alt

চিঠিপত্র

স্বাস্থ্যসেবার সংকটে পার্বত্যবাসী

: সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪

মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন

রাঙ্গামাটি শহরের উত্তর কালিন্দীপুরে অবস্থিত বর্তমান রাঙ্গামাটি সদর জেনারেল হাসপাতালটি ১০০ শয্যায় উন্নীত করে তবলছড়ির পুরাতন স্থাপনা হতে স্থানান্তরিত হয় ১৯৮৩ সালে; কিন্তু রাঙ্গামাটি জেলা সদরে অবস্থিত একমাত্র সরকারি এই হাসপাতালের অবস্থা বর্তমানে অত্যন্ত নাজুক। বর্তমানে রাঙ্গামাটি সদর জেনারেল হাসপাতালটি ১০০ শয্যার হলেও রোগীর সংখ্যা প্রায় দুই থেকে তিনগুণ বেশি। পর্যাপ্ত আসনের অভাবে অনেক রোগী ফ্লোরে কিংবা বারান্দায় শুয়ে চিকিৎসা নিতে বাধ্য হচ্ছে, যা দুর্গম বিভিন্ন এলাকা থেকে চিকিৎসাসেবা নিতে আসা রোগীদের জন্য অমানবিক ভোগান্তি সৃষ্টি করছে।

হাসপাতালের স্বাস্থ্যঝুঁকিপূর্ণ পরিবেশ, অপরিচ্ছন্ন টয়লেট ও বাথরুম, এবং উন্নত অ্যাম্বুল্যান্স সেবার অভাব রোগীদের দুর্ভোগ আরও বাড়িয়ে তুলেছে। প্রয়োজনীয় আসন সংকট, জনবল সংকট, ব্যবস্থাপনাগত দুর্বলতা এবং যন্ত্রপাতির অভাবের কারণে কর্তৃপক্ষ চিকিৎসা সেবা ও খাবার সরবরাহে চরম অসুবিধার সম্মুখীন হচ্ছে। ফলে রোগীরাও মানসম্মত সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। রাঙ্গামাটি সদর হাসপাতালের পাশাপাশি উপজেলাগুলোর সরকারি স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলোতেও চিকিৎসক ও প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতির অভাব বিদ্যমান, যা সমগ্র পার্বত্য অঞ্চলের স্বাস্থ্যসেবাকে মারাত্মকভাবে ব্যাহত করছে। দেশের অন্যান্য জেলার তুলনায় পার্বত্য অঞ্চলের মানুষ এখনও স্বাস্থ্যসেবার ক্ষেত্রে অনেক পিছিয়ে।

এ সংকট সমাধানে জরুরি ভিত্তিতে হাসপাতালের আসন সংখ্যা বৃদ্ধি, পর্যাপ্ত চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মী নিয়োগ, প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি সরবরাহ এবং হাসপাতালের পরিবেশ উন্নত করার উদ্যোগ নেওয়া প্রয়োজন। পার্বত্যবাসীর মৌলিক অধিকার হিসেবে স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে অন্তর্র্বর্তীকালীন সরকারের কাছে দ্রুত হস্তক্ষেপ কামনা করছি।

তুহিন চাকমা

ফুটপাতের দখলদারিত্ব বন্ধ হোক

হেমন্তের দূষণ ও বিষণœতা

পথ কুকুর-বিড়ালের প্রতি মানবিক হোন

জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতালের এমআরআই মেশিন মেরামত করুন

