হাফিজ-আল-আসাদ
৫ আগস্ট-পরবর্তী বাংলাদেশে রাষ্ট্রীয় কাঠামো, শাসনব্যবস্থা ও সামাজিক বাস্তবতা নিয়ে যেমন প্রশ্ন উঠেছে, তেমনি নতুন করে আলোচনায় এসেছে নারীর অবস্থান। স্বাধীনতার পাঁচ দশক পার করা বাংলাদেশের নারীরা আজ নানা রূপে সমাজে অবদান রাখছেনশিক্ষা, চিকিৎসা, প্রশাসন, ক্রীড়া কিংবা তথ্যপ্রযুক্তি-সবখানেই তাদের পদচারণা স্পষ্ট। কিন্তু প্রশ্ন থেকে যায়, “নতুন বাংলাদেশ” আসলে নারীর নিরাপত্তা, স্বাস্থ্য, কর্মস্পৃহা ও সম্মান কতটা রক্ষা করতে পেরেছে? পরিবর্তনের দাবি যতই উচ্চারিত হোক, বাস্তবতা ততটাই কণ্টকাকীর্ণ।
স্বাস্থ্য: প্রাপ্তি ও প্রহসনের সীমারেখা : বাংলাদেশে নারীর স্বাস্থ্যসেবা কাঠামো গত এক দশকে তুলনামূলকভাবে উন্নত হলেও তা সর্বজনীন নয়। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, দেশে মাতৃমৃত্যুর হার প্রতি ১ লাখ জীবিত জন্মে প্রায় ১৩১ জন, যা আগের তুলনায় কম হলেও উদ্বেগমুক্ত নয়। বিশেষ করে গ্রামীণ অঞ্চলে স্বাস্থ্যকেন্দ্রের সেবার মান, প্রসূতি চিকিৎসা এবং পরিবার পরিকল্পনা সেবায় অনিয়ম ব্যাপক। ৫ আগস্ট পরবর্তী সময়েও এই চিত্রে কোনো দৃশ্যমান পরিবর্তন আসেনি। বরং স্বাস্থ্য বাজেটের সংকোচন, ওষুধের মূল্যবৃদ্ধি এবং প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবায় ঘাটতি নারীর জীবনে নতুন চাপ তৈরি করেছে। “নতুন বাংলাদেশে” স্বাস্থ্যসেবাকে মানবাধিকারের অংশ হিসেবে তুলে ধরার প্রতিশ্রুতি থাকলেও, এখনো নারীর জন্য তা অপ্রাপ্যতার বিষয় হয়ে আছে।
নিরাপত্তা: ভয়, লজ্জা ও প্রতিবাদের ত্রিমাত্রা : বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর সাম্প্রতিক জরিপে উঠে এসেছে ভয়াবহ তথ্য-প্রায় ৭৬ শতাংশ নারী জীবনে একবার হলেও স্বামীর হাতে শারীরিক বা মানসিক সহিংসতার শিকার হয়েছেন। শহুরে উচ্চবিত্ত নারী থেকে শুরু করে গ্রামের দিনমজুর-সবখানেই নারী নিরাপত্তাহীনতার ছায়া ঘন। ৫ আগস্টের রাজনৈতিক রূপান্তর নারীর নিরাপত্তা নিশ্চিতে কোনো নতুন দিগন্ত উন্মোচন করতে পারেনি। বরং রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা ও আইন-শৃঙ্খলার দুর্বলতা নারী নির্যাতনের নতুন রূপ তৈরি করেছে-সাইবার হয়রানি, কর্মক্ষেত্রে বৈষম্য, এমনকি রাজনৈতিক হয়রানিও বেড়েছে। অন্যদিকে, নারী নির্যাতনের ঘটনা সমাজে আলোচনা পায় মাত্র কয়েকদিন, এরপর নীরবতা। এই নীরবতাই সবচেয়ে ভয়ংকর, যা নারীর ন্যায়বিচারের পথে অদৃশ্য প্রাচীর তৈরি করছে।
