মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন
দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর অধিকাংশ শিক্ষার্থীর জন্য পর্যাপ্ত আবাসন সুবিধা নেই। ফলে, বিশেষ করে অসচ্ছল ও মেধাবী শিক্ষার্থীরা পড়াশোনার পাশাপাশি বাড়তি চাপ নিয়ে বাসা বা ছাত্রাবাস ভাড়া করে জীবনযাপন করতে বাধ্য হন। এই বিষয়টি বিবেচনা করে সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) অসচ্ছল মেধাবী শিক্ষার্থীদের জন্য মাসিক বৃত্তির ব্যবস্থা করার উদ্যোগ নিয়েছে, যা অত্যন্ত প্রশংসনীয়। এই বৃত্তির আর্থিক সংস্থান নিশ্চিত করতে ইউজিসি ‘হায়ার এডুকেশন এক্সিলারেশন অ্যান্ড ট্রান্সফরমেশন (হিট)’ প্রকল্প সংশোধনের প্রস্তাব দিয়েছে।
তবে, এই প্রকল্পের পাইলট হিসেবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে (ঢাবি) বেছে নেয়া হয়েছে। যদিও ঢাবির ১৮টি আবাসিক হল রয়েছে, সেখানে অনেক শিক্ষার্থী সীমিত আবাসন সুবিধার বাইরে থাকতে বাধ্য হন। কিন্তু প্রাচীন ঐতিহ্যের সঙ্গে পুরান ঢাকায় অবস্থিত আরেকটি বিশ্ববিদ্যালয়— জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) অবস্থা আরও করুণ। ২০০৫ সালে প্রতিষ্ঠিত এই বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের জন্য কোনো আবাসিক হল নেই, শুধু মাত্র একটি ছাত্রী হল রয়েছে, যা বিভিন্ন সমস্যা ও সংকট দ্বারা জর্জরিত। ফলে সব শিক্ষার্থীকে বাইরের ছাত্রাবাস বা ভাড়া বাসায় থাকতে হয়, যা তাদের জীবনযাত্রার ব্যয় ও নিরাপত্তার জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ।
প্রশ্ন হচ্ছে, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সমস্যাগুলি ইউজিসির দৃষ্টিগোচর হওয়া সত্ত্বেও কেন এই বিশ্ববিদ্যালয়টিকে পাইলট প্রকল্প হিসেবে বেছে নেয়া হয়নি? ঢাবির ইউজিসি সদস্যদের প্রভাবের কারণেই কি ঢাবিকে অগ্রাধিকার দেয়া হয়েছে? নাকি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অসংখ্য সমস্যার প্রতি উদাসীন থাকার একটি অভ্যাস গড়ে উঠেছে?
পুরান ঢাকার কেন্দ্রস্থলে থাকা এই ঐতিহ্যবাহী প্রতিষ্ঠানটিতে আবাসন সমস্যা এতটাই প্রকট যে, নিরাপদ ও সাশ্রয়ী জীবনযাপনের জন্য শিক্ষার্থীরা প্রতিনিয়ত ঝুঁকির সম্মুখীন হচ্ছেন। এসব সমস্যার সমাধানকল্পে এবং জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সুরক্ষার কথা বিবেচনা করে এই বৃত্তি প্রকল্পের পাইলট বাস্তবায়নের স্থান হিসেবে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়কে বেছে নেয়া উচিত ছিল। শুধুমাত্র ঢাবির মতো ঐতিহ্যবাহী প্রতিষ্ঠান নয়, রাজধানীর বুকে অবস্থিত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো সুবিধাবঞ্চিত প্রতিষ্ঠানগুলোতেও উন্নয়ন প্রকল্পের ছোঁয়া পৌঁছানো উচিত, যাতে শিক্ষার্থীদের সুষ্ঠু ও নিরাপদ শিক্ষাজীবন নিশ্চিত হয়।
সোহেল রানা
মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন
