alt

মতামত » চিঠিপত্র

চিঠি : সরকারি সম্পত্তির ব্যক্তিগত ব্যবহার বন্ধ হোক

: বুধবার, ১৬ আগস্ট ২০২৩

মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন

প্রতিটি স্বাধীন রাষ্ট্রেরই সরকারি সম্পত্তি রয়েছে। আর এগুলো ব্যবহৃত হয় জনগণের কল্যাণে ও সরকারি কাজে। বিদ্যালয়, হাসপাতাল, অফিস-আদালত, রাস্তাঘাট, ব্যাংক, গাড়ি-বাড়ি, খাল, নদ-নদী, পাহাড়-পর্বত, বন ইত্যাদি। যা কেন্দ্রে থাকা রাষ্ট্রীয় প্রধান ধাপে ধাপে বিভিন্ন স্তরের সরকারি আমলাদের কাছে হস্তান্তর করে।

কিন্তু সরকারি সম্পত্তি ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহার করতে দেখা যায়। শ্রেণীকক্ষকে বাসাবাড়ি হিসেবে ব্যবহার করতে। কখনো দেখা যায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বিদ্যুৎ লাইন নিজ বাসায় ব্যবহার করতে। আবার ব্যবসায়ী কাজেও। প্রতিষ্ঠানের পাম্পের পানি বিক্রি করছে ব্যবসায়ীদের কাছে। বিভিন্ন কক্ষ প্রাইভেট শিক্ষককে ভাড়া দিচ্ছে। প্রতিষ্ঠানের উন্নয়নে আসা অর্থের একটা বড় অংশ যাচ্ছে ক্ষমতাসীনদের পকেটে। যার কারণে ব্যাহত হচ্ছে উন্নয়ন।

হাসপাতাল তৈরি হচ্ছে আড্ডা খানায়। রোগীদের সেবা না দিয়ে লুডু, দাবা, কেরামবোর্ড খেলায় মেতে উঠছে দায়িত্বরত ডাক্তার, নার্স এবং অন্য কর্মচারীরা। সরকারি হাসপাতালের সাধারণ জনগণের মঙ্গলের স্বার্থে বিনামূল্যের ওষুধ বিক্রি করে দেয়া হচ্ছে ফার্মেসিগুলোতে। হাসপাতালের কর্মকর্তা কর্মচারীরা ফার্মেসির মালিকের সঙ্গে আঁতাঁত করে অল্প টাকায় বিক্রি করে দিচ্ছে ওষুধ। যা চরা মূলে ক্রয় করতে হয় জনসাধারণকে । যা কখনোই কাম্য নয়। অফিস-আদালতের জন্য দেয়া বিভিন্ন ভবন ব্যবহৃত হচ্ছে ব্যক্তিগত কাজে জনগণের কল্যাণের পরিবর্তে।

রাস্তাঘাটের অর্ধেক দখল করে অনেকেই রাখছে নিজের ব্যবসায়ীক মালামাল। যথা- বালু, ইট, গাছের গুঁড়ি, যন্ত্র সামগ্রী, গাড়ি। রাস্তায় বেরিকেট দিয়ে যান চলাচল ব্যাহত করে শুকাচ্ছে ধান, খড়, গাছের পাতা, লাকরি। খড় রাস্তার উপর দেয়ায় রাস্তার ভাঙা জায়গা দেখা যায় না। খড়ে চাকা পিছলে দুর্ঘটনার সৃষ্টি করে। মানুষের হাটা চলার জন্য নির্মিত ফুটপাত এখন হকারদের দখলে। হাটার কোন পরিবেশ নেই। যার কারণে অধিকাংশ জায়গায় দেখা যায় মানুষকে প্রধান সড়ক এর মধ্য দিয়ে হাঁটাচলা করতে। যা সড়ক দুর্ঘটনা বাড়িয়ে দিচ্ছে।

