alt

মতামত » চিঠিপত্র

চিঠি : রাজনীতিতে তরুণ সমাজের অংশগ্রহণ

: রোববার, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৩

মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন

মানুষের জীবনের বেশিরভাগটাই রাজনীতি কর্তৃক নিয়ন্ত্রিত হয়। একজন নাগরিকের অধিকার রক্ষায় রাজনীতির গুরুত্ব অপরিসীম। আর বাংলাদেশের মানুষ স্বভাবতই রাজনীতি প্রিয়। সবার মুখেই কমবেশি রাজনীতি নিয়ে কথা হয়, চর্চা চলে।

কিন্তু বর্তমান সময়ে বাংলাদেশের রাজনীতিতে তরুণ সমাজের অংশগ্রহণ খুবই হতাশাজনক। দেশের তরুণ সমাজের বেশিরভাগ অংশই দেশে লেখাপড়া শেষ করে উন্নত ভবিষ্যতের জন্য বিদেশে পাড়ি জমাচ্ছে। রাজনীতির প্রতি কারোই তেমন আগ্রহ নেই। যার মুখ্য কারণ হিসেবে চিহ্নিত করা যায় এদেশের অসৎ রাজনীতিবিদদের।

কিভাবে রাজনীতির মাধ্যমে দুর্নীতি করে নিজের অর্থনৈতিক অবস্থানকে উন্নত করা যায়, নিজের জীবনকে কিভাবে আরাম-আয়েশের সঙ্গে অতিবাহিত করা যায়, সেটাই বর্তমান অধিকাংশ রাজনীতিবিদদের চিন্তা। আর তাদের এসব কর্মকান্ডের জন্য বাংলাদেশের রাজনীতি আজ নর্দমায় পরিণত হয়েছে, ভুগতে হচ্ছে দেশের জনগণকে। তাদের এমন কর্মকান্ডের জন্যই আমরা তরুণ সমাজ আজ রাজনীতিকে ঘৃণা করছি।

কিন্তু আমাদের ভাবা উচিত, দেশের রাজনীতি যদি আজীবন এভাবে নর্দমার মতো হয়ে থাকে, তাহলে এক পর্যায়ে আমাদেরই এর খারাপ পরিণাম ভুগতে হবে। আমরা তরুণ সমাজ আজ রাজনীতিকে অপছন্দ করি। কিন্তু আমরা এটা ভাবি না যে, এই রাজনীতি না থাকলে আজ আমরা আমাদের বাংলাদেশ পেতাম না।

দেশের মঙ্গলের জন্য, দেশের সাধারণ মানুষের অধিকার আদায়ের জন্য, তাদের জীবনমানের উন্নতির জন্য, নিজ দেশে তাদের উন্নত ভবিষ্যৎ নিশ্চিতের জন্য আমি মনে করি আমাদের তরুণ সমাজের রাজনীতিতে অংশগ্রহণ জরুরি। রাজনীতি আমাকে কি দিয়েছে বা কি দিবে, এই চিন্তা থেকে দূরে সরে দেশের মানুষের কল্যাণে তরুণদের উজ্জীবিত হওয়া দরকার। কারণ এই দেশ আমাদের ঘর, এই দেশের প্রত্যেকটি মানুষ আমাদের পরিবারের সদস্য।

আর বাংলাদেশের বর্তমান রাজনীতিতে পরিবর্তন এনে দেশের মানুষের অধিকার নিশ্চিত করতে হলে, তাদের উন্নত ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করতে হলে আমাদের তরুণদের রাজনীতিতে অংশগ্রহণ দরকার। কিন্তু তাই বলে অন্যায়কে ভয় পেয়ে চুপ করে বসে থেকে নিজের দেশকে বিপথগামী হতে দেয়া যাবে না। পরিবর্তনের শুরুটা তো একজনকে না একজনকে করতেই হবে। আজ যদি আমরা তরুণরা সাহস নিয়ে পরিবর্তনের উদ্দেশ্যে সামনে আগাতে পারি, তাহলে কাল আমরা দেশের নির্যাতিত, নিপীড়িত, অবহেলিত মানুষের সমর্থন পাব।