কর্মস্পৃহা ও অর্থনৈতিক অবদান : বাংলাদেশের মোট শ্রমশক্তির প্রায় ৪০ শতাংশ এখন নারী। তৈরি পোশাকশিল্প, কৃষি ও ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা খাত-সবখানেই তাদের ভূমিকা অপরিহার্য। কিন্তু ৫ আগস্ট পরবর্তী প্রশাসনিক ও রাজনৈতিক পুনর্বিন্যাসে নারীর অর্থনৈতিক অবস্থান কতটা সুরক্ষিত? বাস্তবতা হলো, নারী উদ্যোক্তাদের জন্য ঋণপ্রাপ্তি, বাজারে প্রবেশ ও নিরাপদ পরিবেশ এখনো কঠিন। সরকারি প্রণোদনা প্রকল্পগুলোর বড় অংশই পুরুষনির্ভর থেকে গেছে। কর্মসংস্থান তৈরি না হয়ে বরং অনেক ক্ষেত্রে নারী শ্রমিকদের ছাঁটাই করা হয়েছে অর্থনৈতিক অস্থিরতার অজুহাতে। অর্থাৎ “অর্থনৈতিক ক্ষমতায়ন” কথাটি এখনো প্রচারণায় বেশি, প্রয়োগে কম। নতুন বাংলাদেশের রূপরেখায় নারীর শ্রম যেন কেবল পরিসংখ্যানের একটি সংখ্যা হয়ে না পড়ে-এই সতর্কতাই সকলের দাবি।
খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক পরিসরে নারীর উপস্থিতি : বাংলাদেশের নারী ক্রীড়াবিদেরা আন্তর্জাতিক পরিসরে যে সাফল্য অর্জন করেছেন তা নিঃসন্দেহে গর্বের। তবু ক্রীড়া অবকাঠামো, কোচিং সুবিধা ও নিরাপত্তা-সবকিছুতেই নারীরা এখনও দ্বিতীয় সারির নাগরিক। ৫ আগস্ট পর নারীদের ক্রীড়া অংশগ্রহণে নতুন কোনো উদ্যোগ বা রাষ্ট্রীয় সুরক্ষা কাঠামো দেখা যায়নি। বরং ক্রীড়া অনুষঙ্গেও রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ ও আর্থিক সংকট তাদের পথকে জটিল করেছে। একইভাবে, সংস্কৃতি ও মিডিয়া জগতে নারী স্বাধীনভাবে কাজ করলেও, সামাজিক মানসিকতার বাধা এখনো অটুট-নারীকে দেখা হয় “চিত্র”, “প্রদর্শন” বা “মডেল” হিসেবে, সমমর্যাদাপূর্ণ মানুষ হিসেবে নয়।
সমাজ ও রাষ্ট্রের দায় : একটি দেশের উন্নয়ন কেবল জিডিপি বা সেতু-উড়ালসড়কের মাপে নয়, বরং নাগরিকের মর্যাদা ও নিরাপত্তার মাপে পরিমাপ করা হয়। সেই বিচারে, নতুন বাংলাদেশের নারীরা এখনো “নিরাপদ” বা “স্বাধীন” বোধ করেন না। নারীর অবস্থান উন্নয়নের চেয়ে প্রতিনিয়ত রক্ষণাত্মক লড়াইয়ের মধ্যে আবদ্ধ। সামাজিক রীতিনীতি, ধর্মীয় গোঁড়ামি ও পুরুষতান্ত্রিক দৃষ্টিভঙ্গি নারীকে প্রতিনিয়ত প্রমাণ দিতে বাধ্য করছে-সে সমান সক্ষম, সমান মানুষ। রাষ্ট্রের দায়িত্ব কেবল আইন প্রণয়ন নয়; বাস্তবে সেই আইনের প্রয়োগ নিশ্চিত করা। পুলিশ, প্রশাসন, শিক্ষা ও গণমাধ্যম-সবখানে যদি নারী-বান্ধব নীতি কার্যকর না হয়, তবে “নতুন বাংলাদেশ” কেবল পুরনো প্রতারণার নতুন নাম হয়ে থাকবে। নারী আজ বাংলাদেশের উন্নয়নচিত্রের অনিবার্য অংশ। তবুও, যদি সে ভয়, বৈষম্য ও অনিশ্চয়তার মধ্যে থাকে, তবে সে দেশকে “নতুন” বলা যায় না। “নতুন বাংলাদেশ” তখনই অর্থবহ হবে, যখন নারীর কণ্ঠ অবরুদ্ধ হবে না, তার শ্রম উপেক্ষিত হবে না, তার মর্যাদা প্রশ্নবিদ্ধ হবে না। নারী যদি নিরাপত্তা ও মর্যাদার নিশ্চয়তা না পায়, তবে সেই রাষ্ট্র উন্নয়নের নয় অন্যায়ের ধারাবাহিকতা মাত্র।
