alt

চিঠিপত্র

চিঠি : হতাশার অপর নাম বেকারত্ব

: সোমবার, ০৮ আগস্ট ২০২২

মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন

বেকার জীবন একটা হতাশার জীবন। যতই দিন যাচ্ছে, বেকারের সংখ্যা বেড়েই চলছে। বেকারত্ব বাংলাদেশের একটি বড় সমস্যা। বেকারত্বের কারণে দেশের লাখ লাখ তরুণ আজ হতাশায় জীবন কাটাচ্ছে। পড়াশোনা করেও যখন চাকরি পাচ্ছে না, তখন তারা পথ হারিয়ে ফেলছে। সহসা যখন এ সমস্যা থেকে মুক্তি মিলছে না তখন কেউ কেউ বেকারত্ব থেকে মুক্তির আশায় বিভিন্ন অবৈধ পন্থা অবলম্বন করছেন। কেউ বা আবার অবৈধ পথে বিদেশে পাড়ি দিতেও পিছপা হচ্ছেন না। কেউ কেউ তো বেকারত্বের চাপ সামলাতে না পেরে আত্মহত্যা পর্যন্ত করেছেন। তবুও যেন বেকারত্বের অভিশাপ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়!

দরিদ্রতা, স্বজনপ্রীতি, নড়বড়ে শিক্ষাববস্থা, ও সঠিক সময়ে সঠিক পদক্ষেপ না নেওয়ার কারণে মূলত বেকারত্ব তৈরি হচ্ছে। দেশের উন্নয়ন হচ্ছে ঠিকই কিন্তু বেকারত্বের হার কোনভাবেই কমছে না বরং বাড়ছে। আর এতেই লাখ লাখ শিক্ষিত তরুণদের বেকারের যন্ত্রণা বেড়েই চলছে। দেশে কাজ না পেয়ে বিদেশে কাজের আশায় এ দেশের তরুণরা প্রবাসী জীবন বেছে নিচ্ছে, বাবার শেষ সম্পদটুকু বিক্রয় করে। ঝুঁকি নিয়ে বিদেশে যাবার সময় অনেকে মৃত্যুবরণ করছে। পৌঁছাতে পারলেও অনেক সময় কাজ পাচ্ছে না তারা। বেকারত্বের কারণে বিগত বছরগুলোতে অনেক শিক্ষার্থী আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছিলেন।

প্রশ্ন হচ্ছে এভাবে আর কত দিন চলবে? এইভাবে ভেঙে যাবে আর কত স্বপ্ন! বেকারত্ব থেকে কি মুক্তির কোনো পথ নেই? থাকলে সেই পথে অগ্রসর হওয়া উচিত। দেশের উন্নয়নের সঙ্গে তরুণদের একটা গভীর সম্পর্ক আছে। যে দেশের তরুণরা যত বেশি কর্মঠ, সে দেশ উন্নয়নের ধারায় ততবেশি অগ্রসর। আমাদের দেশের বেকার যুবকদের সঠিকভাবে কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির ত্বরায়ন করতে পারে। তবে সেটি নির্ভর করছে বয়স-কাঠামোর পরিবর্তনে জনগোষ্ঠীর সুশিক্ষা, সুস্বাস্থ্য, অর্থনীতি ও সুশাসন নিশ্চিতকরণের ওপর। তাই রাষ্ট্রের বেকারদের নিয়ে সঠিক পরিকল্পনা ও তার বাস্তবায়ন করা। দেশের ভাগ্য পরিবর্তনের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা দরকার বেকার যুবকদের। যুবকদের হাতিয়ারকে যেভাবে রাষ্ট্র ব্যবহার করবে সেভাবেই কাজ করবেন তারা। যুবসমাজের সঠিক ব্যবহার নিশ্চিতকরণে সরকারের আরো আন্তরিক হতে হবে।