‘রাজনীতি কোনো টাকা উপার্জনের জায়গা নয়। রাজনীতি মানে দেশের প্রতি দায়িত্ববোধ, দেশের প্রতি নিজের দায়বদ্ধতা।’ এই চিন্তা যদি নিজেদের মধ্যে লালিত করে আমরা তরুণরা পরিবর্তন উদ্দেশ্যে সামনের দিকে সাহস নিয়ে আগাতে পারি, তাহলে আমরা যেকোনো বাধা-বিপত্তি উপেক্ষা করে আমাদের দেশকে, দেশের মানুষকে ধ্বংসের পথ থেকে রক্ষা করতে পারবো। গড়তে পারবো এক সুষ্ঠু, কল্যাণকর রাজনীতির বাংলাদেশ।

সাব্বির উদ্দিন রিয়ন

ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পের পুনর্জাগরণ

সাইবার বুলিং ও ভার্চুয়াল অপরাধ: তরুণদের অদৃশ্য বিপদ

ওয়াসার খোঁড়াখুঁড়িতে নগরজীবনের চরম ভোগান্তি

রাবি মেডিকেল সেন্টারের সংস্কার চাই

চিংড়ি শিল্পের পরিবেশগত প্রভাব

কক্সবাজার: উন্নয়নের পথে, বিপন্ন প্রকৃতি

চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের প্রেক্ষাপটে নতুন সম্ভাবনার ভোর

প্রাথমিক শিক্ষকদের বঞ্চনা দূর না হলে মানোন্নয়ন অসম্ভব

রাবির আবাসন সংকট

সব হাসপাতালে ফিজিক্যাল মেডিসিন ও রিহ্যাবিলিটেশন সেবা চালু করা হোক

ডেঙ্গু মোকাবিলায় সচেতনতা

পানি সংকট: জীবন ও সভ্যতার জন্য বিরাট হুমকি

ই-লার্নিং: সীমান্তহীন শিক্ষার নতুন দিগন্ত

আজিমপুর কলোনির অব্যবস্থাপনা

জনস্বাস্থ্যের নীরব ঘাতক : তামাকজাত পণ্য

বিশ্ব র‌্যাংকিংয়ে বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়: অবস্থান, চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনা

ইন্দো-প্যাসিফিক রাজনীতি ও বাংলাদেশের সমুদ্রকৌশল

বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্টিফিকেট: দীর্ঘসূত্রতা ও ভোগান্তির শেষ কোথায়?

পুরান ঢাকার রাস্তাগুলোর বেহাল অবস্থা

নিরাপদ শিশু খাদ্য: জাতির ভবিষ্যতের প্রশ্ন

ট্রেনের শিডিউল বিপর্যয়: প্রতিদিনের দুঃস্বপ্ন

পানি ও খাদ্য নিরাপত্তা

হেমন্ত আসে হিম কুয়াশার চাদর মুড়ি দিয়ে

জীবনের অভিধানে প্রবীণদের স্থান কোথায়?

নীরবতা নয়, বলতে শেখ

সুন্দরবনে টেকসই পর্যটন মাস্টারপ্ল্যান বাস্তবায়নের সম্ভাবনা ও করণীয়

প্রথার নামে প্রথাগত শোষণ: উচ্চ কাবিনের ফাঁদ

শিক্ষা ব্যবস্থা পরিবর্তনের প্রয়োজনীয়তা

মধ্যবিত্তের সঞ্চয়ে বিশ্ব অর্থনৈতিক জায়ান্টদের মাস্টার প্ল্যান

গার্মেন্টস শ্রমিকের মৃত্যু কেন কেবলই সংখ্যা?

বাল্যবিয়ে: সমাজের এক নীরব অভিশাপ

মনোস্বাস্থ্যের সংকটে তরুণরা: নীরবতার আড়ালে এক ভয়াবহ বাস্তবতা

ধূমপানের প্রভাব

ইসলামী ব্যাংকগুলোতে সার্ভিস রুল অনুযায়ী নিয়োগ

শিশুর হাতে মোবাইল নয়, চাই জীবনের মাঠে ফেরার ডাক

মতিঝিল-গুলিস্তান রুটে চক্রাকার বাস সার্ভিস : শৃঙ্খল ও স্বস্তির সম্ভাবনা

tab

মতামত » চিঠিপত্র

চিঠি : রাজনীতিতে তরুণ সমাজের অংশগ্রহণ

মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন

রোববার, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৩

মানুষের জীবনের বেশিরভাগটাই রাজনীতি কর্তৃক নিয়ন্ত্রিত হয়। একজন নাগরিকের অধিকার রক্ষায় রাজনীতির গুরুত্ব অপরিসীম। আর বাংলাদেশের মানুষ স্বভাবতই রাজনীতি প্রিয়। সবার মুখেই কমবেশি রাজনীতি নিয়ে কথা হয়, চর্চা চলে।

