মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন
তথ্যপ্রযুক্তি প্রসারের সঙ্গে সঙ্গে মানুষ প্রতিদিন এমন কিছুর প্রত্যক্ষ সাক্ষী হচ্ছে, যা কখনো কল্পনায়ও আসেনি। তথ্যপ্রযুক্তির কল্যাণে লেনদেন ব্যবস্থার আধুনিকায়ন হয়েছে। এসেছে ডিজিটাল পেমেন্ট পদ্ধতি। এতে ঘরে বসেই লেনদেন করা যাচ্ছে নিমিষে। সেই সঙ্গে বাড়ছে ডিজিটাল প্রতারণাও। সম্প্রতি অ্যাপভিত্তিক এমএলএম স্কিম এমটিএফইর ফাঁদে পড়ে নিঃস্ব হয়েছেন দেশ-বিদেশের লাখ লাখ মানুষ। দেশ থেকেই কয়েক হাজার কোটি টাকা চলে গেছে এই অ্যাপের মাধ্যমে।
শুধু এমটিএফই নয়, দেশে প্রায়ই এমন প্রতারকচক্র সক্রিয় হয়ে জনগণের টাকা হাতিয়ে নিয়ে উধাও হয়ে যায় প্রতারণা রুখতে সরকারের পক্ষ থেকে কোনো দৃশ্যমান ব্যবস্থা না নেয়াটা সত্যিই দুঃখজনক। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের মতে, মাইক্রোক্রেডিটভিত্তিক প্রতারণা দেখার দায়িত্ব বাংলাদেশ ব্যাংকের। তবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক এ বিষয়ে কিছু বলতে রাজি নয়।
প্রতারকদের বিরুদ্ধে সরকারকে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। জনস্বার্থ চিন্তা করতে হবে। সরকারের সাইবার সিকিউরিটিকে আরো বেশি কার্যকর ভূমিকা পালন করতে হবে। এছাড়াও সাধারণ মানুষকেও আত্মসচেতন হতে হবে। অনলাইন বিনিয়োগের কোনো লোভনীয় প্রস্তাবকে এড়িয়ে যেতে হবে।
মানুষকে আকৃষ্ট করতে নানা রকম লোভনীয় অফার দেয়াই প্রতারকদের ব্যবসায়িক পলিসি। আগেও যত অনলাইন ভিত্তিক প্রতিষ্ঠান লোভনীয় অফার দিয়েছে, তার অধিকাংশই ছিল প্রতারণার ফাঁদ। তাই বিনিয়োগের ক্ষেত্রে প্রথমেই যেটি প্রয়োজন, তা হলো ‘সচেতনতা’। কোনো আকর্ষণীয় বা লোভনীয় বিজ্ঞাপন বা অফার দেখেই হুট করে সম্মোহিত হওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। যেহেতু লোভনীয় অফারের অধিকাংশই প্রতারণার ফাঁদ, তাই অনলাইন বিনিয়োগে এসব লোভনীয় অফারকে ‘না’ বলুন।
শাহ্ মুহাম্মদ আব্দুল্লাহ
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন
শনিবার, ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩
তথ্যপ্রযুক্তি প্রসারের সঙ্গে সঙ্গে মানুষ প্রতিদিন এমন কিছুর প্রত্যক্ষ সাক্ষী হচ্ছে, যা কখনো কল্পনায়ও আসেনি। তথ্যপ্রযুক্তির কল্যাণে লেনদেন ব্যবস্থার আধুনিকায়ন হয়েছে। এসেছে ডিজিটাল পেমেন্ট পদ্ধতি। এতে ঘরে বসেই লেনদেন করা যাচ্ছে নিমিষে। সেই সঙ্গে বাড়ছে ডিজিটাল প্রতারণাও। সম্প্রতি অ্যাপভিত্তিক এমএলএম স্কিম এমটিএফইর ফাঁদে পড়ে নিঃস্ব হয়েছেন দেশ-বিদেশের লাখ লাখ মানুষ। দেশ থেকেই কয়েক হাজার কোটি টাকা চলে গেছে এই অ্যাপের মাধ্যমে।
শুধু এমটিএফই নয়, দেশে প্রায়ই এমন প্রতারকচক্র সক্রিয় হয়ে জনগণের টাকা হাতিয়ে নিয়ে উধাও হয়ে যায় প্রতারণা রুখতে সরকারের পক্ষ থেকে কোনো দৃশ্যমান ব্যবস্থা না নেয়াটা সত্যিই দুঃখজনক। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের মতে, মাইক্রোক্রেডিটভিত্তিক প্রতারণা দেখার দায়িত্ব বাংলাদেশ ব্যাংকের। তবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক এ বিষয়ে কিছু বলতে রাজি নয়।
প্রতারকদের বিরুদ্ধে সরকারকে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। জনস্বার্থ চিন্তা করতে হবে। সরকারের সাইবার সিকিউরিটিকে আরো বেশি কার্যকর ভূমিকা পালন করতে হবে। এছাড়াও সাধারণ মানুষকেও আত্মসচেতন হতে হবে। অনলাইন বিনিয়োগের কোনো লোভনীয় প্রস্তাবকে এড়িয়ে যেতে হবে।
মানুষকে আকৃষ্ট করতে নানা রকম লোভনীয় অফার দেয়াই প্রতারকদের ব্যবসায়িক পলিসি। আগেও যত অনলাইন ভিত্তিক প্রতিষ্ঠান লোভনীয় অফার দিয়েছে, তার অধিকাংশই ছিল প্রতারণার ফাঁদ। তাই বিনিয়োগের ক্ষেত্রে প্রথমেই যেটি প্রয়োজন, তা হলো ‘সচেতনতা’। কোনো আকর্ষণীয় বা লোভনীয় বিজ্ঞাপন বা অফার দেখেই হুট করে সম্মোহিত হওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। যেহেতু লোভনীয় অফারের অধিকাংশই প্রতারণার ফাঁদ, তাই অনলাইন বিনিয়োগে এসব লোভনীয় অফারকে ‘না’ বলুন।
শাহ্ মুহাম্মদ আব্দুল্লাহ