alt

মতামত » চিঠিপত্র

চিঠি : সড়কে বাড়ছে লেন ঝরছে প্রাণ

: শনিবার, ১৬ ডিসেম্বর ২০২৩

মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন

দিন দিন বাড়ছে জনসংখ্যার চাপ। বাড়ছে যাতায়াত ব্যবস্থাতে ভোগান্তিও। অতিরিক্ত যানবাহন সামাল দিতে তাই তৈরী হচ্ছে নতুন নতুন সড়ক পরিকল্পনা। তৈরি হচ্ছে বহু লেন সড়ক পরিকল্পনা। দেশের বিভিন্ন জেলায় লেন বাড়ানোর জন্য করা হচ্ছে একটি বিধ্বংসি কাজ। মহাসড়কের দু’পাশ এর সারি সারি গাছ কেটে ফেলা হচ্ছে। বিভিন্ন গণমাধ্যমে দেখা যায় গাছ কাটার আগের ও পরের দৃশ্য। যেই স্থানটিতে মানুষ তপ্ত দুপুরে বৃক্ষ ছায়াতলে একটু স্বস্তির জন্য আশ্র?য় নিতো, আজ তা পরিণত হয়েছে তপ্ত তক্তায়। এ অবস্থা কেবল কিছু অঞ্চলে সীমাবদ্ধ থাকবে না। এর ভয়াল থাবা পড়বে প্রত্যেকটি অঞ্চলে।

প্রাকৃতিক পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় দেশের মোট ভূমির অন্তত ২৫ শতাংশ বনভূমি থাকা দরকার। সরকারি হিসাব অনুযায়ী, বাংলাদেশে বনভূমির পরিমাণ মাত্র ১৭ শতাংশ। বেসরকারি সংস্থাগুলো বলছে, দেশে বর্তমানে বনভূমির পরিমাণ মাত্র ৯ শতাংশ। আমাদের দেশে বৃক্ষ নিধনরোধে জনসচেনতামূলক একটি স্লোগান আছে, একটি গাছ কাটলে যেন দুটি গাছ লাগানো হয়। কিন্তু হচ্ছে তার বিপরীত। আবার জায়গা স্বল্পতার কারণে গাছ লাগানোই হচ্ছে না। বর্তমানে শহর অঞ্চলের পাশাপাশি গ্রামাঞ্চলেও ব্যাপক হারে নির্বিচার বৃক্ষ নিধনের ঘটনা ঘটছে। রেহাই পাচ্ছে না রাস্তার ধারের গাছগুলো।

বৃক্ষ নিধন নিয়ে আর্টিকেল, সেমিনার, ব্যানার অর্থ্যাৎ এর খারাপ দিক নিয়ে সচেতনামূলক কোনো কিছুরই অভাব নেই। হয়ত অনেক পরিবেশবাদী সংস্থার মাধ্যমে গাছ লাগানো হচ্ছে, অনেকে ব্যাক্তি উদ্যোগেও লাগিয়ে থাকেন। কিন্তু এইসকল কিছু কি পূরণ করতে পারবে সড়কের ধারে থাকা যুগ যুগ ধরে দাঁড়িয়ে থাকা সেসকল গাছের অভাব।

গাছপালাবিহীন সড়ক দিয়ে যাওয়ার সময় উপলব্ধি করা যায় কী পরিমাণ তাপদাহ বৃদ্ধি পেয়েছে। এইভাবে চলতে থাকলে চর্ম সমস্যাসহ ক্যান্সার এর প্রকোপ বেড়ে যাবে। ইতোমধ্যে এক জরিপে দেখা যায়, গত দশকের তুলনায় স্কিন ক্যান্সারসহ চর্ম রোগ অনেক বেশি বেড়ে গিয়েছে।

বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বিভিন্ন দিক থেকে এগিয়ে যাচ্ছে। অন্যদিকে পরিবেশ রক্ষা সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান ভয়াবহ খারাপ। এখন ই যদি সড়কপথের নকশা, লেন বৃদ্ধি করণ প্রক্রিয়া পরিবেশবান্ধব না করা যায় তবে আমাদের জন্য বহুলেনের পাশাপাশি তৈরি হবে মৃত্যুকূপ। সেই সাথে সামাজিক বনায়ন কর্মসূচি বৃদ্ধির লক্ষ্যে বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয়কে কাজ করতে হবে। ‘গাছ লাগান পরিবেশ বাঁচান’ এই হোক আমাদের প্রাণের স্লোগান।

