alt

opinion » mail

অসচ্ছল শিক্ষার্থীদের বৃত্তি প্রকল্পে উপেক্ষিত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়

: মঙ্গলবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৪

মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন

দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর অধিকাংশ শিক্ষার্থীর জন্য পর্যাপ্ত আবাসন সুবিধা নেই। ফলে, বিশেষ করে অসচ্ছল ও মেধাবী শিক্ষার্থীরা পড়াশোনার পাশাপাশি বাড়তি চাপ নিয়ে বাসা বা ছাত্রাবাস ভাড়া করে জীবনযাপন করতে বাধ্য হন। এই বিষয়টি বিবেচনা করে সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) অসচ্ছল মেধাবী শিক্ষার্থীদের জন্য মাসিক বৃত্তির ব্যবস্থা করার উদ্যোগ নিয়েছে, যা অত্যন্ত প্রশংসনীয়। এই বৃত্তির আর্থিক সংস্থান নিশ্চিত করতে ইউজিসি ‘হায়ার এডুকেশন এক্সিলারেশন অ্যান্ড ট্রান্সফরমেশন (হিট)’ প্রকল্প সংশোধনের প্রস্তাব দিয়েছে।

তবে, এই প্রকল্পের পাইলট হিসেবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে (ঢাবি) বেছে নেয়া হয়েছে। যদিও ঢাবির ১৮টি আবাসিক হল রয়েছে, সেখানে অনেক শিক্ষার্থী সীমিত আবাসন সুবিধার বাইরে থাকতে বাধ্য হন। কিন্তু প্রাচীন ঐতিহ্যের সঙ্গে পুরান ঢাকায় অবস্থিত আরেকটি বিশ্ববিদ্যালয়— জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) অবস্থা আরও করুণ। ২০০৫ সালে প্রতিষ্ঠিত এই বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের জন্য কোনো আবাসিক হল নেই, শুধু মাত্র একটি ছাত্রী হল রয়েছে, যা বিভিন্ন সমস্যা ও সংকট দ্বারা জর্জরিত। ফলে সব শিক্ষার্থীকে বাইরের ছাত্রাবাস বা ভাড়া বাসায় থাকতে হয়, যা তাদের জীবনযাত্রার ব্যয় ও নিরাপত্তার জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ।

প্রশ্ন হচ্ছে, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সমস্যাগুলি ইউজিসির দৃষ্টিগোচর হওয়া সত্ত্বেও কেন এই বিশ্ববিদ্যালয়টিকে পাইলট প্রকল্প হিসেবে বেছে নেয়া হয়নি? ঢাবির ইউজিসি সদস্যদের প্রভাবের কারণেই কি ঢাবিকে অগ্রাধিকার দেয়া হয়েছে? নাকি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অসংখ্য সমস্যার প্রতি উদাসীন থাকার একটি অভ্যাস গড়ে উঠেছে?

পুরান ঢাকার কেন্দ্রস্থলে থাকা এই ঐতিহ্যবাহী প্রতিষ্ঠানটিতে আবাসন সমস্যা এতটাই প্রকট যে, নিরাপদ ও সাশ্রয়ী জীবনযাপনের জন্য শিক্ষার্থীরা প্রতিনিয়ত ঝুঁকির সম্মুখীন হচ্ছেন। এসব সমস্যার সমাধানকল্পে এবং জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সুরক্ষার কথা বিবেচনা করে এই বৃত্তি প্রকল্পের পাইলট বাস্তবায়নের স্থান হিসেবে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়কে বেছে নেয়া উচিত ছিল। শুধুমাত্র ঢাবির মতো ঐতিহ্যবাহী প্রতিষ্ঠান নয়, রাজধানীর বুকে অবস্থিত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো সুবিধাবঞ্চিত প্রতিষ্ঠানগুলোতেও উন্নয়ন প্রকল্পের ছোঁয়া পৌঁছানো উচিত, যাতে শিক্ষার্থীদের সুষ্ঠু ও নিরাপদ শিক্ষাজীবন নিশ্চিত হয়।

সোহেল রানা

শিশুর হাতে মোবাইল নয়, চাই জীবনের মাঠে ফেরার ডাক

মতিঝিল-গুলিস্তান রুটে চক্রাকার বাস সার্ভিস : শৃঙ্খল ও স্বস্তির সম্ভাবনা

ভাঙ্গা-খুলনা সড়ক দ্রুত চার লেনে উন্নীত করুন

ডিজিটাল উপনিবেশ : অদৃশ্য শৃঙ্খলের শাসন

বাউফল থেকে লোহালিয়া ব্রিজ পর্যন্ত সড়কের বেহাল দশা

পরিবেশ বিপর্যয়ের অজানা মুখ

মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধের শেষ কোথায়?

টেকসই উন্নয়ন ও আদিবাসীদের অধিকার

শব্দদূষণ বন্ধ হবে কবে?

চট্টগ্রাম দোহাজারী অংশে রেল চালু হোক

দেশের প্রথম শহীদ মিনারের উপেক্ষিত ইতিহাস

তরুণদের হীনমন্যতা ও মত প্রকাশে অনীহা

বন সংরক্ষণ ও উন্নয়ন

শুধু ফেব্রুয়ারিতে ভাষার দরদ?

