alt

মতামত » চিঠিপত্র

শহরের সবুজায়ন : টিকে থাকার লড়াই

: শনিবার, ০১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন

শহর আমাদের আধুনিক জীবনের কেন্দ্রবিন্দু। এখানে প্রতিদিন গড়ে ওঠা নতুন নতুন স্থাপনা, রাস্তা এবং শিল্প-কারখানা আমাদের জীবনযাত্রাকে সহজ করছে ঠিকই, কিন্তু একই সঙ্গে প্রকৃতির ভারসাম্যও নষ্ট করে চলেছে। নগরায়ণের এই ধারাবাহিকতায় গাছপালা, উদ্যান এবং খোলা জায়গাগুলো ক্রমশ সংকুচিত হচ্ছে। শহরের মানুষের জীবন থেকে প্রকৃতির সংস্পর্শ হারিয়ে যাওয়ার ফলে মানসিক চাপ, স্বাস্থ্যগত সমস্যা এবং পরিবেশগত সংকট বৃদ্ধি পাচ্ছে। এর মধ্যেই শহরের সবুজায়নের গুরুত্ব বারবার উঠে আসছে। এটি একদিকে যেমন পরিবেশ রক্ষায় ভূমিকা রাখে, অন্যদিকে নাগরিক জীবনকেও করে তোলে আরও মানসম্মত।

শহরের সবুজায়নের পথে প্রধান বাধা হলো অপ্রতুল জমি এবং নগরায়ণের বাড়তি চাপ। শহরে প্রতিনিয়ত জনসংখ্যা বৃদ্ধি এবং জমির চাহিদা সবুজ জায়গাগুলোকে সংকুচিত করছে। অনেক সময় নগর উন্নয়নের নামে উদ্যান ধ্বংস করে বড় বড় স্থাপনা তৈরি করা হয়। এর ফলে গরমের তীব্রতা বাড়ে, বন্যার ঝুঁকি বৃদ্ধি পায় এবং বায়ুদূষণ মারাত্মক আকার ধারণ করে। সঠিক পরিকল্পনার অভাব এবং নাগরিক সচেতনতার ঘাটতি এই সংকটকে আরও তীব্র করে তুলছে।

তবে এ সমস্যার সমাধান সম্ভব। সরকার এবং বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে সমন্বয় ঘটিয়ে শহরের অব্যবহৃত জমিগুলোকে সবুজ করার প্রকল্প নেওয়া যেতে পারে। ছাদ বাগান এবং উল্লম্ব বাগান তৈরির জন্য প্রণোদনা দেওয়া যেতে পারে। এগুলোর পাশাপাশি স্থানীয় মানুষদের সম্পৃক্ত করার মাধ্যমে একটি টেকসই সবুজায়ন উদ্যোগ গ্রহণ করা সম্ভব। উদাহরণস্বরূপ, জাপানের টোকিও শহরে ছাদবাগান বাধ্যতামূলক করা হয়েছে, যা তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে এবং স্থানীয় জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখছে।

শহরের সবুজায়ন জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধেও একটি শক্তিশালী অস্ত্র। এটি শহরের বন্যা সমস্যার সমাধানে ভূমিকা রাখে, কারণ গাছপালা ও সবুজ এলাকা বৃষ্টির পানি শোষণ করে এবং জলাবদ্ধতা কমায়। সবুজ জায়গাগুলো প্রাকৃতিক জলোচ্ছ্বাস এবং বায়ুর গতিবেগ কমাতেও সহায়ক। পাশাপাশি এটি শহরে স্থানীয় পাখি, প্রজাপতি এবং অন্যান্য প্রাণীদের জন্য একটি নিরাপদ আশ্রয়স্থল তৈরি করে।

হালিমা আক্তার হানী

শিক্ষার্থী, রাজশাহী কলেজ।

টেকসই শহরের একান্ত প্রয়োজন

সুষ্ঠু প্রতিযোগিতা সংস্কৃতি গড়ে তোলা জরুরি

সুন্দরবনের বাঘ ও জলবায়ু পরিবর্তনের হুমকি

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা : আর্শীবাদ নাকি অভিশাপ

সমুদ্রগবেষণায় পশ্চাৎপদতা মৎস্য খাতের ভবিষ্যৎকেই ঝুঁকিতে ফেলছে

কিশোর গ্যাং–সংস্কৃতি: সমাজের জন্য বাড়তে থাকা অশনি সংকেত

ডিগ্রি হাতে, চাকরি স্বপ্নে: শিক্ষিত বেকারদের মানসিক ক্ষয়

সরকারি কর্মচারীদের কর্মেই মুক্তি নাকি আন্দোলনে?

কর্মজীবী নারীর অদৃশ্য মানসিক বোঝা

নগর সংস্কৃতিতে ঐতিহ্যের বিলুপ্তি

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় আগাম সতর্কবার্তাই কি যথেষ্ট?

