alt

চিঠিপত্র

দেশ গড়ার আগে নিজেকে গড়ুন

: শনিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৪

মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন

দেশকে সমৃদ্ধ আর সুশৃঙ্খল দেখার স্বপ্ন প্রতিটি নাগরিকই দেখে কিন্তু সেটা বাস্তবায়নের মৌলিক কাজ তাদের হাতেই যা তারা কখনই বিবেচনা করে না। দেশ পরিচালিত হয় কিছু মানুষের কর্মপদ্ধতি এবং প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে অন্যদিকে দেশ কাজ করে দেশের মানুষের জন্য, তাদের জীবনমান উন্নয়নের জন্য তাই সেই মানুষ গুলোকেই আগে তৈরি হতে হবে তবেই সামষ্টিক সফলতা আসবে। এক্ষেত্রে প্রত্যেকের উচিত স্বাভাবিক নিয়মানুবর্তিতার প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়া, সচেতন থাকা, নিজে নিয়ম মেনে চলা এবং অন্যকে মানতে উৎসাহিত করা। প্রত্যেক পেশাজীবী যে যার অবস্থান থেকে স্ব স্ব দায়িত্ব পালন করা এবং পেশাগত সততার প্রমাণ দেখানো; দেশকে ভালোবাসা, দেশের মানুষকে ভালোবাসা, সমাজ পরিবর্তনে ভূমিকা রাখা, যৌতুক না দেয়া, যৌতুক না নেয়া; ঘুষ না দেয়া, না নেয়া।

বাল্যবিবাহ, নারী নির্যাতন, শিশুশ্রম ও সামাজিক অপরাধের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হয়ে রুখে দাঁড়ানো, সরকার অন্যায় করলে প্রতিবাদ করা, ভালো কাজ করলে ধন্যবাদ জানানো। তেমনি বিরোধী দলের ক্ষেত্রেও- সরকারের খারাপ কাজের প্রতিবাদ না করলে বা জনগণের পক্ষে জাতীয় স্বার্থে ভূমিকা না রাখলে নিন্দা করা আবার সরকারের ভালো কাজে পাশে না থাকলেও নিন্দা জানানো। অন্যের দোষারোপ করার আগে আত্মসমালোচনা করা। ধর্মীয় অনুশাসন মেনে চলা। এসব অভ্যাসগত পরিবর্তনই নৈতিক পরিবর্তনের চাবিকাঠি, দেশকে এগিয়ে নেওয়ার যন্ত্র।

আমরা যদি ব্যক্তিগত এবং পেশাগত জায়গায় সৎ, সুশৃঙ্খল এবং নিয়মানুবর্তিতা মেনে চলি তাহলে দেশের প্রত্যেকটা কাঠামো পরিবর্তন, দৃঢ় হবে। আমাদের সম্পদের সম্ভাবনায় সমৃদ্ধি সম্ভব। এই দেশজ চেতনায় সবাইকে উদ্ধুদ্ধ হতে হবে। এ দেশে কিচ্ছু হবে না, আমাকে দিয়ে কিচ্ছু হবে না, সরকার এই করে দেয়না, সেই করে দেয়না- এসব হীন মানসিকতা আগে বদলাতে হবে। বদলাতে হলে চাই ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি। আমিও পারব। আমার যা আছে তা নিয়েই এগিয়ে যাবো। সরকারের পক্ষে সবকিছু করে দেয়া সম্ভব নয়। নিজেদেরও কিছু করার আছে। একা সম্ভব না হলে সমবেত প্রচেষ্টায় সম্ভব হবে। উদাহরণ সৃষ্টি করতে হবে।

আমাদের দেশপ্রেম আর চেতনার জায়গাটি খুবই দুর্বল। দুষ্কৃতিকারীরা এক হলেও আমরা এক হতে পারি না। আমাদের মানবিক মূল্যবোধ অনেক ক্ষয়ে গেছে। একে অন্যের দুঃখে আগের মতো আবেগতাড়িত হই না। আজ এই বোধের জাগরণকে উস্কে দেয়ার সময় এসেছে। এজন্য প্রয়োজন নিজ জায়গা থেকে সমাজ এবং দেশের জন্য দায়িত্বশীল নাগরিকের পরিচয় দেওয়া; চিন্তা-চেতনা, ধ্যান-ধারণা, মূল্যবোধ, কাজে-কর্মে নিজেদের প্রয়োজনে বদলে যাওয়া, বদলে দেওয়া। প্রত্যেক নাগরিক যদি হয় অধিকার সচেতন এবং দেশপ্রেমী তাহলে কখনই দেশে স্বৈরাচারের উত্থান হতে পারবে না, রাষ্ট্রের চালিকাশক্তি তাদের কাছে জবাবদিহি করতে অনুগত হবে যা দেশকে সুন্দর ও সমৃদ্ধ করে তুলবে।

