মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন
গাজীপুরের টঙ্গীতে তুরাগ নদের তীরে বিশ্ব ইজতেমার প্রস্তুতি প্রায় সম্পন্ন। আগামীকাল থেকে শুরু হতে যাচ্ছে ইজতেমার প্রথম পর্ব। কিছুদিন আগে সংঘটিত দুঃখজনক ঘটনা এবং তাবলিগ জামাতের দুই পক্ষের মধ্যে মতদ্বৈততার কারণে এবারের ইজতেমা কিছুটা আলাদা প্রেক্ষাপটে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এই প্রেক্ষিতে ইজতেমায় অংশ নেয়া মুসল্লিদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা গুরুত্বপূর্ণ। পুলিশের মহাপরিদর্শকের (আইজিপি) বক্তব্যে ইজতেমার নিরাপত্তা ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশ নিশ্চিত করার প্রত্যয় প্রকাশ পেয়েছে।
বিশ্ব ইজতেমা মুসলিম উম্মাহর জন্য একটি মহাসম্মেলন। এটি দ্বীনি জ্ঞান অর্জন, আত্মশুদ্ধি এবং ভ্রাতৃত্ববোধ জাগ্রত করার একটি অনন্য মঞ্চ। কিন্তু কিছু দিন আগে ইজতেমা মাঠে সংঘটিত সংঘর্ষ এবং কয়েকজনের মৃত্যু আমাদের গভীরভাবে ব্যথিত করেছে। এই বিভাজন যেন ভবিষ্যতে আরও গভীর না হয়, সেদিকে সবার সজাগ দৃষ্টি রাখা প্রয়োজন। কোনো বিষয়ে মতপার্থক্য থাকতে পারে, কিন্তু তা কখনোই সহিংসতার দিকে মোড় নেয়া উচিত নয়।
ইজতেমা মাঠে যেন কোনো ধরনের সহিংসতা বা বিশৃঙ্খলা না ঘটে, তা নিশ্চিত করতে পুলিশ ও প্রশাসনকে সজাগ থাকতে হবে। শুধু নিরাপত্তা ব্যবস্থাই যথেষ্ট নয়, মুসল্লিদের মধ্যেও শান্তি ও সম্প্রীতির চেতনা জাগ্রত করতে হবে। ইজতেমার মূল উদ্দেশ্য হলো আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন এবং আত্মশুদ্ধি। এই উদ্দেশ্য যেন কোনোভাবেই ক্ষুণœ না হয় সেদিকে সবার দৃষ্টি দেয়া উচিত।
ইজতেমা শুধু একটি ধর্মীয় সমাবেশ নয়, এটি সামাজিক সম্প্রীতি ও ঐক্যেরও একটি বড় মঞ্চ। এই মঞ্চে সব মতপার্থক্য ভুলে গিয়ে শুধু ইসলামের মৌলিক শিক্ষা ও মানবিক মূল্যবোধের আলোকে এগিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানাই।
আমরা আশা করি, এবারের ইজতেমা সম্পূর্ণ শান্তিপূর্ণ ও সুশৃঙ্খলভাবে সম্পন্ন হবে। তাবলিগ জামাতের দুই পক্ষের মধ্যে সম্প্রীতি ও সমঝোতা প্রতিষ্ঠা হোক। মুসল্লিরা যেন নির্বিঘেœ তাদের ইবাদত ও দ্বীনি চর্চা করতে পারেন, তা নিশ্চিত করতে সরকার, প্রশাসন এবং সংশ্লিষ্ট সব পক্ষকে আরও দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে।
মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন
বৃহস্পতিবার, ৩০ জানুয়ারী ২০২৫
গাজীপুরের টঙ্গীতে তুরাগ নদের তীরে বিশ্ব ইজতেমার প্রস্তুতি প্রায় সম্পন্ন। আগামীকাল থেকে শুরু হতে যাচ্ছে ইজতেমার প্রথম পর্ব। কিছুদিন আগে সংঘটিত দুঃখজনক ঘটনা এবং তাবলিগ জামাতের দুই পক্ষের মধ্যে মতদ্বৈততার কারণে এবারের ইজতেমা কিছুটা আলাদা প্রেক্ষাপটে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এই প্রেক্ষিতে ইজতেমায় অংশ নেয়া মুসল্লিদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা গুরুত্বপূর্ণ। পুলিশের মহাপরিদর্শকের (আইজিপি) বক্তব্যে ইজতেমার নিরাপত্তা ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশ নিশ্চিত করার প্রত্যয় প্রকাশ পেয়েছে।
বিশ্ব ইজতেমা মুসলিম উম্মাহর জন্য একটি মহাসম্মেলন। এটি দ্বীনি জ্ঞান অর্জন, আত্মশুদ্ধি এবং ভ্রাতৃত্ববোধ জাগ্রত করার একটি অনন্য মঞ্চ। কিন্তু কিছু দিন আগে ইজতেমা মাঠে সংঘটিত সংঘর্ষ এবং কয়েকজনের মৃত্যু আমাদের গভীরভাবে ব্যথিত করেছে। এই বিভাজন যেন ভবিষ্যতে আরও গভীর না হয়, সেদিকে সবার সজাগ দৃষ্টি রাখা প্রয়োজন। কোনো বিষয়ে মতপার্থক্য থাকতে পারে, কিন্তু তা কখনোই সহিংসতার দিকে মোড় নেয়া উচিত নয়।
ইজতেমা মাঠে যেন কোনো ধরনের সহিংসতা বা বিশৃঙ্খলা না ঘটে, তা নিশ্চিত করতে পুলিশ ও প্রশাসনকে সজাগ থাকতে হবে। শুধু নিরাপত্তা ব্যবস্থাই যথেষ্ট নয়, মুসল্লিদের মধ্যেও শান্তি ও সম্প্রীতির চেতনা জাগ্রত করতে হবে। ইজতেমার মূল উদ্দেশ্য হলো আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন এবং আত্মশুদ্ধি। এই উদ্দেশ্য যেন কোনোভাবেই ক্ষুণœ না হয় সেদিকে সবার দৃষ্টি দেয়া উচিত।
ইজতেমা শুধু একটি ধর্মীয় সমাবেশ নয়, এটি সামাজিক সম্প্রীতি ও ঐক্যেরও একটি বড় মঞ্চ। এই মঞ্চে সব মতপার্থক্য ভুলে গিয়ে শুধু ইসলামের মৌলিক শিক্ষা ও মানবিক মূল্যবোধের আলোকে এগিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানাই।
আমরা আশা করি, এবারের ইজতেমা সম্পূর্ণ শান্তিপূর্ণ ও সুশৃঙ্খলভাবে সম্পন্ন হবে। তাবলিগ জামাতের দুই পক্ষের মধ্যে সম্প্রীতি ও সমঝোতা প্রতিষ্ঠা হোক। মুসল্লিরা যেন নির্বিঘেœ তাদের ইবাদত ও দ্বীনি চর্চা করতে পারেন, তা নিশ্চিত করতে সরকার, প্রশাসন এবং সংশ্লিষ্ট সব পক্ষকে আরও দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে।