ভর্তি করা হয়েছে।

শিল্পে ব্যবহৃত অক্সিজেন উৎপাদনের এই কারখানায় কী কারণে বিস্ফোরণ ঘটেছে, তা সুনির্দিষ্টভাবে এখনো জানা যায়নি। তবে ফায়ার সার্ভিস বলছে, দুর্ঘটনাস্থলে অনেক সিলিন্ডার ছিল। সিলিন্ডারগুলো অনেক সময় পরীক্ষা করা হয় না। বিস্ফোরণের অনেক কারণ থাকতে পারে। তদন্ত কমিটি সেটা তদন্ত করে বের করার চেষ্টা করছে। সিলিন্ডার থেকে বিস্ফোরণ ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।

সীতাকুণ্ডে এর আগে ২০২২ সালের ৪ জুন বিএম ডিপোতে অগ্নিকাণ্ড ঘটেছিল। সেই ঘটনায় ৫১ জন মারা গিয়েছিলেন। অক্সিজেন প্ল্যান্ট স্থাপন ও পরিচালনায় সুনির্দিষ্ট কিছু নিয়ম মেনে চলতে হয়। কারখানার ঝুঁকি নিরূপণে ও নিরসনে নিয়মিত মনিটরিং করতে হয়। কারখানায় কর্মরত শ্রমিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হয়। সংশ্লিষ্ট কারখানায় এগুলো করা হয়েছিল কিনা সেটা জানতে হবে।

কারখানাগুলোতে অগ্নিনিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকা জরুরি। অনেক কারখানায় এর ঘাটতি দেখা যায়। অগ্নিনির্বাপণ বা অগ্নিকাণ্ড প্রতিরোধে যেসব ব্যবস্থা বা পদক্ষেপ নেয়া প্রয়োজন, তার ১০ শতাংশও নিয়মও এসব কারখানা মেনে চলে না। ফলে বিস্ফোরণের মতো দুর্ঘটনা ঘটে বা তা প্রতিরোধে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া যায় না। এর জন্য প্রতিষ্ঠানগুলোর মালিকপক্ষের যেমন দায় আছে, তেমনি অনুমোদনকারী সংস্থাগুলোও এ দায় এড়াতে পারে না।

কোন একটা দুর্ঘটনার পর তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। ঘটনার কারণও উদ্ঘাটন করে তারা। এসব ঘটনা রোধে কিছু সুপারিশ করে। সেই সুপারিশগুলো মেনে চললে কারখানায় বিস্ফোরণের মতো অনাকাক্সিক্ষত ঘটনা হয়তো এড়ানো সম্ভব হতো। দায়িত্ব-কর্তব্যে যাদের অবহেলা ও গাফিলতির কারণে এই ধরনের দুর্ঘটনা ঘটে তাদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেয়া হয়-সেটা আমরা জানতে চাই। সীতাকুণ্ডের অক্সিজেন প্ল্যান্টে বিস্ফোরণে কারও কোন গাফিলতি থাকলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। দুর্ঘটনায় যারা মারা গেছেন তাদের স্বজনদের ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। যারা আহত হয়েছেন তাদের সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে।

কুমারভোগের বাসিন্দাদের জলাবদ্ধতা থেকে মুক্তি দিন

বেহাল রাজবাড়ী বিসিক শিল্পনগরী: ব্যবস্থা নিন

শিক্ষক-কর্মচারীদের দাবি: যৌক্তিক পদক্ষেপ নিন

গার্মেন্টস কারখানায় অগ্নিকাণ্ড: প্রশ্নবিদ্ধ নিরাপত্তা ব্যবস্থা

ভিডব্লিউবি কর্মসূচিতে অনিয়ম-দুর্নীতি বন্ধ করুন

টিআরএম প্রকল্পের ক্ষতিপূরণ পেতে আর কত অপেক্ষা

জয়পুরহাটে ডায়রিয়ার প্রকোপ

লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধার করা যাচ্ছে না কেন

টাইফয়েড টিকা: ভালো উদ্যোগ

হামাস-ইসরায়েল চুক্তি: শান্তি প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ সফল হোক

বকুলতলায় স্থগিত শরৎ উৎসব!

সুন্দরগঞ্জে অ্যানথ্রাক্স টিকাদান কার্যক্রমে জনবল সংকট দূর করুন

বনভূমি দখল: ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন

নন্দীগ্রামে বর্জ্য ব্যবস্থাপনার সংকট

জরাজীর্ণ বিদ্যালয়গুলো সংস্কার করুন

কমছেই আলুর দাম, লোকসান বাড়ছে কৃষকের

এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের দাবি কি পূরণ হলো?

সড়ক দুর্ঘটনা রোধে সমন্বিত পদক্ষেপ নিতে হবে

কন্যাশিশু নিপীড়নের উদ্বেগজনক চিত্র

ট্রাম্পের পরিকল্পনা একটি সম্ভাবনাময় সূচনা, কিন্তু পথ এখনও দীর্ঘ

বিজয়া দশমী: সম্প্রীতি রক্ষার অঙ্গীকার

প্লাস্টিক দূষণের শিকার সুন্দরবন: চাই জনসচেতনতা

খাগড়াছড়িতে সহিংসতা কি এড়ানো যেত না

এক প্রবীণের আর্তনাদ: সমাজ কি শুনবে?

