alt

চিঠিপত্র

চিঠি : পিরিয়ড নিয়ে যত কুসংস্কার

: বৃহস্পতিবার, ১১ আগস্ট ২০২২

মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন

মা হওয়ার পূর্ববর্তী শর্ত পিরিয়ড। প্রতিটি সুস্থ স্বাস্থ্যের অধিকারী নারীর ২১-২৮ দিন অন্তর অন্তর রক্তস্রাব হয় তাই পিরিয়ড। আমাদের দেশের মেয়েরা এ সময়ে অনেক নিয়মনীতি মেনে চলে। যার বেশির ভাগই অনর্থক এবং কুসংস্কারপূর্ণ। প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম এই কুসংস্কারগুলো চলে আসছে।

যেমন, বলা হয় পিরিয়ডরত অবস্থায় মেয়েরা থাকে অশুচি, অপবিত্র, তাদের ছোঁয়ায় সব অপবিত্র হয়ে যায়। এই সময় চুল খোলা যাবে না, সন্ধ্যার পর খোলা চুলে থাকা যাবে না, মসলাযুক্ত খাবার খাওয়া যাবে না, চুলে শ্যাম্পু করা যাবে না, সন্ধ্যার পর ঘরের বাইরে যাওয়া যাবে না, এমনকি গোসলও করা যাবে না। এমন আজব, অযৌক্তিক ও ভিত্তিহীন কুসংস্কার সমাজে প্রচলিত। গ্রাম হোক বা শহর হোক যেখানেই অজ্ঞতার ছোঁয়া সেখানেই এই কুসংস্কারের চর্চা।

অজ্ঞতা এবং দারিদ্র্যতার কারণে স্বাস্থ্যসম্মত স্যানিটারি প্যাডের বদলে এখনো অনেকে পুরোনো কাপড় ব্যবহার করে। অস্বাস্থ্যকর জীবনযাপন ও পরিবেশের ফলেই আমাদের দেশের নারীরা স্বাস্থ্যসংক্রান্ত বিভিন্ন জটিলতায় ভোগে। জরায়ুতে টিউমার, ক্যানসার, মূত্রনালিতে ইনফেকশন, অনিয়মিত পিরিয়ড এবং অনেক সময় মৃত্যুর ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়।

সুস্থভাবে বাঁচতে হলে আমাদের জানতে হবে, পিরিয়ড লজ্জা নয়। এটি একটি শারীরিক প্রক্রিয়া। সব সুস্থ নারী এই প্রক্রিয়া বেড়ে ওঠে। তাই কুসংস্কার ত্যাগ করে সঠিক স্বাস্থ্যবিধি জানতে হবে এবং স্যানিটারি প্যাডের দাম কমিয়ে সবার ব্যবহার উপযোগী করতে হবে। নারীর পিরিয়ডজনিত যে কোন স্বাস্থ্য সমস্যায় ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। পিরিয়ড মানে অসুস্থতা বা অপবিত্রতা নয়। এই সময় বরং আরও বেশি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন ও সচেতন থাকা এবং পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া উচিত। পিরিয়ড কোনো রোগ বা বাঁধা নয়, তাই পিরিয়ডে কুসংস্কার নয়।

