alt

চিঠিপত্র

চিঠি : আগামী প্রজন্মের জন্য আমরা কী রেখে যাচ্ছি

: সোমবার, ০৯ জানুয়ারী ২০২৩

মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন

আমাদের জনসংখ্যার তিন ভাগের এক ভাগই হচ্ছে নতুন প্রজন্ম- যারা ভবিষ্যতে দেশ ও জাতির কল্যাণে কাজ করবে। এই বিশাল প্রজন্মকে সঠিকভাবে গড়ে তোলার ওপরই নির্ভর করছে তারা কীভাবে দেশকে নেতৃত্ব প্রদান করবে। এটি আধুনিক যেকোন দেশের সরকারি নীতি ও কৌশলের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।

তাদের শিশু-কিশোর, তরুণরা বেড়ে ওঠে সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা এবং মানুষ হিসেবে বেড়ে ওঠার প্রয়োজনীয় বিষয়গুলো লাভের মাধ্যমে। ওরা শিশুকালে পুষ্টিকর খাবার যেমন পায়, চমৎকার শিশুসদনে তাদের শিশুকাল আনন্দের সঙ্গে বেড়ে ওঠে, গড়ে ওঠে প্রকৃতি-মানুষ, প্রাণী, ফুল ও সব ধরনের প্রাণীর সঙ্গে পরিচয় ঘটিয়ে। খেলাধুলা আর আনন্দের মধ্যে তাদের শিশুকাল বেড়ে ওঠে।

ওরা দেখে না কোন বৈষম্যের সামাজিক সম্পর্ক। এরপর তাদের স্কুল যেন হয়ে ওঠে শেখা ও আনন্দের আঁধার হয়ে। এভাবেই উন্নত দেশগুলো তাদের শিশু-কিশোরদের স্বাস্থ্য ও মানসিক গঠনে সবধরনের সুযোগ সৃষ্টির মাধ্যমে বেড়ে উঠতে দেয়।

একসময় শিক্ষাজীবন শেষ করে তারা কর্মক্ষেত্রে প্রবেশ করে। খুব সামান্য সংখ্যক কিশোর-তরুণই রাষ্ট্রের চাওয়া-পাওয়ার বিষয়গুলো শতভাগ হয়তো অর্জন করতে পারে না, কিন্তু তাদের জীবনও বেড়ে ওঠে নিয়ম কানুন-আইন, বিধিবিধান, শৃঙ্খলা ও মানবিক আচরণের সঙ্গে পরিচয় লাভের মাধ্যমে। ফলে বখে যাওয়া কিংবা রাষ্ট্রের জন্য ক্ষতিকর হয়ে ওঠার সুযোগ কম বা ব্যতিক্রম ছাড়া আর কিছুই হয় না।

আমাদের দেশের বাস্তবতা অনেকটাই ভিন্ন। আমরা এখনও আমাদের শিশুদের সেভাবে গড়ে ওঠার শিশুকাল দিতে পারিনি। অনেকটাই পরিবারের আর্থিক সক্ষমতার ওপর নির্ভর করে শিশুদের বেড়ে ওঠে। যারা ধনী পরিবার তাদের শিশুরা পুষ্টি এবং আনন্দময় শৈশবকাল যতটা পেয়ে থাকে অপেক্ষাকৃত দরিদ্র কিংবা প্রান্তিক পরিবারের শিশুদের সেটি হওয়া বা পাওয়ার কোন বাস্তবতাই নেই।

তারপরও আমাদের দেশ স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে ধীরে হলেও দারিদ্র্যের ব্যাপক প্রভাব থেকে অনেকটাই বের হয়ে আসতে শুরু করেছে। এখন আমরা একটি নিম্নমধ্যম আয়ের দেশে পদার্পণ করেছি। অদূর ভবিষ্যতে আমরা মধ্যম এবং উন্নত দেশে পদার্পণ করতে যাচ্ছি। কিন্তু এই উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির বিষয়গুলো একেবারেই আপনাআপনি ঘটবে না। এটি ঘটবে আমাদের তরুণ প্রজন্মকে আমরা যদি মানবসম্পদ হিসেবে গড়ে তুলতে পারি, তাহলেই কেবল আমাদের সম্পদের চাহিদা সৃষ্টি হতে পারে। নতুবা আমাদের বেড়ে ওঠা নতুন প্রজন্মের আংশিকই কেবল দেশের জন্য সম্পদ হয়ে উঠতে পারবে, বাকিদের বড় অংশই দেশের জন্য মঙ্গলের চাইতে অমঙ্গলই বেশি বয়ে আনতে পারে।

