alt

চিঠিপত্র

চিঠি : নিত্যপণ্যের দাম

: রোববার, ১৯ নভেম্বর ২০২৩

মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন

দেশের বড় একটা অংশ দারিদ্র্য সীমার নিচে বাস করে। তারা দিন আনে দিন খায়। দেখা যায় একজন দিন মজুর কিংবা রিকশাচালকের দৈনিক আয় ৩০০-৪০০ টাকা। কিন্তু সে যদি এক বেলা পেট পুরে খেতে চায় তাহলে তার ১৫০-২০০ টাকা চলে যায়। অর্থাৎ একদিনের আয় দিয়ে সে একদিন ই চলতে পারে কোনোমতে।

বাজারের ওপর সরকারের কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই। ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে বিভিন্ন অজুহাতে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বাড়িয়ে সাধারণ মানুষকে বিপাকে ফেলছে। একবার যে পণ্যের দাম বাড়ে, তা আর কমে না। সরকারি বিভিন্ন সংস্থা এ ব্যাপারে কাজ করলেও তা তেমন কার্যকর ভূমিকা না রাখায় দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে আসছে না।

কনজুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) নামে একটি সংস্থা রয়েছে; কিন্তু তাদের কার্যক্রমও তেমন লক্ষণীয় নয়। সাধারণ মানুষ নির্বাক। তাদের কষ্টের কথা শোনার মতো কেউ নেই। না পারছে কিছু বলতে না পারছে কিছু করতে।

গ্রাম ও শহরাঞ্চলের প্রান্তিক ও শ্রমজীবী মানুষ যাতে খেয়ে-পরে বাঁচতে পারে, সে জন্য নিত্যপণ্যের দাম যেমন স্থিতিশীল রাখতে হবে। তেমনি তাদের আয় বাড়ানোর সুযোগ তৈরি করতে হবে। এসব পদক্ষেপের ফলে পরিস্থিতি কতটা নিয়ন্ত্রণে আসে, সেদিকে তাকিয়ে আছে মানুষ। তবে আমাদের কিছু পদক্ষেপ নিতে হবে তাহলে কিছুটা হলেও দ্রব্যমূল্যের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব।

দ্রব্যমূল্য স্থিতিশীল রাখতে হলে প্রয়োজন একটি স্থায়ী সমাধান খুঁজে বের করা। ক্ষুদ্র আমদানিকারকের সক্রিয় করে দেশব্যাপী আমদানি অবারিত করার মাধ্যমে এবং সেসঙ্গে দেশের কৃষিপণ্য আধুনিক পদ্ধতিতে স্টোরেজ করার সুযোগ সৃষ্টি করার পাশাপাশি সুশৃঙ্খল বাজার ব্যবস্থার প্রবর্তন করলে দ্রব্যমূল্য স্থিতিশীল রাখার স্থায়ী সমাধান খুঁজে পাওয়া যেতে পারে।

বাজারে চাহিদার সঙ্গে দ্রব্যের দাম ঠিক রাখতে হবে।বাজার নিয়ন্ত্রণ রাখতে যেকোনো আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। এক্ষেত্রে মোবাইল কোর্টের ব্যবস্থা গ্রহণ করা যেতে পারে।কৃষি ব্যবস্থার উন্নয়ন ঘটিয়ে অধিক ফসল ফলাতে হবে। প্রয়োজনীয় কাঁচামাল আমদানিতে যেন বিঘ্ন না ঘটে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে আনতে সরকারের হস্তক্ষেপ অতীব জরুরি। বিশেষ করে ব্যবসায়ীদের ওপর কঠোর নজর দিতে হবে। এই পদক্ষেপগুলো নিলে একটু হলেও দ্রব্যমূল্যের দাম নিয়ন্ত্রণে আসবে।

সাকিব হাসান

মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধের শেষ কোথায়?

টেকসই উন্নয়ন ও আদিবাসীদের অধিকার

শব্দদূষণ বন্ধ হবে কবে?

চট্টগ্রাম দোহাজারী অংশে রেল চালু হোক

দেশের প্রথম শহীদ মিনারের উপেক্ষিত ইতিহাস

তরুণদের হীনমন্যতা ও মত প্রকাশে অনীহা

বন সংরক্ষণ ও উন্নয়ন

শুধু ফেব্রুয়ারিতে ভাষার দরদ?

ভাষা ও সাহিত্যের মিলনমেলা

জমি দখলের ক্ষতিপূরণ চাই

পুরান ঢাকায় মশার উৎপাত

গুইমারায় স্বাস্থ্যসেবা সংকট : অবিলম্বে সমাধান প্রয়োজন

মশার উপদ্রব : জনস্বাস্থ্য ও নগর ব্যবস্থাপনার চরম ব্যর্থতা

পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু : একটি জাতীয় সংকট

নাম পাল্টে গেলে কত কী যে হয়

অনুপ্রেরণা হোক তুলনাহীন

দূষণ রোধে জীবাশ্ম জ্বালানি নির্ভরতা হ্রাস জরুরি

পাবলিক টয়লেটের সংখ্যা বাড়ান

গণরুম প্রথার বিলুপ্তি কবে?