শিশু শ্রমের অভিশাপ থেকে মুক্তি কোথায়

বাধা যেখানে পথ সেখানেই

নাগরিক অধিকার আদায়ে সচেতনতা প্রয়োজন

ঐতিহ্যবাহী ওরশ মেলা

অযথা হর্ন বাজানো বন্ধ করুন

অপরিকল্পিত নগরায়ণের কবলে ঢাকা

তথ্য ও যোগাযোগের ক্ষেত্রে ড্রোন প্রযুক্তির ভূমিকা

রাবিতে ফরম ফিলাপে ভোগান্তি

সাহিত্য সংস্কৃতি ও আমাদের প্রজন্ম

শিক্ষার্থীদের ইংরেজি ভীতি দূর হোক

মোহাম্মদপুরে ছিনতাই আতঙ্ক

পলিথিনের ব্যবহার পুরোপুরি বন্ধ করা যায়নি

বিষণœতার নীরব ছোবল

র‌্যাগিং বন্ধ হোক

শিশু হত্যা ও আমাদের দায়বদ্ধতা

স্বাস্থ্যসেবার টুকরো চিত্র

নদী তীরবর্তী মানুষ

যুব শক্তি : উন্নয়ন ও পরিবর্তনের কেন্দ্রবিন্দু

খাগড়াছড়ির রামগড় পর্যটন পার্কটি এখন গো-চারণভূমি

সাত কলেজের পরীক্ষায় বিশৃঙ্খলা

অবহেলায় গৌরব হারিয়েছে বাহাদুর শাহ পার্ক

ফান পোস্টে বর্ণবৈষম্য

প্রতিবন্ধীদের কর্মসংস্থান

পরিবর্তনের শুরুটা হোক এই মুহূর্ত থেকেই

আলুর বীজ সংকট ও দাম বৃদ্ধিতে হতাশ কৃষক

চরাঞ্চলে বিদ্যুতের প্রয়োজন

অসচ্ছল শিক্ষার্থীদের বৃত্তি প্রকল্পে উপেক্ষিত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়

মৌসুমি ফসলে শামুকের উপদ্রব

সিন্ডিকেট কি সরকারের চেয়েও শক্তিশালী

কৃষি জমিতে অবৈধ পুকুর

চট্টগ্রাম কলেজের মেডিকেল সেন্টারের সংস্কার চাই

জবাবদিহিতার সংস্কৃতি গড়ে তুলুন

tab

চিঠিপত্র

স্বাস্থ্যসেবার সংকটে পার্বত্যবাসী

মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন

সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪

রাঙ্গামাটি শহরের উত্তর কালিন্দীপুরে অবস্থিত বর্তমান রাঙ্গামাটি সদর জেনারেল হাসপাতালটি ১০০ শয্যায় উন্নীত করে তবলছড়ির পুরাতন স্থাপনা হতে স্থানান্তরিত হয় ১৯৮৩ সালে; কিন্তু রাঙ্গামাটি জেলা সদরে অবস্থিত একমাত্র সরকারি এই হাসপাতালের অবস্থা বর্তমানে অত্যন্ত নাজুক। বর্তমানে রাঙ্গামাটি সদর জেনারেল হাসপাতালটি ১০০ শয্যার হলেও রোগীর সংখ্যা প্রায় দুই থেকে তিনগুণ বেশি। পর্যাপ্ত আসনের অভাবে অনেক রোগী ফ্লোরে কিংবা বারান্দায় শুয়ে চিকিৎসা নিতে বাধ্য হচ্ছে, যা দুর্গম বিভিন্ন এলাকা থেকে চিকিৎসাসেবা নিতে আসা রোগীদের জন্য অমানবিক ভোগান্তি সৃষ্টি করছে।

হাসপাতালের স্বাস্থ্যঝুঁকিপূর্ণ পরিবেশ, অপরিচ্ছন্ন টয়লেট ও বাথরুম, এবং উন্নত অ্যাম্বুল্যান্স সেবার অভাব রোগীদের দুর্ভোগ আরও বাড়িয়ে তুলেছে। প্রয়োজনীয় আসন সংকট, জনবল সংকট, ব্যবস্থাপনাগত দুর্বলতা এবং যন্ত্রপাতির অভাবের কারণে কর্তৃপক্ষ চিকিৎসা সেবা ও খাবার সরবরাহে চরম অসুবিধার সম্মুখীন হচ্ছে। ফলে রোগীরাও মানসম্মত সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। রাঙ্গামাটি সদর হাসপাতালের পাশাপাশি উপজেলাগুলোর সরকারি স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলোতেও চিকিৎসক ও প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতির অভাব বিদ্যমান, যা সমগ্র পার্বত্য অঞ্চলের স্বাস্থ্যসেবাকে মারাত্মকভাবে ব্যাহত করছে। দেশের অন্যান্য জেলার তুলনায় পার্বত্য অঞ্চলের মানুষ এখনও স্বাস্থ্যসেবার ক্ষেত্রে অনেক পিছিয়ে।

এ সংকট সমাধানে জরুরি ভিত্তিতে হাসপাতালের আসন সংখ্যা বৃদ্ধি, পর্যাপ্ত চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মী নিয়োগ, প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি সরবরাহ এবং হাসপাতালের পরিবেশ উন্নত করার উদ্যোগ নেওয়া প্রয়োজন। পার্বত্যবাসীর মৌলিক অধিকার হিসেবে স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে অন্তর্র্বর্তীকালীন সরকারের কাছে দ্রুত হস্তক্ষেপ কামনা করছি।

তুহিন চাকমা

back to top