আরফাতুর রহমান

মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধের শেষ কোথায়?

টেকসই উন্নয়ন ও আদিবাসীদের অধিকার

শব্দদূষণ বন্ধ হবে কবে?

চট্টগ্রাম দোহাজারী অংশে রেল চালু হোক

দেশের প্রথম শহীদ মিনারের উপেক্ষিত ইতিহাস

তরুণদের হীনমন্যতা ও মত প্রকাশে অনীহা

বন সংরক্ষণ ও উন্নয়ন

শুধু ফেব্রুয়ারিতে ভাষার দরদ?

ভাষা ও সাহিত্যের মিলনমেলা

জমি দখলের ক্ষতিপূরণ চাই

পুরান ঢাকায় মশার উৎপাত

গুইমারায় স্বাস্থ্যসেবা সংকট : অবিলম্বে সমাধান প্রয়োজন

মশার উপদ্রব : জনস্বাস্থ্য ও নগর ব্যবস্থাপনার চরম ব্যর্থতা

পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু : একটি জাতীয় সংকট

নাম পাল্টে গেলে কত কী যে হয়

অনুপ্রেরণা হোক তুলনাহীন

দূষণ রোধে জীবাশ্ম জ্বালানি নির্ভরতা হ্রাস জরুরি

পাবলিক টয়লেটের সংখ্যা বাড়ান

গণরুম প্রথার বিলুপ্তি কবে?

রেলসেবার মান বাড়ান

নওগাঁ সরকারি কলেজের সংকট

টিকিটের দাম আকাশচুম্বী

জকিগঞ্জে গ্রামীণ সড়কের দুরবস্থা

রেলে দুর্নীতি

নবায়নযোগ্য শক্তির বিকল্প নেই

পথশিশুদের ভয়ঙ্কর নেশাদ্রব্য থেকে রক্ষা করুন

ঢাকা-ময়মনসিংহ ননস্টপ ট্রেন ও ডাবল লাইন নির্মাণের দাবি

শিশুদের প্রতি প্রতিহিংসা বন্ধ করুন

চরবাসীর নদী পারাপারে নিরাপত্তার প্রয়োজন

জন্মনিবন্ধন সেবায় অতিরিক্ত অর্থ আদায় : ব্যবস্থা নিন

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে স্পিডব্রেকার চাই

উন্নয়নের জন্য একটি অপরিহার্য উপাদান কারিগরি শিক্ষা

পোস্তগোলায় নিম্নমানের ড্রেন নির্মাণ

দিনমজুর সংকটে কৃষি উৎপাদন ব্যাহত

পানাম সেতু : ঐতিহ্য রক্ষায় অবহেলা নয়

যাত্রাবাড়ীর চৌরাস্তা থেকে ধোলাইখাল বাসস্ট্যান্ড পর্যন্ত রাস্তার দুরবস্থা

tab

চিঠিপত্র

চিঠি : আগামী প্রজন্মের জন্য আমরা কী রেখে যাচ্ছি

মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন

সোমবার, ০৯ জানুয়ারী ২০২৩

আমাদের জনসংখ্যার তিন ভাগের এক ভাগই হচ্ছে নতুন প্রজন্ম- যারা ভবিষ্যতে দেশ ও জাতির কল্যাণে কাজ করবে। এই বিশাল প্রজন্মকে সঠিকভাবে গড়ে তোলার ওপরই নির্ভর করছে তারা কীভাবে দেশকে নেতৃত্ব প্রদান করবে। এটি আধুনিক যেকোন দেশের সরকারি নীতি ও কৌশলের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।

