alt

চিঠিপত্র

চিঠি : ডেঙ্গু রোগীদের চিকিৎসায় চাই সঠিক ব্যবস্থাপনা

: বুধবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৩

মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন

প্রতিদিনই বাড়ছে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী ও মৃতের সংখ্যা। ডেঙ্গু রোগীর চাপ বেড়েছে নগরীর হাসপাতালগুলোতে। সেখানে দেখা দিয়েছে চিকিৎসক ও নার্স সংকট। সব মিলিয়ে ডেঙ্গু পরিস্থিতি যখন ভয়াবহ, তখন একশ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী ব্যস্ত নিজেদের পকেট ভারি করতে।

চিকিৎসকরা ডেঙ্গু রোগীর চিকিৎসায় ডেক্সাট্রোজ নরমাল স্যালাইনের (ডিএনএস) ব্যবহার করে থাকেন। সাধারণত একটি স্যালাইনের মূল্য ১০০ টাকা। কিন্তু ফার্মেসিগুলোতে সেটি বিক্রি করা হচ্ছে ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা পর্যন্ত। ফার্মেসিতে ডিএনএস থাকার পরও বেশি দামে বিক্রির জন্য ক্রেতাকে নেই বলে ফিরিয়ে দিচ্ছে। এভাবে ডেঙ্গুর প্রকোপকে কেন্দ্র করে ডিএনএস নিয়ে কৃত্রিম সংকট তৈরি করা হয়েছে। ফলে রোগীদের এ স্যালাইন কিনতে হচ্ছে অতিরিক্ত মূল্যে। ফার্মেসিগুলোতে অভিযান পরিচালনা করেও এ দৌরাত্ম্য থামানো যাচ্ছে না। অভিযানে অনিয়ম ধরা পড়লে শাস্তির আওতায় আনা হচ্ছে। প্রকৃত ঘটনার চেয়ে ‘দোকানে স্যালাইন নেই’-এ বিষয়টি প্রচার বেশি হওয়ার সুযোগ নিচ্ছে এক শ্রেণির মানুষ। ফার্মেসিগুলো দাম বাড়িয়ে ফেলে। এ কারণে ফার্মেসিগুলোতে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা অব্যাহত রাখতে হবে।

ডেঙ্গু রোগী বাড়তে থাকায় স্যালাইনের চাহিদা অনুযায়ী সরবরাহ কম বলেও দাবি করা হচ্ছে কোনো কোনো হাসপাতালে। সরকারি হাসপাতালগুলোতে সরবরাহ কিছুটা স্বাভাবিক থাকলেও বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রোগীর স্বজনদের একটি স্যালাইন জোগাড় করতে হিমশিম খেতে হচ্ছে।

বাংলাদেশের ওষুধ রপ্তানি হচ্ছে বিশ্বের ১৪৭টি দেশে। এদিকে কিছু অসাধু ব্যক্তি হুবহু ‘আসল’ মোড়কে গ্যাস্ট্রিক, ক্যান্সার, ডায়াবেটিস, কিডনিসহ বিভিন্ন জটিল রোগের নকল ওষুধ বাজারে ছাড়ছে। যা দেখে ভোক্তাদের আসল-নকল পরখ করা অনেকটাই দুঃসাধ্য। স্বনামধন্য এবং পরিচিত ওষুধ কোম্পানির ওষুধগুলোই নকল করা হয় বেশি। নকল ওষুধ সাধারণত রুগ্ন কারখানা বা ইউনানি-হারবালের মতো কারখানাগুলোতে উৎপন্ন হয়। কারখানা থেকে কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে ঢাকায় চক্রের তালিকাভুক্ত কিছু ফার্মেসির কাছে পৌঁছানো হয় এসব ভেজাল ওষুধ। মিটফোর্ড কেন্দ্রিক কিছু অসাধু ফার্মেসি নকল ভেজাল চক্রের সঙ্গে জড়িত। সেখান থেকে সারা দেশে ছড়িয়ে পড়ে এ ভেজাল ওষুধ। গ্রামগঞ্জে ক্রেতার হাতে পৌঁছে যাচ্ছে প্রাণঘাতী এসব নকল ওষুধ।

