alt

মতামত » চিঠিপত্র

চিঠি : শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের একাডেমিক ছুটি অভিন্ন হোক

: বুধবার, ০৪ জানুয়ারী ২০২৩

মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন

২০২৩ সালের একাডেমিক ক্যালেন্ডারে দেখা যাচ্ছে যে, কলেজ ছুটি ভোগ করবে ৭১ দিন, মাধ্যমিক ছুটি ভোগ করবে ৭৬ দিন, মাদ্রাসায় ছুটি ভোগ করবে ৬৩ দিন, কিন্তু প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কোমলমতি শিশুরা ছুটি ভোগ করবে মাত্র ৫৪ দিন। অর্থাৎ শিশুদের ছুটি কম, বড়দের ছুটি বেশি! আবার, বিশেষভাবে লক্ষণীয় ছুটির তালিকায় ঈদুল আজহা মাধ্যমিকের ছুটি ৯ দিন, গ্রীষ্মকালীন ১০ দিন। আর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ঈদুল আযহা ও গ্রীষ্মকালীন ছুটি একত্রে মাত্র ১২ দিন। শীতকালীন অবকাশ মাধ্যমিকে ১১ দিন, আর প্রাথমিকে মাত্র ৩ দিন। ঘোষিত ছুটির তালিকায় প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটির ভিন্নতা রয়েছে। যেখানে সবাই ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান একই সময়ে ছুটি থাকার কথা সেখানে এই ধরনের ভিন্নতা বোধগম্য নয়!

ছুটির তালিকায় দেশের সবাই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে গ্রীষ্মকালীন ছুটি, শীতকালীন ছুটি, ঈদুল ফিতরের ছুটি, ঈদুল আযহার ছুটি, পূজার ছুটির পরিমাণ একইরকম ও একই সময়ে হয় না। দেখা যায়, একই পরিবারে স্বামী-স্ত্রী দুইজনই চাকরিজীবী তথা শিক্ষক, একজন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক, অন্যজন মাধ্যমিকের শিক্ষক। আবার তাদের এক সন্তান প্রাথমিকে পড়ে, অন্য সন্তান মাধ্যমিকে কিংবা উচ্চ মাধ্যমিকে পড়ে।

গ্রীষ্মকালীন, শীতকালীন, ঈদের ছুটিতে ছেলেমেয়ে তাদের বাবা-মায়ের সঙ্গে কোথাও বেড়াতে যেতে কিংবা সময় কাটাতে চাইলে; তা কোনক্রমেই সম্ভব হয় না। কারণ ছুটির তালিকা অনুসারে একজনের ছুটি শুরু তো আরেকজনের ছুটি শেষ। এভাবেই পরিবারের একজনকে বাদ দিয়ে অন্যজনকে কোথাও নিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়। ফলে নষ্ট হচ্ছে পারিবারিক বা আত্মীয়তার বন্ধন। চাকরিজীবী শিক্ষকরা যাতে পরিবার ও সন্তানদের নিয়ে গ্রীষ্মকালীন ছুটি, শীতকালীন ছুটি, ঈদ আনন্দ উৎযাপন করতে, বেড়াতে বা একই সঙ্গে সময় কাটাতে পারে সেজন্য সবাই ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটির তালিকা অভিন্ন হওয়া উচিত।

সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে বিনীত নিবেদন- সবাই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের আন্তঃসম্পর্কের উন্নয়নের মাধ্যমে একটি নির্দিষ্ট সময়ে সরকারি প্রাথমিক, মাদ্রাসা, মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে সবাই প্রকার একাডেমিক ছুটির অভিন্ন তারিখ ও সময় নির্ধারণ করা হোক। এতে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা ছুটিসমূহ সুন্দরভাবে ভোগ করতে পারবে। এতে সুফল বয়ে আসবে।

আরিফ মান্নান

ধর্মের নামে বর্বরতা

টেকসই শহরের একান্ত প্রয়োজন

সুষ্ঠু প্রতিযোগিতা সংস্কৃতি গড়ে তোলা জরুরি

সুন্দরবনের বাঘ ও জলবায়ু পরিবর্তনের হুমকি

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা : আর্শীবাদ নাকি অভিশাপ

সমুদ্রগবেষণায় পশ্চাৎপদতা মৎস্য খাতের ভবিষ্যৎকেই ঝুঁকিতে ফেলছে

কিশোর গ্যাং–সংস্কৃতি: সমাজের জন্য বাড়তে থাকা অশনি সংকেত

ডিগ্রি হাতে, চাকরি স্বপ্নে: শিক্ষিত বেকারদের মানসিক ক্ষয়

সরকারি কর্মচারীদের কর্মেই মুক্তি নাকি আন্দোলনে?

কর্মজীবী নারীর অদৃশ্য মানসিক বোঝা

নগর সংস্কৃতিতে ঐতিহ্যের বিলুপ্তি

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় আগাম সতর্কবার্তাই কি যথেষ্ট?