সুলতানপুরে করতোয়া নদীর তাণ্ডব: নদীভাঙনে মানুষের জীবন বিপন্ন

ফ্রিল্যান্সিংয়ে সম্ভাবনা বিস্তৃত, অনিয়মের ছায়াও গভীর

গেন্ডারিয়ায় সড়ক ও ড্রেন সংস্কারে অনিয়ম: জনদূর্ভোগ বৃদ্ধি

প্রবীণদের সুরক্ষা ও মর্যাদা নিশ্চিত করা এখন সময়ের দাবি

পলিভিনাইলের ব্যবহার প্রতিরোধ জরুরি

বৈধ সনদধারীদের অধিকার নিশ্চিত করা জরুরি

টেকসই দুর্যোগ প্রস্তুতিতে জরুরি বাস্তব পদক্ষেপ প্রয়োজন

জলবায়ু পরিবর্তন ও নারী ও কিশোরীদের ঝুঁকি

মেধা হারাচ্ছে দেশ

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় : অযৌক্তিক ফি, সেশনজট ও প্রশাসনিক বিশৃঙ্খলায় বিপর্যস্ত শিক্ষার্থী

সামাজিক মাধ্যমের ভুবনে জনতুষ্টিবাদের নতুন রূপ

ভেজাল খেজুরগুড় ও স্বাস্থ্যঝুঁকি

হাসপাতাল ব্যবস্থাপনায় প্রশাসনিক ক্যাডারের প্রয়োজনীয়তা

প্লাস্টিক বর্জ্যে মাছের মৃত্যু: সমাধান কোথায়

খোলা ম্যানহোল: ঢাকার রাজপথে এক নীরব মরণফাঁদ

গণপরিবহন: প্রতিদিনের যন্ত্রণার শেষ কবে?

ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পের পুনর্জাগরণ

সাইবার বুলিং ও ভার্চুয়াল অপরাধ: তরুণদের অদৃশ্য বিপদ

ওয়াসার খোঁড়াখুঁড়িতে নগরজীবনের চরম ভোগান্তি

রাবি মেডিকেল সেন্টারের সংস্কার চাই

চিংড়ি শিল্পের পরিবেশগত প্রভাব

কক্সবাজার: উন্নয়নের পথে, বিপন্ন প্রকৃতি

চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের প্রেক্ষাপটে নতুন সম্ভাবনার ভোর

প্রাথমিক শিক্ষকদের বঞ্চনা দূর না হলে মানোন্নয়ন অসম্ভব

রাবির আবাসন সংকট

tab

মতামত » চিঠিপত্র

শহরের সবুজায়ন : টিকে থাকার লড়াই

মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন

শনিবার, ০১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

শহর আমাদের আধুনিক জীবনের কেন্দ্রবিন্দু। এখানে প্রতিদিন গড়ে ওঠা নতুন নতুন স্থাপনা, রাস্তা এবং শিল্প-কারখানা আমাদের জীবনযাত্রাকে সহজ করছে ঠিকই, কিন্তু একই সঙ্গে প্রকৃতির ভারসাম্যও নষ্ট করে চলেছে। নগরায়ণের এই ধারাবাহিকতায় গাছপালা, উদ্যান এবং খোলা জায়গাগুলো ক্রমশ সংকুচিত হচ্ছে। শহরের মানুষের জীবন থেকে প্রকৃতির সংস্পর্শ হারিয়ে যাওয়ার ফলে মানসিক চাপ, স্বাস্থ্যগত সমস্যা এবং পরিবেশগত সংকট বৃদ্ধি পাচ্ছে। এর মধ্যেই শহরের সবুজায়নের গুরুত্ব বারবার উঠে আসছে। এটি একদিকে যেমন পরিবেশ রক্ষায় ভূমিকা রাখে, অন্যদিকে নাগরিক জীবনকেও করে তোলে আরও মানসম্মত।

শহরের সবুজায়নের পথে প্রধান বাধা হলো অপ্রতুল জমি এবং নগরায়ণের বাড়তি চাপ। শহরে প্রতিনিয়ত জনসংখ্যা বৃদ্ধি এবং জমির চাহিদা সবুজ জায়গাগুলোকে সংকুচিত করছে। অনেক সময় নগর উন্নয়নের নামে উদ্যান ধ্বংস করে বড় বড় স্থাপনা তৈরি করা হয়। এর ফলে গরমের তীব্রতা বাড়ে, বন্যার ঝুঁকি বৃদ্ধি পায় এবং বায়ুদূষণ মারাত্মক আকার ধারণ করে। সঠিক পরিকল্পনার অভাব এবং নাগরিক সচেতনতার ঘাটতি এই সংকটকে আরও তীব্র করে তুলছে।

তবে এ সমস্যার সমাধান সম্ভব। সরকার এবং বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে সমন্বয় ঘটিয়ে শহরের অব্যবহৃত জমিগুলোকে সবুজ করার প্রকল্প নেওয়া যেতে পারে। ছাদ বাগান এবং উল্লম্ব বাগান তৈরির জন্য প্রণোদনা দেওয়া যেতে পারে। এগুলোর পাশাপাশি স্থানীয় মানুষদের সম্পৃক্ত করার মাধ্যমে একটি টেকসই সবুজায়ন উদ্যোগ গ্রহণ করা সম্ভব। উদাহরণস্বরূপ, জাপানের টোকিও শহরে ছাদবাগান বাধ্যতামূলক করা হয়েছে, যা তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে এবং স্থানীয় জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখছে।

শহরের সবুজায়ন জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধেও একটি শক্তিশালী অস্ত্র। এটি শহরের বন্যা সমস্যার সমাধানে ভূমিকা রাখে, কারণ গাছপালা ও সবুজ এলাকা বৃষ্টির পানি শোষণ করে এবং জলাবদ্ধতা কমায়। সবুজ জায়গাগুলো প্রাকৃতিক জলোচ্ছ্বাস এবং বায়ুর গতিবেগ কমাতেও সহায়ক। পাশাপাশি এটি শহরে স্থানীয় পাখি, প্রজাপতি এবং অন্যান্য প্রাণীদের জন্য একটি নিরাপদ আশ্রয়স্থল তৈরি করে।

হালিমা আক্তার হানী

শিক্ষার্থী, রাজশাহী কলেজ।

back to top