alt

চিঠিপত্র

চিঠি : শিশুশ্রম বন্ধ করতে হবে

: বুধবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩

মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন

মানুষের জীবনের সোনালি অধ্যায় হলো তারুণ্যের সময়সীমা। শৈশব, কৈশোর, যৌবন ও বার্ধক্য সাধারণত এই চারটি পর্ব নিয়ে মানুষের জীবন র্নিমিত হয়। একজন মানুষকে সুশিক্ষায় শিক্ষিত ও মানুষের মতো মানুষ গড়তে সব চেয়ে সহজ ও মধুময় সময় শিশুকাল বা শৈশবকাল। আর বাবা-মা আকাশ ছোয়া সপ্ন দেখে শিকুটিকে নিয়ে শিশুকালেই। বাবা-মার স্বপ্ন শিশু বড় হয়ে দেশ ও জাতির কল্যাণে কাজ করবে।

শিশুরা জাতির ভবিষ্যৎ-যতই স্লোগান দেওয়া হোক না কেন এই বিপুল সংখ্যক শিশু শ্রমিকের কাছে জাতি ভালো কিছু আশা করতে পারে না। বেঁচে থাকার প্রয়োজনে তারা কি কাজই না করছে, কেউ ঘরের ভিতরে, কেউ রাতের আধারে, কেউ রোদ বৃষ্টি মাথার নিয়ে, কেউ অহরহ নির্যাতন সহ্য করে জীবন পাত করছে। সবচেয়ে দু:খের বিষয় একদিকে যেমন এদের সংখ্যা বাড়ছে অন্যদিকে যতই পরিশ্রম করুক না কেন তাদের জীবন মান উন্নয়ন হচ্ছে না।

দেশে সরকার আসে, সরকার যায়, শিশুশ্রমিক ও পথশিশু তথা তাদের দু:খ কষ্ট রয়েই যায়। বাংলাদেশে কতজন শিশু শ্রমিক আছে তার সঠিক হিসাব আমরা জানিনা। কৃষি ক্ষেত্রে এই সবাই শিশুরা বেশি সময় দেয়। এদের সময়ের মূল্য কেউ বিবেচনা করেনা। শিশুরা যেসব বিপদজ্জনক ও ঝুকিপূন কাজ করে তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য: খনি বা মাটির নিচের কাজ, যন্ত্র পাতি নির্মাণ, শিল্প ক্ষেত্রে গ্যাস ও বিদ্যুৎ ব্যবহার , ট্যানারি, ইটভাটা, বেডিং ও গার্মেন্টস শিল্প, স্ইুপার, সমিল, ফোরমের কারখানা, প্লাস্টিকস ও রাবার কারখানা, ষ্টেইনলেস স্টীল মিল, লবন কারখানা, বিড়ি কারখানায় কাজ করছে।

এসব কাজ করতে গিয়ে শিশুশ্রমিকরা পড়া-লেখার বা বিনোদনের সুযোগ পাচ্ছে না , বরং রোগক্লীষ্ট , দূর্বল এক নাগরিক দেশের জন্য ভবিষ্যতের বোঝা হয়ে দাঁড়াচ্ছে। এসব কাজের মাধ্যমে শিশু শ্রমিকদের মধ্যে নানান ধরনের রোগের জম্ম দিচ্ছে। মারত্মক পীড়ার মধ্যে দেখা যায়, জন্ডিস, রক্ত শূন্যতা, চোখের রোগ, পেপটিক আলর্সার, চর্ম রোগ, সর্দি-কাশি, কফ-শাসকষ্ট, জ্বর, মাথাব্যথা পেটের পীড়া উল্লেখযোগ্য। এছাড়া রয়েছে দুর্ঘটনায় অঙ্গহানি বা স্থায়ী পঙ্গুত্ব।