ভাষা ও সাহিত্যের মিলনমেলা

জমি দখলের ক্ষতিপূরণ চাই

পুরান ঢাকায় মশার উৎপাত

গুইমারায় স্বাস্থ্যসেবা সংকট : অবিলম্বে সমাধান প্রয়োজন

মশার উপদ্রব : জনস্বাস্থ্য ও নগর ব্যবস্থাপনার চরম ব্যর্থতা

পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু : একটি জাতীয় সংকট

নাম পাল্টে গেলে কত কী যে হয়

অনুপ্রেরণা হোক তুলনাহীন

দূষণ রোধে জীবাশ্ম জ্বালানি নির্ভরতা হ্রাস জরুরি

পাবলিক টয়লেটের সংখ্যা বাড়ান

গণরুম প্রথার বিলুপ্তি কবে?

রেলসেবার মান বাড়ান

নওগাঁ সরকারি কলেজের সংকট

টিকিটের দাম আকাশচুম্বী

জকিগঞ্জে গ্রামীণ সড়কের দুরবস্থা

রেলে দুর্নীতি

নবায়নযোগ্য শক্তির বিকল্প নেই

পথশিশুদের ভয়ঙ্কর নেশাদ্রব্য থেকে রক্ষা করুন

ঢাকা-ময়মনসিংহ ননস্টপ ট্রেন ও ডাবল লাইন নির্মাণের দাবি

শিশুদের প্রতি প্রতিহিংসা বন্ধ করুন

চরবাসীর নদী পারাপারে নিরাপত্তার প্রয়োজন

জন্মনিবন্ধন সেবায় অতিরিক্ত অর্থ আদায় : ব্যবস্থা নিন

tab

opinion » mail

অসচ্ছল শিক্ষার্থীদের বৃত্তি প্রকল্পে উপেক্ষিত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়

মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন

মঙ্গলবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৪

দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর অধিকাংশ শিক্ষার্থীর জন্য পর্যাপ্ত আবাসন সুবিধা নেই। ফলে, বিশেষ করে অসচ্ছল ও মেধাবী শিক্ষার্থীরা পড়াশোনার পাশাপাশি বাড়তি চাপ নিয়ে বাসা বা ছাত্রাবাস ভাড়া করে জীবনযাপন করতে বাধ্য হন। এই বিষয়টি বিবেচনা করে সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) অসচ্ছল মেধাবী শিক্ষার্থীদের জন্য মাসিক বৃত্তির ব্যবস্থা করার উদ্যোগ নিয়েছে, যা অত্যন্ত প্রশংসনীয়। এই বৃত্তির আর্থিক সংস্থান নিশ্চিত করতে ইউজিসি ‘হায়ার এডুকেশন এক্সিলারেশন অ্যান্ড ট্রান্সফরমেশন (হিট)’ প্রকল্প সংশোধনের প্রস্তাব দিয়েছে।

তবে, এই প্রকল্পের পাইলট হিসেবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে (ঢাবি) বেছে নেয়া হয়েছে। যদিও ঢাবির ১৮টি আবাসিক হল রয়েছে, সেখানে অনেক শিক্ষার্থী সীমিত আবাসন সুবিধার বাইরে থাকতে বাধ্য হন। কিন্তু প্রাচীন ঐতিহ্যের সঙ্গে পুরান ঢাকায় অবস্থিত আরেকটি বিশ্ববিদ্যালয়— জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) অবস্থা আরও করুণ। ২০০৫ সালে প্রতিষ্ঠিত এই বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের জন্য কোনো আবাসিক হল নেই, শুধু মাত্র একটি ছাত্রী হল রয়েছে, যা বিভিন্ন সমস্যা ও সংকট দ্বারা জর্জরিত। ফলে সব শিক্ষার্থীকে বাইরের ছাত্রাবাস বা ভাড়া বাসায় থাকতে হয়, যা তাদের জীবনযাত্রার ব্যয় ও নিরাপত্তার জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ।

প্রশ্ন হচ্ছে, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সমস্যাগুলি ইউজিসির দৃষ্টিগোচর হওয়া সত্ত্বেও কেন এই বিশ্ববিদ্যালয়টিকে পাইলট প্রকল্প হিসেবে বেছে নেয়া হয়নি? ঢাবির ইউজিসি সদস্যদের প্রভাবের কারণেই কি ঢাবিকে অগ্রাধিকার দেয়া হয়েছে? নাকি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অসংখ্য সমস্যার প্রতি উদাসীন থাকার একটি অভ্যাস গড়ে উঠেছে?

পুরান ঢাকার কেন্দ্রস্থলে থাকা এই ঐতিহ্যবাহী প্রতিষ্ঠানটিতে আবাসন সমস্যা এতটাই প্রকট যে, নিরাপদ ও সাশ্রয়ী জীবনযাপনের জন্য শিক্ষার্থীরা প্রতিনিয়ত ঝুঁকির সম্মুখীন হচ্ছেন। এসব সমস্যার সমাধানকল্পে এবং জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সুরক্ষার কথা বিবেচনা করে এই বৃত্তি প্রকল্পের পাইলট বাস্তবায়নের স্থান হিসেবে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়কে বেছে নেয়া উচিত ছিল। শুধুমাত্র ঢাবির মতো ঐতিহ্যবাহী প্রতিষ্ঠান নয়, রাজধানীর বুকে অবস্থিত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো সুবিধাবঞ্চিত প্রতিষ্ঠানগুলোতেও উন্নয়ন প্রকল্পের ছোঁয়া পৌঁছানো উচিত, যাতে শিক্ষার্থীদের সুষ্ঠু ও নিরাপদ শিক্ষাজীবন নিশ্চিত হয়।

সোহেল রানা

back to top