alt

মতামত » চিঠিপত্র

চিঠি : বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসন সংকট থেকে মুক্তি চাই

: শুক্রবার, ২৯ অক্টোবর ২০২১

মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন

বিশ্ববিদ্যালয়কে বলা হয় মনন বিকাশের সর্বোৎকৃষ্ট বিদ্যাপীঠ। এখানে রয়েছে মানসিক বিকাশ সাধনের জন্য বিভিন্ন সংগঠন, শারীরিক বিকাশের জন্য খেলার মাঠসহ জিমনেশিয়াম, তেমনি জ্ঞান চর্চার জন্য রয়েছে লাইব্রেরি। সামাজিকীকরণের জন্যও এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গন হচ্ছে আবাসিক হল। আর সেটি যখন হয় সবুজ ও মনোরম পরিবেশে, পাশ দিয়ে বয়ে চলে কোনো নদী, তবে শিক্ষার্থীদের আত্মিক উন্নয়ন হয় চমৎকার। তেমনি একটি বিশ্ববিদ্যালয়, দক্ষিণ এশিয়ার কৃষি শিক্ষার সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বাকৃবি)। এখানে রয়েছে ছেলেদের জন্য ৯টি ও মেয়েদের জন্য ৪টি আবাসিক হল। প্রতি বছর প্রায় ১ হাজার ২০০ শিক্ষার্থী ভর্তি হয়, যার মধ্যে অর্ধেকই নারী শিক্ষার্থী। সেই অনুপাতে মেয়েদের আবাসন সংকট তীব্র থেকে তীব্রতর হচ্ছে প্রতি বছর।

অপরদিকে ছেলেদের জন্য এতগুলো হলো বরাদ্দ থাকলেও সেখানে রয়েছে অব্যবস্থাপনা, প্রশাসনের মনোযোগের অভাব, বিভিন্ন রাজনৈতিক সংগঠনের দৌরাত্ম্যসহ নানাবিধ সমস্যা। প্রায় প্রতিটি হলে রয়েছে গণরুম। সেখানে অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী একসাথে একরুমে অবস্থান করে। মেয়েদের হলের অবস্থা আরো ভয়াবহ।

ডাইনিং রুমগুলোতে দেখা যায় বেডের দীর্ঘ সারি, সিঙ্গেল বেডে একজনের জায়গায় দুজনকে থাকতে হয়। সেখানেই কোনো এক কোনায় রয়েছে ট্রাংক, সেলফ আর কদাচিৎ চোখে পড়ে পড়ার টেবিল। সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ের হেলথ কেয়ার সেন্টারে অস্থায়ী আবাসনের ব্যবস্থাও করা হয়েছে। হলগুলোর অবস্থাই যখন বেহাল, অস্থায়ী আবাসনে মেয়েদের নিরাপত্তাহীনতা, চোরের উপদ্রব, হোটেলের খাবার গ্রহণসহ নানাবিদ সমস্যায় জর্জরিত। একরকম পরিবেশ শিক্ষার্থীদের মনে নেতিবাচক ধারণার সৃষ্টি করে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এদিকে মনোযোগ দিলে শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনার সুষ্ঠু পরিবেশ পাবে বলে আশা করা যায়।

আব্দুল্লাহ ওমর আসিফ

ধর্মের নামে বর্বরতা

টেকসই শহরের একান্ত প্রয়োজন

সুষ্ঠু প্রতিযোগিতা সংস্কৃতি গড়ে তোলা জরুরি

সুন্দরবনের বাঘ ও জলবায়ু পরিবর্তনের হুমকি

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা : আর্শীবাদ নাকি অভিশাপ

সমুদ্রগবেষণায় পশ্চাৎপদতা মৎস্য খাতের ভবিষ্যৎকেই ঝুঁকিতে ফেলছে

কিশোর গ্যাং–সংস্কৃতি: সমাজের জন্য বাড়তে থাকা অশনি সংকেত

ডিগ্রি হাতে, চাকরি স্বপ্নে: শিক্ষিত বেকারদের মানসিক ক্ষয়

সরকারি কর্মচারীদের কর্মেই মুক্তি নাকি আন্দোলনে?

কর্মজীবী নারীর অদৃশ্য মানসিক বোঝা

নগর সংস্কৃতিতে ঐতিহ্যের বিলুপ্তি

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় আগাম সতর্কবার্তাই কি যথেষ্ট?

