alt

চিঠিপত্র

চিঠি : লেজুড়বৃত্তিক ছাত্র রাজনীতি বন্ধ হোক

: শনিবার, ০২ সেপ্টেম্বর ২০২৩

মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন

ছাত্র রাজনীতির গৌরবের ইতিহাস রয়েছে- ১৯৫২-এর ভাষা আন্দোলন, ১৯৬৯-এর গণআন্দোলন, ১৯৭১-এর মুক্তিযুদ্ধ। তখন ছাত্র রাজনীতির আদার্শগত দিক ছিল। কিন্তু এখন ছাত্র রাজনীতি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের এক আতংকের নাম। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে গণতান্ত্রিক পরিবেশ একেবারেই নেয়। বরং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শুধুমাত্র ক্ষমতাসীন দলের ছাত্রসংগঠনের একক প্রভাব। ছাত্র সংগঠন গুলোর নিজস্ব গঠনতন্ত্র, নিজস্ব নীতিমালা রয়েছে যে গঠনতন্ত্র ও নীতিমালা অনুসারে ছাত্র সংগঠন পরিচালিত হওয়ার কথা।

কিন্তু রাজনৈতিক দলগুলো নিজেদের প্রভাব বিস্তার করার জন্য ছাত্র সংগঠনগুলোকে দলীয় লেজুড়বৃত্তিক নিয়মে পরিচালিত করছে। এক্ষেত্রে দেখা যায় দেশে যে দল ক্ষমতায় আসে, সে দলের ছাত্রসংগঠন গুলো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ত্রাসের রাজত্ব করে। তখন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সিট বানিজ্য, সহিংসতা, প্রতিপক্ষদের উপর আক্রমণ। শিক্ষার্থীদের নির্যাতনসহ হত্যার মতো ঘটনায়ও লিপ্ত থাকে। সমসাময়িক সময়েও যদি লক্ষ করা হয় তাহলে দেখা যায় এসবের সঙ্গে ক্ষমতাসীন দলের ছাত্রসংগঠন জড়িত। শুধু ক্ষমতাসীন দলের ছাত্রসংগঠন নয়,দেশের বিরোধী দলগুলোর ছাত্র সংগঠনসমূহও দলীয় লেজুড়বৃত্তিক রাজনীতিতে বিদ্যমান।

সবচেয়ে আশ্চর্যের বিষয় এ ধারাবাহিকতায় প্রগতিশীল ছাত্রসংগঠন সমূহও এখন দলীয় লেজুড় ভিত্তিক রাজনীতির চর্চা করছে। তাই ছাত্রসংগঠন গুলোর দলীয় লেজুড় ভিত্তিক ছাত্র রাজনীতি চর্চা থেকে বের হয়ে, সুস্থ ধারার ছাত্র রাজনীতির চর্চা ও ছাত্র সংগঠন সমূহের গঠনতন্ত্র অনুসরণ করা প্রয়োজন। এতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছাত্ররাজনীতির গণতান্ত্রিক পরিবেশ নিশ্চিত হবে এবং শিক্ষার্থীরা মুক্তভাবে নিজেদের মতামত প্রকাশ করতে পারবে।

মারুফ হাসান

চিঠি : ভুতুড়ে বিদ্যুৎ বিল

চিঠি : ডিপ্লোমা ফার্মাসিস্ট নিয়োগ চাই

চিঠি : বিবাহবিচ্ছেদ বাড়ছে কেন

চিঠি : দাঁড়াশ সাপ শত্রু নয়, বরং কৃষকের বন্ধু

চিঠি : অ্যালকোহল সেন্টাল অ্যাব্রেশন পদ্ধতিতে হৃদরোগ চিকিৎসা

চিঠি : প্রকল্প বাস্তবায়নে জটিলতা

চিঠি : দয়ার সাগর বিদ্যাসাগর

চিঠি : কেন বাড়ছে বিবাহ বিচ্ছেদ

চিঠি : মাদক নিয়ন্ত্রণে চাই সম্মিলিত প্রয়াস

চিঠি : ডেঙ্গু রোগীদের চিকিৎসায় চাই সঠিক ব্যবস্থাপনা

চিঠি : ভিক্ষুক মুক্ত দেশ চাই

চিঠি : রাস্তাটি সংস্কার জরুরি

চিঠি : সুখী দেশ

চিঠি : ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের অলিগলি

চিঠি : শিশুশ্রম বন্ধ করতে হবে

চিঠি : কর্মসংস্থান ও দারিদ্র্য বিমোচনে মৎস্য খাতের সাফল্য

চিঠি : অনলাইন বিনিয়োগে সতর্ক হোন

চিঠি : গ্রাম ও শহরের স্বাস্থ্যসেবার পার্থক্য ঘুচুক

চিঠি : এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে : যাতায়াতে মিলবে স্বস্তি