মঙ্গলবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৪
দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর অধিকাংশ শিক্ষার্থীর জন্য পর্যাপ্ত আবাসন সুবিধা নেই। ফলে, বিশেষ করে অসচ্ছল ও মেধাবী শিক্ষার্থীরা পড়াশোনার পাশাপাশি বাড়তি চাপ নিয়ে বাসা বা ছাত্রাবাস ভাড়া করে জীবনযাপন করতে বাধ্য হন। এই বিষয়টি বিবেচনা করে সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) অসচ্ছল মেধাবী শিক্ষার্থীদের জন্য মাসিক বৃত্তির ব্যবস্থা করার উদ্যোগ নিয়েছে, যা অত্যন্ত প্রশংসনীয়। এই বৃত্তির আর্থিক সংস্থান নিশ্চিত করতে ইউজিসি ‘হায়ার এডুকেশন এক্সিলারেশন অ্যান্ড ট্রান্সফরমেশন (হিট)’ প্রকল্প সংশোধনের প্রস্তাব দিয়েছে।
তবে, এই প্রকল্পের পাইলট হিসেবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে (ঢাবি) বেছে নেয়া হয়েছে। যদিও ঢাবির ১৮টি আবাসিক হল রয়েছে, সেখানে অনেক শিক্ষার্থী সীমিত আবাসন সুবিধার বাইরে থাকতে বাধ্য হন। কিন্তু প্রাচীন ঐতিহ্যের সঙ্গে পুরান ঢাকায় অবস্থিত আরেকটি বিশ্ববিদ্যালয়— জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) অবস্থা আরও করুণ। ২০০৫ সালে প্রতিষ্ঠিত এই বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের জন্য কোনো আবাসিক হল নেই, শুধু মাত্র একটি ছাত্রী হল রয়েছে, যা বিভিন্ন সমস্যা ও সংকট দ্বারা জর্জরিত। ফলে সব শিক্ষার্থীকে বাইরের ছাত্রাবাস বা ভাড়া বাসায় থাকতে হয়, যা তাদের জীবনযাত্রার ব্যয় ও নিরাপত্তার জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ।
প্রশ্ন হচ্ছে, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সমস্যাগুলি ইউজিসির দৃষ্টিগোচর হওয়া সত্ত্বেও কেন এই বিশ্ববিদ্যালয়টিকে পাইলট প্রকল্প হিসেবে বেছে নেয়া হয়নি? ঢাবির ইউজিসি সদস্যদের প্রভাবের কারণেই কি ঢাবিকে অগ্রাধিকার দেয়া হয়েছে? নাকি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অসংখ্য সমস্যার প্রতি উদাসীন থাকার একটি অভ্যাস গড়ে উঠেছে?
পুরান ঢাকার কেন্দ্রস্থলে থাকা এই ঐতিহ্যবাহী প্রতিষ্ঠানটিতে আবাসন সমস্যা এতটাই প্রকট যে, নিরাপদ ও সাশ্রয়ী জীবনযাপনের জন্য শিক্ষার্থীরা প্রতিনিয়ত ঝুঁকির সম্মুখীন হচ্ছেন। এসব সমস্যার সমাধানকল্পে এবং জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সুরক্ষার কথা বিবেচনা করে এই বৃত্তি প্রকল্পের পাইলট বাস্তবায়নের স্থান হিসেবে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়কে বেছে নেয়া উচিত ছিল। শুধুমাত্র ঢাবির মতো ঐতিহ্যবাহী প্রতিষ্ঠান নয়, রাজধানীর বুকে অবস্থিত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো সুবিধাবঞ্চিত প্রতিষ্ঠানগুলোতেও উন্নয়ন প্রকল্পের ছোঁয়া পৌঁছানো উচিত, যাতে শিক্ষার্থীদের সুষ্ঠু ও নিরাপদ শিক্ষাজীবন নিশ্চিত হয়।
সোহেল রানা