রাস্তা পার হবার জন্য নির্মিত ফুট ওভারব্রিজ। এগুলোও হকারদের দখলে। ফলে মানুষ প্রধান সড়ক দিয়ে রাস্তা পাড় হতে গিয়ে দুর্ঘটনার সম্মুখীন হচ্ছে। উদ্যোক্তারা ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে উৎপাদন কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারে। কিন্তু বেশির ভাগক্ষেত্রেই কম সুদে দেয়া ঋণ নিয়ে যাচ্ছে ব্যাংক কর্মকর্তারা। আর এই ঋণ দিচ্ছে তাদের আপনজনদের। সাধারণ জনগণ পাচ্ছে না ঋণ। ঋণ নিতে হলেও সম্মুখীন হতে হচ্ছে একাধিক শর্তের। যা পূরণ করতে সাধারণ জনগণকে পড়তে হচ্ছে চরম বিড়ম্বনায়।

কৃষি কাজে সেচ দিতে প্রয়োজন পর্যাপ্ত পানির। যার জন্য খাল খনন করে নদী থেকে পানির জোগান দেয়া হয়। সেই খালে অনেকেই সরকারি অনুমতি ছাড়া বাঁধ দিয়ে পানি ইচ্ছেমতো ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহার করে। খাল থেকে ইচ্ছেমতো মাটি কেটে নিয়ে নিজের বাড়ির কাজে ব্যবহার করে। যার ফলে রাস্তা ভেঙে খালে পতিত হচ্ছে।

নদ-নদী প্রকৃতির দান। জনগণের কল্যাণে সরকারি কাজে ব্যবহার করা হয়। কিন্তু অনেকই সেই নদী ভরাট করে বসবাস করছে। ফলে নদীর গতিপথ ব্যাহত হচ্ছে। নদী রূপ নিচ্ছে ভয়ানক। যার জন্য ভাঙনের সৃষ্টি হচ্ছে। নদী থেকে মা মাছসহ ছোট মাছকে ধরে বিক্রি করছে অসাধু ব্যবসায়ীরা। পাহাড়-পর্বত, বন এগুলো সরকারি সম্পত্তি কিন্তু অনেকেই এগুলো কেটে বাড়ি নির্মাণ করছে। অনেকেই বনের গাছ কেটে বিক্রি করছে যা কখনো কাম্য নয়।

ইমন হাওলাদার

টেকসই শহরের একান্ত প্রয়োজন

সুষ্ঠু প্রতিযোগিতা সংস্কৃতি গড়ে তোলা জরুরি

সুন্দরবনের বাঘ ও জলবায়ু পরিবর্তনের হুমকি

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা : আর্শীবাদ নাকি অভিশাপ

সমুদ্রগবেষণায় পশ্চাৎপদতা মৎস্য খাতের ভবিষ্যৎকেই ঝুঁকিতে ফেলছে

কিশোর গ্যাং–সংস্কৃতি: সমাজের জন্য বাড়তে থাকা অশনি সংকেত

ডিগ্রি হাতে, চাকরি স্বপ্নে: শিক্ষিত বেকারদের মানসিক ক্ষয়

সরকারি কর্মচারীদের কর্মেই মুক্তি নাকি আন্দোলনে?

কর্মজীবী নারীর অদৃশ্য মানসিক বোঝা

নগর সংস্কৃতিতে ঐতিহ্যের বিলুপ্তি

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় আগাম সতর্কবার্তাই কি যথেষ্ট?

সুলতানপুরে করতোয়া নদীর তাণ্ডব: নদীভাঙনে মানুষের জীবন বিপন্ন

ফ্রিল্যান্সিংয়ে সম্ভাবনা বিস্তৃত, অনিয়মের ছায়াও গভীর

গেন্ডারিয়ায় সড়ক ও ড্রেন সংস্কারে অনিয়ম: জনদূর্ভোগ বৃদ্ধি

প্রবীণদের সুরক্ষা ও মর্যাদা নিশ্চিত করা এখন সময়ের দাবি

পলিভিনাইলের ব্যবহার প্রতিরোধ জরুরি

বৈধ সনদধারীদের অধিকার নিশ্চিত করা জরুরি

টেকসই দুর্যোগ প্রস্তুতিতে জরুরি বাস্তব পদক্ষেপ প্রয়োজন

জলবায়ু পরিবর্তন ও নারী ও কিশোরীদের ঝুঁকি

মেধা হারাচ্ছে দেশ

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় : অযৌক্তিক ফি, সেশনজট ও প্রশাসনিক বিশৃঙ্খলায় বিপর্যস্ত শিক্ষার্থী

