মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন
কৃষিপণ্য বাংলাদেশের বাজারগুলোতে অবলিলায় পাওয়া গেলেও বর্তমান বাজারমূল্য নাগালের বাইরে। আগুনছোঁয়া বাজারমূল্য সব পণ্যসহ কৃষিপণ্যেও। আমাদের কৃষি পণ্য আমাদানিনির্ভর না হলেও কৃষি উৎপাদনকারী নানা সামগ্রী যেমন আধুনিক কৃষিযন্ত্র, কীটনাশক, সারসহ বিভিন্ন পণ্য আমদানি করতে হয়, যা আমাদের বাজার মূল্যে প্রভাব পরছে সবাই সময়। আর সে কারণেই আমাদের কৃষি পণ্যও এখন ক্রয় ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে।
চলমান বৈশ্বিক মন্দার প্রভাববে বর্তমানে বাংলাদেশের অর্থনীতিও টালমাটাল হয়ে পরেছে। জাতীয় অর্থনীতির গতি দিন দিন হচ্ছে শ্লথ। উদ্বেগজনক উচ্চ মূল্যস্ফীতির দরুন দেশের নিম্ন ও নির্দিষ্ট আয়ের মানুষের কষ্ট সীমাহীন। নিত্যপণ্যের প্রতিনিয়ত মূল্যবৃদ্ধিতে সাধারণ মানুষ এখন দিশেহারা। বিভিন্ন পণ্যের দাম সরকার বেধে দিলেও তা মানছেনা ব্যবসায়ীরা।
সরকার ঘোষিত দর কখনই বাজারগুলোতে প্রতিফলিত হয়নি বরং বেঁধে দেয়া দরের চেয়ে বেশি দামে পণ্যসামগ্রী দোকানদারেরা বিক্রি করছে। উদ্বেগজনক হচ্ছে সব কিছু, বাজার তদারকির বন্দোবস্ত নেই। এ কারণে অসাধু সিন্ডিকেট, ক্রেতাকে জিম্মি করে অন্যায্য মুনাফা লুটে নেয়ার সুযোগ পাচ্ছে সময় অসময়ে।
বাজার নিয়ন্ত্রণে সরকার ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের যথাযথ ও কঠোর পদক্ষেপের বিকল্প নেই। বাজার নিয়ন্ত্রণে সরকারকেই উদ্যোগী হতে হবে। আর এখনি লাগামা টেনে ধরতে হবে নিয়ন্ত্রনহীন বাজার ব্যবস্থার। আর দেশের উৎপাদন ব্যবস্থার সদ্ব্যবহার পুরোপুরি নিশ্চিত করতে হবে। নিয়মিতভাবে বাজার মনিটরিংয়ের মাধ্যমে মজুদকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। অসাধূ ব্যবসায়ীদেরকে আইনের আওতায় আনতে হবে নিয়মিত ভাবে। সেই সঙ্গে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে অসৎ ব্যবসায়ী ও সিন্ডিকেটকে শাস্তির আওতায় আনতে হবে। তাহলেই নিত্যপণ্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা কিছুটা হলেও কমবে বলে আমরা আশা করতে পারি।
আলকামা সিকদার
মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন
শনিবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩
কৃষিপণ্য বাংলাদেশের বাজারগুলোতে অবলিলায় পাওয়া গেলেও বর্তমান বাজারমূল্য নাগালের বাইরে। আগুনছোঁয়া বাজারমূল্য সব পণ্যসহ কৃষিপণ্যেও। আমাদের কৃষি পণ্য আমাদানিনির্ভর না হলেও কৃষি উৎপাদনকারী নানা সামগ্রী যেমন আধুনিক কৃষিযন্ত্র, কীটনাশক, সারসহ বিভিন্ন পণ্য আমদানি করতে হয়, যা আমাদের বাজার মূল্যে প্রভাব পরছে সবাই সময়। আর সে কারণেই আমাদের কৃষি পণ্যও এখন ক্রয় ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে।
চলমান বৈশ্বিক মন্দার প্রভাববে বর্তমানে বাংলাদেশের অর্থনীতিও টালমাটাল হয়ে পরেছে। জাতীয় অর্থনীতির গতি দিন দিন হচ্ছে শ্লথ। উদ্বেগজনক উচ্চ মূল্যস্ফীতির দরুন দেশের নিম্ন ও নির্দিষ্ট আয়ের মানুষের কষ্ট সীমাহীন। নিত্যপণ্যের প্রতিনিয়ত মূল্যবৃদ্ধিতে সাধারণ মানুষ এখন দিশেহারা। বিভিন্ন পণ্যের দাম সরকার বেধে দিলেও তা মানছেনা ব্যবসায়ীরা।
সরকার ঘোষিত দর কখনই বাজারগুলোতে প্রতিফলিত হয়নি বরং বেঁধে দেয়া দরের চেয়ে বেশি দামে পণ্যসামগ্রী দোকানদারেরা বিক্রি করছে। উদ্বেগজনক হচ্ছে সব কিছু, বাজার তদারকির বন্দোবস্ত নেই। এ কারণে অসাধু সিন্ডিকেট, ক্রেতাকে জিম্মি করে অন্যায্য মুনাফা লুটে নেয়ার সুযোগ পাচ্ছে সময় অসময়ে।
বাজার নিয়ন্ত্রণে সরকার ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের যথাযথ ও কঠোর পদক্ষেপের বিকল্প নেই। বাজার নিয়ন্ত্রণে সরকারকেই উদ্যোগী হতে হবে। আর এখনি লাগামা টেনে ধরতে হবে নিয়ন্ত্রনহীন বাজার ব্যবস্থার। আর দেশের উৎপাদন ব্যবস্থার সদ্ব্যবহার পুরোপুরি নিশ্চিত করতে হবে। নিয়মিতভাবে বাজার মনিটরিংয়ের মাধ্যমে মজুদকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। অসাধূ ব্যবসায়ীদেরকে আইনের আওতায় আনতে হবে নিয়মিত ভাবে। সেই সঙ্গে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে অসৎ ব্যবসায়ী ও সিন্ডিকেটকে শাস্তির আওতায় আনতে হবে। তাহলেই নিত্যপণ্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা কিছুটা হলেও কমবে বলে আমরা আশা করতে পারি।
আলকামা সিকদার