alt

চিঠিপত্র

চিঠি : শিক্ষার্থীদের সঙ্গে স্থানীয়দের সম্প্রীতি চাই

: বৃহস্পতিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৩

মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন

সর্বোচ্চ শিক্ষা অর্জনের বেশিরভাগ বিদ্যাপীঠ ঢাকায়। উচ্চশিক্ষার জন্য বিভিন্ন বিভাগ, জেলা ও মফস্বল থেকে ৮০ ভাগ শিক্ষার্থী স্বজনদের রেখে ঢাকায় পড়তে আসে। সেখানে সহপাঠী ছোট-বড় ভাই সবার সঙ্গে যেমন সুসম্পর্ক গড়ে উঠে, তেমনি একইভাবে সমাজে জড়িয়ে পড়ে স্থানীয়দের সঙ্গে।

তারাও তাদের বিপদ-আপদের সারথি হয়। সুখে-দুঃখে একে অপরের পাশে দাঁড়ায়। মেস, আবাসিক হলসহ কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল শিক্ষার্থীরা। নিত্যপ্রয়োজনীয় সকল কাজ স্থানীয়দের সঙ্গেই করতে হয়। কিন্তু এই স্থানীয়দের সঙ্গেই যদি সহিংসতা ও মনোমালিন্য থেকে সংঘর্ষ হয়, তাহলে অনেকটাই নিরাপত্তাহীনতায় ভুগতে হয় শিক্ষার্থীদের। এমনকি প্রাণও হারাতে হয়। এমনই ঘটনা ঘটছে ঢাকার সাভারে বেসরকারি ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয় ও স্থানীয়দের মধ্যে। কয়েকদিন আগে এক ছাত্রকে মারধর করে হত্যার জের ধরে স্থানীয় এলাকাবাসী ও শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষের রেশ কাটতে না কাটতেই এবার মসজিদের মাইকে ঘোষনা দিয়ে রাতে সংঘর্ষের জড়ায় এলাকাবাসী। সংঘর্ষে অন্তত বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী আহত হয়েছে।

ড্যাফোডিল ইউনিভার্সিটির বস্ত্র প্রকৌশল বিভাগের ৪র্থ বর্ষের (৪৪ ব্যাচ) শিক্ষার্থী হাসিবুল হাসান অন্তর হত্যাকান্ডের দ্রুত বিচারের দাবীতে বিক্ষোভ করে শিক্ষার্থীরা। কিন্তু সেসময় প্রথমে মাইকে ঘোষণা দিয়ে শিক্ষার্থীদের উপর এলাকার লোকজন লাঠিশোঠা নিয়ে হামলা চালায়। স্থানীয় ও শিক্ষার্থীদের এমন সহিংসতা কোনভাবেই কাম্য নয়। দূরদূরান্ত থেকে ডিগ্রী অর্জন করতে আসা শিক্ষার্থীদের জীবনের নিরাপত্তা এখন সংশয়। এতে শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরাও খুবই চিন্তিত। এমন পরিস্থিতির কোনো সমাধান না হলে শিক্ষা অর্জনে আতঙ্ক বিরাজ করবে।

প্রশাসন ও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে এ বিষয়ে এগিয়ে এসে পদক্ষেপ নেওয়া খুবই জরুরী। পড়াশোনা করতে এসে বিশ্ববিদ্যালয় বনাম স্থানীয়দের মাঝে সংঘাত ও সহিংসতা কোনোভাবেই কাম্য নয়। এতে যেমন বিশ্ববিদ্যালয়ের মান ক্ষুণ্ন হয়, তেমনি শিক্ষার্থীরা নিরাপত্তাহীনতায় ভোগে। এমন পরিস্থিতি জাতি কখনোই কামনা করে না।

রুবেল আহম্মেদ

মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধের শেষ কোথায়?

টেকসই উন্নয়ন ও আদিবাসীদের অধিকার

শব্দদূষণ বন্ধ হবে কবে?

চট্টগ্রাম দোহাজারী অংশে রেল চালু হোক

দেশের প্রথম শহীদ মিনারের উপেক্ষিত ইতিহাস

তরুণদের হীনমন্যতা ও মত প্রকাশে অনীহা

বন সংরক্ষণ ও উন্নয়ন

শুধু ফেব্রুয়ারিতে ভাষার দরদ?

ভাষা ও সাহিত্যের মিলনমেলা

জমি দখলের ক্ষতিপূরণ চাই

পুরান ঢাকায় মশার উৎপাত

গুইমারায় স্বাস্থ্যসেবা সংকট : অবিলম্বে সমাধান প্রয়োজন

মশার উপদ্রব : জনস্বাস্থ্য ও নগর ব্যবস্থাপনার চরম ব্যর্থতা

পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু : একটি জাতীয় সংকট

নাম পাল্টে গেলে কত কী যে হয়

অনুপ্রেরণা হোক তুলনাহীন

দূষণ রোধে জীবাশ্ম জ্বালানি নির্ভরতা হ্রাস জরুরি

পাবলিক টয়লেটের সংখ্যা বাড়ান

গণরুম প্রথার বিলুপ্তি কবে?