সামাজিক মাধ্যমের ভুবনে জনতুষ্টিবাদের নতুন রূপ

ভেজাল খেজুরগুড় ও স্বাস্থ্যঝুঁকি

হাসপাতাল ব্যবস্থাপনায় প্রশাসনিক ক্যাডারের প্রয়োজনীয়তা

প্লাস্টিক বর্জ্যে মাছের মৃত্যু: সমাধান কোথায়

খোলা ম্যানহোল: ঢাকার রাজপথে এক নীরব মরণফাঁদ

গণপরিবহন: প্রতিদিনের যন্ত্রণার শেষ কবে?

ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পের পুনর্জাগরণ

সাইবার বুলিং ও ভার্চুয়াল অপরাধ: তরুণদের অদৃশ্য বিপদ

ওয়াসার খোঁড়াখুঁড়িতে নগরজীবনের চরম ভোগান্তি

রাবি মেডিকেল সেন্টারের সংস্কার চাই

চিংড়ি শিল্পের পরিবেশগত প্রভাব

কক্সবাজার: উন্নয়নের পথে, বিপন্ন প্রকৃতি

চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের প্রেক্ষাপটে নতুন সম্ভাবনার ভোর

প্রাথমিক শিক্ষকদের বঞ্চনা দূর না হলে মানোন্নয়ন অসম্ভব

রাবির আবাসন সংকট

tab

মতামত » চিঠিপত্র

চিঠি : সরকারি সম্পত্তির ব্যক্তিগত ব্যবহার বন্ধ হোক

মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন

বুধবার, ১৬ আগস্ট ২০২৩

প্রতিটি স্বাধীন রাষ্ট্রেরই সরকারি সম্পত্তি রয়েছে। আর এগুলো ব্যবহৃত হয় জনগণের কল্যাণে ও সরকারি কাজে। বিদ্যালয়, হাসপাতাল, অফিস-আদালত, রাস্তাঘাট, ব্যাংক, গাড়ি-বাড়ি, খাল, নদ-নদী, পাহাড়-পর্বত, বন ইত্যাদি। যা কেন্দ্রে থাকা রাষ্ট্রীয় প্রধান ধাপে ধাপে বিভিন্ন স্তরের সরকারি আমলাদের কাছে হস্তান্তর করে।

কিন্তু সরকারি সম্পত্তি ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহার করতে দেখা যায়। শ্রেণীকক্ষকে বাসাবাড়ি হিসেবে ব্যবহার করতে। কখনো দেখা যায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বিদ্যুৎ লাইন নিজ বাসায় ব্যবহার করতে। আবার ব্যবসায়ী কাজেও। প্রতিষ্ঠানের পাম্পের পানি বিক্রি করছে ব্যবসায়ীদের কাছে। বিভিন্ন কক্ষ প্রাইভেট শিক্ষককে ভাড়া দিচ্ছে। প্রতিষ্ঠানের উন্নয়নে আসা অর্থের একটা বড় অংশ যাচ্ছে ক্ষমতাসীনদের পকেটে। যার কারণে ব্যাহত হচ্ছে উন্নয়ন।

