মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন
আমাদের চারপাশে মানুষ ছাড়াও অনেক প্রাণীর বাস। এর মধ্যে সবচেয়ে সখ্য কুকুর ও বিড়াল। কেউ শখের বশে এদের পোষা প্রাণি বানায়। যতœ নেয়, খেতে দেয়। মাসে অনেক টাকা ব্যয় করে। তবে সংখ্যাটা অনেক কম। এমন হাজারো প্রাণী রাস্তায় শুয়ে থাকে, একটু খাবারের জন্য ছোটাছুটি করে, কখনো বা ঝুঁকি নিয়ে অন্যের ক্ষতি করে ক্ষুধা মেটাতে চায়। উচ্ছৃঙ্খল শিশু, কিশোররা কৌতূহল বশত বা ক্ষোভের কারণ বশত এসব অবলা প্রাণীদের আঘাত করে, পাথর ছুড়ে মারে। কখনো রাস্তায় গাড়ি চাপা খেয়ে গুরুতর আহত হয় বা মারাও যায়। কেউ বা আহত হয়ে বাকি জীবনটা এভাবেই কষ্ট করে কাটায়। চিকিৎসা করানোর কথা কারো খেয়াল থাকে না। এড়িয়ে যায় সবাই। সম্প্রতি ঝিনাইদহ কালীগঞ্জে এক বিড়ালকে হত্যা করে তাকে অটোরিকশার সাথে বেঁধে রাস্তায় ঘুরানো হয়। কিছু নিকৃষ্ট, মনুষ্যত্বহীন মানুষ এমন অমানবিক, ঘৃণ্য কাজ করেছে। অতীতে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের হলে এক বিড়াল কে ছুরি দিয়ে হত্যা করে ফেসবুকে শেয়ারের ঘটনা সারাদেশে ব্যাপক সমালোচনার সৃষ্টি করে। ইসলামি দৃষ্টিভঙ্গি তেও প্রাণীকে কষ্ট দেওয়ার জন্য জাহান্নামি মহিলার উদাহরণ কমবেশি সকলেই জানি। আবার কুকুরকে সামান্য পানি খাওয়ানোর জন্য ক্ষমাও পেয়ে ছিলেন এক ব্যক্তি। সনাতন ধর্ম বলে, "জীবে প্রেম করে যেজন, সেজন সেবিছে ঈশ্বর"।
তাই প্রাণীদের প্রতি সদয় হওয়া জরুরি। গ্রীষ্মকালে বাড়ির সামনে, রাস্তার পাশে একটু পানির ব্যবস্থা করা বা শীতকালে ছেঁড়া, পুরাতন জামা কাপড় দিয়ে খুব সহজেই এদের শীতের কষ্টটা দূর করা যায়। মানুষের মতো এদের নানা রকমের চাহিদা নেই। শুধু পেটের ক্ষুধার মেটাতে এরা এপথ ওপথ করে বেরোয়। আশার বাণী হচ্ছে দেশে স্বল্প সংখ্যক প্রতিষ্ঠান বা অনলাইন প্ল্যাটফর্ম রয়েছে যারা প্রাণীদের উদ্ধার করে, এদের যতœ নিয়ে থাকে৷ তবে এ সংখ্যাটা আরো বাড়াতে হবে। সরকারি, বেসরকারি উদ্যোগে বিশেষ করে শহরের প্রাণীদের নিয়ন্ত্রণ, সেবা করতে হবে। স্বেচ্ছায় যেসব সংস্থা প্রাণীদের নিয়ে কাজ করে থাকে তাদের সহযোগিতার পথ খুলতে হবে। আগামী প্রজন্মকে পশুর প্রতি ভালোবাসা নিয়ে সচেতন করতে হবে। সামান্য কিছু খাবারের জন্য অবলা এসব প্রাণীরা দোরে দোরে ছুটাছুটি করে। তাদের ক্ষুদ্র চাহিদাটুকু মেটাতে হবে।
নইলে বঙ্কিমচন্দ্রের ক্ষুদ্র মার্জারের মতো বলতে হয়, "এই পৃথিবীর মৎস্য মাংসে আমাদেরও অধিকার আছে"। তাই, পৃথিবীর এই ক্ষুদ্র বাসিন্দাদের প্রতি নজর দিতে হবে।
তাওহীদ ইসলাম সজীব
শিক্ষার্থী, ঢাকা কলেজ, ঢাকা।
মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন
শনিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪
আমাদের চারপাশে মানুষ ছাড়াও অনেক প্রাণীর বাস। এর মধ্যে সবচেয়ে সখ্য কুকুর ও বিড়াল। কেউ শখের বশে এদের পোষা প্রাণি বানায়। যতœ নেয়, খেতে দেয়। মাসে অনেক টাকা ব্যয় করে। তবে সংখ্যাটা অনেক কম। এমন হাজারো প্রাণী রাস্তায় শুয়ে থাকে, একটু খাবারের জন্য ছোটাছুটি করে, কখনো বা ঝুঁকি নিয়ে অন্যের ক্ষতি করে ক্ষুধা মেটাতে চায়। উচ্ছৃঙ্খল শিশু, কিশোররা কৌতূহল বশত বা ক্ষোভের কারণ বশত এসব অবলা প্রাণীদের আঘাত করে, পাথর ছুড়ে মারে। কখনো রাস্তায় গাড়ি চাপা খেয়ে গুরুতর আহত হয় বা মারাও যায়। কেউ বা আহত হয়ে বাকি জীবনটা এভাবেই কষ্ট করে কাটায়। চিকিৎসা করানোর কথা কারো খেয়াল থাকে না। এড়িয়ে যায় সবাই। সম্প্রতি ঝিনাইদহ কালীগঞ্জে এক বিড়ালকে হত্যা করে তাকে অটোরিকশার সাথে বেঁধে রাস্তায় ঘুরানো হয়। কিছু নিকৃষ্ট, মনুষ্যত্বহীন মানুষ এমন অমানবিক, ঘৃণ্য কাজ করেছে। অতীতে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের হলে এক বিড়াল কে ছুরি দিয়ে হত্যা করে ফেসবুকে শেয়ারের ঘটনা সারাদেশে ব্যাপক সমালোচনার সৃষ্টি করে। ইসলামি দৃষ্টিভঙ্গি তেও প্রাণীকে কষ্ট দেওয়ার জন্য জাহান্নামি মহিলার উদাহরণ কমবেশি সকলেই জানি। আবার কুকুরকে সামান্য পানি খাওয়ানোর জন্য ক্ষমাও পেয়ে ছিলেন এক ব্যক্তি। সনাতন ধর্ম বলে, "জীবে প্রেম করে যেজন, সেজন সেবিছে ঈশ্বর"।
তাই প্রাণীদের প্রতি সদয় হওয়া জরুরি। গ্রীষ্মকালে বাড়ির সামনে, রাস্তার পাশে একটু পানির ব্যবস্থা করা বা শীতকালে ছেঁড়া, পুরাতন জামা কাপড় দিয়ে খুব সহজেই এদের শীতের কষ্টটা দূর করা যায়। মানুষের মতো এদের নানা রকমের চাহিদা নেই। শুধু পেটের ক্ষুধার মেটাতে এরা এপথ ওপথ করে বেরোয়। আশার বাণী হচ্ছে দেশে স্বল্প সংখ্যক প্রতিষ্ঠান বা অনলাইন প্ল্যাটফর্ম রয়েছে যারা প্রাণীদের উদ্ধার করে, এদের যতœ নিয়ে থাকে৷ তবে এ সংখ্যাটা আরো বাড়াতে হবে। সরকারি, বেসরকারি উদ্যোগে বিশেষ করে শহরের প্রাণীদের নিয়ন্ত্রণ, সেবা করতে হবে। স্বেচ্ছায় যেসব সংস্থা প্রাণীদের নিয়ে কাজ করে থাকে তাদের সহযোগিতার পথ খুলতে হবে। আগামী প্রজন্মকে পশুর প্রতি ভালোবাসা নিয়ে সচেতন করতে হবে। সামান্য কিছু খাবারের জন্য অবলা এসব প্রাণীরা দোরে দোরে ছুটাছুটি করে। তাদের ক্ষুদ্র চাহিদাটুকু মেটাতে হবে।
নইলে বঙ্কিমচন্দ্রের ক্ষুদ্র মার্জারের মতো বলতে হয়, "এই পৃথিবীর মৎস্য মাংসে আমাদেরও অধিকার আছে"। তাই, পৃথিবীর এই ক্ষুদ্র বাসিন্দাদের প্রতি নজর দিতে হবে।
তাওহীদ ইসলাম সজীব
শিক্ষার্থী, ঢাকা কলেজ, ঢাকা।