পথশিশু বা শিশু শ্রমিকদের অধিকার সম্পর্কে সচেতন করে তুলতে হবে। উপযুক্ত শিক্ষা প্রদানের মাধ্যমে তারা যেন আত্মনির্ভশীল মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে পারে সে ব্যপারে শিক্ষা আমাদের সচেতনতা অবলম্বন করতে হবে। সমৃদ্ধি দেশ গড়ার স্বার্থে শিশুশ্রম বন্ধ করতে হবে, মানবতার বিকাশ ও জাতির বৃহত্তম স্বার্থে শিশুশ্রমিক ও পথশিশুদের পুনর্বাসন ও শিক্ষা আবশ্যক।

শামীম মিয়া

শীতে শিশু ও বয়স্কদের বিশেষ যতেœর প্রয়োজন

চাঁদাবাজি : নতুন সরকারের পুরোনো চ্যালেঞ্জ

প্রাণী নির্যাতন বন্ধ করুন

ভর্তিতে লটারি, জীবনে অভিশাপ

গুজব একটি সামাজিক ব্যাধি

জলবায়ু পরিবর্তন : বাংলাদেশের বর্তমান সংকট ও অভিযোজনের চ্যালেঞ্জ।

গুচ্ছ পদ্ধতি বহাল চাই

ফসলের জন্য বন্ধুপোকা

নকল প্রসাধনীতে স্বাস্থ্যঝুঁকি

ছাগলে চাটে বাঘের গাল

উন্নত স্বাস্থ্যব্যবস্থা গড়তে মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ফার্মাসিস্ট

হল আবাসন আমার অধিকার

ডেঙ্গুর ভ্যাকসিন

শব্দদূষণে অতিষ্ঠ শহরের জনজীবন

থার্টিফার্স্ট নাইট হোক স্বাভাবিক

বর্ষবরণে পরিবেশ দূষণ কাম্য নয়

লক্ষ্মীবাজার ও নারিন্দার রাস্তা শোচনীয়

প্রকৃতিকে বাঁচাতেই হবে

প্রাণীদের প্রতি সদয় হোন

সহকারী শিক্ষকরা কাদের সহকারী?

শতভাগ ধূমপানমুক্ত পরিবেশ নিশ্চিত করতে ধূমপানের জন্য নির্ধারিত স্থান বাতিল করুন

স্বাস্থ্যসেবায় সংকট : রেফারেল ব্যবস্থার অভাব ও সমাধানের উপায়

রাস্তার পাশে বর্জ্য নিরসনে পদক্ষেপ চাই

স্বাস্থ্যসেবার সংকটে পার্বত্যবাসী

ফুটপাতের দখলদারিত্ব বন্ধ হোক

হেমন্তের দূষণ ও বিষণœতা

পথ কুকুর-বিড়ালের প্রতি মানবিক হোন

জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতালের এমআরআই মেশিন মেরামত করুন

শিশু শ্রমের অভিশাপ থেকে মুক্তি কোথায়

বাধা যেখানে পথ সেখানেই

নাগরিক অধিকার আদায়ে সচেতনতা প্রয়োজন

ঐতিহ্যবাহী ওরশ মেলা

অযথা হর্ন বাজানো বন্ধ করুন

অপরিকল্পিত নগরায়ণের কবলে ঢাকা

তথ্য ও যোগাযোগের ক্ষেত্রে ড্রোন প্রযুক্তির ভূমিকা

রাবিতে ফরম ফিলাপে ভোগান্তি

tab

চিঠিপত্র

চিঠি : শিশুশ্রম বন্ধ করতে হবে

মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন

বুধবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩

মানুষের জীবনের সোনালি অধ্যায় হলো তারুণ্যের সময়সীমা। শৈশব, কৈশোর, যৌবন ও বার্ধক্য সাধারণত এই চারটি পর্ব নিয়ে মানুষের জীবন র্নিমিত হয়। একজন মানুষকে সুশিক্ষায় শিক্ষিত ও মানুষের মতো মানুষ গড়তে সব চেয়ে সহজ ও মধুময় সময় শিশুকাল বা শৈশবকাল। আর বাবা-মা আকাশ ছোয়া সপ্ন দেখে শিকুটিকে নিয়ে শিশুকালেই। বাবা-মার স্বপ্ন শিশু বড় হয়ে দেশ ও জাতির কল্যাণে কাজ করবে।