রেলসেবার মান বাড়ান

নওগাঁ সরকারি কলেজের সংকট

টিকিটের দাম আকাশচুম্বী

জকিগঞ্জে গ্রামীণ সড়কের দুরবস্থা

রেলে দুর্নীতি

নবায়নযোগ্য শক্তির বিকল্প নেই

পথশিশুদের ভয়ঙ্কর নেশাদ্রব্য থেকে রক্ষা করুন

ঢাকা-ময়মনসিংহ ননস্টপ ট্রেন ও ডাবল লাইন নির্মাণের দাবি

শিশুদের প্রতি প্রতিহিংসা বন্ধ করুন

চরবাসীর নদী পারাপারে নিরাপত্তার প্রয়োজন

জন্মনিবন্ধন সেবায় অতিরিক্ত অর্থ আদায় : ব্যবস্থা নিন

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে স্পিডব্রেকার চাই

উন্নয়নের জন্য একটি অপরিহার্য উপাদান কারিগরি শিক্ষা

পোস্তগোলায় নিম্নমানের ড্রেন নির্মাণ

দিনমজুর সংকটে কৃষি উৎপাদন ব্যাহত

পানাম সেতু : ঐতিহ্য রক্ষায় অবহেলা নয়

যাত্রাবাড়ীর চৌরাস্তা থেকে ধোলাইখাল বাসস্ট্যান্ড পর্যন্ত রাস্তার দুরবস্থা

tab

চিঠিপত্র

চিঠি : নিত্যপণ্যের দাম

মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন

রোববার, ১৯ নভেম্বর ২০২৩

দেশের বড় একটা অংশ দারিদ্র্য সীমার নিচে বাস করে। তারা দিন আনে দিন খায়। দেখা যায় একজন দিন মজুর কিংবা রিকশাচালকের দৈনিক আয় ৩০০-৪০০ টাকা। কিন্তু সে যদি এক বেলা পেট পুরে খেতে চায় তাহলে তার ১৫০-২০০ টাকা চলে যায়। অর্থাৎ একদিনের আয় দিয়ে সে একদিন ই চলতে পারে কোনোমতে।

বাজারের ওপর সরকারের কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই। ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে বিভিন্ন অজুহাতে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বাড়িয়ে সাধারণ মানুষকে বিপাকে ফেলছে। একবার যে পণ্যের দাম বাড়ে, তা আর কমে না। সরকারি বিভিন্ন সংস্থা এ ব্যাপারে কাজ করলেও তা তেমন কার্যকর ভূমিকা না রাখায় দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে আসছে না।

কনজুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) নামে একটি সংস্থা রয়েছে; কিন্তু তাদের কার্যক্রমও তেমন লক্ষণীয় নয়। সাধারণ মানুষ নির্বাক। তাদের কষ্টের কথা শোনার মতো কেউ নেই। না পারছে কিছু বলতে না পারছে কিছু করতে।

গ্রাম ও শহরাঞ্চলের প্রান্তিক ও শ্রমজীবী মানুষ যাতে খেয়ে-পরে বাঁচতে পারে, সে জন্য নিত্যপণ্যের দাম যেমন স্থিতিশীল রাখতে হবে। তেমনি তাদের আয় বাড়ানোর সুযোগ তৈরি করতে হবে। এসব পদক্ষেপের ফলে পরিস্থিতি কতটা নিয়ন্ত্রণে আসে, সেদিকে তাকিয়ে আছে মানুষ। তবে আমাদের কিছু পদক্ষেপ নিতে হবে তাহলে কিছুটা হলেও দ্রব্যমূল্যের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব।

দ্রব্যমূল্য স্থিতিশীল রাখতে হলে প্রয়োজন একটি স্থায়ী সমাধান খুঁজে বের করা। ক্ষুদ্র আমদানিকারকের সক্রিয় করে দেশব্যাপী আমদানি অবারিত করার মাধ্যমে এবং সেসঙ্গে দেশের কৃষিপণ্য আধুনিক পদ্ধতিতে স্টোরেজ করার সুযোগ সৃষ্টি করার পাশাপাশি সুশৃঙ্খল বাজার ব্যবস্থার প্রবর্তন করলে দ্রব্যমূল্য স্থিতিশীল রাখার স্থায়ী সমাধান খুঁজে পাওয়া যেতে পারে।

বাজারে চাহিদার সঙ্গে দ্রব্যের দাম ঠিক রাখতে হবে।বাজার নিয়ন্ত্রণ রাখতে যেকোনো আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। এক্ষেত্রে মোবাইল কোর্টের ব্যবস্থা গ্রহণ করা যেতে পারে।কৃষি ব্যবস্থার উন্নয়ন ঘটিয়ে অধিক ফসল ফলাতে হবে। প্রয়োজনীয় কাঁচামাল আমদানিতে যেন বিঘ্ন না ঘটে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে আনতে সরকারের হস্তক্ষেপ অতীব জরুরি। বিশেষ করে ব্যবসায়ীদের ওপর কঠোর নজর দিতে হবে। এই পদক্ষেপগুলো নিলে একটু হলেও দ্রব্যমূল্যের দাম নিয়ন্ত্রণে আসবে।

সাকিব হাসান

back to top