সাঁওতালদের বিদ্যালয় ও খেলার মাঠ রক্ষা করুন

সারের কৃত্রিম সংকট ও কৃষকদের দুর্ভোগ

কুড়িগ্রামে সার ও বীজ সংকট দূর করুন

খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাল পাচার: প্রশাসনের তৎপরতা ও প্রত্যাশা

অ্যান্টিভেনম সংকট দূর করুন

বিলাসবহুল গাড়ি কেনার ‘অতিআগ্রহ’ নিয়ে প্রশ্ন, উত্তর কি মিলবে?

তাপমাত্রা বাড়ার মূল্য

গাছে পেরক ঠোকার নিষ্ঠুরতার অবসান হোক

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি : দায় চাপানোর সংস্কৃতি নয়, ব্যবস্থা নিন

কবর থেকে লাশ তুলে আগুন: কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন

বর্জ্য ব্যবস্থাপনার অচলাবস্থা ও নাগরিক দুর্ভোগ

ঈদে মিলাদুন্নবী : মহানবীর আদর্শ অনুসরণ করা জরুরি

tab

মতামত » সম্পাদকীয়

সীতাকুণ্ডে আরেকটি ট্র্যাজেডি

রোববার, ০৫ মার্চ ২০২৩

বছর না ঘুরতেই আবারও ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটল চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে। এবারের ঘটনাটি ঘটেছে সীতাকুণ্ড উপজেলার কদমরসুল এলাকায় সীমা অক্সিজেন লিমিটেড নামের একটি কারখানায়। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত বিস্ফোরণে ৬ জন মারা গেছেন। আহত হয়েছেন অর্ধশতাধিক শ্রমিক। আগুনে দগ্ধ ১২ জনকে চমেকে ভর্তি করা হয়েছে।

শিল্পে ব্যবহৃত অক্সিজেন উৎপাদনের এই কারখানায় কী কারণে বিস্ফোরণ ঘটেছে, তা সুনির্দিষ্টভাবে এখনো জানা যায়নি। তবে ফায়ার সার্ভিস বলছে, দুর্ঘটনাস্থলে অনেক সিলিন্ডার ছিল। সিলিন্ডারগুলো অনেক সময় পরীক্ষা করা হয় না। বিস্ফোরণের অনেক কারণ থাকতে পারে। তদন্ত কমিটি সেটা তদন্ত করে বের করার চেষ্টা করছে। সিলিন্ডার থেকে বিস্ফোরণ ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।

সীতাকুণ্ডে এর আগে ২০২২ সালের ৪ জুন বিএম ডিপোতে অগ্নিকাণ্ড ঘটেছিল। সেই ঘটনায় ৫১ জন মারা গিয়েছিলেন। অক্সিজেন প্ল্যান্ট স্থাপন ও পরিচালনায় সুনির্দিষ্ট কিছু নিয়ম মেনে চলতে হয়। কারখানার ঝুঁকি নিরূপণে ও নিরসনে নিয়মিত মনিটরিং করতে হয়। কারখানায় কর্মরত শ্রমিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হয়। সংশ্লিষ্ট কারখানায় এগুলো করা হয়েছিল কিনা সেটা জানতে হবে।

কারখানাগুলোতে অগ্নিনিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকা জরুরি। অনেক কারখানায় এর ঘাটতি দেখা যায়। অগ্নিনির্বাপণ বা অগ্নিকাণ্ড প্রতিরোধে যেসব ব্যবস্থা বা পদক্ষেপ নেয়া প্রয়োজন, তার ১০ শতাংশও নিয়মও এসব কারখানা মেনে চলে না। ফলে বিস্ফোরণের মতো দুর্ঘটনা ঘটে বা তা প্রতিরোধে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া যায় না। এর জন্য প্রতিষ্ঠানগুলোর মালিকপক্ষের যেমন দায় আছে, তেমনি অনুমোদনকারী সংস্থাগুলোও এ দায় এড়াতে পারে না।

কোন একটা দুর্ঘটনার পর তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। ঘটনার কারণও উদ্ঘাটন করে তারা। এসব ঘটনা রোধে কিছু সুপারিশ করে। সেই সুপারিশগুলো মেনে চললে কারখানায় বিস্ফোরণের মতো অনাকাক্সিক্ষত ঘটনা হয়তো এড়ানো সম্ভব হতো। দায়িত্ব-কর্তব্যে যাদের অবহেলা ও গাফিলতির কারণে এই ধরনের দুর্ঘটনা ঘটে তাদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেয়া হয়-সেটা আমরা জানতে চাই। সীতাকুণ্ডের অক্সিজেন প্ল্যান্টে বিস্ফোরণে কারও কোন গাফিলতি থাকলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। দুর্ঘটনায় যারা মারা গেছেন তাদের স্বজনদের ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। যারা আহত হয়েছেন তাদের সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে।

back to top