কিন্তু বর্তমান সময়ে বাংলাদেশের রাজনীতিতে তরুণ সমাজের অংশগ্রহণ খুবই হতাশাজনক। দেশের তরুণ সমাজের বেশিরভাগ অংশই দেশে লেখাপড়া শেষ করে উন্নত ভবিষ্যতের জন্য বিদেশে পাড়ি জমাচ্ছে। রাজনীতির প্রতি কারোই তেমন আগ্রহ নেই। যার মুখ্য কারণ হিসেবে চিহ্নিত করা যায় এদেশের অসৎ রাজনীতিবিদদের।

কিভাবে রাজনীতির মাধ্যমে দুর্নীতি করে নিজের অর্থনৈতিক অবস্থানকে উন্নত করা যায়, নিজের জীবনকে কিভাবে আরাম-আয়েশের সঙ্গে অতিবাহিত করা যায়, সেটাই বর্তমান অধিকাংশ রাজনীতিবিদদের চিন্তা। আর তাদের এসব কর্মকান্ডের জন্য বাংলাদেশের রাজনীতি আজ নর্দমায় পরিণত হয়েছে, ভুগতে হচ্ছে দেশের জনগণকে। তাদের এমন কর্মকান্ডের জন্যই আমরা তরুণ সমাজ আজ রাজনীতিকে ঘৃণা করছি।

কিন্তু আমাদের ভাবা উচিত, দেশের রাজনীতি যদি আজীবন এভাবে নর্দমার মতো হয়ে থাকে, তাহলে এক পর্যায়ে আমাদেরই এর খারাপ পরিণাম ভুগতে হবে। আমরা তরুণ সমাজ আজ রাজনীতিকে অপছন্দ করি। কিন্তু আমরা এটা ভাবি না যে, এই রাজনীতি না থাকলে আজ আমরা আমাদের বাংলাদেশ পেতাম না।

দেশের মঙ্গলের জন্য, দেশের সাধারণ মানুষের অধিকার আদায়ের জন্য, তাদের জীবনমানের উন্নতির জন্য, নিজ দেশে তাদের উন্নত ভবিষ্যৎ নিশ্চিতের জন্য আমি মনে করি আমাদের তরুণ সমাজের রাজনীতিতে অংশগ্রহণ জরুরি। রাজনীতি আমাকে কি দিয়েছে বা কি দিবে, এই চিন্তা থেকে দূরে সরে দেশের মানুষের কল্যাণে তরুণদের উজ্জীবিত হওয়া দরকার। কারণ এই দেশ আমাদের ঘর, এই দেশের প্রত্যেকটি মানুষ আমাদের পরিবারের সদস্য।

আর বাংলাদেশের বর্তমান রাজনীতিতে পরিবর্তন এনে দেশের মানুষের অধিকার নিশ্চিত করতে হলে, তাদের উন্নত ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করতে হলে আমাদের তরুণদের রাজনীতিতে অংশগ্রহণ দরকার। কিন্তু তাই বলে অন্যায়কে ভয় পেয়ে চুপ করে বসে থেকে নিজের দেশকে বিপথগামী হতে দেয়া যাবে না। পরিবর্তনের শুরুটা তো একজনকে না একজনকে করতেই হবে। আজ যদি আমরা তরুণরা সাহস নিয়ে পরিবর্তনের উদ্দেশ্যে সামনে আগাতে পারি, তাহলে কাল আমরা দেশের নির্যাতিত, নিপীড়িত, অবহেলিত মানুষের সমর্থন পাব।

‘রাজনীতি কোনো টাকা উপার্জনের জায়গা নয়। রাজনীতি মানে দেশের প্রতি দায়িত্ববোধ, দেশের প্রতি নিজের দায়বদ্ধতা।’ এই চিন্তা যদি নিজেদের মধ্যে লালিত করে আমরা তরুণরা পরিবর্তন উদ্দেশ্যে সামনের দিকে সাহস নিয়ে আগাতে পারি, তাহলে আমরা যেকোনো বাধা-বিপত্তি উপেক্ষা করে আমাদের দেশকে, দেশের মানুষকে ধ্বংসের পথ থেকে রক্ষা করতে পারবো। গড়তে পারবো এক সুষ্ঠু, কল্যাণকর রাজনীতির বাংলাদেশ।

সাব্বির উদ্দিন রিয়ন

back to top