alt

চিঠিপত্র

রেমিট্যান্স যোদ্ধার জীবন

: শনিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৪

মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন

একটি দেশ এবং জাতির বৃহত্তর স্বার্থে রেমিট্যান্স যোদ্ধারা তাদের আত্মনিয়োগ করে থাকেন। দেশের ক্রান্তিকালে রেমিট্যান্স যোদ্ধারা ত্রাণকর্তা হিসেবে অগ্রসৈনিকের ভূমিকা পালন করে থাকেন।

প্রবাস জীবনের সাথে জড়িয়ে আছে হাজারো সুখ-দুঃখের কান্না জড়িত গল্প। একজন রেমিট্যান্স যোদ্ধাকে তার পরিবারের মায়া ত্যাগ করে পাড়ি দিতে হয় বিদেশে। তবে বিদেশ যাওয়ার এই যাত্রায় তাকে সম্মুখীন হতে হয় বিভিন্ন প্রকার বাঁধা ও দালাল শ্রেণির খপ্পরে।

একজন রেমিট্যান্স যোদ্ধার জন্য প্রথম বাধা হয়ে দাঁড়ায় তার পরিবারের আর্থিক অসচ্ছলতা। আর্থিক এই অসচ্ছলতার পরেই তাকে সম্মুখীন হতে হয় পাসপোর্ট, ভিসা প্রসেসিং জটিলতা, সিন্ডিকেটের দৌরাত্ম্য যেখান থেকে সমাধানের পথ হিসেবে উৎপত্তি হয় দালাল শ্রেণির। দালালদের খপ্পরে পড়ে সর্বস্বান্ত হয়ে অনেকের বিদেশ যাওয়ার স্বপ্ন ভঙ্গ হয় তবে বেশির ভাগ রেমিট্যান্স যোদ্ধা শেষ পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরের প্রতিকূলতাকে কাটিয়ে বিদেশে পাড়ি জমাতে সক্ষম হন।

প্রবাস জীবন শুরুতে প্রতি মুহূর্তে অজানা পরিবেশে রেমিট্যান্স যোদ্ধাকে সম্মুখীন হতে হয় বিভিন্ন প্রতিকূল অবস্থা ও পরিস্থিতির। এতো প্রতিকূলতার পরেও একজন রেমিট্যান্স যোদ্ধা তার নিজের সুখ-দুঃখকে বিসর্জন দিয়ে পরিবারের সচ্ছলতা ফেরাতে এবং দেশের অর্থনীতিকে সমৃদ্ধ করতে নিজেকে প্রবাস জীবনে আত্মনিয়োগ করেন।

বিভিন্ন আনন্দ উৎসব ঈদের খুশিতে যখন পরিবার-পরিজন অত্যন্ত আনন্দ ও উৎসবময় সময় কাটায় তখন প্রবাসে পরিবার-পরিজনহীন প্রবাসীর সময় কাটে উৎসব-আমেজহীন একটি নিরানন্দ পরিবেশে। তবুও নিজের খুশিকে বিসর্জন দিয়ে পরিবারের সকলের মুখে হাসি ফুটাতে মাস শেষে একজন রেমিট্যান্স যোদ্ধা তার উপার্জিত অর্থ পাঠিয়ে দিচ্ছেন পরিবারের কাছে। নিজের চাহিদা অপূর্ণ রেখে পরিবারের চাহিদা প্রতিনিয়ত পূরণ করে যাচ্ছেন; কিন্তু দিন শেষে তাদের কোনো অভিযোগ, আক্ষেপ নেই। তাদের কষ্টের কথাগুলো পরিবারের কাছে গোপন রেখে হাসি-মুখে পরিবারে সব চাহিদা পূরণ করে নিজেরা পরিতৃপ্ত হচ্ছেন।

একজন রেমিট্যান্স যোদ্ধার জীবনে সবচেয়ে কষ্টকর মুহূর্ত নেমে আসে যখন সে শুনতে পায় তার কাছে কোনো আপনজন মারা গেছেন কিন্তু শত চেষ্টা করলেও সেই মানুষটিকে শেষবারের মতো কাছে থেকে দেখা সম্ভব নয়। সেই হৃদয়বিদারক মুহূর্তে একজন রেমিট্যান্স যোদ্ধাকে কঠিন বাস্তবতার মধ্যে দিয়ে যেতে হয়। এর নামই হচ্ছে রেমিট্যান্স যোদ্ধা। এসব ব্যক্তিই হচ্ছেন প্রকৃত দেশপ্রেমিক।

