alt

চিঠিপত্র

অভয়ারণ্যে মানুষের আনাগোনা

: রোববার, ১৯ জানুয়ারী ২০২৫

মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন

বাংলাদেশের দ্বিতীয় সর্বপ্রাচীন এবং তৃতীয় বৃহত্তর বিশ্ববিদ্যালয় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাকৃতিক পরিবেশ বিচিত্রতাপূর্ণ। আর এই প্রকৃতির অন্যতম সুন্দর অংশ পক্ষীকূল। প্রত্যেক বছর নভেম্বর মাস নাগাদ ঝাঁকে ঝাঁকে অতিথি পাখি এসে রাবির তৃতীয় বিজ্ঞান ভবনের (স্যার জগদীশচন্দ্র একাডেমিক ভবন) পিছনে তুঁত বাগানের পাশের মিঠা পানির মৎস অভয়াশ্রমে জায়গা নেয় এবং পুরো শীতকাল তারা এখানে থাকে। এদের মধ্যে পাতি সরালির সংখ্যা থাকে সবচেয়ে বেশি। এছাড়াও কয়েক প্রজাতির হাস ও অন্যান্য পাখি আসে। তবে এবার নভেম্বর পার হয়ে যাচ্ছে; কিন্তু পাখির দেখা নাই।

কারণ এই মাছের অভয়াশ্রম এখন প্রশাসনের অবহেলায় মাছ শিকারের কেন্দ্র হয়ে দাঁড়িয়েছে। ক্যাম্পাসের বহিরাগত মানুষরা প্রত্যেকদিন অন্তত ২০-২৫ জন বড়শি নিয়ে এসে পুকুরের চারিপাশে বসে মাছ শিকার করে। পুকুরের এক পাশের ঝোপ ঝাড়েও পৌছে গেছে মানুষেরা। এর ফলে অতিথি পাখিরা তো আসতে পারছেই না; পুকুরের ছোট মাছ নিধনের ফলে দেশি মাছও হুমকির মুখে।

এমতাবস্থায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন যদি এই পুকুরসহ রাবির সবাই মৎস অভয়াশ্রম থেকে মাছ ধরা লোকের সমাগম নিয়ন্ত্রণ না করে, তবে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের জীববৈচিত্র্য হুমকির মুখে পড়বে; অতিথি পাখিরাও কখনোই আর আসবে না। তাই রাবি প্রশাসনের কাছে অনুরোধ যত দ্রুত সম্ভব তুত বাগান পুকুরের আশপাশের ঝোপঝাড়ে মানুষের আনাগোনা কমাতে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হোক।

ফাহিম মুনতাসির রাফিন

ঢাকা কলেজের শৌচাগারের বেহাল দশা

অভিভাবকদের প্রতি একটি ছোট্ট নিবেদন

নোয়াখালীর হাতিয়া দ্বীপের স্বাক্ষরতার হার বাড়ানো সময়ের দাবি

হোসেনপুর টু টোক সড়কের বেহাল অবস্থা

পাবলিক প্লেসে ধূমপান বন্ধ হোক

বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তিতে পোষ্যকোটা

আসুন শীতার্ত মানুষের পাশে দাঁড়াই

শীতে শিশু ও বয়স্কদের বিশেষ যতেœর প্রয়োজন

চাঁদাবাজি : নতুন সরকারের পুরোনো চ্যালেঞ্জ

প্রাণী নির্যাতন বন্ধ করুন

ভর্তিতে লটারি, জীবনে অভিশাপ

গুজব একটি সামাজিক ব্যাধি

জলবায়ু পরিবর্তন : বাংলাদেশের বর্তমান সংকট ও অভিযোজনের চ্যালেঞ্জ।

গুচ্ছ পদ্ধতি বহাল চাই

ফসলের জন্য বন্ধুপোকা

নকল প্রসাধনীতে স্বাস্থ্যঝুঁকি

ছাগলে চাটে বাঘের গাল

উন্নত স্বাস্থ্যব্যবস্থা গড়তে মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ফার্মাসিস্ট

হল আবাসন আমার অধিকার

ডেঙ্গুর ভ্যাকসিন

শব্দদূষণে অতিষ্ঠ শহরের জনজীবন

থার্টিফার্স্ট নাইট হোক স্বাভাবিক

বর্ষবরণে পরিবেশ দূষণ কাম্য নয়

লক্ষ্মীবাজার ও নারিন্দার রাস্তা শোচনীয়

প্রকৃতিকে বাঁচাতেই হবে

প্রাণীদের প্রতি সদয় হোন

সহকারী শিক্ষকরা কাদের সহকারী?

