alt

চিঠিপত্র

চিঠি : স্ক্রিনই এখন আমাদের নিত্যসঙ্গী

: শনিবার, ২৮ অক্টোবর ২০২৩

মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন

উন্নত প্রযুক্তির বিশ্বে বসবাস করছি আমরা। চারপাশে সর্বত্রই প্রযুক্তি ব্যবহারের ঝোঁক বেড়েই চলছে। প্রযুক্তির প্রতি অতিরিক্ত নির্ভরশীলতাও বাড়ছে। অতিমাত্রায় প্রযুক্তির ব্যবহার আমাদের আসক্তির মারাত্মক পরিণতির দিকে ঠেলে দিচ্ছে। কিন্তু এটা তরুণ-তরুণীদের বোধগম্যের বাহিরে। তাই প্রযুক্তির ব্যবহারে আমাদের নিয়ন্ত্রণের মধ্যে থাকা জরুরি।

কম্পিউটার, ট্যাব ও এন্ড্রয়েড নামক স্ক্রিন ডিভাইসে ঘন্টার পর ঘন্টা বুঁদ হয়ে থাকার দুর্নিবার আকর্ষণই হলো স্ক্রিন আসক্তি। বাংলাদেশে ১৪-২১ বছর বয়সীদের মধ্যে স্ক্রিন আসক্তির পরিমাণ বেশি। স্ক্রিন আসক্তির ফলে অধিকাংশই ইনসোমনিয়া নামক রোগে ভুগে। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর মতে, ৫-১৭ বছর বয়সীদের মধ্যে মোবাইল ফোন রয়েছে ৫৫.৮৯ শতাংশ এবং এই বয়সী শিশুদের মধ্যে ৩০.৬৮ শতাংশ আবার ইন্টারনেট, ফেসবুক ব্যবহার করে। নতুন প্রজন্মকে স্ক্রিন আসক্তির ভয়ানক এই থাবা থেকে আমাদের রক্ষা করতে হবে।

পাখির কলতানে যেখানে ঘুম ভাঙার কথা সেখানে আমাদের ঘুম ভাঙে মোবাইলের এলার্ম কিংবা প্রিয়জন বা বন্ধু-বান্ধবদের মেসেজে; যা ভয়ানক আসক্তির জন্ম দিচ্ছে। তরুণ-তরুণীরা প্রযুক্তির ভালো দিকটা বাদ দিয়ে মন্দ দিকটাই বেছে নিচ্ছে। ডিজিটাল ডিভাইসের প্রতি তরুণ-তরুণীদের যে আসক্তি তৈরি হচ্ছে তা প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে দেশের উন্নয়ন ছাড়াও প্রত্যেকের ব্যক্তিগত জীবনেও বিরূপ প্রভাব ফেলছে।

আমরা অত্যধিক সময় অপচয় করি বিভিন্ন প্রকার ডিভাইসে। এসব ডিভাইসে চোখ না বুলালে দিন-রাত্রির নিত্যনৈমিত্তিক কাজে মনোযোগ দেয়া যেন প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়ে। বর্তমানে আমরা বইমুখী না হয়ে স্ক্রিনমুখী হচ্ছি। তাই সবাইকে এই সময়টাতে বই পড়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। শিশু যে সময়ে স্ক্রিনে বুঁদ হয়ে থাকে সেই সময়টাতে খেলাধুলা বা আনন্দদায়ক অন্য কোনো কিছুতে শিশুকে ব্যস্ত রাখতে হবে।

ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় যে যন্ত্রটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে, সেই যান্ত্রিক অস্ত্রনামক ডিজিটাল ডিভাইস এন্ড্রয়েড, ল্যাপটপ, কম্পিউটার, ট্যাবলেট আমরা সঠিক রূপে ব্যবহার করছি না। ছেলে মেয়েদের কাছে সুপরিচিত মুখ হয়ে উঠেছে নামি-দামি স্ক্রিন ডিভাইস, আমরা ব্যবহার করছি প্রতিটা মুহূর্তে।

প্রযুক্তির পরিহার নয় বরং ডিজিটাল ডিভাইসের অপব্যবহার কমিয়ে এগুলোকে ইতিবাচক ও প্রয়োজনীয় কাজে ব্যবহার করে ‘ডিজিটাল ও স্মার্ট বাংলাদেশ’ গড়ে তোলার প্রত্যয়ে আমাদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।

প্রশান্ত কুমার বর্মন

পথ কুকুর-বিড়ালের প্রতি মানবিক হোন

জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতালের এমআরআই মেশিন মেরামত করুন

শিশু শ্রমের অভিশাপ থেকে মুক্তি কোথায়

বাধা যেখানে পথ সেখানেই

নাগরিক অধিকার আদায়ে সচেতনতা প্রয়োজন

ঐতিহ্যবাহী ওরশ মেলা

অযথা হর্ন বাজানো বন্ধ করুন

অপরিকল্পিত নগরায়ণের কবলে ঢাকা

তথ্য ও যোগাযোগের ক্ষেত্রে ড্রোন প্রযুক্তির ভূমিকা

রাবিতে ফরম ফিলাপে ভোগান্তি

সাহিত্য সংস্কৃতি ও আমাদের প্রজন্ম

শিক্ষার্থীদের ইংরেজি ভীতি দূর হোক

মোহাম্মদপুরে ছিনতাই আতঙ্ক

পলিথিনের ব্যবহার পুরোপুরি বন্ধ করা যায়নি

বিষণœতার নীরব ছোবল

র‌্যাগিং বন্ধ হোক

শিশু হত্যা ও আমাদের দায়বদ্ধতা

স্বাস্থ্যসেবার টুকরো চিত্র

নদী তীরবর্তী মানুষ

যুব শক্তি : উন্নয়ন ও পরিবর্তনের কেন্দ্রবিন্দু

খাগড়াছড়ির রামগড় পর্যটন পার্কটি এখন গো-চারণভূমি

সাত কলেজের পরীক্ষায় বিশৃঙ্খলা

অবহেলায় গৌরব হারিয়েছে বাহাদুর শাহ পার্ক

ফান পোস্টে বর্ণবৈষম্য

প্রতিবন্ধীদের কর্মসংস্থান

পরিবর্তনের শুরুটা হোক এই মুহূর্ত থেকেই

আলুর বীজ সংকট ও দাম বৃদ্ধিতে হতাশ কৃষক

চরাঞ্চলে বিদ্যুতের প্রয়োজন

অসচ্ছল শিক্ষার্থীদের বৃত্তি প্রকল্পে উপেক্ষিত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়

