মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন
বর্তমান সময়ে ধূমপান হলো একটি মারাত্মক খারাপ অভ্যাস। যা শুধু ধূমপায়ী ব্যক্তির স্বাস্থ্যকেই ক্ষতিগ্রস্ত করে না, বরং তার আশপাশে থাকা মানুষের জন্যও অনেক বিপজ্জনক হয়ে উঠে। পাশাপাশি পাবলিক প্লেসে ধূমপান করা আরও বিপজ্জনক। কারণ সেখানে অনেক মানুষ একসাথে থাকেন এবং ধোঁয়া সরাসরি তাদের শরীরে প্রবাহিত হতে থাকে। যার ফলশ্রুতিতে এটি শিশু, বৃদ্ধ এবং রোগাক্রান্ত মানুষের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে।
বিশ্বের অনেক দেশেই পাবলিক প্লেসে ধূমপান নিষিদ্ধ করা হয়েছে এবং সেখানকার সরকার ও নাগরিকরা এই বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে নিয়েছে। তেমনি আমাদের দেশেরও পাবলিক প্লেসে ধূমপান নিষিদ্ধ করার জন্য আইন রয়েছে যা জনস্বাস্থ্য রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত, আমাদের দেশে অনেক মানুষ এখনও এই আইন উপেক্ষা করে পাবলিক প্লেসে ধূমপান করে যাচ্ছে। যেমন- রেলস্টেশন, সদরঘাট, মার্কেটে বা জনসমাগম কোনো জায়গায়। সিগারেটের ধোঁয়া বাতাসকে দূষিত করে, পাশাপাশি নির্দোষ মানুষদেরও স্বাস্থ্যঝুঁকিতে ফেলে। শিশু, বৃদ্ধ এবং বিভিন্ন ধরনের রোগাক্রান্ত ব্যক্তির জন্যও দিনদিন এটি অত্যন্ত বিপজ্জনক হয়ে উঠছে। এছাড়া ধূমপান শুধু শারীরিক ক্ষতির কারণ নয়, এটি মানুষের অর্থনৈতিক ক্ষতির কারণও বটে!
একটি পরিবার যদি ধূমপান করে,তবে তাদের দৈনন্দিন খরচে এর প্রভাব পড়ে। রাষ্ট্রও ধূমপানের কারণে চিকিৎসা খরচসহ আরও অনেক সমস্যা মোকাবিলা করতে বাধ্য হয়। যা দেশের অর্থনৈতিক উন্নতির পথে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে। ফলে পাবলিক প্লেসে ধূমপান বন্ধ করা কেবলমাত্র একটি স্বাস্থ্য বিষয় নয়, এটি সামাজিক, অর্থনৈতিক এবং পরিবেশগত ক্ষেত্রেও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমরা যদি সবাই মিলে এই বিষয়ে সোচ্চার হতে পারি, তাহলে ধূমপান মুক্ত সমাজ গঠনের পথ আরো সুগম হবে। এছাড়াও একটি স্বাস্থ্যকর, শান্তিপূর্ণ এবং উন্নত সমাজ গঠনে আমরা সবাই অবদান রাখতে পারি। তাই আসুন সবাই আমরা এই প্রতিবাদী আহ্বানে একত্রিত হই এবং পাবলিক প্লেসে ধূমপান বন্ধ করার জন্য যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করি। আমাদের প্রত্যেকের সচেতনতা এবং সহযোগিতা সমাজে এক নতুন পরিবর্তন আনতে সক্ষম হবে এবং দেশ যাবে এক অনন্য উচ্চতায়।
রবিউল হাসান সাগর
শিক্ষার্থী, ঢাকা কলেজ।
মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন
রোববার, ১৯ জানুয়ারী ২০২৫
বর্তমান সময়ে ধূমপান হলো একটি মারাত্মক খারাপ অভ্যাস। যা শুধু ধূমপায়ী ব্যক্তির স্বাস্থ্যকেই ক্ষতিগ্রস্ত করে না, বরং তার আশপাশে থাকা মানুষের জন্যও অনেক বিপজ্জনক হয়ে উঠে। পাশাপাশি পাবলিক প্লেসে ধূমপান করা আরও বিপজ্জনক। কারণ সেখানে অনেক মানুষ একসাথে থাকেন এবং ধোঁয়া সরাসরি তাদের শরীরে প্রবাহিত হতে থাকে। যার ফলশ্রুতিতে এটি শিশু, বৃদ্ধ এবং রোগাক্রান্ত মানুষের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে।
বিশ্বের অনেক দেশেই পাবলিক প্লেসে ধূমপান নিষিদ্ধ করা হয়েছে এবং সেখানকার সরকার ও নাগরিকরা এই বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে নিয়েছে। তেমনি আমাদের দেশেরও পাবলিক প্লেসে ধূমপান নিষিদ্ধ করার জন্য আইন রয়েছে যা জনস্বাস্থ্য রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত, আমাদের দেশে অনেক মানুষ এখনও এই আইন উপেক্ষা করে পাবলিক প্লেসে ধূমপান করে যাচ্ছে। যেমন- রেলস্টেশন, সদরঘাট, মার্কেটে বা জনসমাগম কোনো জায়গায়। সিগারেটের ধোঁয়া বাতাসকে দূষিত করে, পাশাপাশি নির্দোষ মানুষদেরও স্বাস্থ্যঝুঁকিতে ফেলে। শিশু, বৃদ্ধ এবং বিভিন্ন ধরনের রোগাক্রান্ত ব্যক্তির জন্যও দিনদিন এটি অত্যন্ত বিপজ্জনক হয়ে উঠছে। এছাড়া ধূমপান শুধু শারীরিক ক্ষতির কারণ নয়, এটি মানুষের অর্থনৈতিক ক্ষতির কারণও বটে!
একটি পরিবার যদি ধূমপান করে,তবে তাদের দৈনন্দিন খরচে এর প্রভাব পড়ে। রাষ্ট্রও ধূমপানের কারণে চিকিৎসা খরচসহ আরও অনেক সমস্যা মোকাবিলা করতে বাধ্য হয়। যা দেশের অর্থনৈতিক উন্নতির পথে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে। ফলে পাবলিক প্লেসে ধূমপান বন্ধ করা কেবলমাত্র একটি স্বাস্থ্য বিষয় নয়, এটি সামাজিক, অর্থনৈতিক এবং পরিবেশগত ক্ষেত্রেও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমরা যদি সবাই মিলে এই বিষয়ে সোচ্চার হতে পারি, তাহলে ধূমপান মুক্ত সমাজ গঠনের পথ আরো সুগম হবে। এছাড়াও একটি স্বাস্থ্যকর, শান্তিপূর্ণ এবং উন্নত সমাজ গঠনে আমরা সবাই অবদান রাখতে পারি। তাই আসুন সবাই আমরা এই প্রতিবাদী আহ্বানে একত্রিত হই এবং পাবলিক প্লেসে ধূমপান বন্ধ করার জন্য যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করি। আমাদের প্রত্যেকের সচেতনতা এবং সহযোগিতা সমাজে এক নতুন পরিবর্তন আনতে সক্ষম হবে এবং দেশ যাবে এক অনন্য উচ্চতায়।
রবিউল হাসান সাগর
শিক্ষার্থী, ঢাকা কলেজ।