মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন
বাংলাদেশের দ্বিতীয় সর্বপ্রাচীন এবং তৃতীয় বৃহত্তর বিশ্ববিদ্যালয় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাকৃতিক পরিবেশ বিচিত্রতাপূর্ণ। আর এই প্রকৃতির অন্যতম সুন্দর অংশ পক্ষীকূল। প্রত্যেক বছর নভেম্বর মাস নাগাদ ঝাঁকে ঝাঁকে অতিথি পাখি এসে রাবির তৃতীয় বিজ্ঞান ভবনের (স্যার জগদীশচন্দ্র একাডেমিক ভবন) পিছনে তুঁত বাগানের পাশের মিঠা পানির মৎস অভয়াশ্রমে জায়গা নেয় এবং পুরো শীতকাল তারা এখানে থাকে। এদের মধ্যে পাতি সরালির সংখ্যা থাকে সবচেয়ে বেশি। এছাড়াও কয়েক প্রজাতির হাস ও অন্যান্য পাখি আসে। তবে এবার নভেম্বর পার হয়ে যাচ্ছে; কিন্তু পাখির দেখা নাই।
কারণ এই মাছের অভয়াশ্রম এখন প্রশাসনের অবহেলায় মাছ শিকারের কেন্দ্র হয়ে দাঁড়িয়েছে। ক্যাম্পাসের বহিরাগত মানুষরা প্রত্যেকদিন অন্তত ২০-২৫ জন বড়শি নিয়ে এসে পুকুরের চারিপাশে বসে মাছ শিকার করে। পুকুরের এক পাশের ঝোপ ঝাড়েও পৌছে গেছে মানুষেরা। এর ফলে অতিথি পাখিরা তো আসতে পারছেই না; পুকুরের ছোট মাছ নিধনের ফলে দেশি মাছও হুমকির মুখে।
এমতাবস্থায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন যদি এই পুকুরসহ রাবির সবাই মৎস অভয়াশ্রম থেকে মাছ ধরা লোকের সমাগম নিয়ন্ত্রণ না করে, তবে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের জীববৈচিত্র্য হুমকির মুখে পড়বে; অতিথি পাখিরাও কখনোই আর আসবে না। তাই রাবি প্রশাসনের কাছে অনুরোধ যত দ্রুত সম্ভব তুত বাগান পুকুরের আশপাশের ঝোপঝাড়ে মানুষের আনাগোনা কমাতে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হোক।
ফাহিম মুনতাসির রাফিন
মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন
রোববার, ১৯ জানুয়ারী ২০২৫
বাংলাদেশের দ্বিতীয় সর্বপ্রাচীন এবং তৃতীয় বৃহত্তর বিশ্ববিদ্যালয় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাকৃতিক পরিবেশ বিচিত্রতাপূর্ণ। আর এই প্রকৃতির অন্যতম সুন্দর অংশ পক্ষীকূল। প্রত্যেক বছর নভেম্বর মাস নাগাদ ঝাঁকে ঝাঁকে অতিথি পাখি এসে রাবির তৃতীয় বিজ্ঞান ভবনের (স্যার জগদীশচন্দ্র একাডেমিক ভবন) পিছনে তুঁত বাগানের পাশের মিঠা পানির মৎস অভয়াশ্রমে জায়গা নেয় এবং পুরো শীতকাল তারা এখানে থাকে। এদের মধ্যে পাতি সরালির সংখ্যা থাকে সবচেয়ে বেশি। এছাড়াও কয়েক প্রজাতির হাস ও অন্যান্য পাখি আসে। তবে এবার নভেম্বর পার হয়ে যাচ্ছে; কিন্তু পাখির দেখা নাই।
কারণ এই মাছের অভয়াশ্রম এখন প্রশাসনের অবহেলায় মাছ শিকারের কেন্দ্র হয়ে দাঁড়িয়েছে। ক্যাম্পাসের বহিরাগত মানুষরা প্রত্যেকদিন অন্তত ২০-২৫ জন বড়শি নিয়ে এসে পুকুরের চারিপাশে বসে মাছ শিকার করে। পুকুরের এক পাশের ঝোপ ঝাড়েও পৌছে গেছে মানুষেরা। এর ফলে অতিথি পাখিরা তো আসতে পারছেই না; পুকুরের ছোট মাছ নিধনের ফলে দেশি মাছও হুমকির মুখে।
এমতাবস্থায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন যদি এই পুকুরসহ রাবির সবাই মৎস অভয়াশ্রম থেকে মাছ ধরা লোকের সমাগম নিয়ন্ত্রণ না করে, তবে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের জীববৈচিত্র্য হুমকির মুখে পড়বে; অতিথি পাখিরাও কখনোই আর আসবে না। তাই রাবি প্রশাসনের কাছে অনুরোধ যত দ্রুত সম্ভব তুত বাগান পুকুরের আশপাশের ঝোপঝাড়ে মানুষের আনাগোনা কমাতে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হোক।
ফাহিম মুনতাসির রাফিন