দেশের আইনে নকল ভেজাল ওষুধ তৈরি ও বিপণনের অপরাধকে জামিন অযোগ্য করা হয়েছে। কিন্তু আইনের প্রয়োগ দেখা যায় না। তাই এসব অপকর্ম দমনে ব্যবস্থা নিলে ফলপ্রসূ ভূমিকা রাখবে। এ বছর ডেঙ্গু রোগে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬১৮ জনে। সারা দেশে ডেঙ্গু রোগীদের চিকিৎসা ব্যবস্থাপনায় ব্যাপক ঘাটতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। আমরা চাই, রাজধানীসহ সারা দেশে ডেঙ্গু রোগীদের চিকিৎসায় সর্বোচ্চ সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করা হোক।

আর কে চৌধুরী

মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধের শেষ কোথায়?

টেকসই উন্নয়ন ও আদিবাসীদের অধিকার

শব্দদূষণ বন্ধ হবে কবে?

চট্টগ্রাম দোহাজারী অংশে রেল চালু হোক

দেশের প্রথম শহীদ মিনারের উপেক্ষিত ইতিহাস

তরুণদের হীনমন্যতা ও মত প্রকাশে অনীহা

বন সংরক্ষণ ও উন্নয়ন

শুধু ফেব্রুয়ারিতে ভাষার দরদ?

ভাষা ও সাহিত্যের মিলনমেলা

জমি দখলের ক্ষতিপূরণ চাই

পুরান ঢাকায় মশার উৎপাত

গুইমারায় স্বাস্থ্যসেবা সংকট : অবিলম্বে সমাধান প্রয়োজন

মশার উপদ্রব : জনস্বাস্থ্য ও নগর ব্যবস্থাপনার চরম ব্যর্থতা

পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু : একটি জাতীয় সংকট

নাম পাল্টে গেলে কত কী যে হয়

অনুপ্রেরণা হোক তুলনাহীন

দূষণ রোধে জীবাশ্ম জ্বালানি নির্ভরতা হ্রাস জরুরি

পাবলিক টয়লেটের সংখ্যা বাড়ান

গণরুম প্রথার বিলুপ্তি কবে?

রেলসেবার মান বাড়ান

নওগাঁ সরকারি কলেজের সংকট

টিকিটের দাম আকাশচুম্বী

জকিগঞ্জে গ্রামীণ সড়কের দুরবস্থা

রেলে দুর্নীতি

নবায়নযোগ্য শক্তির বিকল্প নেই

পথশিশুদের ভয়ঙ্কর নেশাদ্রব্য থেকে রক্ষা করুন

ঢাকা-ময়মনসিংহ ননস্টপ ট্রেন ও ডাবল লাইন নির্মাণের দাবি

শিশুদের প্রতি প্রতিহিংসা বন্ধ করুন

চরবাসীর নদী পারাপারে নিরাপত্তার প্রয়োজন

জন্মনিবন্ধন সেবায় অতিরিক্ত অর্থ আদায় : ব্যবস্থা নিন

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে স্পিডব্রেকার চাই

উন্নয়নের জন্য একটি অপরিহার্য উপাদান কারিগরি শিক্ষা

পোস্তগোলায় নিম্নমানের ড্রেন নির্মাণ

দিনমজুর সংকটে কৃষি উৎপাদন ব্যাহত

পানাম সেতু : ঐতিহ্য রক্ষায় অবহেলা নয়

যাত্রাবাড়ীর চৌরাস্তা থেকে ধোলাইখাল বাসস্ট্যান্ড পর্যন্ত রাস্তার দুরবস্থা

tab

চিঠিপত্র

চিঠি : ডেঙ্গু রোগীদের চিকিৎসায় চাই সঠিক ব্যবস্থাপনা

মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন

বুধবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৩

প্রতিদিনই বাড়ছে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী ও মৃতের সংখ্যা। ডেঙ্গু রোগীর চাপ বেড়েছে নগরীর হাসপাতালগুলোতে। সেখানে দেখা দিয়েছে চিকিৎসক ও নার্স সংকট। সব মিলিয়ে ডেঙ্গু পরিস্থিতি যখন ভয়াবহ, তখন একশ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী ব্যস্ত নিজেদের পকেট ভারি করতে।