অরবি মাহমুদ রিন্তী

গেন্ডারিয়ায় সড়ক ও ড্রেন সংস্কারে অনিয়ম: জনদূর্ভোগ বৃদ্ধি

প্রবীণদের সুরক্ষা ও মর্যাদা নিশ্চিত করা এখন সময়ের দাবি

পলিভিনাইলের ব্যবহার প্রতিরোধ জরুরি

বৈধ সনদধারীদের অধিকার নিশ্চিত করা জরুরি

টেকসই দুর্যোগ প্রস্তুতিতে জরুরি বাস্তব পদক্ষেপ প্রয়োজন

জলবায়ু পরিবর্তন ও নারী ও কিশোরীদের ঝুঁকি

মেধা হারাচ্ছে দেশ

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় : অযৌক্তিক ফি, সেশনজট ও প্রশাসনিক বিশৃঙ্খলায় বিপর্যস্ত শিক্ষার্থী

সামাজিক মাধ্যমের ভুবনে জনতুষ্টিবাদের নতুন রূপ

ভেজাল খেজুরগুড় ও স্বাস্থ্যঝুঁকি

হাসপাতাল ব্যবস্থাপনায় প্রশাসনিক ক্যাডারের প্রয়োজনীয়তা

প্লাস্টিক বর্জ্যে মাছের মৃত্যু: সমাধান কোথায়

খোলা ম্যানহোল: ঢাকার রাজপথে এক নীরব মরণফাঁদ

গণপরিবহন: প্রতিদিনের যন্ত্রণার শেষ কবে?

ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পের পুনর্জাগরণ

সাইবার বুলিং ও ভার্চুয়াল অপরাধ: তরুণদের অদৃশ্য বিপদ

ওয়াসার খোঁড়াখুঁড়িতে নগরজীবনের চরম ভোগান্তি

রাবি মেডিকেল সেন্টারের সংস্কার চাই

চিংড়ি শিল্পের পরিবেশগত প্রভাব

কক্সবাজার: উন্নয়নের পথে, বিপন্ন প্রকৃতি

চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের প্রেক্ষাপটে নতুন সম্ভাবনার ভোর

প্রাথমিক শিক্ষকদের বঞ্চনা দূর না হলে মানোন্নয়ন অসম্ভব

রাবির আবাসন সংকট

সব হাসপাতালে ফিজিক্যাল মেডিসিন ও রিহ্যাবিলিটেশন সেবা চালু করা হোক

ডেঙ্গু মোকাবিলায় সচেতনতা

পানি সংকট: জীবন ও সভ্যতার জন্য বিরাট হুমকি

ই-লার্নিং: সীমান্তহীন শিক্ষার নতুন দিগন্ত

আজিমপুর কলোনির অব্যবস্থাপনা

জনস্বাস্থ্যের নীরব ঘাতক : তামাকজাত পণ্য

বিশ্ব র‌্যাংকিংয়ে বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়: অবস্থান, চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনা

ইন্দো-প্যাসিফিক রাজনীতি ও বাংলাদেশের সমুদ্রকৌশল

বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্টিফিকেট: দীর্ঘসূত্রতা ও ভোগান্তির শেষ কোথায়?

