মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন
এইডস আক্রান্ত হলে মানুষের দেহে রোগ-প্রতিরোধের ক্ষমতা হ্রাস পায়। এর ফলে একজন এইডস রোগী খুব সহজেই যে কোন সংক্রামক রোগে আক্রান্ত হতে পারে। ফলে তার মৃত্যুও ঘটতে পারে। এইচআইভি সংক্রমণের সঙ্গে সঙ্গেই সর্বদা এইডস হয় না। শুরুতে ক্ষেত্রবিশেষে ইনফ্লুয়েঞ্জা জাতীয় উপসর্গ দেখা যেতে পারে।
২০২২ সালের হিসাব অনুযায়ী, এইডসের জন্য বিশ্বজুড়ে প্রায় ৪০ মিলিয়ন মানুষ মারা গেছে এবং আনুমানিক ৩৯ মিলিয়ন মানুষ এইচআইভি হয়ে বেঁচে আছে। বিশ্বের অনেক অঞ্চলে উন্নত অ্যান্টিরেট্রোভাইরাল চিকিৎসা পৌঁছানোর ফলে এইডস মহামারি থেকে মৃত্যুর হার কমেছে। বেশির ভাগ এইডস আক্রান্ত রোগীই সাহারা-নিম্ন আফ্রিকাতে বাস করে।
এইডসকে বর্তমানে একটি মহামারি ব্যাধি হিসেবে গণ্য করা হয়, যা বিশ্বের বিশাল এক আয়তনজুড়ে বিদ্যমান এবং যা সক্রিয়ভাবে ছড়িয়ে পড়ছে। এইচআইভি ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত ব্যক্তির রক্ত গ্রহণ করলে বা তার ব্যবহৃত ইনজেকশনের সিরিঞ্জ বা সুঁচ ব্যবহার করলে একজন ব্যক্তি এইডস রোগে আক্রান্ত হতে পারেন। এইচআইভি ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত গর্ভবতী মায়ের শিশুরও আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে, যা গর্ভধারণের শেষদিকে বা প্রসবের সময় হতে পারে।
এইচআইভি ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত বেশির ভাগ রোগীই কোন লক্ষণ ছাড়া এ রোগ বহন করে। তবে কখনো কখনো এ ভাইরাসে আক্রান্ত হবার ৬ থেকে ৭ সপ্তাহ পরে কিছু অনির্দিষ্ট লক্ষণ দেখা দিতে পারে যেমন- জ্বর, গলা ব্যাথা, মাথা ব্যথা, ফুলে ওঠা লসিকা গ্রন্থি ইত্যাদি।
এইডস রোগের কোন চিকিৎসা এখনো পর্যন্ত পাওয়া যায়নি। গবেষকরা এ পর্যন্ত অনেক ঔষধ আবিষ্কার করেছেন। প্রথম শ্রেণীর ওষুধের নাম নিউক্লিওসাইড রিভার্স ট্রান্সক্রিপটেজ ইনহিবিটর, যা এইচআইভি ভাইরাসের সংক্রমণকে বিলম্বিত করে। দ্বিতীয় শ্রেণীর ওষুধের নাম প্রোটিয়েজ ইনহিবিটর যা এইচআইভি ভাইরাসের পুনরাবৃত্তিতে বাধা সৃষ্টি করে।
বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র (আইসিডিডিআর,বি) এবং জাতীয় এইডস নিবারণ ও নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচি পরিচালিত এ সমীক্ষায় দেখা যায়, বাংলাদেশে প্রতি ১০০ জন মাদকদ্রব্য গ্রহণকারীর মধ্যে অন্তত দুইজন এইচআইভি ভাইরাসের বাহক যা এইডস রোগ ঘটায়।
বাংলাদেশের ৬৪ জেলায়ই এইডস আক্রান্তরা ছড়িয়ে আছে। তবে পার্বত্য চট্টগ্রামের জেলাগুলোতে এ বিষয়ে নজরদারির সুযোগ সীমিত। লাখ লাখ বাংলাদেশি শ্রমিক মধ্যপ্রাচ্য আর ইউরোপে অভিবাসী হয়েছে। তারা সেখানে প্রধানত কায়িক শ্রম দেন। অভিবাসী শ্রমিকদের মধ্যে এইচআইভির সংক্রমণ বেশি এবং তা আরও বাড়ছে বলে গবেষণায় দেখা গেছে।
এইচআইভি সংক্রমণের কারণগুলো জেনে এ সম্পর্কে সচেতনতা সৃষ্টির মাধ্যমে এইডস প্রতিরোধ করা সম্ভব।
আরাফাত রহমান
মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন
বৃহস্পতিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩
এইডস আক্রান্ত হলে মানুষের দেহে রোগ-প্রতিরোধের ক্ষমতা হ্রাস পায়। এর ফলে একজন এইডস রোগী খুব সহজেই যে কোন সংক্রামক রোগে আক্রান্ত হতে পারে। ফলে তার মৃত্যুও ঘটতে পারে। এইচআইভি সংক্রমণের সঙ্গে সঙ্গেই সর্বদা এইডস হয় না। শুরুতে ক্ষেত্রবিশেষে ইনফ্লুয়েঞ্জা জাতীয় উপসর্গ দেখা যেতে পারে।
২০২২ সালের হিসাব অনুযায়ী, এইডসের জন্য বিশ্বজুড়ে প্রায় ৪০ মিলিয়ন মানুষ মারা গেছে এবং আনুমানিক ৩৯ মিলিয়ন মানুষ এইচআইভি হয়ে বেঁচে আছে। বিশ্বের অনেক অঞ্চলে উন্নত অ্যান্টিরেট্রোভাইরাল চিকিৎসা পৌঁছানোর ফলে এইডস মহামারি থেকে মৃত্যুর হার কমেছে। বেশির ভাগ এইডস আক্রান্ত রোগীই সাহারা-নিম্ন আফ্রিকাতে বাস করে।
এইডসকে বর্তমানে একটি মহামারি ব্যাধি হিসেবে গণ্য করা হয়, যা বিশ্বের বিশাল এক আয়তনজুড়ে বিদ্যমান এবং যা সক্রিয়ভাবে ছড়িয়ে পড়ছে। এইচআইভি ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত ব্যক্তির রক্ত গ্রহণ করলে বা তার ব্যবহৃত ইনজেকশনের সিরিঞ্জ বা সুঁচ ব্যবহার করলে একজন ব্যক্তি এইডস রোগে আক্রান্ত হতে পারেন। এইচআইভি ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত গর্ভবতী মায়ের শিশুরও আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে, যা গর্ভধারণের শেষদিকে বা প্রসবের সময় হতে পারে।
এইচআইভি ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত বেশির ভাগ রোগীই কোন লক্ষণ ছাড়া এ রোগ বহন করে। তবে কখনো কখনো এ ভাইরাসে আক্রান্ত হবার ৬ থেকে ৭ সপ্তাহ পরে কিছু অনির্দিষ্ট লক্ষণ দেখা দিতে পারে যেমন- জ্বর, গলা ব্যাথা, মাথা ব্যথা, ফুলে ওঠা লসিকা গ্রন্থি ইত্যাদি।
এইডস রোগের কোন চিকিৎসা এখনো পর্যন্ত পাওয়া যায়নি। গবেষকরা এ পর্যন্ত অনেক ঔষধ আবিষ্কার করেছেন। প্রথম শ্রেণীর ওষুধের নাম নিউক্লিওসাইড রিভার্স ট্রান্সক্রিপটেজ ইনহিবিটর, যা এইচআইভি ভাইরাসের সংক্রমণকে বিলম্বিত করে। দ্বিতীয় শ্রেণীর ওষুধের নাম প্রোটিয়েজ ইনহিবিটর যা এইচআইভি ভাইরাসের পুনরাবৃত্তিতে বাধা সৃষ্টি করে।
বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র (আইসিডিডিআর,বি) এবং জাতীয় এইডস নিবারণ ও নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচি পরিচালিত এ সমীক্ষায় দেখা যায়, বাংলাদেশে প্রতি ১০০ জন মাদকদ্রব্য গ্রহণকারীর মধ্যে অন্তত দুইজন এইচআইভি ভাইরাসের বাহক যা এইডস রোগ ঘটায়।
বাংলাদেশের ৬৪ জেলায়ই এইডস আক্রান্তরা ছড়িয়ে আছে। তবে পার্বত্য চট্টগ্রামের জেলাগুলোতে এ বিষয়ে নজরদারির সুযোগ সীমিত। লাখ লাখ বাংলাদেশি শ্রমিক মধ্যপ্রাচ্য আর ইউরোপে অভিবাসী হয়েছে। তারা সেখানে প্রধানত কায়িক শ্রম দেন। অভিবাসী শ্রমিকদের মধ্যে এইচআইভির সংক্রমণ বেশি এবং তা আরও বাড়ছে বলে গবেষণায় দেখা গেছে।
এইচআইভি সংক্রমণের কারণগুলো জেনে এ সম্পর্কে সচেতনতা সৃষ্টির মাধ্যমে এইডস প্রতিরোধ করা সম্ভব।
আরাফাত রহমান