মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন
বাংলাদেশ সৃষ্টির আগেও এবং পরেও ছাত্র সংগঠনগুলোর ভূমিকা ছিল অপরিসীম। ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন, ১৯৬৯ সালের গণঅভ্যুত্থান, ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধ এ সব কিছুতেই ছাত্র সংগঠনগুলো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে, এবং বিভিন্ন সময়ে সরকারকে আইনের মধ্যে রাখতে বাধ্য করেছিল ছাত্র সংগঠনগুলো।
কিন্তু বিগত কয়েক দশকে ছাত্র রাজনীতি তার অতীতের গৌরবময় ইতিহাস ভুলে দলীয় লেজুড়বৃত্তিক রাজনৈতিক ছাত্র সংগঠনে পরিণত হয়েছে। যেখানে তাদের উচিত ছিল শিক্ষার্থীদের ন্যায্য দাবি রাষ্ট্র ও প্রতিষ্ঠানের কাছে তুলে ধরা এবং দাবির পক্ষে ঐক্যবদ্ধ থাকা, সেখানে তারা দলীয় এজেন্ডা বাস্তবায়নে কাজ করছে। দশকের পর দশক তারা শিক্ষার্থীদের দাবি আদায়ের বদলে দলীয় স্বার্থে কাজ করে আসছে এবং ছাত্র শব্দটিকে কলঙ্কিত করেছে বারবার। তাদের ভূমিকা শিক্ষার্থীদের অধিকার রক্ষা করা নয়, বরং দলীয় স্বার্থে কাজ করা এবং তাদের দলকে রক্ষা করা।
যদি তরুণ নেতৃত্ব সংকটের প্রশ্ন ওঠে, তাহলে ক্যাম্পাসে বিভিন্ন সামাজিক ও অরাজনৈতিক সংগঠনকে আরও শক্তিশালী করা যেতে পারে। পাশাপাশি কার্যকর ছাত্র সংসদ নির্বাচন চালু করা হলে সৎ, যোগ্য, এবং মেধাবী নেতৃত্ব উঠে আসবে। ক্যাম্পাসে যারা ছাত্র রাজনীতি চায়, তাদের বেশিরভাগেরই ছাত্রত্বের মেয়াদ শেষ হয়েছে বা প্রায় শেষের পথে। তাদের মধ্যে কেউ কেউ এমন আছেন যে,তাদের বয়স অনেক শিক্ষার্থীদের বাবার বয়সের সমান,এবং ক্যাম্পাসে তাদের জনপ্রিয়তা নেই এবং নিয়মিত কোর্সেরও মেয়াদ শেষ হয়েছে অনেক আগে।
ছাত্র সংসদ চালু হলে সাধারণ শিক্ষার্থীরা যোগ্য নেতৃত্বকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করবে, যারা শিক্ষার্থীদের দাবি নিয়ে কাজ করবে এবং পরামর্শ গ্রহণ করবে। এতে করে চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, এবং অবৈধ উপার্জনের পথ বন্ধ হয়ে যাবে এবং ছাত্র সংগঠনগুলোর নেতারা ভোটের মাঠে হেরে যাবে, যা তারা মানতে চায় না।
দেশ যদি ক্যাম্পাসে ছাত্র-শিক্ষক রাজনীতি নিষিদ্ধ করে, তাহলে দেশের শিক্ষাঙ্গন গবেষণা ও উদ্ভাবনের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হবে। এতে সৎ, যোগ্য, এবং সাহসী নেতৃত্ব উঠে আসবে, যা দেশকে দ্রুতগতিতে এগিয়ে নিয়ে যাবে।
হেলাল মিয়া
শিক্ষার্থী, ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগ
বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, রংপুর।
মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন
সোমবার, ০৭ অক্টোবর ২০২৪
বাংলাদেশ সৃষ্টির আগেও এবং পরেও ছাত্র সংগঠনগুলোর ভূমিকা ছিল অপরিসীম। ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন, ১৯৬৯ সালের গণঅভ্যুত্থান, ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধ এ সব কিছুতেই ছাত্র সংগঠনগুলো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে, এবং বিভিন্ন সময়ে সরকারকে আইনের মধ্যে রাখতে বাধ্য করেছিল ছাত্র সংগঠনগুলো।
কিন্তু বিগত কয়েক দশকে ছাত্র রাজনীতি তার অতীতের গৌরবময় ইতিহাস ভুলে দলীয় লেজুড়বৃত্তিক রাজনৈতিক ছাত্র সংগঠনে পরিণত হয়েছে। যেখানে তাদের উচিত ছিল শিক্ষার্থীদের ন্যায্য দাবি রাষ্ট্র ও প্রতিষ্ঠানের কাছে তুলে ধরা এবং দাবির পক্ষে ঐক্যবদ্ধ থাকা, সেখানে তারা দলীয় এজেন্ডা বাস্তবায়নে কাজ করছে। দশকের পর দশক তারা শিক্ষার্থীদের দাবি আদায়ের বদলে দলীয় স্বার্থে কাজ করে আসছে এবং ছাত্র শব্দটিকে কলঙ্কিত করেছে বারবার। তাদের ভূমিকা শিক্ষার্থীদের অধিকার রক্ষা করা নয়, বরং দলীয় স্বার্থে কাজ করা এবং তাদের দলকে রক্ষা করা।
যদি তরুণ নেতৃত্ব সংকটের প্রশ্ন ওঠে, তাহলে ক্যাম্পাসে বিভিন্ন সামাজিক ও অরাজনৈতিক সংগঠনকে আরও শক্তিশালী করা যেতে পারে। পাশাপাশি কার্যকর ছাত্র সংসদ নির্বাচন চালু করা হলে সৎ, যোগ্য, এবং মেধাবী নেতৃত্ব উঠে আসবে। ক্যাম্পাসে যারা ছাত্র রাজনীতি চায়, তাদের বেশিরভাগেরই ছাত্রত্বের মেয়াদ শেষ হয়েছে বা প্রায় শেষের পথে। তাদের মধ্যে কেউ কেউ এমন আছেন যে,তাদের বয়স অনেক শিক্ষার্থীদের বাবার বয়সের সমান,এবং ক্যাম্পাসে তাদের জনপ্রিয়তা নেই এবং নিয়মিত কোর্সেরও মেয়াদ শেষ হয়েছে অনেক আগে।
ছাত্র সংসদ চালু হলে সাধারণ শিক্ষার্থীরা যোগ্য নেতৃত্বকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করবে, যারা শিক্ষার্থীদের দাবি নিয়ে কাজ করবে এবং পরামর্শ গ্রহণ করবে। এতে করে চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, এবং অবৈধ উপার্জনের পথ বন্ধ হয়ে যাবে এবং ছাত্র সংগঠনগুলোর নেতারা ভোটের মাঠে হেরে যাবে, যা তারা মানতে চায় না।
দেশ যদি ক্যাম্পাসে ছাত্র-শিক্ষক রাজনীতি নিষিদ্ধ করে, তাহলে দেশের শিক্ষাঙ্গন গবেষণা ও উদ্ভাবনের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হবে। এতে সৎ, যোগ্য, এবং সাহসী নেতৃত্ব উঠে আসবে, যা দেশকে দ্রুতগতিতে এগিয়ে নিয়ে যাবে।
হেলাল মিয়া
শিক্ষার্থী, ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগ
বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, রংপুর।