alt

মতামত » চিঠিপত্র

আসুন শীতার্ত মানুষের পাশে দাঁড়াই

: বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২৫

মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন

প্রতিটি মানুষেরই ন্যায়সঙ্গতভাবে একটি সুস্থ ও নিরাপদ জীবনযাপনের অধিকার রয়েছে। আমরা সবাইই একই সমাজের সদস্য এবং আমাদের সবার দায়িত্ব এই সমাজকে সুন্দর করে তোলা। সৃষ্টিকর্তার করুণায় সমাজে এদের চেয়ে ভালো অবস্থায় থাকায় আমাদের এসব মানুষের জন্য কিছু দায়িত্ব রয়েছে যা পালন করা আবশ্যক। আমরা যারা সামর্থ্য রাখি তাদের জন্য কোন অবদান রাখায়, তারা তাদের বিভিন্ন জিনিসপত্র দান করে তাদের প্রয়োজন পূরণে এগিয়ে আসতে পারি। পুরানো কাপড়, কম্বল, গরম খাবার, অর্থ – যা কিছু আপনার কাছে অতিরিক্ত, তা দান করুন। আপনার কাছে যে জিনিস এখন মূল্যহীন, ঠিক সেই জিনিসটাই অন্যের মুখে হাসি ফোটাতে যথেষ্ট। আপনি স্থানীয় এনজিও বা স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের মাধ্যমেও দান করতে পারেন। আপনি নিজেও শীতার্তদের কাছে গিয়ে তাদের সাহায্য করতে পারেন। শীতবস্ত্র বিতরণ, গরম খাবার পরিবেশন, কিংবা সামান্য আশ্রয়ের ব্যবস্থা করা- এসব কাজে আপনি স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে অংশগ্রহণ করতে পারেন। ব্যস্ততার কারণে অনেকেরই এটা করতে বেগ পেতে হয় তাই আপনারা চাইলে আপনার পরিবার, বন্ধুবান্ধব, সমাজকে অসহায় শীতার্তদের সম্পর্কে সচেতন করতে পারেন। কার মাধ্যমে কোথায়, কখন, কিভাবে, কোন অসহায় শীতার্ত মানুষের উপকার হয়ে যায় তা কেউ বলতে পারব না কিন্তু একটি হাসির পেছনে আপনার ন্যূনতম অবদান থাকলে মন্দ কি?

শীতার্তদের পাশে দাঁড়ানো শুধু মানবিক দায়িত্বই নয়, এটি একটি সুন্দর সমাজ গড়ার একটি অন্যতম উপায়। অসহায় শীতার্তের পাশে দাঁড়িয়ে সমাজের উপকারের পাশাপাশি আমরা কিছুটা মানসিক শান্তিও লাভ করতে পারি যা এই যান্ত্রিকতার যুগে আমাদের জন্য অনেকটাই দুর্লভ হয়ে গেছে। তাই আসুন, আমি, আপনি, আমরা সবাই যে যার অবস্থান থেকে শীতার্তদের পাশে দাঁড়াই, তাদের এক উষ্ণ ও আনন্দমাখা হাসির কারণ হই।

শাকিল আহমেদ

শিক্ষার্থী, ব্যাংকিং ও ইন্স্যুরেন্স বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।

শিক্ষা ব্যবস্থা পরিবর্তনের প্রয়োজনীয়তা

মধ্যবিত্তের সঞ্চয়ে বিশ্ব অর্থনৈতিক জায়ান্টদের মাস্টার প্ল্যান

গার্মেন্টস শ্রমিকের মৃত্যু কেন কেবলই সংখ্যা?

বাল্যবিয়ে: সমাজের এক নীরব অভিশাপ

মনোস্বাস্থ্যের সংকটে তরুণরা: নীরবতার আড়ালে এক ভয়াবহ বাস্তবতা

ধূমপানের প্রভাব

ইসলামী ব্যাংকগুলোতে সার্ভিস রুল অনুযায়ী নিয়োগ

শিশুর হাতে মোবাইল নয়, চাই জীবনের মাঠে ফেরার ডাক

মতিঝিল-গুলিস্তান রুটে চক্রাকার বাস সার্ভিস : শৃঙ্খল ও স্বস্তির সম্ভাবনা

ভাঙ্গা-খুলনা সড়ক দ্রুত চার লেনে উন্নীত করুন

ডিজিটাল উপনিবেশ : অদৃশ্য শৃঙ্খলের শাসন

বাউফল থেকে লোহালিয়া ব্রিজ পর্যন্ত সড়কের বেহাল দশা

পরিবেশ বিপর্যয়ের অজানা মুখ

মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধের শেষ কোথায়?

টেকসই উন্নয়ন ও আদিবাসীদের অধিকার

শব্দদূষণ বন্ধ হবে কবে?