শতভাগ ধূমপানমুক্ত পরিবেশ নিশ্চিত করতে ধূমপানের জন্য নির্ধারিত স্থান বাতিল করুন

স্বাস্থ্যসেবায় সংকট : রেফারেল ব্যবস্থার অভাব ও সমাধানের উপায়

রাস্তার পাশে বর্জ্য নিরসনে পদক্ষেপ চাই

স্বাস্থ্যসেবার সংকটে পার্বত্যবাসী

ফুটপাতের দখলদারিত্ব বন্ধ হোক

হেমন্তের দূষণ ও বিষণœতা

পথ কুকুর-বিড়ালের প্রতি মানবিক হোন

জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতালের এমআরআই মেশিন মেরামত করুন

শিশু শ্রমের অভিশাপ থেকে মুক্তি কোথায়

tab

চিঠিপত্র

অভয়ারণ্যে মানুষের আনাগোনা

মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন

রোববার, ১৯ জানুয়ারী ২০২৫

বাংলাদেশের দ্বিতীয় সর্বপ্রাচীন এবং তৃতীয় বৃহত্তর বিশ্ববিদ্যালয় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাকৃতিক পরিবেশ বিচিত্রতাপূর্ণ। আর এই প্রকৃতির অন্যতম সুন্দর অংশ পক্ষীকূল। প্রত্যেক বছর নভেম্বর মাস নাগাদ ঝাঁকে ঝাঁকে অতিথি পাখি এসে রাবির তৃতীয় বিজ্ঞান ভবনের (স্যার জগদীশচন্দ্র একাডেমিক ভবন) পিছনে তুঁত বাগানের পাশের মিঠা পানির মৎস অভয়াশ্রমে জায়গা নেয় এবং পুরো শীতকাল তারা এখানে থাকে। এদের মধ্যে পাতি সরালির সংখ্যা থাকে সবচেয়ে বেশি। এছাড়াও কয়েক প্রজাতির হাস ও অন্যান্য পাখি আসে। তবে এবার নভেম্বর পার হয়ে যাচ্ছে; কিন্তু পাখির দেখা নাই।

কারণ এই মাছের অভয়াশ্রম এখন প্রশাসনের অবহেলায় মাছ শিকারের কেন্দ্র হয়ে দাঁড়িয়েছে। ক্যাম্পাসের বহিরাগত মানুষরা প্রত্যেকদিন অন্তত ২০-২৫ জন বড়শি নিয়ে এসে পুকুরের চারিপাশে বসে মাছ শিকার করে। পুকুরের এক পাশের ঝোপ ঝাড়েও পৌছে গেছে মানুষেরা। এর ফলে অতিথি পাখিরা তো আসতে পারছেই না; পুকুরের ছোট মাছ নিধনের ফলে দেশি মাছও হুমকির মুখে।

এমতাবস্থায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন যদি এই পুকুরসহ রাবির সবাই মৎস অভয়াশ্রম থেকে মাছ ধরা লোকের সমাগম নিয়ন্ত্রণ না করে, তবে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের জীববৈচিত্র্য হুমকির মুখে পড়বে; অতিথি পাখিরাও কখনোই আর আসবে না। তাই রাবি প্রশাসনের কাছে অনুরোধ যত দ্রুত সম্ভব তুত বাগান পুকুরের আশপাশের ঝোপঝাড়ে মানুষের আনাগোনা কমাতে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হোক।

ফাহিম মুনতাসির রাফিন

back to top