মৌসুমি ফসলে শামুকের উপদ্রব

সিন্ডিকেট কি সরকারের চেয়েও শক্তিশালী

কৃষি জমিতে অবৈধ পুকুর

চট্টগ্রাম কলেজের মেডিকেল সেন্টারের সংস্কার চাই

জবাবদিহিতার সংস্কৃতি গড়ে তুলুন

পদ্মায় অবৈধ বালু উত্তোলন

পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে না পারলেই কি জীবন বৃথা?

tab

চিঠিপত্র

চিঠি : স্ক্রিনই এখন আমাদের নিত্যসঙ্গী

মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন

শনিবার, ২৮ অক্টোবর ২০২৩

উন্নত প্রযুক্তির বিশ্বে বসবাস করছি আমরা। চারপাশে সর্বত্রই প্রযুক্তি ব্যবহারের ঝোঁক বেড়েই চলছে। প্রযুক্তির প্রতি অতিরিক্ত নির্ভরশীলতাও বাড়ছে। অতিমাত্রায় প্রযুক্তির ব্যবহার আমাদের আসক্তির মারাত্মক পরিণতির দিকে ঠেলে দিচ্ছে। কিন্তু এটা তরুণ-তরুণীদের বোধগম্যের বাহিরে। তাই প্রযুক্তির ব্যবহারে আমাদের নিয়ন্ত্রণের মধ্যে থাকা জরুরি।

কম্পিউটার, ট্যাব ও এন্ড্রয়েড নামক স্ক্রিন ডিভাইসে ঘন্টার পর ঘন্টা বুঁদ হয়ে থাকার দুর্নিবার আকর্ষণই হলো স্ক্রিন আসক্তি। বাংলাদেশে ১৪-২১ বছর বয়সীদের মধ্যে স্ক্রিন আসক্তির পরিমাণ বেশি। স্ক্রিন আসক্তির ফলে অধিকাংশই ইনসোমনিয়া নামক রোগে ভুগে। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর মতে, ৫-১৭ বছর বয়সীদের মধ্যে মোবাইল ফোন রয়েছে ৫৫.৮৯ শতাংশ এবং এই বয়সী শিশুদের মধ্যে ৩০.৬৮ শতাংশ আবার ইন্টারনেট, ফেসবুক ব্যবহার করে। নতুন প্রজন্মকে স্ক্রিন আসক্তির ভয়ানক এই থাবা থেকে আমাদের রক্ষা করতে হবে।

পাখির কলতানে যেখানে ঘুম ভাঙার কথা সেখানে আমাদের ঘুম ভাঙে মোবাইলের এলার্ম কিংবা প্রিয়জন বা বন্ধু-বান্ধবদের মেসেজে; যা ভয়ানক আসক্তির জন্ম দিচ্ছে। তরুণ-তরুণীরা প্রযুক্তির ভালো দিকটা বাদ দিয়ে মন্দ দিকটাই বেছে নিচ্ছে। ডিজিটাল ডিভাইসের প্রতি তরুণ-তরুণীদের যে আসক্তি তৈরি হচ্ছে তা প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে দেশের উন্নয়ন ছাড়াও প্রত্যেকের ব্যক্তিগত জীবনেও বিরূপ প্রভাব ফেলছে।

আমরা অত্যধিক সময় অপচয় করি বিভিন্ন প্রকার ডিভাইসে। এসব ডিভাইসে চোখ না বুলালে দিন-রাত্রির নিত্যনৈমিত্তিক কাজে মনোযোগ দেয়া যেন প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়ে। বর্তমানে আমরা বইমুখী না হয়ে স্ক্রিনমুখী হচ্ছি। তাই সবাইকে এই সময়টাতে বই পড়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। শিশু যে সময়ে স্ক্রিনে বুঁদ হয়ে থাকে সেই সময়টাতে খেলাধুলা বা আনন্দদায়ক অন্য কোনো কিছুতে শিশুকে ব্যস্ত রাখতে হবে।

ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় যে যন্ত্রটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে, সেই যান্ত্রিক অস্ত্রনামক ডিজিটাল ডিভাইস এন্ড্রয়েড, ল্যাপটপ, কম্পিউটার, ট্যাবলেট আমরা সঠিক রূপে ব্যবহার করছি না। ছেলে মেয়েদের কাছে সুপরিচিত মুখ হয়ে উঠেছে নামি-দামি স্ক্রিন ডিভাইস, আমরা ব্যবহার করছি প্রতিটা মুহূর্তে।

প্রযুক্তির পরিহার নয় বরং ডিজিটাল ডিভাইসের অপব্যবহার কমিয়ে এগুলোকে ইতিবাচক ও প্রয়োজনীয় কাজে ব্যবহার করে ‘ডিজিটাল ও স্মার্ট বাংলাদেশ’ গড়ে তোলার প্রত্যয়ে আমাদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।

প্রশান্ত কুমার বর্মন

back to top