alt

চিঠিপত্র

চিঠি : আত্মহত্যা সমাধান নয়

: রোববার, ০৫ নভেম্বর ২০২৩

মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন

আত্মহত্যার প্রবণতা শিক্ষার্থীদের মধ্যে বেশি দেখা যায়। একদিকে মানুষ বাঁচবার জন্য প্রতিনিয়ত সংগ্রাম করছে। অপরদিকে, ভুল সিদ্ধান্তকে প্রাধান্য দিয়ে জীবন্ত স্বপ্নকে কফিনের কাপড়ে মুড়িয়ে দিচ্ছে। একজন শিক্ষার্থী অসংখ্য স্বপ্ন ও সম্ভাবনা নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের করিডরে পা রাখেন।

কিন্তু সেই ইচ্ছে আর পূরণ না করে ফিরে যান লাশ হয়ে; যা আমাদের জন্য অত্যন্ত মর্মান্তিক ও দুশ্চিন্তার বিষয়। এই কাতরে রয়েছে তরুণ-তরুণী ও যুবক-যুবতীরা। এর পিছনে জাতীয়, সামাজিক, পারিবারিক, অর্থনৈতিক, মানসিক নির্যাতন বা ব্ল্যাকমেইল ও ব্যক্তিগত কারণসমূহ জড়িত। পরিবারের আর্থিক পরিস্থিতির পাশাপাশি নেতিবাচক প্রতিযোগিতার সংস্কৃতিও মানুষের মধ্যে বিষণ্নতা তৈরির অন্যতম কারণ।

২০২৩ সালের জানুয়ারি থেকে আগস্ট পর্যন্ত- আট মাসে ৩৬১ জন স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যাল এবং মাদ্রাসা শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছেন। গড়ে প্রতি মাসে প্রায় ৪৫.১৩ জন শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করে। আর ৩৬১ জন শিক্ষার্থীর মাঝে ছেলে শিক্ষার্থী ১৪৭ জন, আর মেয়ে শিক্ষার্থী ছিল ২১৪ জন।

এছাড়া বাংলাদেশে প্রতি বছর কমপক্ষে ১৩ হাজার থেকে ৬৪ হাজার মানুষ আত্মহত্যা করে। দেশে আত্মহত্যায় মৃত্যুহার প্রতি লাখ মানুষে কমপক্ষে ৭ দশমিক ৮ থেকে ৩৯ দশমিক ৬ জন। দেশে গত বছর স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসাগামী শিক্ষার্থীদের মধ্যে প্রতি মাসে গড়ে ৩৭ জন শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছে। নারী শিক্ষার্থীদের বেশি আত্মহত্যার কারণ খতিয়ে দেখা যায়, ২৬.৬০% নারী শিক্ষার্থী অভিমান করে, প্রেম ঘটিত কারণে ১৮.৭০%, মানসিক ভারসাম্যহীনতার কারণে ৮.৪০%, পারিবারিক বিবাদের কারণে ৯.৮০%, ৫.১০% শিক্ষার্থী যৌন হয়রানির কারণে এবং পড়াশোনার চাপ ও ব্যর্থতার কারণে ১২.৬০% আত্মহত্যা করেছে।

আত্মহত্যার প্রবণতা কমানোর জন্য ব্যক্তিগত, পারিবারিক, সামাজিক ও প্রাতিষ্ঠানিক সচেতনার বিকল্প নেই। তার মধ্যে জাতীয় হটলাইন চালু করা যেনো মানসিক চাপ সৃষ্টি হলে কল দিয়ে সমাধান করতে পারে।

শিক্ষার্থীদের অনলাইন থেকে দূরে রাখা, নারী শিক্ষার্থীদের অনলাইনে আপত্তিকর টেক্সট, অডিও কিংবা ভিডিও শেয়ার না করা, স্ট্রেস ম্যানেজমেন্টের জন্য প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ক্যাম্পেইন করা, বিভিন্ন কঠিন পরিস্থিতিতে মানসিক অবস্থা চাঙ্গা রাখার কৌশল শিখানো।

মোহাম্মদ আল-আমিন

জন্মনিবন্ধন সেবায় অতিরিক্ত অর্থ আদায় : ব্যবস্থা নিন

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে স্পিডব্রেকার চাই

উন্নয়নের জন্য একটি অপরিহার্য উপাদান কারিগরি শিক্ষা

পোস্তগোলায় নিম্নমানের ড্রেন নির্মাণ

দিনমজুর সংকটে কৃষি উৎপাদন ব্যাহত

পানাম সেতু : ঐতিহ্য রক্ষায় অবহেলা নয়

যাত্রাবাড়ীর চৌরাস্তা থেকে ধোলাইখাল বাসস্ট্যান্ড পর্যন্ত রাস্তার দুরবস্থা

মহেশখালী-কক্সবাজার নৌপথে সেতু চাই

পাঠ্যবই খোলাবাজারে কেন?