শহর উন্নয়নের কথা চিন্তা করে হলেও বেকারত্ব দূরীকরণে দ্রুত পদক্ষেপ নেয়া উচিত। কেননা দেশের বেকারত্বের হার কমলে দেশ আর উন্নতির দিকে ধাবিত হবে। তাই সরকার, প্রশাসন থেকে শুরু করে সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি চাওয়া থাকবে দেশের কথা চিন্তা করে, দেশের তরুণ-যুবকদের কথা ভেবে এই বেকারত্ব সমস্যা দূরীকরণে দ্রুত পদক্ষেপ নিন।

ইমরান হোসাইন

ছবি

বেকারত্ব নিরসনে কুটির শিল্পের ভূমিকা

দুর্যোগ পূর্ববর্তী প্রস্তুতি

ছবি

সোনালি পাটের প্রয়োজনীয়তা

কালীকচ্ছের ধর্মতীর্থ বধ্যভূমিতে স্মৃতিসৌধ নির্মাণের দাবি

চিঠি : হলে খাবারের মান উন্নত করুন

চিঠি : স্বাস্থ্য শিক্ষা বিষয়ে ডিপ্লোমাধারীদের বৈষম্য দূর করুন

চিঠি : শিক্ষার মান উন্নয়ন চাই

চিঠি : সড়ক আইন বাস্তবায়ন করুন

চিঠি : রাস্তায় বাইক সন্ত্রাস

চিঠি : কঠিন হয়ে পড়ছে ক্যাম্পাস সাংবাদিকতা

চিঠি : ডিসেম্বরের স্মৃতি

চিঠি : টেকসই ও সাশ্রয়ী ক্লিন এনার্জি

চিঠি : নকল গুড় জব্দ হোক

চিঠি : সড়কে বাড়ছে লেন ঝরছে প্রাণ

চিঠি : ঢাকাবাসীর কাছে মেট্রোরেল আশীর্বাদ

চিঠি : কারিগরি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন জরুরি

চিঠি : পরিচ্ছন্ন ক্যাম্পাস চাই

চিঠি : তারুণ্যের শক্তি কাজে লাগান

চিঠি : এইডস থেকে বাঁচতে সচেতন হোন

চিঠি : অতিথি পাখি নিধন বন্ধ হোক

চিঠি : হাসুন, সুস্থ থাকুন

চিঠি : হাতি দিয়ে চাঁদাবাজি বন্ধ হোক

চিঠি : রাজনীতিতে তরুণ সমাজের অংশগ্রহণ

চিঠি : মাদককে ‘না’ বলুন

চিঠি : পুনরুন্নয়ন প্রকল্প : পাল্টে যাবে পুরান ঢাকা

চিঠি : শীতার্ত মানুষের পাশে দাঁড়ান

চিঠি : চন্দ্রগঞ্জে ফায়ার সার্ভিস স্টেশন চাই

চিঠি : বাড়ছে বাল্যবিয়ে

চিঠি : টিকটকের অপব্যবহার রোধ করতে হবে

চিঠি : আত্মবিশ্বাস ও আস্থা

চিঠি : শিক্ষকরা কি প্রকৃত মর্যাদা পাচ্ছে

চিঠি : শিক্ষার্থীদের সঙ্গে স্থানীয়দের সম্প্রীতি চাই

চিঠি : সকালে ও বিকেলে মেট্রোরেল চলুক

চিঠি : অতিথি পাখি নিধন বন্ধ করতে হবে

চিঠি : ঢাবি’র কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার আধুনিকায়ন করা হোক