শিশুরা জাতির ভবিষ্যৎ-যতই স্লোগান দেওয়া হোক না কেন এই বিপুল সংখ্যক শিশু শ্রমিকের কাছে জাতি ভালো কিছু আশা করতে পারে না। বেঁচে থাকার প্রয়োজনে তারা কি কাজই না করছে, কেউ ঘরের ভিতরে, কেউ রাতের আধারে, কেউ রোদ বৃষ্টি মাথার নিয়ে, কেউ অহরহ নির্যাতন সহ্য করে জীবন পাত করছে। সবচেয়ে দু:খের বিষয় একদিকে যেমন এদের সংখ্যা বাড়ছে অন্যদিকে যতই পরিশ্রম করুক না কেন তাদের জীবন মান উন্নয়ন হচ্ছে না।

দেশে সরকার আসে, সরকার যায়, শিশুশ্রমিক ও পথশিশু তথা তাদের দু:খ কষ্ট রয়েই যায়। বাংলাদেশে কতজন শিশু শ্রমিক আছে তার সঠিক হিসাব আমরা জানিনা। কৃষি ক্ষেত্রে এই সবাই শিশুরা বেশি সময় দেয়। এদের সময়ের মূল্য কেউ বিবেচনা করেনা। শিশুরা যেসব বিপদজ্জনক ও ঝুকিপূন কাজ করে তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য: খনি বা মাটির নিচের কাজ, যন্ত্র পাতি নির্মাণ, শিল্প ক্ষেত্রে গ্যাস ও বিদ্যুৎ ব্যবহার , ট্যানারি, ইটভাটা, বেডিং ও গার্মেন্টস শিল্প, স্ইুপার, সমিল, ফোরমের কারখানা, প্লাস্টিকস ও রাবার কারখানা, ষ্টেইনলেস স্টীল মিল, লবন কারখানা, বিড়ি কারখানায় কাজ করছে।

এসব কাজ করতে গিয়ে শিশুশ্রমিকরা পড়া-লেখার বা বিনোদনের সুযোগ পাচ্ছে না , বরং রোগক্লীষ্ট , দূর্বল এক নাগরিক দেশের জন্য ভবিষ্যতের বোঝা হয়ে দাঁড়াচ্ছে। এসব কাজের মাধ্যমে শিশু শ্রমিকদের মধ্যে নানান ধরনের রোগের জম্ম দিচ্ছে। মারত্মক পীড়ার মধ্যে দেখা যায়, জন্ডিস, রক্ত শূন্যতা, চোখের রোগ, পেপটিক আলর্সার, চর্ম রোগ, সর্দি-কাশি, কফ-শাসকষ্ট, জ্বর, মাথাব্যথা পেটের পীড়া উল্লেখযোগ্য। এছাড়া রয়েছে দুর্ঘটনায় অঙ্গহানি বা স্থায়ী পঙ্গুত্ব।

পথশিশু বা শিশু শ্রমিকদের অধিকার সম্পর্কে সচেতন করে তুলতে হবে। উপযুক্ত শিক্ষা প্রদানের মাধ্যমে তারা যেন আত্মনির্ভশীল মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে পারে সে ব্যপারে শিক্ষা আমাদের সচেতনতা অবলম্বন করতে হবে। সমৃদ্ধি দেশ গড়ার স্বার্থে শিশুশ্রম বন্ধ করতে হবে, মানবতার বিকাশ ও জাতির বৃহত্তম স্বার্থে শিশুশ্রমিক ও পথশিশুদের পুনর্বাসন ও শিক্ষা আবশ্যক।

শামীম মিয়া

back to top