মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন
ছাত্র রাজনীতির গৌরবের ইতিহাস রয়েছে- ১৯৫২-এর ভাষা আন্দোলন, ১৯৬৯-এর গণআন্দোলন, ১৯৭১-এর মুক্তিযুদ্ধ। তখন ছাত্র রাজনীতির আদার্শগত দিক ছিল। কিন্তু এখন ছাত্র রাজনীতি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের এক আতংকের নাম। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে গণতান্ত্রিক পরিবেশ একেবারেই নেয়। বরং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শুধুমাত্র ক্ষমতাসীন দলের ছাত্রসংগঠনের একক প্রভাব। ছাত্র সংগঠন গুলোর নিজস্ব গঠনতন্ত্র, নিজস্ব নীতিমালা রয়েছে যে গঠনতন্ত্র ও নীতিমালা অনুসারে ছাত্র সংগঠন পরিচালিত হওয়ার কথা।
কিন্তু রাজনৈতিক দলগুলো নিজেদের প্রভাব বিস্তার করার জন্য ছাত্র সংগঠনগুলোকে দলীয় লেজুড়বৃত্তিক নিয়মে পরিচালিত করছে। এক্ষেত্রে দেখা যায় দেশে যে দল ক্ষমতায় আসে, সে দলের ছাত্রসংগঠন গুলো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ত্রাসের রাজত্ব করে। তখন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সিট বানিজ্য, সহিংসতা, প্রতিপক্ষদের উপর আক্রমণ। শিক্ষার্থীদের নির্যাতনসহ হত্যার মতো ঘটনায়ও লিপ্ত থাকে। সমসাময়িক সময়েও যদি লক্ষ করা হয় তাহলে দেখা যায় এসবের সঙ্গে ক্ষমতাসীন দলের ছাত্রসংগঠন জড়িত। শুধু ক্ষমতাসীন দলের ছাত্রসংগঠন নয়,দেশের বিরোধী দলগুলোর ছাত্র সংগঠনসমূহও দলীয় লেজুড়বৃত্তিক রাজনীতিতে বিদ্যমান।
সবচেয়ে আশ্চর্যের বিষয় এ ধারাবাহিকতায় প্রগতিশীল ছাত্রসংগঠন সমূহও এখন দলীয় লেজুড় ভিত্তিক রাজনীতির চর্চা করছে। তাই ছাত্রসংগঠন গুলোর দলীয় লেজুড় ভিত্তিক ছাত্র রাজনীতি চর্চা থেকে বের হয়ে, সুস্থ ধারার ছাত্র রাজনীতির চর্চা ও ছাত্র সংগঠন সমূহের গঠনতন্ত্র অনুসরণ করা প্রয়োজন। এতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছাত্ররাজনীতির গণতান্ত্রিক পরিবেশ নিশ্চিত হবে এবং শিক্ষার্থীরা মুক্তভাবে নিজেদের মতামত প্রকাশ করতে পারবে।
মারুফ হাসান
মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন
শনিবার, ০২ সেপ্টেম্বর ২০২৩
ছাত্র রাজনীতির গৌরবের ইতিহাস রয়েছে- ১৯৫২-এর ভাষা আন্দোলন, ১৯৬৯-এর গণআন্দোলন, ১৯৭১-এর মুক্তিযুদ্ধ। তখন ছাত্র রাজনীতির আদার্শগত দিক ছিল। কিন্তু এখন ছাত্র রাজনীতি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের এক আতংকের নাম। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে গণতান্ত্রিক পরিবেশ একেবারেই নেয়। বরং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শুধুমাত্র ক্ষমতাসীন দলের ছাত্রসংগঠনের একক প্রভাব। ছাত্র সংগঠন গুলোর নিজস্ব গঠনতন্ত্র, নিজস্ব নীতিমালা রয়েছে যে গঠনতন্ত্র ও নীতিমালা অনুসারে ছাত্র সংগঠন পরিচালিত হওয়ার কথা।
কিন্তু রাজনৈতিক দলগুলো নিজেদের প্রভাব বিস্তার করার জন্য ছাত্র সংগঠনগুলোকে দলীয় লেজুড়বৃত্তিক নিয়মে পরিচালিত করছে। এক্ষেত্রে দেখা যায় দেশে যে দল ক্ষমতায় আসে, সে দলের ছাত্রসংগঠন গুলো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ত্রাসের রাজত্ব করে। তখন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সিট বানিজ্য, সহিংসতা, প্রতিপক্ষদের উপর আক্রমণ। শিক্ষার্থীদের নির্যাতনসহ হত্যার মতো ঘটনায়ও লিপ্ত থাকে। সমসাময়িক সময়েও যদি লক্ষ করা হয় তাহলে দেখা যায় এসবের সঙ্গে ক্ষমতাসীন দলের ছাত্রসংগঠন জড়িত। শুধু ক্ষমতাসীন দলের ছাত্রসংগঠন নয়,দেশের বিরোধী দলগুলোর ছাত্র সংগঠনসমূহও দলীয় লেজুড়বৃত্তিক রাজনীতিতে বিদ্যমান।
সবচেয়ে আশ্চর্যের বিষয় এ ধারাবাহিকতায় প্রগতিশীল ছাত্রসংগঠন সমূহও এখন দলীয় লেজুড় ভিত্তিক রাজনীতির চর্চা করছে। তাই ছাত্রসংগঠন গুলোর দলীয় লেজুড় ভিত্তিক ছাত্র রাজনীতি চর্চা থেকে বের হয়ে, সুস্থ ধারার ছাত্র রাজনীতির চর্চা ও ছাত্র সংগঠন সমূহের গঠনতন্ত্র অনুসরণ করা প্রয়োজন। এতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছাত্ররাজনীতির গণতান্ত্রিক পরিবেশ নিশ্চিত হবে এবং শিক্ষার্থীরা মুক্তভাবে নিজেদের মতামত প্রকাশ করতে পারবে।
মারুফ হাসান