চিঠি : নিত্যপণ্যের দাম

tab

চিঠিপত্র

চিঠি : হতাশার অপর নাম বেকারত্ব

মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন

সোমবার, ০৮ আগস্ট ২০২২

বেকার জীবন একটা হতাশার জীবন। যতই দিন যাচ্ছে, বেকারের সংখ্যা বেড়েই চলছে। বেকারত্ব বাংলাদেশের একটি বড় সমস্যা। বেকারত্বের কারণে দেশের লাখ লাখ তরুণ আজ হতাশায় জীবন কাটাচ্ছে। পড়াশোনা করেও যখন চাকরি পাচ্ছে না, তখন তারা পথ হারিয়ে ফেলছে। সহসা যখন এ সমস্যা থেকে মুক্তি মিলছে না তখন কেউ কেউ বেকারত্ব থেকে মুক্তির আশায় বিভিন্ন অবৈধ পন্থা অবলম্বন করছেন। কেউ বা আবার অবৈধ পথে বিদেশে পাড়ি দিতেও পিছপা হচ্ছেন না। কেউ কেউ তো বেকারত্বের চাপ সামলাতে না পেরে আত্মহত্যা পর্যন্ত করেছেন। তবুও যেন বেকারত্বের অভিশাপ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়!

দরিদ্রতা, স্বজনপ্রীতি, নড়বড়ে শিক্ষাববস্থা, ও সঠিক সময়ে সঠিক পদক্ষেপ না নেওয়ার কারণে মূলত বেকারত্ব তৈরি হচ্ছে। দেশের উন্নয়ন হচ্ছে ঠিকই কিন্তু বেকারত্বের হার কোনভাবেই কমছে না বরং বাড়ছে। আর এতেই লাখ লাখ শিক্ষিত তরুণদের বেকারের যন্ত্রণা বেড়েই চলছে। দেশে কাজ না পেয়ে বিদেশে কাজের আশায় এ দেশের তরুণরা প্রবাসী জীবন বেছে নিচ্ছে, বাবার শেষ সম্পদটুকু বিক্রয় করে। ঝুঁকি নিয়ে বিদেশে যাবার সময় অনেকে মৃত্যুবরণ করছে। পৌঁছাতে পারলেও অনেক সময় কাজ পাচ্ছে না তারা। বেকারত্বের কারণে বিগত বছরগুলোতে অনেক শিক্ষার্থী আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছিলেন।

প্রশ্ন হচ্ছে এভাবে আর কত দিন চলবে? এইভাবে ভেঙে যাবে আর কত স্বপ্ন! বেকারত্ব থেকে কি মুক্তির কোনো পথ নেই? থাকলে সেই পথে অগ্রসর হওয়া উচিত। দেশের উন্নয়নের সঙ্গে তরুণদের একটা গভীর সম্পর্ক আছে। যে দেশের তরুণরা যত বেশি কর্মঠ, সে দেশ উন্নয়নের ধারায় ততবেশি অগ্রসর। আমাদের দেশের বেকার যুবকদের সঠিকভাবে কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির ত্বরায়ন করতে পারে। তবে সেটি নির্ভর করছে বয়স-কাঠামোর পরিবর্তনে জনগোষ্ঠীর সুশিক্ষা, সুস্বাস্থ্য, অর্থনীতি ও সুশাসন নিশ্চিতকরণের ওপর। তাই রাষ্ট্রের বেকারদের নিয়ে সঠিক পরিকল্পনা ও তার বাস্তবায়ন করা। দেশের ভাগ্য পরিবর্তনের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা দরকার বেকার যুবকদের। যুবকদের হাতিয়ারকে যেভাবে রাষ্ট্র ব্যবহার করবে সেভাবেই কাজ করবেন তারা। যুবসমাজের সঠিক ব্যবহার নিশ্চিতকরণে সরকারের আরো আন্তরিক হতে হবে।

শহর উন্নয়নের কথা চিন্তা করে হলেও বেকারত্ব দূরীকরণে দ্রুত পদক্ষেপ নেয়া উচিত। কেননা দেশের বেকারত্বের হার কমলে দেশ আর উন্নতির দিকে ধাবিত হবে। তাই সরকার, প্রশাসন থেকে শুরু করে সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি চাওয়া থাকবে দেশের কথা চিন্তা করে, দেশের তরুণ-যুবকদের কথা ভেবে এই বেকারত্ব সমস্যা দূরীকরণে দ্রুত পদক্ষেপ নিন।

ইমরান হোসাইন

back to top