alt

চিঠিপত্র

রাবিতে ফরম ফিলাপে ভোগান্তি

: শনিবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪

মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন

কোন ইয়ার বা সেমিস্টার শেষ হওয়ার পর সামনে কড়া নাড়ে সেমিস্টার ফাইনাল বা ইয়ার ফাইনাল পরীক্ষা। সে সময় শিক্ষার্থী পরীক্ষার প্রস্তুত নেয়; কিন্তু যখন মাথায় আসে ফর্ম ফিলাপ করতে হবে, ঠিক সে সময় সবার চোখেমুখে বিরক্ত ও ভোগান্তি ছাপ দেখা যায়।

ব্যাংক, ডিপার্টমেন্ট, হল, ব্যাংক এভাবে চক্রাকারে ঘুরতে থাকে শিক্ষার্থীরা। ফরম ফিলাপ করতে ১ দিন থেকে ৪ দিন পর্যন্ত সময় লাগে। তাইতো সময় নষ্ট ও ভোগান্তি অপর নাম ফরম ফিলাপ।

বর্তমান পদ্ধতি :

১। অনলাইনে ফরম ফিলাপ করতে হবে।

২। ব্যাংকে গিয়ে হল ও বিভাগ সংক্রান্ত ফি পরিশোধ।

৩। বিভাগ সংক্রান্ত ফি পরিশোধের রশিদসহ প্রয়োজন কাগজপত্র নিয়ে বিভাগে জমা দিতে হয়, চেয়ারম্যানের সিগনেচারের জন্য।

৪। সেই কাগজ বিভাগ থেকে হল সংক্রান্ত ফি পরিশোধের রশিদ জমা দিয়ে হল প্রভোস্টের সিগনেচার নিতে হবে।

৫। শেষে সেই কাগজসহ টাকা ব্যাংকে জমা দিতে হবে।

পয়েন্ট ১ এর জন্যই এই প্রক্রিয়ার নাম অনলাইন পদ্ধতিতে ফরম ফিলাপ। ২০১৮ সালে এই অনলাইন পদ্ধতি চালু করা হয়; কিন্তু এই পুরো পদ্ধতিতে যে ভোগান্তি আছে সে বিষয়ে শিক্ষার্থীরা বারবার বলার পরও প্রশাসন কোন প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়নি।

প্রতি বর্ষে আমরা অনলাইন পদ্ধতিতে অটোমেটিক সিস্টেমে ভর্তি হয়।

এই পদ্ধতি হচ্ছে প্রকৃত অনলাইন পদ্ধতি বলা যাবে; কিন্তু অনলাইন পদ্ধতিতে ফরম ফিলাপের যে পদ্ধতি আছে এটাকে ভোগান্তি ও সময় অপচয় এর পদ্ধতি বলা যায়।

সমাধান :

অনলাইনে ফরম ফিলাপ, ফর্মফিলাপ ফি, হল ও বিভাগ সংক্রান্ত ফি পরিশোধের ব্যবস্থা করতে হবে। পুরো সিস্টেম অনলাইন ভিত্তিক ও অটোমেটিক সিস্টেমে করতে হবে।

বর্তমানে অনলাইন ফর্মফিলাপ করার পর সেখানে বিভাগীয় প্রধান ও হল প্রভোস্টের সিগনেচার নিতে হয়; কিন্তু অনলাইন পদ্ধতিতে সবাই ফি (বিভাগীয়, হল সংক্রান্ত ও ফর্মফিলাপ ফি) অনলাইনে জমা দিবে।

বিভাগীয় সংক্রান্ত ফি বিভাগ যথাযথ পেলে সেখান থেকে অনলাইনে অনুমতি দিলে অটোমেটিক পদ্ধতিতে বিভাগীয় প্রধানের সিগনেচার হয়ে যাবে অথবা বিভাগ থেকে ‘পরীক্ষা অংশগ্রহণের জন্য অনুমতি দেওয়া হলো’ এমন সিল দিতে পারে, সেটাও অনলাইন ও অটোমেটিক পদ্ধতিতে। একইভাবে হল সংক্রান্ত ফি যথাযথ পরিশোধ থাকলে হল থেকে অনলাইনে অনুমতি দিলে সেখানে অটোমেটিক হল প্রভোস্টের সিগনেচার হয়ে যাবে অথবা বিভাগ থেকে ‘পরীক্ষা অংশগ্রহণের জন্য অনুমতি দেওয়া হলো’ এমন সিল দিতে পারে, সেটাও অনলাইন ও অটোমেটিক পদ্ধতিতে।