[লেখক: সাবেক সিনিয়র কনসালটেন্ট, এমডিসি বাংলাদেশ; ডিরেক্টর, আর্থ ফাউন্ডেশন]
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
হাফিজ-আল-আসাদ
মঙ্গলবার, ১১ নভেম্বর ২০২৫
৫ আগস্ট-পরবর্তী বাংলাদেশে রাষ্ট্রীয় কাঠামো, শাসনব্যবস্থা ও সামাজিক বাস্তবতা নিয়ে যেমন প্রশ্ন উঠেছে, তেমনি নতুন করে আলোচনায় এসেছে নারীর অবস্থান। স্বাধীনতার পাঁচ দশক পার করা বাংলাদেশের নারীরা আজ নানা রূপে সমাজে অবদান রাখছেনশিক্ষা, চিকিৎসা, প্রশাসন, ক্রীড়া কিংবা তথ্যপ্রযুক্তি-সবখানেই তাদের পদচারণা স্পষ্ট। কিন্তু প্রশ্ন থেকে যায়, “নতুন বাংলাদেশ” আসলে নারীর নিরাপত্তা, স্বাস্থ্য, কর্মস্পৃহা ও সম্মান কতটা রক্ষা করতে পেরেছে? পরিবর্তনের দাবি যতই উচ্চারিত হোক, বাস্তবতা ততটাই কণ্টকাকীর্ণ।
স্বাস্থ্য: প্রাপ্তি ও প্রহসনের সীমারেখা : বাংলাদেশে নারীর স্বাস্থ্যসেবা কাঠামো গত এক দশকে তুলনামূলকভাবে উন্নত হলেও তা সর্বজনীন নয়। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, দেশে মাতৃমৃত্যুর হার প্রতি ১ লাখ জীবিত জন্মে প্রায় ১৩১ জন, যা আগের তুলনায় কম হলেও উদ্বেগমুক্ত নয়। বিশেষ করে গ্রামীণ অঞ্চলে স্বাস্থ্যকেন্দ্রের সেবার মান, প্রসূতি চিকিৎসা এবং পরিবার পরিকল্পনা সেবায় অনিয়ম ব্যাপক। ৫ আগস্ট পরবর্তী সময়েও এই চিত্রে কোনো দৃশ্যমান পরিবর্তন আসেনি। বরং স্বাস্থ্য বাজেটের সংকোচন, ওষুধের মূল্যবৃদ্ধি এবং প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবায় ঘাটতি নারীর জীবনে নতুন চাপ তৈরি করেছে। “নতুন বাংলাদেশে” স্বাস্থ্যসেবাকে মানবাধিকারের অংশ হিসেবে তুলে ধরার প্রতিশ্রুতি থাকলেও, এখনো নারীর জন্য তা অপ্রাপ্যতার বিষয় হয়ে আছে।
নিরাপত্তা: ভয়, লজ্জা ও প্রতিবাদের ত্রিমাত্রা : বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর সাম্প্রতিক জরিপে উঠে এসেছে ভয়াবহ তথ্য-প্রায় ৭৬ শতাংশ নারী জীবনে একবার হলেও স্বামীর হাতে শারীরিক বা মানসিক সহিংসতার শিকার হয়েছেন। শহুরে উচ্চবিত্ত নারী থেকে শুরু করে গ্রামের দিনমজুর-সবখানেই নারী নিরাপত্তাহীনতার ছায়া ঘন। ৫ আগস্টের রাজনৈতিক রূপান্তর নারীর নিরাপত্তা নিশ্চিতে কোনো নতুন দিগন্ত উন্মোচন করতে