চট্টগ্রাম দোহাজারী অংশে রেল চালু হোক

দেশের প্রথম শহীদ মিনারের উপেক্ষিত ইতিহাস

তরুণদের হীনমন্যতা ও মত প্রকাশে অনীহা

বন সংরক্ষণ ও উন্নয়ন

শুধু ফেব্রুয়ারিতে ভাষার দরদ?

ভাষা ও সাহিত্যের মিলনমেলা

জমি দখলের ক্ষতিপূরণ চাই

পুরান ঢাকায় মশার উৎপাত

গুইমারায় স্বাস্থ্যসেবা সংকট : অবিলম্বে সমাধান প্রয়োজন

মশার উপদ্রব : জনস্বাস্থ্য ও নগর ব্যবস্থাপনার চরম ব্যর্থতা

পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু : একটি জাতীয় সংকট

নাম পাল্টে গেলে কত কী যে হয়

অনুপ্রেরণা হোক তুলনাহীন

দূষণ রোধে জীবাশ্ম জ্বালানি নির্ভরতা হ্রাস জরুরি

পাবলিক টয়লেটের সংখ্যা বাড়ান

গণরুম প্রথার বিলুপ্তি কবে?

রেলসেবার মান বাড়ান

নওগাঁ সরকারি কলেজের সংকট

টিকিটের দাম আকাশচুম্বী

জকিগঞ্জে গ্রামীণ সড়কের দুরবস্থা

tab

মতামত » চিঠিপত্র

আসুন শীতার্ত মানুষের পাশে দাঁড়াই

মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন

বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২৫

প্রতিটি মানুষেরই ন্যায়সঙ্গতভাবে একটি সুস্থ ও নিরাপদ জীবনযাপনের অধিকার রয়েছে। আমরা সবাইই একই সমাজের সদস্য এবং আমাদের সবার দায়িত্ব এই সমাজকে সুন্দর করে তোলা। সৃষ্টিকর্তার করুণায় সমাজে এদের চেয়ে ভালো অবস্থায় থাকায় আমাদের এসব মানুষের জন্য কিছু দায়িত্ব রয়েছে যা পালন করা আবশ্যক। আমরা যারা সামর্থ্য রাখি তাদের জন্য কোন অবদান রাখায়, তারা তাদের বিভিন্ন জিনিসপত্র দান করে তাদের প্রয়োজন পূরণে এগিয়ে আসতে পারি। পুরানো কাপড়, কম্বল, গরম খাবার, অর্থ – যা কিছু আপনার কাছে অতিরিক্ত, তা দান করুন। আপনার কাছে যে জিনিস এখন মূল্যহীন, ঠিক সেই জিনিসটাই অন্যের মুখে হাসি ফোটাতে যথেষ্ট। আপনি স্থানীয় এনজিও বা স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের মাধ্যমেও দান করতে পারেন। আপনি নিজেও শীতার্তদের কাছে গিয়ে তাদের সাহায্য করতে পারেন। শীতবস্ত্র বিতরণ, গরম খাবার পরিবেশন, কিংবা সামান্য আশ্রয়ের ব্যবস্থা করা- এসব কাজে আপনি স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে অংশগ্রহণ করতে পারেন। ব্যস্ততার কারণে অনেকেরই এটা করতে বেগ পেতে হয় তাই আপনারা চাইলে আপনার পরিবার, বন্ধুবান্ধব, সমাজকে অসহায় শীতার্তদের সম্পর্কে সচেতন করতে পারেন। কার মাধ্যমে কোথায়, কখন, কিভাবে, কোন অসহায় শীতার্ত মানুষের উপকার হয়ে যায় তা কেউ বলতে পারব না কিন্তু একটি হাসির পেছনে আপনার ন্যূনতম অবদান থাকলে মন্দ কি?

শীতার্তদের পাশে দাঁড়ানো শুধু মানবিক দায়িত্বই নয়, এটি একটি সুন্দর সমাজ গড়ার একটি অন্যতম উপায়। অসহায় শীতার্তের পাশে দাঁড়িয়ে সমাজের উপকারের পাশাপাশি আমরা কিছুটা মানসিক শান্তিও লাভ করতে পারি যা এই যান্ত্রিকতার যুগে আমাদের জন্য অনেকটাই দুর্লভ হয়ে গেছে। তাই আসুন, আমি, আপনি, আমরা সবাই যে যার অবস্থান থেকে শীতার্তদের পাশে দাঁড়াই, তাদের এক উষ্ণ ও আনন্দমাখা হাসির কারণ হই।

শাকিল আহমেদ

শিক্ষার্থী, ব্যাংকিং ও ইন্স্যুরেন্স বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।

back to top