মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন
চট্টগ্রাম কলেজ বাংলাদেশের একটা প্রাচীন বিদ্যাপীঠ। ঢাকা কলেজের পর বাংলাদেশের দ্বিতীয় কলেজ চট্টগ্রাম কলেজ। জ্ঞানে, কর্মে, সৃজনে, ঐতিহ্যে চট্টগ্রাম কলেজটি আলো ছড়াচ্ছে চট্টগ্রামসহ সারাবাংলাদশে। প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও হাজার হাজার শিক্ষার্থী পদচারণায় কলেজটি থাকে সদা প্রাণবন্ত। কিন্তু তার মাঝেও শিক্ষার্থীরা ভুগছে না সমস্যায়। তার মধ্যে অন্যতম একটি হলো মেডিকেল সেন্টার।
চট্টগ্রাম কলেজের মেডিকেল সেন্টারটি স্থাপিত হয় ২০০৪ সালে। মো. শাহাদাত হোসেন পাটোয়ারী প্রথম থেকেই এই মেডিকেল সেন্টারের দায়িত্বে কর্মরত রয়েছেন। ভবনটি অনেক পুরনো হওয়ায় দেয়াল খসে পরা শুরু করেছে। মেঝের অবস্থাও শোচনীয়। কোনো ওয়াশরুমের ব্যবস্থা না থাকায় নানা সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছে শিক্ষার্থীরা। এছাড়া পর্যাপ্ত ওষুধের ব্যবস্থা না থাকার কারণে চিকিৎসার পর ওষুধ দিতে পারে না চিকিৎসক।
ভাবুন তো! একজন শিক্ষার্থী বা শিক্ষক কোনো কারণে অসুস্থ হয়ে গেলেন। সেই অসুস্থতার তাৎক্ষণিক চিকিৎসার জন্য কলেজের মেডিকেল সেন্টারে গেল শিক্ষার্থী বা শিক্ষক। কিন্তু গিয়ে দেখলেন সেখানে চিকিৎসক মো. শাহাদাত হোসেন পাটোয়ারী ঠিকই রয়েছেন চিকিৎসা দেয়ার জন্যÑ তবে নেই সেখানে ভালো পরিবেশ, নেই প্রয়োজনে ওয়াশরুম এবং নেই আপনাকে দেয়ার মতো পর্যাপ্ত পরিমাণে ওষুধের ব্যবস্থা। তখন কি হবে?
চট্টগ্রাম কলেজের সব সুযোগ-সুবিধার মধ্যে এই মেডিকেল সেন্টারের গুরুত্বও অনেক। কিন্তু দুঃখের বিষয় হলো, কলেজ কর্তৃপক্ষের এতে কোনো পদক্ষেপ দেখা যাচ্ছে না। চিকিৎসার মতো গুরুত্বপূর্ণ অংশে কোনো গাফিলতি চায় না কলেজের শিক্ষার্থীরা। তাই চট্টগ্রাম কলেজের এই মেডিকেল সেন্টারের সংস্কার চাই।
ইসরাত জাহান
শিক্ষার্থী, প্রথম বর্ষ, বাংলা বিভাগ, চট্টগ্রাম কলেজ
মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন
সোমবার, ১১ নভেম্বর ২০২৪
চট্টগ্রাম কলেজ বাংলাদেশের একটা প্রাচীন বিদ্যাপীঠ। ঢাকা কলেজের পর বাংলাদেশের দ্বিতীয় কলেজ চট্টগ্রাম কলেজ। জ্ঞানে, কর্মে, সৃজনে, ঐতিহ্যে চট্টগ্রাম কলেজটি আলো ছড়াচ্ছে চট্টগ্রামসহ সারাবাংলাদশে। প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও হাজার হাজার শিক্ষার্থী পদচারণায় কলেজটি থাকে সদা প্রাণবন্ত। কিন্তু তার মাঝেও শিক্ষার্থীরা ভুগছে না সমস্যায়। তার মধ্যে অন্যতম একটি হলো মেডিকেল সেন্টার।
চট্টগ্রাম কলেজের মেডিকেল সেন্টারটি স্থাপিত হয় ২০০৪ সালে। মো. শাহাদাত হোসেন পাটোয়ারী প্রথম থেকেই এই মেডিকেল সেন্টারের দায়িত্বে কর্মরত রয়েছেন। ভবনটি অনেক পুরনো হওয়ায় দেয়াল খসে পরা শুরু করেছে। মেঝের অবস্থাও শোচনীয়। কোনো ওয়াশরুমের ব্যবস্থা না থাকায় নানা সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছে শিক্ষার্থীরা। এছাড়া পর্যাপ্ত ওষুধের ব্যবস্থা না থাকার কারণে চিকিৎসার পর ওষুধ দিতে পারে না চিকিৎসক।
ভাবুন তো! একজন শিক্ষার্থী বা শিক্ষক কোনো কারণে অসুস্থ হয়ে গেলেন। সেই অসুস্থতার তাৎক্ষণিক চিকিৎসার জন্য কলেজের মেডিকেল সেন্টারে গেল শিক্ষার্থী বা শিক্ষক। কিন্তু গিয়ে দেখলেন সেখানে চিকিৎসক মো. শাহাদাত হোসেন পাটোয়ারী ঠিকই রয়েছেন চিকিৎসা দেয়ার জন্যÑ তবে নেই সেখানে ভালো পরিবেশ, নেই প্রয়োজনে ওয়াশরুম এবং নেই আপনাকে দেয়ার মতো পর্যাপ্ত পরিমাণে ওষুধের ব্যবস্থা। তখন কি হবে?
চট্টগ্রাম কলেজের সব সুযোগ-সুবিধার মধ্যে এই মেডিকেল সেন্টারের গুরুত্বও অনেক। কিন্তু দুঃখের বিষয় হলো, কলেজ কর্তৃপক্ষের এতে কোনো পদক্ষেপ দেখা যাচ্ছে না। চিকিৎসার মতো গুরুত্বপূর্ণ অংশে কোনো গাফিলতি চায় না কলেজের শিক্ষার্থীরা। তাই চট্টগ্রাম কলেজের এই মেডিকেল সেন্টারের সংস্কার চাই।
ইসরাত জাহান
শিক্ষার্থী, প্রথম বর্ষ, বাংলা বিভাগ, চট্টগ্রাম কলেজ