চিকিৎসকরা ডেঙ্গু রোগীর চিকিৎসায় ডেক্সাট্রোজ নরমাল স্যালাইনের (ডিএনএস) ব্যবহার করে থাকেন। সাধারণত একটি স্যালাইনের মূল্য ১০০ টাকা। কিন্তু ফার্মেসিগুলোতে সেটি বিক্রি করা হচ্ছে ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা পর্যন্ত। ফার্মেসিতে ডিএনএস থাকার পরও বেশি দামে বিক্রির জন্য ক্রেতাকে নেই বলে ফিরিয়ে দিচ্ছে। এভাবে ডেঙ্গুর প্রকোপকে কেন্দ্র করে ডিএনএস নিয়ে কৃত্রিম সংকট তৈরি করা হয়েছে। ফলে রোগীদের এ স্যালাইন কিনতে হচ্ছে অতিরিক্ত মূল্যে। ফার্মেসিগুলোতে অভিযান পরিচালনা করেও এ দৌরাত্ম্য থামানো যাচ্ছে না। অভিযানে অনিয়ম ধরা পড়লে শাস্তির আওতায় আনা হচ্ছে। প্রকৃত ঘটনার চেয়ে ‘দোকানে স্যালাইন নেই’-এ বিষয়টি প্রচার বেশি হওয়ার সুযোগ নিচ্ছে এক শ্রেণির মানুষ। ফার্মেসিগুলো দাম বাড়িয়ে ফেলে। এ কারণে ফার্মেসিগুলোতে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা অব্যাহত রাখতে হবে।

ডেঙ্গু রোগী বাড়তে থাকায় স্যালাইনের চাহিদা অনুযায়ী সরবরাহ কম বলেও দাবি করা হচ্ছে কোনো কোনো হাসপাতালে। সরকারি হাসপাতালগুলোতে সরবরাহ কিছুটা স্বাভাবিক থাকলেও বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রোগীর স্বজনদের একটি স্যালাইন জোগাড় করতে হিমশিম খেতে হচ্ছে।

বাংলাদেশের ওষুধ রপ্তানি হচ্ছে বিশ্বের ১৪৭টি দেশে। এদিকে কিছু অসাধু ব্যক্তি হুবহু ‘আসল’ মোড়কে গ্যাস্ট্রিক, ক্যান্সার, ডায়াবেটিস, কিডনিসহ বিভিন্ন জটিল রোগের নকল ওষুধ বাজারে ছাড়ছে। যা দেখে ভোক্তাদের আসল-নকল পরখ করা অনেকটাই দুঃসাধ্য। স্বনামধন্য এবং পরিচিত ওষুধ কোম্পানির ওষুধগুলোই নকল করা হয় বেশি। নকল ওষুধ সাধারণত রুগ্ন কারখানা বা ইউনানি-হারবালের মতো কারখানাগুলোতে উৎপন্ন হয়। কারখানা থেকে কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে ঢাকায় চক্রের তালিকাভুক্ত কিছু ফার্মেসির কাছে পৌঁছানো হয় এসব ভেজাল ওষুধ। মিটফোর্ড কেন্দ্রিক কিছু অসাধু ফার্মেসি নকল ভেজাল চক্রের সঙ্গে জড়িত। সেখান থেকে সারা দেশে ছড়িয়ে পড়ে এ ভেজাল ওষুধ। গ্রামগঞ্জে ক্রেতার হাতে পৌঁছে যাচ্ছে প্রাণঘাতী এসব নকল ওষুধ।

দেশের আইনে নকল ভেজাল ওষুধ তৈরি ও বিপণনের অপরাধকে জামিন অযোগ্য করা হয়েছে। কিন্তু আইনের প্রয়োগ দেখা যায় না। তাই এসব অপকর্ম দমনে ব্যবস্থা নিলে ফলপ্রসূ ভূমিকা রাখবে। এ বছর ডেঙ্গু রোগে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬১৮ জনে। সারা দেশে ডেঙ্গু রোগীদের চিকিৎসা ব্যবস্থাপনায় ব্যাপক ঘাটতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। আমরা চাই, রাজধানীসহ সারা দেশে ডেঙ্গু রোগীদের চিকিৎসায় সর্বোচ্চ সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করা হোক।

আর কে চৌধুরী

back to top