মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন
দেশের মোট জনসংখ্যার অর্ধেকের বেশি মানুষ গ্রামে বাস করে। এককালে গ্রামে কত কিছুই না ছিল। গোয়াল ভরা গরু, গোলা ভরা ধান, পুকুরভর্তি মাছ। স্বাধীনতার পর উন্নয়ন হয়েছে শহরগুলোর অন্যদিকে তুলনামূলক পিছিয়ে পড়েছে গ্রাম।
আধুনিক শিক্ষার অপ্রতুলতা। গ্রামের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আজ নামেমাত্র। আধুনিক প্রযুক্তি, উন্নত অবকাঠামো, দক্ষ শিক্ষকের অভাব। এতে গ্রামের শিক্ষার্থীরা দিনের পর দিন পিছিয়ে যাচ্ছে। দেখা যায় একজন শহরের শিক্ষার্থী কম্পিউটার, ল্যাপটপ চালনা থেকে শুরু করে আধুনিক সব প্রযুক্তির ব্যবহার অনায়সে করছে। অথচ গ্রামের শিক্ষার্থীরা এগুলো সম্পর্কে অবগতই নয়। গ্রামের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গুলো তে প্রযুক্তির বড়ই অভাব। কোনো মতে মাধ্যমিক পাশ করে কলেজে ভর্তি হওয়ার পরই ঝরে যাচ্ছে গ্রামের বহু শিক্ষার্থী।
বর্ষাকালে গ্রামের রাস্তাঘাটের চিত্র একদমই পাল্টে যায়। কখনো কখনো নিজ গ্রামকেই অপরিচিত মনে হয়। বর্ষায় রাস্তাঘাট থাকে কাদায় টইটুম্বুর। গ্রামের প্রান্তিক কৃষকরা তাদের আবাদি ফসল বাজারে নিয়ে যেতে পারে না, শিক্ষার্থীরা স্কুলে যেতে পারে না, অসুস্থ রোগীকে হাসপাতালে সঠিক সময়ে নেয়া যায় না এরকম বহু উদাহরণ গ্রামগুলো তে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে। গ্রামের কিছু কিছু রাস্তা সরাসরি শহরের সঙ্গে সংযুক্ত। এসব রাস্তার চিত্র ময়লার ড্রেনের মতে।
গ্রামের মানুষের এ ভোগান্তি কে দেখবে? গ্রামে উন্নত নেটওয়ার্ক না থাকায় গ্রামের মানুষ দূরে করো সঙ্গে ঠিকভাবে কথা বলতে পারে না। এমনকি অনলাইনের যে কোনো কাজে তাদের জটিলতায় পড়তে হয়। এছাড়া গ্রামে নেই কোনো যুব উন্নয়ন প্রতিষ্ঠান। গ্রামের যুবসমাজ বিভিন্ন মাদক, নেশা ও অপকর্মে জড়িয়ে যাচ্ছে। শিক্ষিত যুবকদের প্রশিক্ষণ দেয়ার মত নেই কোনো প্রতিষ্ঠান। তাদের সাবলম্বী করে তোলার জন্য কোনোভাবেই কোনো প্রতিষ্ঠান কাজ করছে না। হচ্ছে না বেকার যুবকদের নিয়ে কর্মসূচি, হচ্ছে না আত্মকর্মসংস্থান কর্মসূচি।
গ্রাম যেখানে দেশের শিকড়; তাহলে গ্রাম কেন এত অবহেলিত? তাই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে আকুল আবেদন গ্রামের দিকে নজর দিন।
সাকিব হাসান
মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন
রোববার, ২২ অক্টোবর ২০২৩
দেশের মোট জনসংখ্যার অর্ধেকের বেশি মানুষ গ্রামে বাস করে। এককালে গ্রামে কত কিছুই না ছিল। গোয়াল ভরা গরু, গোলা ভরা ধান, পুকুরভর্তি মাছ। স্বাধীনতার পর উন্নয়ন হয়েছে শহরগুলোর অন্যদিকে তুলনামূলক পিছিয়ে পড়েছে গ্রাম।
আধুনিক শিক্ষার অপ্রতুলতা। গ্রামের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আজ নামেমাত্র। আধুনিক প্রযুক্তি, উন্নত অবকাঠামো, দক্ষ শিক্ষকের অভাব। এতে গ্রামের শিক্ষার্থীরা দিনের পর দিন পিছিয়ে যাচ্ছে। দেখা যায় একজন শহরের শিক্ষার্থী কম্পিউটার, ল্যাপটপ চালনা থেকে শুরু করে আধুনিক সব প্রযুক্তির ব্যবহার অনায়সে করছে। অথচ গ্রামের শিক্ষার্থীরা এগুলো সম্পর্কে অবগতই নয়। গ্রামের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গুলো তে প্রযুক্তির বড়ই অভাব। কোনো মতে মাধ্যমিক পাশ করে কলেজে ভর্তি হওয়ার পরই ঝরে যাচ্ছে গ্রামের বহু শিক্ষার্থী।
বর্ষাকালে গ্রামের রাস্তাঘাটের চিত্র একদমই পাল্টে যায়। কখনো কখনো নিজ গ্রামকেই অপরিচিত মনে হয়। বর্ষায় রাস্তাঘাট থাকে কাদায় টইটুম্বুর। গ্রামের প্রান্তিক কৃষকরা তাদের আবাদি ফসল বাজারে নিয়ে যেতে পারে না, শিক্ষার্থীরা স্কুলে যেতে পারে না, অসুস্থ রোগীকে হাসপাতালে সঠিক সময়ে নেয়া যায় না এরকম বহু উদাহরণ গ্রামগুলো তে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে। গ্রামের কিছু কিছু রাস্তা সরাসরি শহরের সঙ্গে সংযুক্ত। এসব রাস্তার চিত্র ময়লার ড্রেনের মতে।
গ্রামের মানুষের এ ভোগান্তি কে দেখবে? গ্রামে উন্নত নেটওয়ার্ক না থাকায় গ্রামের মানুষ দূরে করো সঙ্গে ঠিকভাবে কথা বলতে পারে না। এমনকি অনলাইনের যে কোনো কাজে তাদের জটিলতায় পড়তে হয়। এছাড়া গ্রামে নেই কোনো যুব উন্নয়ন প্রতিষ্ঠান। গ্রামের যুবসমাজ বিভিন্ন মাদক, নেশা ও অপকর্মে জড়িয়ে যাচ্ছে। শিক্ষিত যুবকদের প্রশিক্ষণ দেয়ার মত নেই কোনো প্রতিষ্ঠান। তাদের সাবলম্বী করে তোলার জন্য কোনোভাবেই কোনো প্রতিষ্ঠান কাজ করছে না। হচ্ছে না বেকার যুবকদের নিয়ে কর্মসূচি, হচ্ছে না আত্মকর্মসংস্থান কর্মসূচি।
গ্রাম যেখানে দেশের শিকড়; তাহলে গ্রাম কেন এত অবহেলিত? তাই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে আকুল আবেদন গ্রামের দিকে নজর দিন।
সাকিব হাসান