ফরম ফিলাপ অনলাইন পেমেন্ট করলে সেখানে অটোমেটিক পরিশোধ দেখাবে।

সবাই কাজ শেষ হলে সেই কাগজ অনলাইনের মাধ্যমেই নিজের প্রোফাইলে গিয়ে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রণ দপ্তরে জমা দেওয়া যাবে। এতে ঘরে বসেই সম্পূর্ণ অনলাইন ও অটোমেটিক পদ্ধতিতে ফর্মফিলাপ করা সম্ভব। এই পদ্ধতি মাত্র ১০ মিনিটের মধ্যেই ফর্মফিলাপ করা সম্ভব। এতে শিক্ষার্থীরা ভোগান্তির হাত থেকে রক্ষা পাবে পাশাপাশি পরীক্ষার আগের সময়গুলো পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য কাজে লাগাতে পারবে।

আরিফুল ইসলাম

শিক্ষার্থী, ফার্মেসি বিভাগ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়।

মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধের শেষ কোথায়?

টেকসই উন্নয়ন ও আদিবাসীদের অধিকার

শব্দদূষণ বন্ধ হবে কবে?

চট্টগ্রাম দোহাজারী অংশে রেল চালু হোক

দেশের প্রথম শহীদ মিনারের উপেক্ষিত ইতিহাস

তরুণদের হীনমন্যতা ও মত প্রকাশে অনীহা

বন সংরক্ষণ ও উন্নয়ন

শুধু ফেব্রুয়ারিতে ভাষার দরদ?

ভাষা ও সাহিত্যের মিলনমেলা

জমি দখলের ক্ষতিপূরণ চাই

পুরান ঢাকায় মশার উৎপাত

গুইমারায় স্বাস্থ্যসেবা সংকট : অবিলম্বে সমাধান প্রয়োজন

মশার উপদ্রব : জনস্বাস্থ্য ও নগর ব্যবস্থাপনার চরম ব্যর্থতা

পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু : একটি জাতীয় সংকট

নাম পাল্টে গেলে কত কী যে হয়

অনুপ্রেরণা হোক তুলনাহীন

দূষণ রোধে জীবাশ্ম জ্বালানি নির্ভরতা হ্রাস জরুরি

পাবলিক টয়লেটের সংখ্যা বাড়ান

গণরুম প্রথার বিলুপ্তি কবে?

রেলসেবার মান বাড়ান

নওগাঁ সরকারি কলেজের সংকট

টিকিটের দাম আকাশচুম্বী

জকিগঞ্জে গ্রামীণ সড়কের দুরবস্থা

রেলে দুর্নীতি

নবায়নযোগ্য শক্তির বিকল্প নেই

পথশিশুদের ভয়ঙ্কর নেশাদ্রব্য থেকে রক্ষা করুন

ঢাকা-ময়মনসিংহ ননস্টপ ট্রেন ও ডাবল লাইন নির্মাণের দাবি

শিশুদের প্রতি প্রতিহিংসা বন্ধ করুন

চরবাসীর নদী পারাপারে নিরাপত্তার প্রয়োজন

জন্মনিবন্ধন সেবায় অতিরিক্ত অর্থ আদায় : ব্যবস্থা নিন

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে স্পিডব্রেকার চাই

উন্নয়নের জন্য একটি অপরিহার্য উপাদান কারিগরি শিক্ষা

পোস্তগোলায় নিম্নমানের ড্রেন নির্মাণ

দিনমজুর সংকটে কৃষি উৎপাদন ব্যাহত

পানাম সেতু : ঐতিহ্য রক্ষায় অবহেলা নয়

যাত্রাবাড়ীর চৌরাস্তা থেকে ধোলাইখাল বাসস্ট্যান্ড পর্যন্ত রাস্তার দুরবস্থা

tab

চিঠিপত্র

রাবিতে ফরম ফিলাপে ভোগান্তি

মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন

শনিবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪

কোন ইয়ার বা সেমিস্টার শেষ হওয়ার পর সামনে কড়া নাড়ে সেমিস্টার ফাইনাল বা ইয়ার ফাইনাল পরীক্ষা। সে সময় শিক্ষার্থী পরীক্ষার প্রস্তুত নেয়; কিন্তু যখন মাথায় আসে ফর্ম ফিলাপ করতে হবে, ঠিক সে সময় সবার চোখেমুখে বিরক্ত ও ভোগান্তি ছাপ দেখা যায়।

ব্যাংক, ডিপার্টমেন্ট, হল, ব্যাংক এভাবে চক্রাকারে ঘুরতে থাকে শিক্ষার্থীরা। ফরম ফিলাপ করতে ১ দিন থেকে ৪ দিন পর্যন্ত সময় লাগে। তাইতো সময় নষ্ট ও ভোগান্তি অপর নাম ফরম ফিলাপ।