বিএনপি ও জামায়াতের সম্পর্ক : একটি অদৃশ্য প্রভাবের রাজনীতি

সাইবার সিকিউরিটি ও ব্যক্তিগত গোপনীয়তা

শহরের সবুজায়ন : টিকে থাকার লড়াই

ইজতেমার ঐক্য ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশ নিশ্চিত হোক

নারী ফুটবল ও সামাজিক সংকীর্ণতা

প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের সংগ্রাম

জলাশয় রক্ষা করুন

ফুটওভার ব্রিজ নির্মাণ করুন

ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর এলাকার খালপাড় সড়কটি সংস্কার করুন

পুকুর ভরাট ও অপরিকল্পিত ব্যবহার

পর্যটন কেন্দ্রে খাবারের অস্বাভাবিক মূল্য

নদী বাঁচলে , বাঁচবে দেশ

ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা দুর্ঘটনার ঝুঁকি বাড়াচ্ছে

পানি দূষণ

রাজবাড়ী হাসপাতাল রোড সংষ্কার চাই

মাটির বাড়ি থেকে জিআই পণ্য : ঐতিহ্যের গল্প কলাইয়ের রুটি

ভাঙা হতে ফরিদপুর সদর সড়ক সংস্কার করুন

১০ম গ্রেড মেডিকেল টেকনোলজিস্ট-ফার্মাসিস্টদের ন্যায্য অধিকার

টিসিবির কার্যক্রম

শীতের সবজি সহজলভ্য করতে পদক্ষেপ প্রয়োজন

গণপরিবহনে নারীদের হয়রানি : সমাধান কোথায়

বিনোদপুর বাজারে ব্যানার অপসারণের দাবি

অভয়ারণ্যে মানুষের আনাগোনা

ঢাকা কলেজের শৌচাগারের বেহাল দশা

অভিভাবকদের প্রতি একটি ছোট্ট নিবেদন

নোয়াখালীর হাতিয়া দ্বীপের স্বাক্ষরতার হার বাড়ানো সময়ের দাবি

হোসেনপুর টু টোক সড়কের বেহাল অবস্থা

tab

চিঠিপত্র

চিঠি : আত্মহত্যা সমাধান নয়

মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন

রোববার, ০৫ নভেম্বর ২০২৩

আত্মহত্যার প্রবণতা শিক্ষার্থীদের মধ্যে বেশি দেখা যায়। একদিকে মানুষ বাঁচবার জন্য প্রতিনিয়ত সংগ্রাম করছে। অপরদিকে, ভুল সিদ্ধান্তকে প্রাধান্য দিয়ে জীবন্ত স্বপ্নকে কফিনের কাপড়ে মুড়িয়ে দিচ্ছে। একজন শিক্ষার্থী অসংখ্য স্বপ্ন ও সম্ভাবনা নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের করিডরে পা রাখেন।

কিন্তু সেই ইচ্ছে আর পূরণ না করে ফিরে যান লাশ হয়ে; যা আমাদের জন্য অত্যন্ত মর্মান্তিক ও দুশ্চিন্তার বিষয়। এই কাতরে রয়েছে তরুণ-তরুণী ও যুবক-যুবতীরা। এর পিছনে জাতীয়, সামাজিক, পারিবারিক, অর্থনৈতিক, মানসিক নির্যাতন বা ব্ল্যাকমেইল ও ব্যক্তিগত কারণসমূহ জড়িত। পরিবারের আর্থিক পরিস্থিতির পাশাপাশি নেতিবাচক প্রতিযোগিতার সংস্কৃতিও মানুষের মধ্যে বিষণ্নতা তৈরির অন্যতম কারণ।

২০২৩ সালের জানুয়ারি থেকে আগস্ট পর্যন্ত- আট মাসে ৩৬১ জন স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যাল এবং মাদ্রাসা শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছেন। গড়ে প্রতি মাসে প্রায় ৪৫.১৩ জন শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করে। আর ৩৬১ জন শিক্ষার্থীর মাঝে ছেলে শিক্ষার্থী ১৪৭ জন, আর মেয়ে শিক্ষার্থী ছিল ২১৪ জন।

এছাড়া বাংলাদেশে প্রতি বছর কমপক্ষে ১৩ হাজার থেকে ৬৪ হাজার মানুষ আত্মহত্যা করে। দেশে আত্মহত্যায় মৃত্যুহার প্রতি লাখ মানুষে কমপক্ষে ৭ দশমিক ৮ থেকে ৩৯ দশমিক ৬ জন। দেশে গত বছর স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসাগামী শিক্ষার্থীদের মধ্যে প্রতি মাসে গড়ে ৩৭ জন শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছে। নারী শিক্ষার্থীদের বেশি আত্মহত্যার কারণ খতিয়ে দেখা যায়, ২৬.৬০% নারী শিক্ষার্থী অভিমান করে, প্রেম ঘটিত কারণে ১৮.৭০%, মানসিক ভারসাম্যহীনতার কারণে ৮.৪০%, পারিবারিক বিবাদের কারণে ৯.৮০%, ৫.১০% শিক্ষার্থী যৌন হয়রানির কারণে এবং পড়াশোনার চাপ ও ব্যর্থতার কারণে ১২.৬০% আত্মহত্যা করেছে।

আত্মহত্যার প্রবণতা কমানোর জন্য ব্যক্তিগত, পারিবারিক, সামাজিক ও প্রাতিষ্ঠানিক সচেতনার বিকল্প নেই। তার মধ্যে জাতীয় হটলাইন চালু করা যেনো মানসিক চাপ সৃষ্টি হলে কল দিয়ে সমাধান করতে পারে।

শিক্ষার্থীদের অনলাইন থেকে দূরে রাখা, নারী শিক্ষার্থীদের অনলাইনে আপত্তিকর টেক্সট, অডিও কিংবা ভিডিও শেয়ার না করা, স্ট্রেস ম্যানেজমেন্টের জন্য প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ক্যাম্পেইন করা, বিভিন্ন কঠিন পরিস্থিতিতে মানসিক অবস্থা চাঙ্গা রাখার কৌশল শিখানো।

মোহাম্মদ আল-আমিন

back to top