তাদের শিশু-কিশোর, তরুণরা বেড়ে ওঠে সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা এবং মানুষ হিসেবে বেড়ে ওঠার প্রয়োজনীয় বিষয়গুলো লাভের মাধ্যমে। ওরা শিশুকালে পুষ্টিকর খাবার যেমন পায়, চমৎকার শিশুসদনে তাদের শিশুকাল আনন্দের সঙ্গে বেড়ে ওঠে, গড়ে ওঠে প্রকৃতি-মানুষ, প্রাণী, ফুল ও সব ধরনের প্রাণীর সঙ্গে পরিচয় ঘটিয়ে। খেলাধুলা আর আনন্দের মধ্যে তাদের শিশুকাল বেড়ে ওঠে।

ওরা দেখে না কোন বৈষম্যের সামাজিক সম্পর্ক। এরপর তাদের স্কুল যেন হয়ে ওঠে শেখা ও আনন্দের আঁধার হয়ে। এভাবেই উন্নত দেশগুলো তাদের শিশু-কিশোরদের স্বাস্থ্য ও মানসিক গঠনে সবধরনের সুযোগ সৃষ্টির মাধ্যমে বেড়ে উঠতে দেয়।

একসময় শিক্ষাজীবন শেষ করে তারা কর্মক্ষেত্রে প্রবেশ করে। খুব সামান্য সংখ্যক কিশোর-তরুণই রাষ্ট্রের চাওয়া-পাওয়ার বিষয়গুলো শতভাগ হয়তো অর্জন করতে পারে না, কিন্তু তাদের জীবনও বেড়ে ওঠে নিয়ম কানুন-আইন, বিধিবিধান, শৃঙ্খলা ও মানবিক আচরণের সঙ্গে পরিচয় লাভের মাধ্যমে। ফলে বখে যাওয়া কিংবা রাষ্ট্রের জন্য ক্ষতিকর হয়ে ওঠার সুযোগ কম বা ব্যতিক্রম ছাড়া আর কিছুই হয় না।

আমাদের দেশের বাস্তবতা অনেকটাই ভিন্ন। আমরা এখনও আমাদের শিশুদের সেভাবে গড়ে ওঠার শিশুকাল দিতে পারিনি। অনেকটাই পরিবারের আর্থিক সক্ষমতার ওপর নির্ভর করে শিশুদের বেড়ে ওঠে। যারা ধনী পরিবার তাদের শিশুরা পুষ্টি এবং আনন্দময় শৈশবকাল যতটা পেয়ে থাকে অপেক্ষাকৃত দরিদ্র কিংবা প্রান্তিক পরিবারের শিশুদের সেটি হওয়া বা পাওয়ার কোন বাস্তবতাই নেই।

তারপরও আমাদের দেশ স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে ধীরে হলেও দারিদ্র্যের ব্যাপক প্রভাব থেকে অনেকটাই বের হয়ে আসতে শুরু করেছে। এখন আমরা একটি নিম্নমধ্যম আয়ের দেশে পদার্পণ করেছি। অদূর ভবিষ্যতে আমরা মধ্যম এবং উন্নত দেশে পদার্পণ করতে যাচ্ছি। কিন্তু এই উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির বিষয়গুলো একেবারেই আপনাআপনি ঘটবে না। এটি ঘটবে আমাদের তরুণ প্রজন্মকে আমরা যদি মানবসম্পদ হিসেবে গড়ে তুলতে পারি, তাহলেই কেবল আমাদের সম্পদের চাহিদা সৃষ্টি হতে পারে। নতুবা আমাদের বেড়ে ওঠা নতুন প্রজন্মের আংশিকই কেবল দেশের জন্য সম্পদ হয়ে উঠতে পারবে, বাকিদের বড় অংশই দেশের জন্য মঙ্গলের চাইতে অমঙ্গলই বেশি বয়ে আনতে পারে।

আরফাতুর রহমান

back to top