মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন
ট্রাফিক পুলিশ আমাদের জীবনের সঙ্গে ওতোপ্রোতোভাবে জড়িয়ে আছে। আমাদের চলার পথকে আরও সহজ ও সাবলীল করার জন্যই তারা অক্লান্ত পরিশ্রম করে যান। বাংলাদেশে ট্রাফিক পুলিশ সনাতন পদ্ধতিতে কাজ করে। তারা রাস্তায় দাঁড়িয়ে ধুলাবালি, রোদ-বৃষ্টি, গাড়ির হর্নের কানফাটা শব্দের মধ্যে আট-দশ ঘণ্টা কাজ করে। সিটি করপোরেশন কর্তৃক পরিচালিত লাইট সিগন্যাল ত্রুটির কারণে অকেজো হয়ে পড়েছে বিধায় ট্রাফিক পুলিশকে এভাবে কাজ করতে হয়।
ঘণ্টার পর ঘণ্টা রাস্তায় দাঁড়িয়ে কাজ করার কারণে তাদের মেজাজ খিটখিটে হয়, হাঁড় ক্ষয় হয়, পায়ে ও মাংসপেশিতে ব্যথা হয়, প্রচন্ড মাথাব্যথা থাকে, চোখ জ্বালাপোড়া করে। এছাড়া তারা ব্রংকাইটিস, হৃদরোগ, কিডনি রোগ ও ক্যানসারে ভোগে। বায়ু ও শব্দদূষণের ফলে ট্রাফিক পুলিশ সদস্যরা এসব স্বাস্থ্য সমস্যার কবলে পতিত হচ্ছে। ফলে অনেকেরই অকাল মৃত্যু হয়।
ট্রাফিক পুলিশকে সনাতনী ও অমানবিকভাবে কাজ থেকে মুক্তি দিয়ে মানবিক কারণে তাদের রোগ-ব্যাধি থেকে রক্ষা করা যেমন জরুরি, তেমনি উন্নত দেশের ট্রাফিক ব্যবস্থাপনার মতো আমাদের রাজধানী শহরেও আধুনিক ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা চালু করা অপরিহার্য। এতে নাগরিকরা স্বাচ্ছন্দ্যে চলাফেরা করতে পারবে এবং দেশের ভাবমূর্তিও বৃদ্ধি পাবে। আশাকরি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বিষয়টি আমলে নেবেন।
প্রসেনজিৎ চন্দ্র শীল
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন
শনিবার, ১৩ আগস্ট ২০২২
ট্রাফিক পুলিশ আমাদের জীবনের সঙ্গে ওতোপ্রোতোভাবে জড়িয়ে আছে। আমাদের চলার পথকে আরও সহজ ও সাবলীল করার জন্যই তারা অক্লান্ত পরিশ্রম করে যান। বাংলাদেশে ট্রাফিক পুলিশ সনাতন পদ্ধতিতে কাজ করে। তারা রাস্তায় দাঁড়িয়ে ধুলাবালি, রোদ-বৃষ্টি, গাড়ির হর্নের কানফাটা শব্দের মধ্যে আট-দশ ঘণ্টা কাজ করে। সিটি করপোরেশন কর্তৃক পরিচালিত লাইট সিগন্যাল ত্রুটির কারণে অকেজো হয়ে পড়েছে বিধায় ট্রাফিক পুলিশকে এভাবে কাজ করতে হয়।
ঘণ্টার পর ঘণ্টা রাস্তায় দাঁড়িয়ে কাজ করার কারণে তাদের মেজাজ খিটখিটে হয়, হাঁড় ক্ষয় হয়, পায়ে ও মাংসপেশিতে ব্যথা হয়, প্রচন্ড মাথাব্যথা থাকে, চোখ জ্বালাপোড়া করে। এছাড়া তারা ব্রংকাইটিস, হৃদরোগ, কিডনি রোগ ও ক্যানসারে ভোগে। বায়ু ও শব্দদূষণের ফলে ট্রাফিক পুলিশ সদস্যরা এসব স্বাস্থ্য সমস্যার কবলে পতিত হচ্ছে। ফলে অনেকেরই অকাল মৃত্যু হয়।
ট্রাফিক পুলিশকে সনাতনী ও অমানবিকভাবে কাজ থেকে মুক্তি দিয়ে মানবিক কারণে তাদের রোগ-ব্যাধি থেকে রক্ষা করা যেমন জরুরি, তেমনি উন্নত দেশের ট্রাফিক ব্যবস্থাপনার মতো আমাদের রাজধানী শহরেও আধুনিক ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা চালু করা অপরিহার্য। এতে নাগরিকরা স্বাচ্ছন্দ্যে চলাফেরা করতে পারবে এবং দেশের ভাবমূর্তিও বৃদ্ধি পাবে। আশাকরি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বিষয়টি আমলে নেবেন।
প্রসেনজিৎ চন্দ্র শীল