alt

মতামত » চিঠিপত্র

ক্যাম্পাসে ছাত্র-শিক্ষক রাজনীতি

: সোমবার, ০৭ অক্টোবর ২০২৪

মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন

বাংলাদেশ সৃষ্টির আগেও এবং পরেও ছাত্র সংগঠনগুলোর ভূমিকা ছিল অপরিসীম। ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন, ১৯৬৯ সালের গণঅভ্যুত্থান, ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধ এ সব কিছুতেই ছাত্র সংগঠনগুলো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে, এবং বিভিন্ন সময়ে সরকারকে আইনের মধ্যে রাখতে বাধ্য করেছিল ছাত্র সংগঠনগুলো।

কিন্তু বিগত কয়েক দশকে ছাত্র রাজনীতি তার অতীতের গৌরবময় ইতিহাস ভুলে দলীয় লেজুড়বৃত্তিক রাজনৈতিক ছাত্র সংগঠনে পরিণত হয়েছে। যেখানে তাদের উচিত ছিল শিক্ষার্থীদের ন্যায্য দাবি রাষ্ট্র ও প্রতিষ্ঠানের কাছে তুলে ধরা এবং দাবির পক্ষে ঐক্যবদ্ধ থাকা, সেখানে তারা দলীয় এজেন্ডা বাস্তবায়নে কাজ করছে। দশকের পর দশক তারা শিক্ষার্থীদের দাবি আদায়ের বদলে দলীয় স্বার্থে কাজ করে আসছে এবং ছাত্র শব্দটিকে কলঙ্কিত করেছে বারবার। তাদের ভূমিকা শিক্ষার্থীদের অধিকার রক্ষা করা নয়, বরং দলীয় স্বার্থে কাজ করা এবং তাদের দলকে রক্ষা করা।

যদি তরুণ নেতৃত্ব সংকটের প্রশ্ন ওঠে, তাহলে ক্যাম্পাসে বিভিন্ন সামাজিক ও অরাজনৈতিক সংগঠনকে আরও শক্তিশালী করা যেতে পারে। পাশাপাশি কার্যকর ছাত্র সংসদ নির্বাচন চালু করা হলে সৎ, যোগ্য, এবং মেধাবী নেতৃত্ব উঠে আসবে। ক্যাম্পাসে যারা ছাত্র রাজনীতি চায়, তাদের বেশিরভাগেরই ছাত্রত্বের মেয়াদ শেষ হয়েছে বা প্রায় শেষের পথে। তাদের মধ্যে কেউ কেউ এমন আছেন যে,তাদের বয়স অনেক শিক্ষার্থীদের বাবার বয়সের সমান,এবং ক্যাম্পাসে তাদের জনপ্রিয়তা নেই এবং নিয়মিত কোর্সেরও মেয়াদ শেষ হয়েছে অনেক আগে।

ছাত্র সংসদ চালু হলে সাধারণ শিক্ষার্থীরা যোগ্য নেতৃত্বকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করবে, যারা শিক্ষার্থীদের দাবি নিয়ে কাজ করবে এবং পরামর্শ গ্রহণ করবে। এতে করে চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, এবং অবৈধ উপার্জনের পথ বন্ধ হয়ে যাবে এবং ছাত্র সংগঠনগুলোর নেতারা ভোটের মাঠে হেরে যাবে, যা তারা মানতে চায় না।

দেশ যদি ক্যাম্পাসে ছাত্র-শিক্ষক রাজনীতি নিষিদ্ধ করে, তাহলে দেশের শিক্ষাঙ্গন গবেষণা ও উদ্ভাবনের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হবে। এতে সৎ, যোগ্য, এবং সাহসী নেতৃত্ব উঠে আসবে, যা দেশকে দ্রুতগতিতে এগিয়ে নিয়ে যাবে।

হেলাল মিয়া

শিক্ষার্থী, ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগ

বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, রংপুর।

মেধা হারাচ্ছে দেশ

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় : অযৌক্তিক ফি, সেশনজট ও প্রশাসনিক বিশৃঙ্খলায় বিপর্যস্ত শিক্ষার্থী

সামাজিক মাধ্যমের ভুবনে জনতুষ্টিবাদের নতুন রূপ

ভেজাল খেজুরগুড় ও স্বাস্থ্যঝুঁকি

হাসপাতাল ব্যবস্থাপনায় প্রশাসনিক ক্যাডারের প্রয়োজনীয়তা

প্লাস্টিক বর্জ্যে মাছের মৃত্যু: সমাধান কোথায়

খোলা ম্যানহোল: ঢাকার রাজপথে এক নীরব মরণফাঁদ

গণপরিবহন: প্রতিদিনের যন্ত্রণার শেষ কবে?

ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পের পুনর্জাগরণ

সাইবার বুলিং ও ভার্চুয়াল অপরাধ: তরুণদের অদৃশ্য বিপদ

ওয়াসার খোঁড়াখুঁড়িতে নগরজীবনের চরম ভোগান্তি

রাবি মেডিকেল সেন্টারের সংস্কার চাই

চিংড়ি শিল্পের পরিবেশগত প্রভাব

কক্সবাজার: উন্নয়নের পথে, বিপন্ন প্রকৃতি

চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের প্রেক্ষাপটে নতুন সম্ভাবনার ভোর

প্রাথমিক শিক্ষকদের বঞ্চনা দূর না হলে মানোন্নয়ন অসম্ভব

রাবির আবাসন সংকট

সব হাসপাতালে ফিজিক্যাল মেডিসিন ও রিহ্যাবিলিটেশন সেবা চালু করা হোক

ডেঙ্গু মোকাবিলায় সচেতনতা

পানি সংকট: জীবন ও সভ্যতার জন্য বিরাট হুমকি

ই-লার্নিং: সীমান্তহীন শিক্ষার নতুন দিগন্ত

আজিমপুর কলোনির অব্যবস্থাপনা

জনস্বাস্থ্যের নীরব ঘাতক : তামাকজাত পণ্য

বিশ্ব র‌্যাংকিংয়ে বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়: অবস্থান, চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনা

ইন্দো-প্যাসিফিক রাজনীতি ও বাংলাদেশের সমুদ্রকৌশল

বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্টিফিকেট: দীর্ঘসূত্রতা ও ভোগান্তির শেষ কোথায়?

