alt

মতামত » চিঠিপত্র

ইজতেমার ঐক্য ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশ নিশ্চিত হোক

: বৃহস্পতিবার, ৩০ জানুয়ারী ২০২৫

মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন

গাজীপুরের টঙ্গীতে তুরাগ নদের তীরে বিশ্ব ইজতেমার প্রস্তুতি প্রায় সম্পন্ন। আগামীকাল থেকে শুরু হতে যাচ্ছে ইজতেমার প্রথম পর্ব। কিছুদিন আগে সংঘটিত দুঃখজনক ঘটনা এবং তাবলিগ জামাতের দুই পক্ষের মধ্যে মতদ্বৈততার কারণে এবারের ইজতেমা কিছুটা আলাদা প্রেক্ষাপটে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এই প্রেক্ষিতে ইজতেমায় অংশ নেয়া মুসল্লিদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা গুরুত্বপূর্ণ। পুলিশের মহাপরিদর্শকের (আইজিপি) বক্তব্যে ইজতেমার নিরাপত্তা ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশ নিশ্চিত করার প্রত্যয় প্রকাশ পেয়েছে।

বিশ্ব ইজতেমা মুসলিম উম্মাহর জন্য একটি মহাসম্মেলন। এটি দ্বীনি জ্ঞান অর্জন, আত্মশুদ্ধি এবং ভ্রাতৃত্ববোধ জাগ্রত করার একটি অনন্য মঞ্চ। কিন্তু কিছু দিন আগে ইজতেমা মাঠে সংঘটিত সংঘর্ষ এবং কয়েকজনের মৃত্যু আমাদের গভীরভাবে ব্যথিত করেছে। এই বিভাজন যেন ভবিষ্যতে আরও গভীর না হয়, সেদিকে সবার সজাগ দৃষ্টি রাখা প্রয়োজন। কোনো বিষয়ে মতপার্থক্য থাকতে পারে, কিন্তু তা কখনোই সহিংসতার দিকে মোড় নেয়া উচিত নয়।

ইজতেমা মাঠে যেন কোনো ধরনের সহিংসতা বা বিশৃঙ্খলা না ঘটে, তা নিশ্চিত করতে পুলিশ ও প্রশাসনকে সজাগ থাকতে হবে। শুধু নিরাপত্তা ব্যবস্থাই যথেষ্ট নয়, মুসল্লিদের মধ্যেও শান্তি ও সম্প্রীতির চেতনা জাগ্রত করতে হবে। ইজতেমার মূল উদ্দেশ্য হলো আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন এবং আত্মশুদ্ধি। এই উদ্দেশ্য যেন কোনোভাবেই ক্ষুণœ না হয় সেদিকে সবার দৃষ্টি দেয়া উচিত।

ইজতেমা শুধু একটি ধর্মীয় সমাবেশ নয়, এটি সামাজিক সম্প্রীতি ও ঐক্যেরও একটি বড় মঞ্চ। এই মঞ্চে সব মতপার্থক্য ভুলে গিয়ে শুধু ইসলামের মৌলিক শিক্ষা ও মানবিক মূল্যবোধের আলোকে এগিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানাই।

আমরা আশা করি, এবারের ইজতেমা সম্পূর্ণ শান্তিপূর্ণ ও সুশৃঙ্খলভাবে সম্পন্ন হবে। তাবলিগ জামাতের দুই পক্ষের মধ্যে সম্প্রীতি ও সমঝোতা প্রতিষ্ঠা হোক। মুসল্লিরা যেন নির্বিঘেœ তাদের ইবাদত ও দ্বীনি চর্চা করতে পারেন, তা নিশ্চিত করতে সরকার, প্রশাসন এবং সংশ্লিষ্ট সব পক্ষকে আরও দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে।

গেন্ডারিয়ায় সড়ক ও ড্রেন সংস্কারে অনিয়ম: জনদূর্ভোগ বৃদ্ধি

প্রবীণদের সুরক্ষা ও মর্যাদা নিশ্চিত করা এখন সময়ের দাবি

পলিভিনাইলের ব্যবহার প্রতিরোধ জরুরি

বৈধ সনদধারীদের অধিকার নিশ্চিত করা জরুরি

টেকসই দুর্যোগ প্রস্তুতিতে জরুরি বাস্তব পদক্ষেপ প্রয়োজন

জলবায়ু পরিবর্তন ও নারী ও কিশোরীদের ঝুঁকি

মেধা হারাচ্ছে দেশ

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় : অযৌক্তিক ফি, সেশনজট ও প্রশাসনিক বিশৃঙ্খলায় বিপর্যস্ত শিক্ষার্থী

সামাজিক মাধ্যমের ভুবনে জনতুষ্টিবাদের নতুন রূপ

ভেজাল খেজুরগুড় ও স্বাস্থ্যঝুঁকি

হাসপাতাল ব্যবস্থাপনায় প্রশাসনিক ক্যাডারের প্রয়োজনীয়তা

প্লাস্টিক বর্জ্যে মাছের মৃত্যু: সমাধান কোথায়

খোলা ম্যানহোল: ঢাকার রাজপথে এক নীরব মরণফাঁদ

গণপরিবহন: প্রতিদিনের যন্ত্রণার শেষ কবে?

ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পের পুনর্জাগরণ

সাইবার বুলিং ও ভার্চুয়াল অপরাধ: তরুণদের অদৃশ্য বিপদ

ওয়াসার খোঁড়াখুঁড়িতে নগরজীবনের চরম ভোগান্তি

রাবি মেডিকেল সেন্টারের সংস্কার চাই

চিংড়ি শিল্পের পরিবেশগত প্রভাব

কক্সবাজার: উন্নয়নের পথে, বিপন্ন প্রকৃতি

চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের প্রেক্ষাপটে নতুন সম্ভাবনার ভোর

প্রাথমিক শিক্ষকদের বঞ্চনা দূর না হলে মানোন্নয়ন অসম্ভব

রাবির আবাসন সংকট

সব হাসপাতালে ফিজিক্যাল মেডিসিন ও রিহ্যাবিলিটেশন সেবা চালু করা হোক

ডেঙ্গু মোকাবিলায় সচেতনতা

পানি সংকট: জীবন ও সভ্যতার জন্য বিরাট হুমকি

ই-লার্নিং: সীমান্তহীন শিক্ষার নতুন দিগন্ত

আজিমপুর কলোনির অব্যবস্থাপনা

জনস্বাস্থ্যের নীরব ঘাতক : তামাকজাত পণ্য

বিশ্ব র‌্যাংকিংয়ে বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়: অবস্থান, চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনা

ইন্দো-প্যাসিফিক রাজনীতি ও বাংলাদেশের সমুদ্রকৌশল

বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্টিফিকেট: দীর্ঘসূত্রতা ও ভোগান্তির শেষ কোথায়?

পুরান ঢাকার রাস্তাগুলোর বেহাল অবস্থা

নিরাপদ শিশু খাদ্য: জাতির ভবিষ্যতের প্রশ্ন

ট্রেনের শিডিউল বিপর্যয়: প্রতিদিনের দুঃস্বপ্ন

পানি ও খাদ্য নিরাপত্তা

tab

মতামত » চিঠিপত্র

ইজতেমার ঐক্য ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশ নিশ্চিত হোক

মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন

বৃহস্পতিবার, ৩০ জানুয়ারী ২০২৫

গাজীপুরের টঙ্গীতে তুরাগ নদের তীরে বিশ্ব ইজতেমার প্রস্তুতি প্রায় সম্পন্ন। আগামীকাল থেকে শুরু হতে যাচ্ছে ইজতেমার প্রথম পর্ব। কিছুদিন আগে সংঘটিত দুঃখজনক ঘটনা এবং তাবলিগ জামাতের দুই পক্ষের মধ্যে মতদ্বৈততার কারণে এবারের ইজতেমা কিছুটা আলাদা প্রেক্ষাপটে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এই প্রেক্ষিতে ইজতেমায় অংশ নেয়া মুসল্লিদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা গুরুত্বপূর্ণ। পুলিশের মহাপরিদর্শকের (আইজিপি) বক্তব্যে ইজতেমার নিরাপত্তা ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশ নিশ্চিত করার প্রত্যয় প্রকাশ পেয়েছে।

বিশ্ব ইজতেমা মুসলিম উম্মাহর জন্য একটি মহাসম্মেলন। এটি দ্বীনি জ্ঞান অর্জন, আত্মশুদ্ধি এবং ভ্রাতৃত্ববোধ জাগ্রত করার একটি অনন্য মঞ্চ। কিন্তু কিছু দিন আগে ইজতেমা মাঠে সংঘটিত সংঘর্ষ এবং কয়েকজনের মৃত্যু আমাদের গভীরভাবে ব্যথিত করেছে। এই বিভাজন যেন ভবিষ্যতে আরও গভীর না হয়, সেদিকে সবার সজাগ দৃষ্টি রাখা প্রয়োজন। কোনো বিষয়ে মতপার্থক্য থাকতে পারে, কিন্তু তা কখনোই সহিংসতার দিকে মোড় নেয়া উচিত নয়।

ইজতেমা মাঠে যেন কোনো ধরনের সহিংসতা বা বিশৃঙ্খলা না ঘটে, তা নিশ্চিত করতে পুলিশ ও প্রশাসনকে সজাগ থাকতে হবে। শুধু নিরাপত্তা ব্যবস্থাই যথেষ্ট নয়, মুসল্লিদের মধ্যেও শান্তি ও সম্প্রীতির চেতনা জাগ্রত করতে হবে। ইজতেমার মূল উদ্দেশ্য হলো আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন এবং আত্মশুদ্ধি। এই উদ্দেশ্য যেন কোনোভাবেই ক্ষুণœ না হয় সেদিকে সবার দৃষ্টি দেয়া উচিত।

ইজতেমা শুধু একটি ধর্মীয় সমাবেশ নয়, এটি সামাজিক সম্প্রীতি ও ঐক্যেরও একটি বড় মঞ্চ। এই মঞ্চে সব মতপার্থক্য ভুলে গিয়ে শুধু ইসলামের মৌলিক শিক্ষা ও মানবিক মূল্যবোধের আলোকে এগিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানাই।

আমরা আশা করি, এবারের ইজতেমা সম্পূর্ণ শান্তিপূর্ণ ও সুশৃঙ্খলভাবে সম্পন্ন হবে। তাবলিগ জামাতের দুই পক্ষের মধ্যে সম্প্রীতি ও সমঝোতা প্রতিষ্ঠা হোক। মুসল্লিরা যেন নির্বিঘেœ তাদের ইবাদত ও দ্বীনি চর্চা করতে পারেন, তা নিশ্চিত করতে সরকার, প্রশাসন এবং সংশ্লিষ্ট সব পক্ষকে আরও দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে।

back to top