আনিকা শাহ্ সাথী

ছবি

বেকারত্ব নিরসনে কুটির শিল্পের ভূমিকা

দুর্যোগ পূর্ববর্তী প্রস্তুতি

ছবি

সোনালি পাটের প্রয়োজনীয়তা

কালীকচ্ছের ধর্মতীর্থ বধ্যভূমিতে স্মৃতিসৌধ নির্মাণের দাবি

চিঠি : হলে খাবারের মান উন্নত করুন

চিঠি : স্বাস্থ্য শিক্ষা বিষয়ে ডিপ্লোমাধারীদের বৈষম্য দূর করুন

চিঠি : শিক্ষার মান উন্নয়ন চাই

চিঠি : সড়ক আইন বাস্তবায়ন করুন

চিঠি : রাস্তায় বাইক সন্ত্রাস

চিঠি : কঠিন হয়ে পড়ছে ক্যাম্পাস সাংবাদিকতা

চিঠি : ডিসেম্বরের স্মৃতি

চিঠি : টেকসই ও সাশ্রয়ী ক্লিন এনার্জি

চিঠি : নকল গুড় জব্দ হোক

চিঠি : সড়কে বাড়ছে লেন ঝরছে প্রাণ

চিঠি : ঢাকাবাসীর কাছে মেট্রোরেল আশীর্বাদ

চিঠি : কারিগরি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন জরুরি

চিঠি : পরিচ্ছন্ন ক্যাম্পাস চাই

চিঠি : তারুণ্যের শক্তি কাজে লাগান

চিঠি : এইডস থেকে বাঁচতে সচেতন হোন

চিঠি : অতিথি পাখি নিধন বন্ধ হোক

চিঠি : হাসুন, সুস্থ থাকুন

চিঠি : হাতি দিয়ে চাঁদাবাজি বন্ধ হোক

চিঠি : রাজনীতিতে তরুণ সমাজের অংশগ্রহণ

চিঠি : মাদককে ‘না’ বলুন

চিঠি : পুনরুন্নয়ন প্রকল্প : পাল্টে যাবে পুরান ঢাকা

চিঠি : শীতার্ত মানুষের পাশে দাঁড়ান

চিঠি : চন্দ্রগঞ্জে ফায়ার সার্ভিস স্টেশন চাই

চিঠি : বাড়ছে বাল্যবিয়ে

চিঠি : টিকটকের অপব্যবহার রোধ করতে হবে

চিঠি : আত্মবিশ্বাস ও আস্থা

চিঠি : শিক্ষকরা কি প্রকৃত মর্যাদা পাচ্ছে

চিঠি : শিক্ষার্থীদের সঙ্গে স্থানীয়দের সম্প্রীতি চাই

চিঠি : সকালে ও বিকেলে মেট্রোরেল চলুক

চিঠি : অতিথি পাখি নিধন বন্ধ করতে হবে

চিঠি : ঢাবি’র কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার আধুনিকায়ন করা হোক

চিঠি : নিত্যপণ্যের দাম

tab

চিঠিপত্র

চিঠি : পিরিয়ড নিয়ে যত কুসংস্কার

মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন

বৃহস্পতিবার, ১১ আগস্ট ২০২২

মা হওয়ার পূর্ববর্তী শর্ত পিরিয়ড। প্রতিটি সুস্থ স্বাস্থ্যের অধিকারী নারীর ২১-২৮ দিন অন্তর অন্তর রক্তস্রাব হয় তাই পিরিয়ড। আমাদের দেশের মেয়েরা এ সময়ে অনেক নিয়মনীতি মেনে চলে। যার বেশির ভাগই অনর্থক এবং কুসংস্কারপূর্ণ। প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম এই কুসংস্কারগুলো চলে আসছে।

যেমন, বলা হয় পিরিয়ডরত অবস্থায় মেয়েরা থাকে অশুচি, অপবিত্র, তাদের ছোঁয়ায় সব অপবিত্র হয়ে যায়। এই সময় চুল খোলা যাবে না, সন্ধ্যার পর খোলা চুলে থাকা যাবে না, মসলাযুক্ত খাবার খাওয়া যাবে না, চুলে শ্যাম্পু করা যাবে না, সন্ধ্যার পর ঘরের বাইরে যাওয়া যাবে না, এমনকি গোসলও করা যাবে না। এমন আজব, অযৌক্তিক ও ভিত্তিহীন কুসংস্কার সমাজে প্রচলিত। গ্রাম হোক বা শহর হোক যেখানেই অজ্ঞতার ছোঁয়া সেখানেই এই কুসংস্কারের চর্চা।

অজ্ঞতা এবং দারিদ্র্যতার কারণে স্বাস্থ্যসম্মত স্যানিটারি প্যাডের বদলে এখনো অনেকে পুরোনো কাপড় ব্যবহার করে। অস্বাস্থ্যকর জীবনযাপন ও পরিবেশের ফলেই আমাদের দেশের নারীরা স্বাস্থ্যসংক্রান্ত বিভিন্ন জটিলতায় ভোগে। জরায়ুতে টিউমার, ক্যানসার, মূত্রনালিতে ইনফেকশন, অনিয়মিত পিরিয়ড এবং অনেক সময় মৃত্যুর ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়।

সুস্থভাবে বাঁচতে হলে আমাদের জানতে হবে, পিরিয়ড লজ্জা নয়। এটি একটি শারীরিক প্রক্রিয়া। সব সুস্থ নারী এই প্রক্রিয়া বেড়ে ওঠে। তাই কুসংস্কার ত্যাগ করে সঠিক স্বাস্থ্যবিধি জানতে হবে এবং স্যানিটারি প্যাডের দাম কমিয়ে সবার ব্যবহার উপযোগী করতে হবে। নারীর পিরিয়ডজনিত যে কোন স্বাস্থ্য সমস্যায় ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। পিরিয়ড মানে অসুস্থতা বা অপবিত্রতা নয়। এই সময় বরং আরও বেশি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন ও সচেতন থাকা এবং পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া উচিত। পিরিয়ড কোনো রোগ বা বাঁধা নয়, তাই পিরিয়ডে কুসংস্কার নয়।

আনিকা শাহ্ সাথী

back to top