মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন
দিন দিন বাড়ছে জনসংখ্যার চাপ। বাড়ছে যাতায়াত ব্যবস্থাতে ভোগান্তিও। অতিরিক্ত যানবাহন সামাল দিতে তাই তৈরী হচ্ছে নতুন নতুন সড়ক পরিকল্পনা। তৈরি হচ্ছে বহু লেন সড়ক পরিকল্পনা। দেশের বিভিন্ন জেলায় লেন বাড়ানোর জন্য করা হচ্ছে একটি বিধ্বংসি কাজ। মহাসড়কের দু’পাশ এর সারি সারি গাছ কেটে ফেলা হচ্ছে। বিভিন্ন গণমাধ্যমে দেখা যায় গাছ কাটার আগের ও পরের দৃশ্য। যেই স্থানটিতে মানুষ তপ্ত দুপুরে বৃক্ষ ছায়াতলে একটু স্বস্তির জন্য আশ্র?য় নিতো, আজ তা পরিণত হয়েছে তপ্ত তক্তায়। এ অবস্থা কেবল কিছু অঞ্চলে সীমাবদ্ধ থাকবে না। এর ভয়াল থাবা পড়বে প্রত্যেকটি অঞ্চলে।
প্রাকৃতিক পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় দেশের মোট ভূমির অন্তত ২৫ শতাংশ বনভূমি থাকা দরকার। সরকারি হিসাব অনুযায়ী, বাংলাদেশে বনভূমির পরিমাণ মাত্র ১৭ শতাংশ। বেসরকারি সংস্থাগুলো বলছে, দেশে বর্তমানে বনভূমির পরিমাণ মাত্র ৯ শতাংশ। আমাদের দেশে বৃক্ষ নিধনরোধে জনসচেনতামূলক একটি স্লোগান আছে, একটি গাছ কাটলে যেন দুটি গাছ লাগানো হয়। কিন্তু হচ্ছে তার বিপরীত। আবার জায়গা স্বল্পতার কারণে গাছ লাগানোই হচ্ছে না। বর্তমানে শহর অঞ্চলের পাশাপাশি গ্রামাঞ্চলেও ব্যাপক হারে নির্বিচার বৃক্ষ নিধনের ঘটনা ঘটছে। রেহাই পাচ্ছে না রাস্তার ধারের গাছগুলো।
বৃক্ষ নিধন নিয়ে আর্টিকেল, সেমিনার, ব্যানার অর্থ্যাৎ এর খারাপ দিক নিয়ে সচেতনামূলক কোনো কিছুরই অভাব নেই। হয়ত অনেক পরিবেশবাদী সংস্থার মাধ্যমে গাছ লাগানো হচ্ছে, অনেকে ব্যাক্তি উদ্যোগেও লাগিয়ে থাকেন। কিন্তু এইসকল কিছু কি পূরণ করতে পারবে সড়কের ধারে থাকা যুগ যুগ ধরে দাঁড়িয়ে থাকা সেসকল গাছের অভাব।
গাছপালাবিহীন সড়ক দিয়ে যাওয়ার সময় উপলব্ধি করা যায় কী পরিমাণ তাপদাহ বৃদ্ধি পেয়েছে। এইভাবে চলতে থাকলে চর্ম সমস্যাসহ ক্যান্সার এর প্রকোপ বেড়ে যাবে। ইতোমধ্যে এক জরিপে দেখা যায়, গত দশকের তুলনায় স্কিন ক্যান্সারসহ চর্ম রোগ অনেক বেশি বেড়ে গিয়েছে।
বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বিভিন্ন দিক থেকে এগিয়ে যাচ্ছে। অন্যদিকে পরিবেশ রক্ষা সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান ভয়াবহ খারাপ। এখন ই যদি সড়কপথের নকশা, লেন বৃদ্ধি করণ প্রক্রিয়া পরিবেশবান্ধব না করা যায় তবে আমাদের জন্য বহুলেনের পাশাপাশি তৈরি হবে মৃত্যুকূপ। সেই সাথে সামাজিক বনায়ন কর্মসূচি বৃদ্ধির লক্ষ্যে বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয়কে কাজ করতে হবে। ‘গাছ লাগান পরিবেশ বাঁচান’ এই হোক আমাদের প্রাণের স্লোগান।
অরবি মাহমুদ রিন্তী
মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন
শনিবার, ১৬ ডিসেম্বর ২০২৩
দিন দিন বাড়ছে জনসংখ্যার চাপ। বাড়ছে যাতায়াত ব্যবস্থাতে ভোগান্তিও। অতিরিক্ত যানবাহন সামাল দিতে তাই তৈরী হচ্ছে নতুন নতুন সড়ক পরিকল্পনা। তৈরি হচ্ছে বহু লেন সড়ক পরিকল্পনা। দেশের বিভিন্ন জেলায় লেন বাড়ানোর জন্য করা হচ্ছে একটি বিধ্বংসি কাজ। মহাসড়কের দু’পাশ এর সারি সারি গাছ কেটে ফেলা হচ্ছে। বিভিন্ন গণমাধ্যমে দেখা যায় গাছ কাটার আগের ও পরের দৃশ্য। যেই স্থানটিতে মানুষ তপ্ত দুপুরে বৃক্ষ ছায়াতলে একটু স্বস্তির জন্য আশ্র?য় নিতো, আজ তা পরিণত হয়েছে তপ্ত তক্তায়। এ অবস্থা কেবল কিছু অঞ্চলে সীমাবদ্ধ থাকবে না। এর ভয়াল থাবা পড়বে প্রত্যেকটি অঞ্চলে।
প্রাকৃতিক পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় দেশের মোট ভূমির অন্তত ২৫ শতাংশ বনভূমি থাকা দরকার। সরকারি হিসাব অনুযায়ী, বাংলাদেশে বনভূমির পরিমাণ মাত্র ১৭ শতাংশ। বেসরকারি সংস্থাগুলো বলছে, দেশে বর্তমানে বনভূমির পরিমাণ মাত্র ৯ শতাংশ। আমাদের দেশে বৃক্ষ নিধনরোধে জনসচেনতামূলক একটি স্লোগান আছে, একটি গাছ কাটলে যেন দুটি গাছ লাগানো হয়। কিন্তু হচ্ছে তার বিপরীত। আবার জায়গা স্বল্পতার কারণে গাছ লাগানোই হচ্ছে না। বর্তমানে শহর অঞ্চলের পাশাপাশি গ্রামাঞ্চলেও ব্যাপক হারে নির্বিচার বৃক্ষ নিধনের ঘটনা ঘটছে। রেহাই পাচ্ছে না রাস্তার ধারের গাছগুলো।
বৃক্ষ নিধন নিয়ে আর্টিকেল, সেমিনার, ব্যানার অর্থ্যাৎ এর খারাপ দিক নিয়ে সচেতনামূলক কোনো কিছুরই অভাব নেই। হয়ত অনেক পরিবেশবাদী সংস্থার মাধ্যমে গাছ লাগানো হচ্ছে, অনেকে ব্যাক্তি উদ্যোগেও লাগিয়ে থাকেন। কিন্তু এইসকল কিছু কি পূরণ করতে পারবে সড়কের ধারে থাকা যুগ যুগ ধরে দাঁড়িয়ে থাকা সেসকল গাছের অভাব।
গাছপালাবিহীন সড়ক দিয়ে যাওয়ার সময় উপলব্ধি করা যায় কী পরিমাণ তাপদাহ বৃদ্ধি পেয়েছে। এইভাবে চলতে থাকলে চর্ম সমস্যাসহ ক্যান্সার এর প্রকোপ বেড়ে যাবে। ইতোমধ্যে এক জরিপে দেখা যায়, গত দশকের তুলনায় স্কিন ক্যান্সারসহ চর্ম রোগ অনেক বেশি বেড়ে গিয়েছে।
বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বিভিন্ন দিক থেকে এগিয়ে যাচ্ছে। অন্যদিকে পরিবেশ রক্ষা সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান ভয়াবহ খারাপ। এখন ই যদি সড়কপথের নকশা, লেন বৃদ্ধি করণ প্রক্রিয়া পরিবেশবান্ধব না করা যায় তবে আমাদের জন্য বহুলেনের পাশাপাশি তৈরি হবে মৃত্যুকূপ। সেই সাথে সামাজিক বনায়ন কর্মসূচি বৃদ্ধির লক্ষ্যে বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয়কে কাজ করতে হবে। ‘গাছ লাগান পরিবেশ বাঁচান’ এই হোক আমাদের প্রাণের স্লোগান।
অরবি মাহমুদ রিন্তী