পুরান ঢাকার রাস্তাগুলোর বেহাল অবস্থা

নিরাপদ শিশু খাদ্য: জাতির ভবিষ্যতের প্রশ্ন

ট্রেনের শিডিউল বিপর্যয়: প্রতিদিনের দুঃস্বপ্ন

পানি ও খাদ্য নিরাপত্তা

হেমন্ত আসে হিম কুয়াশার চাদর মুড়ি দিয়ে

জীবনের অভিধানে প্রবীণদের স্থান কোথায়?

নীরবতা নয়, বলতে শেখ

সুন্দরবনে টেকসই পর্যটন মাস্টারপ্ল্যান বাস্তবায়নের সম্ভাবনা ও করণীয়

প্রথার নামে প্রথাগত শোষণ: উচ্চ কাবিনের ফাঁদ

শিক্ষা ব্যবস্থা পরিবর্তনের প্রয়োজনীয়তা

tab

মতামত » চিঠিপত্র

ক্যাম্পাসে ছাত্র-শিক্ষক রাজনীতি

মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন

সোমবার, ০৭ অক্টোবর ২০২৪

বাংলাদেশ সৃষ্টির আগেও এবং পরেও ছাত্র সংগঠনগুলোর ভূমিকা ছিল অপরিসীম। ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন, ১৯৬৯ সালের গণঅভ্যুত্থান, ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধ এ সব কিছুতেই ছাত্র সংগঠনগুলো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে, এবং বিভিন্ন সময়ে সরকারকে আইনের মধ্যে রাখতে বাধ্য করেছিল ছাত্র সংগঠনগুলো।

কিন্তু বিগত কয়েক দশকে ছাত্র রাজনীতি তার অতীতের গৌরবময় ইতিহাস ভুলে দলীয় লেজুড়বৃত্তিক রাজনৈতিক ছাত্র সংগঠনে পরিণত হয়েছে। যেখানে তাদের উচিত ছিল শিক্ষার্থীদের ন্যায্য দাবি রাষ্ট্র ও প্রতিষ্ঠানের কাছে তুলে ধরা এবং দাবির পক্ষে ঐক্যবদ্ধ থাকা, সেখানে তারা দলীয় এজেন্ডা বাস্তবায়নে কাজ করছে। দশকের পর দশক তারা শিক্ষার্থীদের দাবি আদায়ের বদলে দলীয় স্বার্থে কাজ করে আসছে এবং ছাত্র শব্দটিকে কলঙ্কিত করেছে বারবার। তাদের ভূমিকা শিক্ষার্থীদের অধিকার রক্ষা করা নয়, বরং দলীয় স্বার্থে কাজ করা এবং তাদের দলকে রক্ষা করা।

যদি তরুণ নেতৃত্ব সংকটের প্রশ্ন ওঠে, তাহলে ক্যাম্পাসে বিভিন্ন সামাজিক ও অরাজনৈতিক সংগঠনকে আরও শক্তিশালী করা যেতে পারে। পাশাপাশি কার্যকর ছাত্র সংসদ নির্বাচন চালু করা হলে সৎ, যোগ্য, এবং মেধাবী নেতৃত্ব উঠে আসবে। ক্যাম্পাসে যারা ছাত্র রাজনীতি চায়, তাদের বেশিরভাগেরই ছাত্রত্বের মেয়াদ শেষ হয়েছে বা প্রায় শেষের পথে। তাদের মধ্যে কেউ কেউ এমন আছেন যে,তাদের বয়স অনেক শিক্ষার্থীদের বাবার বয়সের সমান,এবং ক্যাম্পাসে তাদের জনপ্রিয়তা নেই এবং নিয়মিত কোর্সেরও মেয়াদ শেষ হয়েছে অনেক আগে।

ছাত্র সংসদ চালু হলে সাধারণ শিক্ষার্থীরা যোগ্য নেতৃত্বকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করবে, যারা শিক্ষার্থীদের দাবি নিয়ে কাজ করবে এবং পরামর্শ গ্রহণ করবে। এতে করে চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, এবং অবৈধ উপার্জনের পথ বন্ধ হয়ে যাবে এবং ছাত্র সংগঠনগুলোর নেতারা ভোটের মাঠে হেরে যাবে, যা তারা মানতে চায় না।

দেশ যদি ক্যাম্পাসে ছাত্র-শিক্ষক রাজনীতি নিষিদ্ধ করে, তাহলে দেশের শিক্ষাঙ্গন গবেষণা ও উদ্ভাবনের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হবে। এতে সৎ, যোগ্য, এবং সাহসী নেতৃত্ব উঠে আসবে, যা দেশকে দ্রুতগতিতে এগিয়ে নিয়ে যাবে।

হেলাল মিয়া

শিক্ষার্থী, ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগ

বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, রংপুর।

back to top