রেলসেবার মান বাড়ান

নওগাঁ সরকারি কলেজের সংকট

টিকিটের দাম আকাশচুম্বী

জকিগঞ্জে গ্রামীণ সড়কের দুরবস্থা

রেলে দুর্নীতি

নবায়নযোগ্য শক্তির বিকল্প নেই

পথশিশুদের ভয়ঙ্কর নেশাদ্রব্য থেকে রক্ষা করুন

ঢাকা-ময়মনসিংহ ননস্টপ ট্রেন ও ডাবল লাইন নির্মাণের দাবি

শিশুদের প্রতি প্রতিহিংসা বন্ধ করুন

চরবাসীর নদী পারাপারে নিরাপত্তার প্রয়োজন

জন্মনিবন্ধন সেবায় অতিরিক্ত অর্থ আদায় : ব্যবস্থা নিন

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে স্পিডব্রেকার চাই

উন্নয়নের জন্য একটি অপরিহার্য উপাদান কারিগরি শিক্ষা

পোস্তগোলায় নিম্নমানের ড্রেন নির্মাণ

দিনমজুর সংকটে কৃষি উৎপাদন ব্যাহত

পানাম সেতু : ঐতিহ্য রক্ষায় অবহেলা নয়

যাত্রাবাড়ীর চৌরাস্তা থেকে ধোলাইখাল বাসস্ট্যান্ড পর্যন্ত রাস্তার দুরবস্থা

tab

চিঠিপত্র

চিঠি : শিক্ষার্থীদের সঙ্গে স্থানীয়দের সম্প্রীতি চাই

মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন

বৃহস্পতিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৩

সর্বোচ্চ শিক্ষা অর্জনের বেশিরভাগ বিদ্যাপীঠ ঢাকায়। উচ্চশিক্ষার জন্য বিভিন্ন বিভাগ, জেলা ও মফস্বল থেকে ৮০ ভাগ শিক্ষার্থী স্বজনদের রেখে ঢাকায় পড়তে আসে। সেখানে সহপাঠী ছোট-বড় ভাই সবার সঙ্গে যেমন সুসম্পর্ক গড়ে উঠে, তেমনি একইভাবে সমাজে জড়িয়ে পড়ে স্থানীয়দের সঙ্গে।

তারাও তাদের বিপদ-আপদের সারথি হয়। সুখে-দুঃখে একে অপরের পাশে দাঁড়ায়। মেস, আবাসিক হলসহ কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল শিক্ষার্থীরা। নিত্যপ্রয়োজনীয় সকল কাজ স্থানীয়দের সঙ্গেই করতে হয়। কিন্তু এই স্থানীয়দের সঙ্গেই যদি সহিংসতা ও মনোমালিন্য থেকে সংঘর্ষ হয়, তাহলে অনেকটাই নিরাপত্তাহীনতায় ভুগতে হয় শিক্ষার্থীদের। এমনকি প্রাণও হারাতে হয়। এমনই ঘটনা ঘটছে ঢাকার সাভারে বেসরকারি ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয় ও স্থানীয়দের মধ্যে। কয়েকদিন আগে এক ছাত্রকে মারধর করে হত্যার জের ধরে স্থানীয় এলাকাবাসী ও শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষের রেশ কাটতে না কাটতেই এবার মসজিদের মাইকে ঘোষনা দিয়ে রাতে সংঘর্ষের জড়ায় এলাকাবাসী। সংঘর্ষে অন্তত বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী আহত হয়েছে।

ড্যাফোডিল ইউনিভার্সিটির বস্ত্র প্রকৌশল বিভাগের ৪র্থ বর্ষের (৪৪ ব্যাচ) শিক্ষার্থী হাসিবুল হাসান অন্তর হত্যাকান্ডের দ্রুত বিচারের দাবীতে বিক্ষোভ করে শিক্ষার্থীরা। কিন্তু সেসময় প্রথমে মাইকে ঘোষণা দিয়ে শিক্ষার্থীদের উপর এলাকার লোকজন লাঠিশোঠা নিয়ে হামলা চালায়। স্থানীয় ও শিক্ষার্থীদের এমন সহিংসতা কোনভাবেই কাম্য নয়। দূরদূরান্ত থেকে ডিগ্রী অর্জন করতে আসা শিক্ষার্থীদের জীবনের নিরাপত্তা এখন সংশয়। এতে শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরাও খুবই চিন্তিত। এমন পরিস্থিতির কোনো সমাধান না হলে শিক্ষা অর্জনে আতঙ্ক বিরাজ করবে।

প্রশাসন ও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে এ বিষয়ে এগিয়ে এসে পদক্ষেপ নেওয়া খুবই জরুরী। পড়াশোনা করতে এসে বিশ্ববিদ্যালয় বনাম স্থানীয়দের মাঝে সংঘাত ও সহিংসতা কোনোভাবেই কাম্য নয়। এতে যেমন বিশ্ববিদ্যালয়ের মান ক্ষুণ্ন হয়, তেমনি শিক্ষার্থীরা নিরাপত্তাহীনতায় ভোগে। এমন পরিস্থিতি জাতি কখনোই কামনা করে না।

রুবেল আহম্মেদ

back to top