হাসপাতাল তৈরি হচ্ছে আড্ডা খানায়। রোগীদের সেবা না দিয়ে লুডু, দাবা, কেরামবোর্ড খেলায় মেতে উঠছে দায়িত্বরত ডাক্তার, নার্স এবং অন্য কর্মচারীরা। সরকারি হাসপাতালের সাধারণ জনগণের মঙ্গলের স্বার্থে বিনামূল্যের ওষুধ বিক্রি করে দেয়া হচ্ছে ফার্মেসিগুলোতে। হাসপাতালের কর্মকর্তা কর্মচারীরা ফার্মেসির মালিকের সঙ্গে আঁতাঁত করে অল্প টাকায় বিক্রি করে দিচ্ছে ওষুধ। যা চরা মূলে ক্রয় করতে হয় জনসাধারণকে । যা কখনোই কাম্য নয়। অফিস-আদালতের জন্য দেয়া বিভিন্ন ভবন ব্যবহৃত হচ্ছে ব্যক্তিগত কাজে জনগণের কল্যাণের পরিবর্তে।

রাস্তাঘাটের অর্ধেক দখল করে অনেকেই রাখছে নিজের ব্যবসায়ীক মালামাল। যথা- বালু, ইট, গাছের গুঁড়ি, যন্ত্র সামগ্রী, গাড়ি। রাস্তায় বেরিকেট দিয়ে যান চলাচল ব্যাহত করে শুকাচ্ছে ধান, খড়, গাছের পাতা, লাকরি। খড় রাস্তার উপর দেয়ায় রাস্তার ভাঙা জায়গা দেখা যায় না। খড়ে চাকা পিছলে দুর্ঘটনার সৃষ্টি করে। মানুষের হাটা চলার জন্য নির্মিত ফুটপাত এখন হকারদের দখলে। হাটার কোন পরিবেশ নেই। যার কারণে অধিকাংশ জায়গায় দেখা যায় মানুষকে প্রধান সড়ক এর মধ্য দিয়ে হাঁটাচলা করতে। যা সড়ক দুর্ঘটনা বাড়িয়ে দিচ্ছে।

রাস্তা পার হবার জন্য নির্মিত ফুট ওভারব্রিজ। এগুলোও হকারদের দখলে। ফলে মানুষ প্রধান সড়ক দিয়ে রাস্তা পাড় হতে গিয়ে দুর্ঘটনার সম্মুখীন হচ্ছে। উদ্যোক্তারা ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে উৎপাদন কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারে। কিন্তু বেশির ভাগক্ষেত্রেই কম সুদে দেয়া ঋণ নিয়ে যাচ্ছে ব্যাংক কর্মকর্তারা। আর এই ঋণ দিচ্ছে তাদের আপনজনদের। সাধারণ জনগণ পাচ্ছে না ঋণ। ঋণ নিতে হলেও সম্মুখীন হতে হচ্ছে একাধিক শর্তের। যা পূরণ করতে সাধারণ জনগণকে পড়তে হচ্ছে চরম বিড়ম্বনায়।

কৃষি কাজে সেচ দিতে প্রয়োজন পর্যাপ্ত পানির। যার জন্য খাল খনন করে নদী থেকে পানির জোগান দেয়া হয়। সেই খালে অনেকেই সরকারি অনুমতি ছাড়া বাঁধ দিয়ে পানি ইচ্ছেমতো ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহার করে। খাল থেকে ইচ্ছেমতো মাটি কেটে নিয়ে নিজের বাড়ির কাজে ব্যবহার করে। যার ফলে রাস্তা ভেঙে খালে পতিত হচ্ছে।

নদ-নদী প্রকৃতির দান। জনগণের কল্যাণে সরকারি কাজে ব্যবহার করা হয়। কিন্তু অনেকই সেই নদী ভরাট করে বসবাস করছে। ফলে নদীর গতিপথ ব্যাহত হচ্ছে। নদী রূপ নিচ্ছে ভয়ানক। যার জন্য ভাঙনের সৃষ্টি হচ্ছে। নদী থেকে মা মাছসহ ছোট মাছকে ধরে বিক্রি করছে অসাধু ব্যবসায়ীরা। পাহাড়-পর্বত, বন এগুলো সরকারি সম্পত্তি কিন্তু অনেকেই এগুলো কেটে বাড়ি নির্মাণ করছে। অনেকেই বনের গাছ কেটে বিক্রি করছে যা কখনো কাম্য নয়।

ইমন হাওলাদার

back to top