মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন
২০২৩ সালের একাডেমিক ক্যালেন্ডারে দেখা যাচ্ছে যে, কলেজ ছুটি ভোগ করবে ৭১ দিন, মাধ্যমিক ছুটি ভোগ করবে ৭৬ দিন, মাদ্রাসায় ছুটি ভোগ করবে ৬৩ দিন, কিন্তু প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কোমলমতি শিশুরা ছুটি ভোগ করবে মাত্র ৫৪ দিন। অর্থাৎ শিশুদের ছুটি কম, বড়দের ছুটি বেশি! আবার, বিশেষভাবে লক্ষণীয় ছুটির তালিকায় ঈদুল আজহা মাধ্যমিকের ছুটি ৯ দিন, গ্রীষ্মকালীন ১০ দিন। আর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ঈদুল আযহা ও গ্রীষ্মকালীন ছুটি একত্রে মাত্র ১২ দিন। শীতকালীন অবকাশ মাধ্যমিকে ১১ দিন, আর প্রাথমিকে মাত্র ৩ দিন। ঘোষিত ছুটির তালিকায় প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটির ভিন্নতা রয়েছে। যেখানে সবাই ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান একই সময়ে ছুটি থাকার কথা সেখানে এই ধরনের ভিন্নতা বোধগম্য নয়!
ছুটির তালিকায় দেশের সবাই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে গ্রীষ্মকালীন ছুটি, শীতকালীন ছুটি, ঈদুল ফিতরের ছুটি, ঈদুল আযহার ছুটি, পূজার ছুটির পরিমাণ একইরকম ও একই সময়ে হয় না। দেখা যায়, একই পরিবারে স্বামী-স্ত্রী দুইজনই চাকরিজীবী তথা শিক্ষক, একজন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক, অন্যজন মাধ্যমিকের শিক্ষক। আবার তাদের এক সন্তান প্রাথমিকে পড়ে, অন্য সন্তান মাধ্যমিকে কিংবা উচ্চ মাধ্যমিকে পড়ে।
গ্রীষ্মকালীন, শীতকালীন, ঈদের ছুটিতে ছেলেমেয়ে তাদের বাবা-মায়ের সঙ্গে কোথাও বেড়াতে যেতে কিংবা সময় কাটাতে চাইলে; তা কোনক্রমেই সম্ভব হয় না। কারণ ছুটির তালিকা অনুসারে একজনের ছুটি শুরু তো আরেকজনের ছুটি শেষ। এভাবেই পরিবারের একজনকে বাদ দিয়ে অন্যজনকে কোথাও নিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়। ফলে নষ্ট হচ্ছে পারিবারিক বা আত্মীয়তার বন্ধন। চাকরিজীবী শিক্ষকরা যাতে পরিবার ও সন্তানদের নিয়ে গ্রীষ্মকালীন ছুটি, শীতকালীন ছুটি, ঈদ আনন্দ উৎযাপন করতে, বেড়াতে বা একই সঙ্গে সময় কাটাতে পারে সেজন্য সবাই ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটির তালিকা অভিন্ন হওয়া উচিত।
সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে বিনীত নিবেদন- সবাই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের আন্তঃসম্পর্কের উন্নয়নের মাধ্যমে একটি নির্দিষ্ট সময়ে সরকারি প্রাথমিক, মাদ্রাসা, মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে সবাই প্রকার একাডেমিক ছুটির অভিন্ন তারিখ ও সময় নির্ধারণ করা হোক। এতে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা ছুটিসমূহ সুন্দরভাবে ভোগ করতে পারবে। এতে সুফল বয়ে আসবে।
আরিফ মান্নান
মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন
বুধবার, ০৪ জানুয়ারী ২০২৩
২০২৩ সালের একাডেমিক ক্যালেন্ডারে দেখা যাচ্ছে যে, কলেজ ছুটি ভোগ করবে ৭১ দিন, মাধ্যমিক ছুটি ভোগ করবে ৭৬ দিন, মাদ্রাসায় ছুটি ভোগ করবে ৬৩ দিন, কিন্তু প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কোমলমতি শিশুরা ছুটি ভোগ করবে মাত্র ৫৪ দিন। অর্থাৎ শিশুদের ছুটি কম, বড়দের ছুটি বেশি! আবার, বিশেষভাবে লক্ষণীয় ছুটির তালিকায় ঈদুল আজহা মাধ্যমিকের ছুটি ৯ দিন, গ্রীষ্মকালীন ১০ দিন। আর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ঈদুল আযহা ও গ্রীষ্মকালীন ছুটি একত্রে মাত্র ১২ দিন। শীতকালীন অবকাশ মাধ্যমিকে ১১ দিন, আর প্রাথমিকে মাত্র ৩ দিন। ঘোষিত ছুটির তালিকায় প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটির ভিন্নতা রয়েছে। যেখানে সবাই ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান একই সময়ে ছুটি থাকার কথা সেখানে এই ধরনের ভিন্নতা বোধগম্য নয়!
ছুটির তালিকায় দেশের সবাই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে গ্রীষ্মকালীন ছুটি, শীতকালীন ছুটি, ঈদুল ফিতরের ছুটি, ঈদুল আযহার ছুটি, পূজার ছুটির পরিমাণ একইরকম ও একই সময়ে হয় না। দেখা যায়, একই পরিবারে স্বামী-স্ত্রী দুইজনই চাকরিজীবী তথা শিক্ষক, একজন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক, অন্যজন মাধ্যমিকের শিক্ষক। আবার তাদের এক সন্তান প্রাথমিকে পড়ে, অন্য সন্তান মাধ্যমিকে কিংবা উচ্চ মাধ্যমিকে পড়ে।
গ্রীষ্মকালীন, শীতকালীন, ঈদের ছুটিতে ছেলেমেয়ে তাদের বাবা-মায়ের সঙ্গে কোথাও বেড়াতে যেতে কিংবা সময় কাটাতে চাইলে; তা কোনক্রমেই সম্ভব হয় না। কারণ ছুটির তালিকা অনুসারে একজনের ছুটি শুরু তো আরেকজনের ছুটি শেষ। এভাবেই পরিবারের একজনকে বাদ দিয়ে অন্যজনকে কোথাও নিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়। ফলে নষ্ট হচ্ছে পারিবারিক বা আত্মীয়তার বন্ধন। চাকরিজীবী শিক্ষকরা যাতে পরিবার ও সন্তানদের নিয়ে গ্রীষ্মকালীন ছুটি, শীতকালীন ছুটি, ঈদ আনন্দ উৎযাপন করতে, বেড়াতে বা একই সঙ্গে সময় কাটাতে পারে সেজন্য সবাই ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটির তালিকা অভিন্ন হওয়া উচিত।
সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে বিনীত নিবেদন- সবাই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের আন্তঃসম্পর্কের উন্নয়নের মাধ্যমে একটি নির্দিষ্ট সময়ে সরকারি প্রাথমিক, মাদ্রাসা, মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে সবাই প্রকার একাডেমিক ছুটির অভিন্ন তারিখ ও সময় নির্ধারণ করা হোক। এতে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা ছুটিসমূহ সুন্দরভাবে ভোগ করতে পারবে। এতে সুফল বয়ে আসবে।
আরিফ মান্নান