মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন
প্রতিদিনই বাড়ছে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী ও মৃতের সংখ্যা। ডেঙ্গু রোগীর চাপ বেড়েছে নগরীর হাসপাতালগুলোতে। সেখানে দেখা দিয়েছে চিকিৎসক ও নার্স সংকট। সব মিলিয়ে ডেঙ্গু পরিস্থিতি যখন ভয়াবহ, তখন একশ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী ব্যস্ত নিজেদের পকেট ভারি করতে।
চিকিৎসকরা ডেঙ্গু রোগীর চিকিৎসায় ডেক্সাট্রোজ নরমাল স্যালাইনের (ডিএনএস) ব্যবহার করে থাকেন। সাধারণত একটি স্যালাইনের মূল্য ১০০ টাকা। কিন্তু ফার্মেসিগুলোতে সেটি বিক্রি করা হচ্ছে ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা পর্যন্ত। ফার্মেসিতে ডিএনএস থাকার পরও বেশি দামে বিক্রির জন্য ক্রেতাকে নেই বলে ফিরিয়ে দিচ্ছে। এভাবে ডেঙ্গুর প্রকোপকে কেন্দ্র করে ডিএনএস নিয়ে কৃত্রিম সংকট তৈরি করা হয়েছে। ফলে রোগীদের এ স্যালাইন কিনতে হচ্ছে অতিরিক্ত মূল্যে। ফার্মেসিগুলোতে অভিযান পরিচালনা করেও এ দৌরাত্ম্য থামানো যাচ্ছে না। অভিযানে অনিয়ম ধরা পড়লে শাস্তির আওতায় আনা হচ্ছে। প্রকৃত ঘটনার চেয়ে ‘দোকানে স্যালাইন নেই’-এ বিষয়টি প্রচার বেশি হওয়ার সুযোগ নিচ্ছে এক শ্রেণির মানুষ। ফার্মেসিগুলো দাম বাড়িয়ে ফেলে। এ কারণে ফার্মেসিগুলোতে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা অব্যাহত রাখতে হবে।
ডেঙ্গু রোগী বাড়তে থাকায় স্যালাইনের চাহিদা অনুযায়ী সরবরাহ কম বলেও দাবি করা হচ্ছে কোনো কোনো হাসপাতালে। সরকারি হাসপাতালগুলোতে সরবরাহ কিছুটা স্বাভাবিক থাকলেও বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রোগীর স্বজনদের একটি স্যালাইন জোগাড় করতে হিমশিম খেতে হচ্ছে।
বাংলাদেশের ওষুধ রপ্তানি হচ্ছে বিশ্বের ১৪৭টি দেশে। এদিকে কিছু অসাধু ব্যক্তি হুবহু ‘আসল’ মোড়কে গ্যাস্ট্রিক, ক্যান্সার, ডায়াবেটিস, কিডনিসহ বিভিন্ন জটিল রোগের নকল ওষুধ বাজারে ছাড়ছে। যা দেখে ভোক্তাদের আসল-নকল পরখ করা অনেকটাই দুঃসাধ্য। স্বনামধন্য এবং পরিচিত ওষুধ কোম্পানির ওষুধগুলোই নকল করা হয় বেশি। নকল ওষুধ সাধারণত রুগ্ন কারখানা বা ইউনানি-হারবালের মতো কারখানাগুলোতে উৎপন্ন হয়। কারখানা থেকে কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে ঢাকায় চক্রের তালিকাভুক্ত কিছু ফার্মেসির কাছে পৌঁছানো হয় এসব ভেজাল ওষুধ। মিটফোর্ড কেন্দ্রিক কিছু অসাধু ফার্মেসি নকল ভেজাল চক্রের সঙ্গে জড়িত। সেখান থেকে সারা দেশে ছড়িয়ে পড়ে এ ভেজাল ওষুধ। গ্রামগঞ্জে ক্রেতার হাতে পৌঁছে যাচ্ছে প্রাণঘাতী এসব নকল ওষুধ।
দেশের আইনে নকল ভেজাল ওষুধ তৈরি ও বিপণনের অপরাধকে জামিন অযোগ্য করা হয়েছে। কিন্তু আইনের প্রয়োগ দেখা যায় না। তাই এসব অপকর্ম দমনে ব্যবস্থা নিলে ফলপ্রসূ ভূমিকা রাখবে। এ বছর ডেঙ্গু রোগে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬১৮ জনে। সারা দেশে ডেঙ্গু রোগীদের চিকিৎসা ব্যবস্থাপনায় ব্যাপক ঘাটতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। আমরা চাই, রাজধানীসহ সারা দেশে ডেঙ্গু রোগীদের চিকিৎসায় সর্বোচ্চ সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করা হোক।
আর কে চৌধুরী
মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন
বুধবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৩
প্রতিদিনই বাড়ছে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী ও মৃতের সংখ্যা। ডেঙ্গু রোগীর চাপ বেড়েছে নগরীর হাসপাতালগুলোতে। সেখানে দেখা দিয়েছে চিকিৎসক ও নার্স সংকট। সব মিলিয়ে ডেঙ্গু পরিস্থিতি যখন ভয়াবহ, তখন একশ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী ব্যস্ত নিজেদের পকেট ভারি করতে।
চিকিৎসকরা ডেঙ্গু রোগীর চিকিৎসায় ডেক্সাট্রোজ নরমাল স্যালাইনের (ডিএনএস) ব্যবহার করে থাকেন। সাধারণত একটি স্যালাইনের মূল্য ১০০ টাকা। কিন্তু ফার্মেসিগুলোতে সেটি বিক্রি করা হচ্ছে ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা পর্যন্ত। ফার্মেসিতে ডিএনএস থাকার পরও বেশি দামে বিক্রির জন্য ক্রেতাকে নেই বলে ফিরিয়ে দিচ্ছে। এভাবে ডেঙ্গুর প্রকোপকে কেন্দ্র করে ডিএনএস নিয়ে কৃত্রিম সংকট তৈরি করা হয়েছে। ফলে রোগীদের এ স্যালাইন কিনতে হচ্ছে অতিরিক্ত মূল্যে। ফার্মেসিগুলোতে অভিযান পরিচালনা করেও এ দৌরাত্ম্য থামানো যাচ্ছে না। অভিযানে অনিয়ম ধরা পড়লে শাস্তির আওতায় আনা হচ্ছে। প্রকৃত ঘটনার চেয়ে ‘দোকানে স্যালাইন নেই’-এ বিষয়টি প্রচার বেশি হওয়ার সুযোগ নিচ্ছে এক শ্রেণির মানুষ। ফার্মেসিগুলো দাম বাড়িয়ে ফেলে। এ কারণে ফার্মেসিগুলোতে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা অব্যাহত রাখতে হবে।
ডেঙ্গু রোগী বাড়তে থাকায় স্যালাইনের চাহিদা অনুযায়ী সরবরাহ কম বলেও দাবি করা হচ্ছে কোনো কোনো হাসপাতালে। সরকারি হাসপাতালগুলোতে সরবরাহ কিছুটা স্বাভাবিক থাকলেও বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রোগীর স্বজনদের একটি স্যালাইন জোগাড় করতে হিমশিম খেতে হচ্ছে।
বাংলাদেশের ওষুধ রপ্তানি হচ্ছে বিশ্বের ১৪৭টি দেশে। এদিকে কিছু অসাধু ব্যক্তি হুবহু ‘আসল’ মোড়কে গ্যাস্ট্রিক, ক্যান্সার, ডায়াবেটিস, কিডনিসহ বিভিন্ন জটিল রোগের নকল ওষুধ বাজারে ছাড়ছে। যা দেখে ভোক্তাদের আসল-নকল পরখ করা অনেকটাই দুঃসাধ্য। স্বনামধন্য এবং পরিচিত ওষুধ কোম্পানির ওষুধগুলোই নকল করা হয় বেশি। নকল ওষুধ সাধারণত রুগ্ন কারখানা বা ইউনানি-হারবালের মতো কারখানাগুলোতে উৎপন্ন হয়। কারখানা থেকে কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে ঢাকায় চক্রের তালিকাভুক্ত কিছু ফার্মেসির কাছে পৌঁছানো হয় এসব ভেজাল ওষুধ। মিটফোর্ড কেন্দ্রিক কিছু অসাধু ফার্মেসি নকল ভেজাল চক্রের সঙ্গে জড়িত। সেখান থেকে সারা দেশে ছড়িয়ে পড়ে এ ভেজাল ওষুধ। গ্রামগঞ্জে ক্রেতার হাতে পৌঁছে যাচ্ছে প্রাণঘাতী এসব নকল ওষুধ।
দেশের আইনে নকল ভেজাল ওষুধ তৈরি ও বিপণনের অপরাধকে জামিন অযোগ্য করা হয়েছে। কিন্তু আইনের প্রয়োগ দেখা যায় না। তাই এসব অপকর্ম দমনে ব্যবস্থা নিলে ফলপ্রসূ ভূমিকা রাখবে। এ বছর ডেঙ্গু রোগে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬১৮ জনে। সারা দেশে ডেঙ্গু রোগীদের চিকিৎসা ব্যবস্থাপনায় ব্যাপক ঘাটতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। আমরা চাই, রাজধানীসহ সারা দেশে ডেঙ্গু রোগীদের চিকিৎসায় সর্বোচ্চ সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করা হোক।
আর কে চৌধুরী