সুলতানপুরে করতোয়া নদীর তাণ্ডব: নদীভাঙনে মানুষের জীবন বিপন্ন

ফ্রিল্যান্সিংয়ে সম্ভাবনা বিস্তৃত, অনিয়মের ছায়াও গভীর

গেন্ডারিয়ায় সড়ক ও ড্রেন সংস্কারে অনিয়ম: জনদূর্ভোগ বৃদ্ধি

প্রবীণদের সুরক্ষা ও মর্যাদা নিশ্চিত করা এখন সময়ের দাবি

পলিভিনাইলের ব্যবহার প্রতিরোধ জরুরি

বৈধ সনদধারীদের অধিকার নিশ্চিত করা জরুরি

টেকসই দুর্যোগ প্রস্তুতিতে জরুরি বাস্তব পদক্ষেপ প্রয়োজন

জলবায়ু পরিবর্তন ও নারী ও কিশোরীদের ঝুঁকি

মেধা হারাচ্ছে দেশ

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় : অযৌক্তিক ফি, সেশনজট ও প্রশাসনিক বিশৃঙ্খলায় বিপর্যস্ত শিক্ষার্থী

সামাজিক মাধ্যমের ভুবনে জনতুষ্টিবাদের নতুন রূপ

ভেজাল খেজুরগুড় ও স্বাস্থ্যঝুঁকি

হাসপাতাল ব্যবস্থাপনায় প্রশাসনিক ক্যাডারের প্রয়োজনীয়তা

প্লাস্টিক বর্জ্যে মাছের মৃত্যু: সমাধান কোথায়

খোলা ম্যানহোল: ঢাকার রাজপথে এক নীরব মরণফাঁদ

গণপরিবহন: প্রতিদিনের যন্ত্রণার শেষ কবে?

ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পের পুনর্জাগরণ

সাইবার বুলিং ও ভার্চুয়াল অপরাধ: তরুণদের অদৃশ্য বিপদ

ওয়াসার খোঁড়াখুঁড়িতে নগরজীবনের চরম ভোগান্তি

রাবি মেডিকেল সেন্টারের সংস্কার চাই

চিংড়ি শিল্পের পরিবেশগত প্রভাব

কক্সবাজার: উন্নয়নের পথে, বিপন্ন প্রকৃতি

চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের প্রেক্ষাপটে নতুন সম্ভাবনার ভোর

প্রাথমিক শিক্ষকদের বঞ্চনা দূর না হলে মানোন্নয়ন অসম্ভব

tab

মতামত » চিঠিপত্র

চিঠি : শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের একাডেমিক ছুটি অভিন্ন হোক

মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন

বুধবার, ০৪ জানুয়ারী ২০২৩

২০২৩ সালের একাডেমিক ক্যালেন্ডারে দেখা যাচ্ছে যে, কলেজ ছুটি ভোগ করবে ৭১ দিন, মাধ্যমিক ছুটি ভোগ করবে ৭৬ দিন, মাদ্রাসায় ছুটি ভোগ করবে ৬৩ দিন, কিন্তু প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কোমলমতি শিশুরা ছুটি ভোগ করবে মাত্র ৫৪ দিন। অর্থাৎ শিশুদের ছুটি কম, বড়দের ছুটি বেশি! আবার, বিশেষভাবে লক্ষণীয় ছুটির তালিকায় ঈদুল আজহা মাধ্যমিকের ছুটি ৯ দিন, গ্রীষ্মকালীন ১০ দিন। আর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ঈদুল আযহা ও গ্রীষ্মকালীন ছুটি একত্রে মাত্র ১২ দিন। শীতকালীন অবকাশ মাধ্যমিকে ১১ দিন, আর প্রাথমিকে মাত্র ৩ দিন। ঘোষিত ছুটির তালিকায় প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটির ভিন্নতা রয়েছে। যেখানে সবাই ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান একই সময়ে ছুটি থাকার কথা সেখানে এই ধরনের ভিন্নতা বোধগম্য নয়!

ছুটির তালিকায় দেশের সবাই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে গ্রীষ্মকালীন ছুটি, শীতকালীন ছুটি, ঈদুল ফিতরের ছুটি, ঈদুল আযহার ছুটি, পূজার ছুটির পরিমাণ একইরকম ও একই সময়ে হয় না। দেখা যায়, একই পরিবারে স্বামী-স্ত্রী দুইজনই চাকরিজীবী তথা শিক্ষক, একজন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক, অন্যজন মাধ্যমিকের শিক্ষক। আবার তাদের এক সন্তান প্রাথমিকে পড়ে, অন্য সন্তান মাধ্যমিকে কিংবা উচ্চ মাধ্যমিকে পড়ে।

গ্রীষ্মকালীন, শীতকালীন, ঈদের ছুটিতে ছেলেমেয়ে তাদের বাবা-মায়ের সঙ্গে কোথাও বেড়াতে যেতে কিংবা সময় কাটাতে চাইলে; তা কোনক্রমেই সম্ভব হয় না। কারণ ছুটির তালিকা অনুসারে একজনের ছুটি শুরু তো আরেকজনের ছুটি শেষ। এভাবেই পরিবারের একজনকে বাদ দিয়ে অন্যজনকে কোথাও নিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়। ফলে নষ্ট হচ্ছে পারিবারিক বা আত্মীয়তার বন্ধন। চাকরিজীবী শিক্ষকরা যাতে পরিবার ও সন্তানদের নিয়ে গ্রীষ্মকালীন ছুটি, শীতকালীন ছুটি, ঈদ আনন্দ উৎযাপন করতে, বেড়াতে বা একই সঙ্গে সময় কাটাতে পারে সেজন্য সবাই ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটির তালিকা অভিন্ন হওয়া উচিত।

সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে বিনীত নিবেদন- সবাই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের আন্তঃসম্পর্কের উন্নয়নের মাধ্যমে একটি নির্দিষ্ট সময়ে সরকারি প্রাথমিক, মাদ্রাসা, মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে সবাই প্রকার একাডেমিক ছুটির অভিন্ন তারিখ ও সময় নির্ধারণ করা হোক। এতে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা ছুটিসমূহ সুন্দরভাবে ভোগ করতে পারবে। এতে সুফল বয়ে আসবে।

আরিফ মান্নান

back to top