বলা যায় দেশের অর্থনৈতিক কাঠামো অনেকটা টিকে আছে রেমিট্যান্স যোদ্ধাদের রেমিট্যান্সের ওপর ভিত্তি করে। বাংলাদেশে আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন, টেকসই উন্নয়ন, অর্থনৈতিক কাঠামো, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ, ডলার সংকট নিরসন, আমদানি-রপ্তানিতে ভারসাম্য ও দেশের সামগ্রিক স্থিতিশীলতা নিশ্চিতে কঠোর পরিশ্রমী প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। তাই রাষ্ট্র এবং জাতির বৃহত্তর স্বার্থে যারা নিজেদের সর্বোচ্চ ত্যাগ করে পরিবার ও দেশের অর্থনীতিকে সমৃদ্ধ করতে কাজ করে যাচ্ছেন তাদের রাষ্ট্রীয়ভাবে সর্বোচ্চ মূল্যায়ন ও সম্মান নিশ্চিতে রাষ্ট্রের পাশাপাশি সবার এগিয়ে আসা প্রয়োজন।

মুজাহিদুল ইসলাম

ইতিহাস বিভাগ, রাজশাহী কলেজ

মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধের শেষ কোথায়?

টেকসই উন্নয়ন ও আদিবাসীদের অধিকার

শব্দদূষণ বন্ধ হবে কবে?

চট্টগ্রাম দোহাজারী অংশে রেল চালু হোক

দেশের প্রথম শহীদ মিনারের উপেক্ষিত ইতিহাস

তরুণদের হীনমন্যতা ও মত প্রকাশে অনীহা

বন সংরক্ষণ ও উন্নয়ন

শুধু ফেব্রুয়ারিতে ভাষার দরদ?

ভাষা ও সাহিত্যের মিলনমেলা

জমি দখলের ক্ষতিপূরণ চাই

পুরান ঢাকায় মশার উৎপাত

গুইমারায় স্বাস্থ্যসেবা সংকট : অবিলম্বে সমাধান প্রয়োজন

মশার উপদ্রব : জনস্বাস্থ্য ও নগর ব্যবস্থাপনার চরম ব্যর্থতা

পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু : একটি জাতীয় সংকট

নাম পাল্টে গেলে কত কী যে হয়

অনুপ্রেরণা হোক তুলনাহীন

দূষণ রোধে জীবাশ্ম জ্বালানি নির্ভরতা হ্রাস জরুরি

পাবলিক টয়লেটের সংখ্যা বাড়ান

গণরুম প্রথার বিলুপ্তি কবে?

রেলসেবার মান বাড়ান

নওগাঁ সরকারি কলেজের সংকট

টিকিটের দাম আকাশচুম্বী

জকিগঞ্জে গ্রামীণ সড়কের দুরবস্থা

রেলে দুর্নীতি

নবায়নযোগ্য শক্তির বিকল্প নেই

পথশিশুদের ভয়ঙ্কর নেশাদ্রব্য থেকে রক্ষা করুন

ঢাকা-ময়মনসিংহ ননস্টপ ট্রেন ও ডাবল লাইন নির্মাণের দাবি

শিশুদের প্রতি প্রতিহিংসা বন্ধ করুন

চরবাসীর নদী পারাপারে নিরাপত্তার প্রয়োজন

জন্মনিবন্ধন সেবায় অতিরিক্ত অর্থ আদায় : ব্যবস্থা নিন

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে স্পিডব্রেকার চাই

উন্নয়নের জন্য একটি অপরিহার্য উপাদান কারিগরি শিক্ষা

পোস্তগোলায় নিম্নমানের ড্রেন নির্মাণ

দিনমজুর সংকটে কৃষি উৎপাদন ব্যাহত

পানাম সেতু : ঐতিহ্য রক্ষায় অবহেলা নয়

যাত্রাবাড়ীর চৌরাস্তা থেকে ধোলাইখাল বাসস্ট্যান্ড পর্যন্ত রাস্তার দুরবস্থা

tab

চিঠিপত্র

রেমিট্যান্স যোদ্ধার জীবন

মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন

শনিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৪

একটি দেশ এবং জাতির বৃহত্তর স্বার্থে রেমিট্যান্স যোদ্ধারা তাদের আত্মনিয়োগ করে থাকেন। দেশের ক্রান্তিকালে রেমিট্যান্স যোদ্ধারা ত্রাণকর্তা হিসেবে অগ্রসৈনিকের ভূমিকা পালন করে থাকেন।

প্রবাস জীবনের সাথে জড়িয়ে আছে হাজারো সুখ-দুঃখের কান্না জড়িত গল্প। একজন রেমিট্যান্স যোদ্ধাকে তার পরিবারের মায়া ত্যাগ করে পাড়ি দিতে হয় বিদেশে। তবে বিদেশ যাওয়ার এই যাত্রায় তাকে সম্মুখীন হতে হয় বিভিন্ন প্রকার বাঁধা ও দালাল শ্রেণির খপ্পরে।