বর্তমান পদ্ধতি :

১। অনলাইনে ফরম ফিলাপ করতে হবে।

২। ব্যাংকে গিয়ে হল ও বিভাগ সংক্রান্ত ফি পরিশোধ।

৩। বিভাগ সংক্রান্ত ফি পরিশোধের রশিদসহ প্রয়োজন কাগজপত্র নিয়ে বিভাগে জমা দিতে হয়, চেয়ারম্যানের সিগনেচারের জন্য।

৪। সেই কাগজ বিভাগ থেকে হল সংক্রান্ত ফি পরিশোধের রশিদ জমা দিয়ে হল প্রভোস্টের সিগনেচার নিতে হবে।

৫। শেষে সেই কাগজসহ টাকা ব্যাংকে জমা দিতে হবে।

পয়েন্ট ১ এর জন্যই এই প্রক্রিয়ার নাম অনলাইন পদ্ধতিতে ফরম ফিলাপ। ২০১৮ সালে এই অনলাইন পদ্ধতি চালু করা হয়; কিন্তু এই পুরো পদ্ধতিতে যে ভোগান্তি আছে সে বিষয়ে শিক্ষার্থীরা বারবার বলার পরও প্রশাসন কোন প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়নি।

প্রতি বর্ষে আমরা অনলাইন পদ্ধতিতে অটোমেটিক সিস্টেমে ভর্তি হয়।

এই পদ্ধতি হচ্ছে প্রকৃত অনলাইন পদ্ধতি বলা যাবে; কিন্তু অনলাইন পদ্ধতিতে ফরম ফিলাপের যে পদ্ধতি আছে এটাকে ভোগান্তি ও সময় অপচয় এর পদ্ধতি বলা যায়।

সমাধান :

অনলাইনে ফরম ফিলাপ, ফর্মফিলাপ ফি, হল ও বিভাগ সংক্রান্ত ফি পরিশোধের ব্যবস্থা করতে হবে। পুরো সিস্টেম অনলাইন ভিত্তিক ও অটোমেটিক সিস্টেমে করতে হবে।

বর্তমানে অনলাইন ফর্মফিলাপ করার পর সেখানে বিভাগীয় প্রধান ও হল প্রভোস্টের সিগনেচার নিতে হয়; কিন্তু অনলাইন পদ্ধতিতে সবাই ফি (বিভাগীয়, হল সংক্রান্ত ও ফর্মফিলাপ ফি) অনলাইনে জমা দিবে।

বিভাগীয় সংক্রান্ত ফি বিভাগ যথাযথ পেলে সেখান থেকে অনলাইনে অনুমতি দিলে অটোমেটিক পদ্ধতিতে বিভাগীয় প্রধানের সিগনেচার হয়ে যাবে অথবা বিভাগ থেকে ‘পরীক্ষা অংশগ্রহণের জন্য অনুমতি দেওয়া হলো’ এমন সিল দিতে পারে, সেটাও অনলাইন ও অটোমেটিক পদ্ধতিতে। একইভাবে হল সংক্রান্ত ফি যথাযথ পরিশোধ থাকলে হল থেকে অনলাইনে অনুমতি দিলে সেখানে অটোমেটিক হল প্রভোস্টের সিগনেচার হয়ে যাবে অথবা বিভাগ থেকে ‘পরীক্ষা অংশগ্রহণের জন্য অনুমতি দেওয়া হলো’ এমন সিল দিতে পারে, সেটাও অনলাইন ও অটোমেটিক পদ্ধতিতে।

ফরম ফিলাপ অনলাইন পেমেন্ট করলে সেখানে অটোমেটিক পরিশোধ দেখাবে।

সবাই কাজ শেষ হলে সেই কাগজ অনলাইনের মাধ্যমেই নিজের প্রোফাইলে গিয়ে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রণ দপ্তরে জমা দেওয়া যাবে। এতে ঘরে বসেই সম্পূর্ণ অনলাইন ও অটোমেটিক পদ্ধতিতে ফর্মফিলাপ করা সম্ভব। এই পদ্ধতি মাত্র ১০ মিনিটের মধ্যেই ফর্মফিলাপ করা সম্ভব। এতে শিক্ষার্থীরা ভোগান্তির হাত থেকে রক্ষা পাবে পাশাপাশি পরীক্ষার আগের সময়গুলো পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য কাজে লাগাতে পারবে।

আরিফুল ইসলাম

শিক্ষার্থী, ফার্মেসি বিভাগ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়।

back to top