চিঠি : চুয়েট : গৌরবময় পথচলা

চিঠি : ইভটিজিং প্রতিরোধে প্রয়োজন নৈতিক শিক্ষা

চিঠি : বিদ্যুৎ খাতে অটোমেশন পদ্ধতি চালু করুন

চিঠি : দক্ষ জাতি গড়তে কারিগরি শিক্ষা জরুরি

চিঠি : সুবিধাবঞ্চিত শিশুরা বোঝা নয়

চিঠি : মাদককে না বলুন

চিঠি : গাছপালা নেই, আছে অট্টালিকা

চিঠি : সিলেটে ক্যান্সারের পেটসিটি মেশিন চাই

চিঠি : ‘নজরুল স্টাডিস’ কোর্স

চিঠি : ঢাকা কলেজের সামনের সড়কে স্পিড ব্রেকার চাই

চিঠি : বানভাসিদের কষ্ট লাঘবে প্রয়োজন সহায়তা

চিঠি : পানিতে ডুবে শিশু মৃত্যু প্রতিরোধে করণীয়

চিঠি : যানজটমুক্ত শহর গড়তে প্রয়োজন মুক্ত ফুটপাত

চিঠি : শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বিভাগ বৈষম্য বন্ধ হোক

চিঠি : ভিক্ষাবৃত্তি কি বন্ধ হবে না?

চিঠি : চার টাকার সমাধান করবে কে?

চিঠি : সরকারি সম্পত্তির ব্যক্তিগত ব্যবহার বন্ধ হোক

tab

চিঠিপত্র

চিঠি : লেজুড়বৃত্তিক ছাত্র রাজনীতি বন্ধ হোক

মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন

শনিবার, ০২ সেপ্টেম্বর ২০২৩

ছাত্র রাজনীতির গৌরবের ইতিহাস রয়েছে- ১৯৫২-এর ভাষা আন্দোলন, ১৯৬৯-এর গণআন্দোলন, ১৯৭১-এর মুক্তিযুদ্ধ। তখন ছাত্র রাজনীতির আদার্শগত দিক ছিল। কিন্তু এখন ছাত্র রাজনীতি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের এক আতংকের নাম। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে গণতান্ত্রিক পরিবেশ একেবারেই নেয়। বরং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শুধুমাত্র ক্ষমতাসীন দলের ছাত্রসংগঠনের একক প্রভাব। ছাত্র সংগঠন গুলোর নিজস্ব গঠনতন্ত্র, নিজস্ব নীতিমালা রয়েছে যে গঠনতন্ত্র ও নীতিমালা অনুসারে ছাত্র সংগঠন পরিচালিত হওয়ার কথা।

কিন্তু রাজনৈতিক দলগুলো নিজেদের প্রভাব বিস্তার করার জন্য ছাত্র সংগঠনগুলোকে দলীয় লেজুড়বৃত্তিক নিয়মে পরিচালিত করছে। এক্ষেত্রে দেখা যায় দেশে যে দল ক্ষমতায় আসে, সে দলের ছাত্রসংগঠন গুলো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ত্রাসের রাজত্ব করে। তখন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সিট বানিজ্য, সহিংসতা, প্রতিপক্ষদের উপর আক্রমণ। শিক্ষার্থীদের নির্যাতনসহ হত্যার মতো ঘটনায়ও লিপ্ত থাকে। সমসাময়িক সময়েও যদি লক্ষ করা হয় তাহলে দেখা যায় এসবের সঙ্গে ক্ষমতাসীন দলের ছাত্রসংগঠন জড়িত। শুধু ক্ষমতাসীন দলের ছাত্রসংগঠন নয়,দেশের বিরোধী দলগুলোর ছাত্র সংগঠনসমূহও দলীয় লেজুড়বৃত্তিক রাজনীতিতে বিদ্যমান।

সবচেয়ে আশ্চর্যের বিষয় এ ধারাবাহিকতায় প্রগতিশীল ছাত্রসংগঠন সমূহও এখন দলীয় লেজুড় ভিত্তিক রাজনীতির চর্চা করছে। তাই ছাত্রসংগঠন গুলোর দলীয় লেজুড় ভিত্তিক ছাত্র রাজনীতি চর্চা থেকে বের হয়ে, সুস্থ ধারার ছাত্র রাজনীতির চর্চা ও ছাত্র সংগঠন সমূহের গঠনতন্ত্র অনুসরণ করা প্রয়োজন। এতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছাত্ররাজনীতির গণতান্ত্রিক পরিবেশ নিশ্চিত হবে এবং শিক্ষার্থীরা মুক্তভাবে নিজেদের মতামত প্রকাশ করতে পারবে।

মারুফ হাসান

back to top