পুরান ঢাকার রাস্তাগুলোর বেহাল অবস্থা

নিরাপদ শিশু খাদ্য: জাতির ভবিষ্যতের প্রশ্ন

ট্রেনের শিডিউল বিপর্যয়: প্রতিদিনের দুঃস্বপ্ন

পানি ও খাদ্য নিরাপত্তা

tab

মতামত » চিঠিপত্র

চিঠি : সড়কে বাড়ছে লেন ঝরছে প্রাণ

মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন

শনিবার, ১৬ ডিসেম্বর ২০২৩

দিন দিন বাড়ছে জনসংখ্যার চাপ। বাড়ছে যাতায়াত ব্যবস্থাতে ভোগান্তিও। অতিরিক্ত যানবাহন সামাল দিতে তাই তৈরী হচ্ছে নতুন নতুন সড়ক পরিকল্পনা। তৈরি হচ্ছে বহু লেন সড়ক পরিকল্পনা। দেশের বিভিন্ন জেলায় লেন বাড়ানোর জন্য করা হচ্ছে একটি বিধ্বংসি কাজ। মহাসড়কের দু’পাশ এর সারি সারি গাছ কেটে ফেলা হচ্ছে। বিভিন্ন গণমাধ্যমে দেখা যায় গাছ কাটার আগের ও পরের দৃশ্য। যেই স্থানটিতে মানুষ তপ্ত দুপুরে বৃক্ষ ছায়াতলে একটু স্বস্তির জন্য আশ্র?য় নিতো, আজ তা পরিণত হয়েছে তপ্ত তক্তায়। এ অবস্থা কেবল কিছু অঞ্চলে সীমাবদ্ধ থাকবে না। এর ভয়াল থাবা পড়বে প্রত্যেকটি অঞ্চলে।

প্রাকৃতিক পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় দেশের মোট ভূমির অন্তত ২৫ শতাংশ বনভূমি থাকা দরকার। সরকারি হিসাব অনুযায়ী, বাংলাদেশে বনভূমির পরিমাণ মাত্র ১৭ শতাংশ। বেসরকারি সংস্থাগুলো বলছে, দেশে বর্তমানে বনভূমির পরিমাণ মাত্র ৯ শতাংশ। আমাদের দেশে বৃক্ষ নিধনরোধে জনসচেনতামূলক একটি স্লোগান আছে, একটি গাছ কাটলে যেন দুটি গাছ লাগানো হয়। কিন্তু হচ্ছে তার বিপরীত। আবার জায়গা স্বল্পতার কারণে গাছ লাগানোই হচ্ছে না। বর্তমানে শহর অঞ্চলের পাশাপাশি গ্রামাঞ্চলেও ব্যাপক হারে নির্বিচার বৃক্ষ নিধনের ঘটনা ঘটছে। রেহাই পাচ্ছে না রাস্তার ধারের গাছগুলো।

বৃক্ষ নিধন নিয়ে আর্টিকেল, সেমিনার, ব্যানার অর্থ্যাৎ এর খারাপ দিক নিয়ে সচেতনামূলক কোনো কিছুরই অভাব নেই। হয়ত অনেক পরিবেশবাদী সংস্থার মাধ্যমে গাছ লাগানো হচ্ছে, অনেকে ব্যাক্তি উদ্যোগেও লাগিয়ে থাকেন। কিন্তু এইসকল কিছু কি পূরণ করতে পারবে সড়কের ধারে থাকা যুগ যুগ ধরে দাঁড়িয়ে থাকা সেসকল গাছের অভাব।

গাছপালাবিহীন সড়ক দিয়ে যাওয়ার সময় উপলব্ধি করা যায় কী পরিমাণ তাপদাহ বৃদ্ধি পেয়েছে। এইভাবে চলতে থাকলে চর্ম সমস্যাসহ ক্যান্সার এর প্রকোপ বেড়ে যাবে। ইতোমধ্যে এক জরিপে দেখা যায়, গত দশকের তুলনায় স্কিন ক্যান্সারসহ চর্ম রোগ অনেক বেশি বেড়ে গিয়েছে।

বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বিভিন্ন দিক থেকে এগিয়ে যাচ্ছে। অন্যদিকে পরিবেশ রক্ষা সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান ভয়াবহ খারাপ। এখন ই যদি সড়কপথের নকশা, লেন বৃদ্ধি করণ প্রক্রিয়া পরিবেশবান্ধব না করা যায় তবে আমাদের জন্য বহুলেনের পাশাপাশি তৈরি হবে মৃত্যুকূপ। সেই সাথে সামাজিক বনায়ন কর্মসূচি বৃদ্ধির লক্ষ্যে বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয়কে কাজ করতে হবে। ‘গাছ লাগান পরিবেশ বাঁচান’ এই হোক আমাদের প্রাণের স্লোগান।

অরবি মাহমুদ রিন্তী

back to top