তাই আমাদের প্রত্যেকের উচিৎ নিজের দেশকে ভালোবাসা, দেশের উন্নয়ন, পরিবর্তন এবং সমৃদ্ধির লক্ষ্যে নিজেদের গড়া এবং নিজ জায়গা থেকে দেশের জন্য অবদান রাখা।

ইসরাত জাহান

লোকপ্রশাসন বিভাগ, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়

বিশ্ববিদ্যালয় হোক উচ্চশিক্ষা ও গবেষণার উর্বর ক্ষেত্র

আমাদের কেন একজন রতন টাটা নেই

চাকরির আবেদন ফি হ্রাস : শিক্ষিত বেকারদের প্রত্যাশা

এসআই নিয়োগে বয়স বৈষম্য দূর করা হোক

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় গ্রন্থাগারের সংস্কার চাই

গণরুম সংস্কৃতি বন্ধ হোক

দুর্নীতিবাজকে প্রত্যাখ্যান করুন

মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

রেমিট্যান্স যোদ্ধার জীবন

প্রক্রিয়াজাত খাবারে শিশুর বিপদ

ক্যাম্পাসে ছাত্র-শিক্ষক রাজনীতি

বন্ধ হোক অনলাইন ইলিশ প্রতারণা

লক্ষ্মীপুরে হিমাগারের অভাবে কৃষকের মুখে হাসি নেই

দুর্ঘটনা রোধে আইনের কঠোর প্রয়োগ চাই

বিদেশে অবস্থানরত বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের ফিরিয়ে আনা প্রয়োজন