সুলতানপুরে করতোয়া নদীর তাণ্ডব: নদীভাঙনে মানুষের জীবন বিপন্ন

ফ্রিল্যান্সিংয়ে সম্ভাবনা বিস্তৃত, অনিয়মের ছায়াও গভীর

গেন্ডারিয়ায় সড়ক ও ড্রেন সংস্কারে অনিয়ম: জনদূর্ভোগ বৃদ্ধি

প্রবীণদের সুরক্ষা ও মর্যাদা নিশ্চিত করা এখন সময়ের দাবি

পলিভিনাইলের ব্যবহার প্রতিরোধ জরুরি

বৈধ সনদধারীদের অধিকার নিশ্চিত করা জরুরি

টেকসই দুর্যোগ প্রস্তুতিতে জরুরি বাস্তব পদক্ষেপ প্রয়োজন

জলবায়ু পরিবর্তন ও নারী ও কিশোরীদের ঝুঁকি

মেধা হারাচ্ছে দেশ

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় : অযৌক্তিক ফি, সেশনজট ও প্রশাসনিক বিশৃঙ্খলায় বিপর্যস্ত শিক্ষার্থী

সামাজিক মাধ্যমের ভুবনে জনতুষ্টিবাদের নতুন রূপ

ভেজাল খেজুরগুড় ও স্বাস্থ্যঝুঁকি

হাসপাতাল ব্যবস্থাপনায় প্রশাসনিক ক্যাডারের প্রয়োজনীয়তা

প্লাস্টিক বর্জ্যে মাছের মৃত্যু: সমাধান কোথায়

খোলা ম্যানহোল: ঢাকার রাজপথে এক নীরব মরণফাঁদ

গণপরিবহন: প্রতিদিনের যন্ত্রণার শেষ কবে?

ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পের পুনর্জাগরণ

সাইবার বুলিং ও ভার্চুয়াল অপরাধ: তরুণদের অদৃশ্য বিপদ

ওয়াসার খোঁড়াখুঁড়িতে নগরজীবনের চরম ভোগান্তি

রাবি মেডিকেল সেন্টারের সংস্কার চাই

চিংড়ি শিল্পের পরিবেশগত প্রভাব

কক্সবাজার: উন্নয়নের পথে, বিপন্ন প্রকৃতি

চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের প্রেক্ষাপটে নতুন সম্ভাবনার ভোর

প্রাথমিক শিক্ষকদের বঞ্চনা দূর না হলে মানোন্নয়ন অসম্ভব

tab

মতামত » চিঠিপত্র

চিঠি : বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসন সংকট থেকে মুক্তি চাই

মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন

শুক্রবার, ২৯ অক্টোবর ২০২১

বিশ্ববিদ্যালয়কে বলা হয় মনন বিকাশের সর্বোৎকৃষ্ট বিদ্যাপীঠ। এখানে রয়েছে মানসিক বিকাশ সাধনের জন্য বিভিন্ন সংগঠন, শারীরিক বিকাশের জন্য খেলার মাঠসহ জিমনেশিয়াম, তেমনি জ্ঞান চর্চার জন্য রয়েছে লাইব্রেরি। সামাজিকীকরণের জন্যও এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গন হচ্ছে আবাসিক হল। আর সেটি যখন হয় সবুজ ও মনোরম পরিবেশে, পাশ দিয়ে বয়ে চলে কোনো নদী, তবে শিক্ষার্থীদের আত্মিক উন্নয়ন হয় চমৎকার। তেমনি একটি বিশ্ববিদ্যালয়, দক্ষিণ এশিয়ার কৃষি শিক্ষার সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বাকৃবি)। এখানে রয়েছে ছেলেদের জন্য ৯টি ও মেয়েদের জন্য ৪টি আবাসিক হল। প্রতি বছর প্রায় ১ হাজার ২০০ শিক্ষার্থী ভর্তি হয়, যার মধ্যে অর্ধেকই নারী শিক্ষার্থী। সেই অনুপাতে মেয়েদের আবাসন সংকট তীব্র থেকে তীব্রতর হচ্ছে প্রতি বছর।

অপরদিকে ছেলেদের জন্য এতগুলো হলো বরাদ্দ থাকলেও সেখানে রয়েছে অব্যবস্থাপনা, প্রশাসনের মনোযোগের অভাব, বিভিন্ন রাজনৈতিক সংগঠনের দৌরাত্ম্যসহ নানাবিধ সমস্যা। প্রায় প্রতিটি হলে রয়েছে গণরুম। সেখানে অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী একসাথে একরুমে অবস্থান করে। মেয়েদের হলের অবস্থা আরো ভয়াবহ।

ডাইনিং রুমগুলোতে দেখা যায় বেডের দীর্ঘ সারি, সিঙ্গেল বেডে একজনের জায়গায় দুজনকে থাকতে হয়। সেখানেই কোনো এক কোনায় রয়েছে ট্রাংক, সেলফ আর কদাচিৎ চোখে পড়ে পড়ার টেবিল। সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ের হেলথ কেয়ার সেন্টারে অস্থায়ী আবাসনের ব্যবস্থাও করা হয়েছে। হলগুলোর অবস্থাই যখন বেহাল, অস্থায়ী আবাসনে মেয়েদের নিরাপত্তাহীনতা, চোরের উপদ্রব, হোটেলের খাবার গ্রহণসহ নানাবিদ সমস্যায় জর্জরিত। একরকম পরিবেশ শিক্ষার্থীদের মনে নেতিবাচক ধারণার সৃষ্টি করে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এদিকে মনোযোগ দিলে শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনার সুষ্ঠু পরিবেশ পাবে বলে আশা করা যায়।

আব্দুল্লাহ ওমর আসিফ

back to top