একজন রেমিট্যান্স যোদ্ধার জন্য প্রথম বাধা হয়ে দাঁড়ায় তার পরিবারের আর্থিক অসচ্ছলতা। আর্থিক এই অসচ্ছলতার পরেই তাকে সম্মুখীন হতে হয় পাসপোর্ট, ভিসা প্রসেসিং জটিলতা, সিন্ডিকেটের দৌরাত্ম্য যেখান থেকে সমাধানের পথ হিসেবে উৎপত্তি হয় দালাল শ্রেণির। দালালদের খপ্পরে পড়ে সর্বস্বান্ত হয়ে অনেকের বিদেশ যাওয়ার স্বপ্ন ভঙ্গ হয় তবে বেশির ভাগ রেমিট্যান্স যোদ্ধা শেষ পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরের প্রতিকূলতাকে কাটিয়ে বিদেশে পাড়ি জমাতে সক্ষম হন।

প্রবাস জীবন শুরুতে প্রতি মুহূর্তে অজানা পরিবেশে রেমিট্যান্স যোদ্ধাকে সম্মুখীন হতে হয় বিভিন্ন প্রতিকূল অবস্থা ও পরিস্থিতির। এতো প্রতিকূলতার পরেও একজন রেমিট্যান্স যোদ্ধা তার নিজের সুখ-দুঃখকে বিসর্জন দিয়ে পরিবারের সচ্ছলতা ফেরাতে এবং দেশের অর্থনীতিকে সমৃদ্ধ করতে নিজেকে প্রবাস জীবনে আত্মনিয়োগ করেন।

বিভিন্ন আনন্দ উৎসব ঈদের খুশিতে যখন পরিবার-পরিজন অত্যন্ত আনন্দ ও উৎসবময় সময় কাটায় তখন প্রবাসে পরিবার-পরিজনহীন প্রবাসীর সময় কাটে উৎসব-আমেজহীন একটি নিরানন্দ পরিবেশে। তবুও নিজের খুশিকে বিসর্জন দিয়ে পরিবারের সকলের মুখে হাসি ফুটাতে মাস শেষে একজন রেমিট্যান্স যোদ্ধা তার উপার্জিত অর্থ পাঠিয়ে দিচ্ছেন পরিবারের কাছে। নিজের চাহিদা অপূর্ণ রেখে পরিবারের চাহিদা প্রতিনিয়ত পূরণ করে যাচ্ছেন; কিন্তু দিন শেষে তাদের কোনো অভিযোগ, আক্ষেপ নেই। তাদের কষ্টের কথাগুলো পরিবারের কাছে গোপন রেখে হাসি-মুখে পরিবারে সব চাহিদা পূরণ করে নিজেরা পরিতৃপ্ত হচ্ছেন।

একজন রেমিট্যান্স যোদ্ধার জীবনে সবচেয়ে কষ্টকর মুহূর্ত নেমে আসে যখন সে শুনতে পায় তার কাছে কোনো আপনজন মারা গেছেন কিন্তু শত চেষ্টা করলেও সেই মানুষটিকে শেষবারের মতো কাছে থেকে দেখা সম্ভব নয়। সেই হৃদয়বিদারক মুহূর্তে একজন রেমিট্যান্স যোদ্ধাকে কঠিন বাস্তবতার মধ্যে দিয়ে যেতে হয়। এর নামই হচ্ছে রেমিট্যান্স যোদ্ধা। এসব ব্যক্তিই হচ্ছেন প্রকৃত দেশপ্রেমিক।

বলা যায় দেশের অর্থনৈতিক কাঠামো অনেকটা টিকে আছে রেমিট্যান্স যোদ্ধাদের রেমিট্যান্সের ওপর ভিত্তি করে। বাংলাদেশে আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন, টেকসই উন্নয়ন, অর্থনৈতিক কাঠামো, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ, ডলার সংকট নিরসন, আমদানি-রপ্তানিতে ভারসাম্য ও দেশের সামগ্রিক স্থিতিশীলতা নিশ্চিতে কঠোর পরিশ্রমী প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। তাই রাষ্ট্র এবং জাতির বৃহত্তর স্বার্থে যারা নিজেদের সর্বোচ্চ ত্যাগ করে পরিবার ও দেশের অর্থনীতিকে সমৃদ্ধ করতে কাজ করে যাচ্ছেন তাদের রাষ্ট্রীয়ভাবে সর্বোচ্চ মূল্যায়ন ও সম্মান নিশ্চিতে রাষ্ট্রের পাশাপাশি সবার এগিয়ে আসা প্রয়োজন।

মুজাহিদুল ইসলাম

ইতিহাস বিভাগ, রাজশাহী কলেজ

back to top