পরিবার কল্যাণ পরিদর্শিকা পদে নিয়োগ পরীক্ষার ফলাফল চাই

গণতন্ত্রের যোগ্য হয়ে ওঠা জরুরি

ইলিশ বিচরণে বাধা দূর করতে হবে

কেন এই লোডশেডিং

সোশ্যাল মিডিয়ার দুনিয়া

ছবি

বেকারত্ব নিরসনে কুটির শিল্পের ভূমিকা

দুর্যোগ পূর্ববর্তী প্রস্তুতি

ছবি

সোনালি পাটের প্রয়োজনীয়তা

কালীকচ্ছের ধর্মতীর্থ বধ্যভূমিতে স্মৃতিসৌধ নির্মাণের দাবি

চিঠি : হলে খাবারের মান উন্নত করুন

চিঠি : স্বাস্থ্য শিক্ষা বিষয়ে ডিপ্লোমাধারীদের বৈষম্য দূর করুন

চিঠি : শিক্ষার মান উন্নয়ন চাই

চিঠি : সড়ক আইন বাস্তবায়ন করুন

চিঠি : রাস্তায় বাইক সন্ত্রাস

চিঠি : কঠিন হয়ে পড়ছে ক্যাম্পাস সাংবাদিকতা

চিঠি : ডিসেম্বরের স্মৃতি

চিঠি : টেকসই ও সাশ্রয়ী ক্লিন এনার্জি

চিঠি : নকল গুড় জব্দ হোক

চিঠি : সড়কে বাড়ছে লেন ঝরছে প্রাণ

চিঠি : ঢাকাবাসীর কাছে মেট্রোরেল আশীর্বাদ

চিঠি : কারিগরি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন জরুরি

tab

চিঠিপত্র

দেশ গড়ার আগে নিজেকে গড়ুন

মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন

শনিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৪

দেশকে সমৃদ্ধ আর সুশৃঙ্খল দেখার স্বপ্ন প্রতিটি নাগরিকই দেখে কিন্তু সেটা বাস্তবায়নের মৌলিক কাজ তাদের হাতেই যা তারা কখনই বিবেচনা করে না। দেশ পরিচালিত হয় কিছু মানুষের কর্মপদ্ধতি এবং প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে অন্যদিকে দেশ কাজ করে দেশের মানুষের জন্য, তাদের জীবনমান উন্নয়নের জন্য তাই সেই মানুষ গুলোকেই আগে তৈরি হতে হবে তবেই সামষ্টিক সফলতা আসবে। এক্ষেত্রে প্রত্যেকের উচিত স্বাভাবিক নিয়মানুবর্তিতার প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়া, সচেতন থাকা, নিজে নিয়ম মেনে চলা এবং অন্যকে মানতে উৎসাহিত করা। প্রত্যেক পেশাজীবী যে যার অবস্থান থেকে স্ব স্ব দায়িত্ব পালন করা এবং পেশাগত সততার প্রমাণ দেখানো; দেশকে ভালোবাসা, দেশের মানুষকে ভালোবাসা, সমাজ পরিবর্তনে ভূমিকা রাখা, যৌতুক না দেয়া, যৌতুক না নেয়া; ঘুষ না দেয়া, না নেয়া।

বাল্যবিবাহ, নারী নির্যাতন, শিশুশ্রম ও সামাজিক অপরাধের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হয়ে রুখে দাঁড়ানো, সরকার অন্যায় করলে প্রতিবাদ করা, ভালো কাজ করলে ধন্যবাদ জানানো। তেমনি বিরোধী দলের ক্ষেত্রেও- সরকারের খারাপ কাজের প্রতিবাদ না করলে বা জনগণের পক্ষে জাতীয় স্বার্থে ভূমিকা না রাখলে নিন্দা করা আবার সরকারের ভালো কাজে পাশে না থাকলেও নিন্দা জানানো। অন্যের দোষারোপ করার আগে আত্মসমালোচনা করা। ধর্মীয় অনুশাসন মেনে চলা। এসব অভ্যাসগত পরিবর্তনই নৈতিক পরিবর্তনের চাবিকাঠি, দেশকে এগিয়ে নেওয়ার যন্ত্র।

আমরা যদি ব্যক্তিগত এবং পেশাগত জায়গায় সৎ, সুশৃঙ্খল এবং নিয়মানুবর্তিতা মেনে চলি তাহলে দেশের প্রত্যেকটা কাঠামো পরিবর্তন, দৃঢ় হবে। আমাদের সম্পদের সম্ভাবনায় সমৃদ্ধি সম্ভব। এই দেশজ চেতনায় সবাইকে উদ্ধুদ্ধ হতে হবে। এ দেশে কিচ্ছু হবে না, আমাকে দিয়ে কিচ্ছু হবে না, সরকার এই করে দেয়না, সেই করে দেয়না- এসব হীন মানসিকতা আগে বদলাতে হবে। বদলাতে হলে চাই ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি। আমিও পারব। আমার যা আছে তা নিয়েই এগিয়ে যাবো। সরকারের পক্ষে সবকিছু করে দেয়া সম্ভব নয়। নিজেদেরও কিছু করার আছে। একা সম্ভব না হলে সমবেত প্রচেষ্টায় সম্ভব হবে। উদাহরণ সৃষ্টি করতে হবে।

আমাদের দেশপ্রেম আর চেতনার জায়গাটি খুবই দুর্বল। দুষ্কৃতিকারীরা এক হলেও আমরা এক হতে পারি না। আমাদের মানবিক মূল্যবোধ অনেক ক্ষয়ে গেছে। একে অন্যের দুঃখে আগের মতো আবেগতাড়িত হই না। আজ এই বোধের জাগরণকে উস্কে দেয়ার সময় এসেছে। এজন্য প্রয়োজন নিজ জায়গা থেকে সমাজ এবং দেশের জন্য দায়িত্বশীল নাগরিকের পরিচয় দেওয়া; চিন্তা-চেতনা, ধ্যান-ধারণা, মূল্যবোধ, কাজে-কর্মে নিজেদের প্রয়োজনে বদলে যাওয়া, বদলে দেওয়া। প্রত্যেক নাগরিক যদি হয় অধিকার সচেতন এবং দেশপ্রেমী তাহলে কখনই দেশে স্বৈরাচারের উত্থান হতে পারবে না, রাষ্ট্রের চালিকাশক্তি তাদের কাছে জবাবদিহি করতে অনুগত হবে যা দেশকে সুন্দর ও সমৃদ্ধ করে তুলবে।

তাই আমাদের প্রত্যেকের উচিৎ নিজের দেশকে ভালোবাসা, দেশের উন্নয়ন, পরিবর্তন এবং সমৃদ্ধির লক্ষ্যে নিজেদের গড়া এবং নিজ জায়গা থেকে দেশের জন্য অবদান রাখা।

ইসরাত জাহান

লোকপ্রশাসন বিভাগ, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়

back to top