পারেনি। বরং রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা ও আইন-শৃঙ্খলার দুর্বলতা নারী নির্যাতনের নতুন রূপ তৈরি করেছে-সাইবার হয়রানি, কর্মক্ষেত্রে বৈষম্য, এমনকি রাজনৈতিক হয়রানিও বেড়েছে। অন্যদিকে, নারী নির্যাতনের ঘটনা সমাজে আলোচনা পায় মাত্র কয়েকদিন, এরপর নীরবতা। এই নীরবতাই সবচেয়ে ভয়ংকর, যা নারীর ন্যায়বিচারের পথে অদৃশ্য প্রাচীর তৈরি করছে।
কর্মস্পৃহা ও অর্থনৈতিক অবদান : বাংলাদেশের মোট শ্রমশক্তির প্রায় ৪০ শতাংশ এখন নারী। তৈরি পোশাকশিল্প, কৃষি ও ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা খাত-সবখানেই তাদের ভূমিকা অপরিহার্য। কিন্তু ৫ আগস্ট পরবর্তী প্রশাসনিক ও রাজনৈতিক পুনর্বিন্যাসে নারীর অর্থনৈতিক অবস্থান কতটা সুরক্ষিত? বাস্তবতা হলো, নারী উদ্যোক্তাদের জন্য ঋণপ্রাপ্তি, বাজারে প্রবেশ ও নিরাপদ পরিবেশ এখনো কঠিন। সরকারি প্রণোদনা প্রকল্পগুলোর বড় অংশই পুরুষনির্ভর থেকে গেছে। কর্মসংস্থান তৈরি না হয়ে বরং অনেক ক্ষেত্রে নারী শ্রমিকদের ছাঁটাই করা হয়েছে অর্থনৈতিক অস্থিরতার অজুহাতে। অর্থাৎ “অর্থনৈতিক ক্ষমতায়ন” কথাটি এখনো প্রচারণায় বেশি, প্রয়োগে কম। নতুন বাংলাদেশের রূপরেখায় নারীর শ্রম যেন কেবল পরিসংখ্যানের একটি সংখ্যা হয়ে না পড়ে-এই সতর্কতাই সকলের দাবি।
খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক পরিসরে নারীর উপস্থিতি : বাংলাদেশের নারী ক্রীড়াবিদেরা আন্তর্জাতিক পরিসরে যে সাফল্য অর্জন করেছেন তা নিঃসন্দেহে গর্বের। তবু ক্রীড়া অবকাঠামো, কোচিং সুবিধা ও নিরাপত্তা-সবকিছুতেই নারীরা এখনও দ্বিতীয় সারির নাগরিক। ৫ আগস্ট পর নারীদের ক্রীড়া অংশগ্রহণে নতুন কোনো উদ্যোগ বা রাষ্ট্রীয় সুরক্ষা কাঠামো দেখা যায়নি। বরং ক্রীড়া অনুষঙ্গেও রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ ও আর্থিক সংকট তাদের পথকে জটিল করেছে। একইভাবে, সংস্কৃতি ও মিডিয়া জগতে নারী স্বাধীনভাবে কাজ করলেও, সামাজিক মানসিকতার বাধা এখনো অটুট-নারীকে দেখা হয় “চিত্র”, “প্রদর্শন” বা “মডেল” হিসেবে, সমমর্যাদাপূর্ণ মানুষ হিসেবে নয়।
সমাজ ও রাষ্ট্রের দায় : একটি দেশের উন্নয়ন কেবল জিডিপি বা সেতু-উড়ালসড়কের মাপে নয়, বরং নাগরিকের মর্যাদা ও নিরাপত্তার মাপে পরিমাপ করা হয়। সেই বিচারে, নতুন বাংলাদেশের নারীরা এখনো “নিরাপদ” বা “স্বাধীন” বোধ করেন না। নারীর অবস্থান উন্নয়নের চেয়ে প্রতিনিয়ত রক্ষণাত্মক লড়াইয়ের মধ্যে আবদ্ধ। সামাজিক রীতিনীতি, ধর্মীয় গোঁড়ামি ও পুরুষতান্ত্রিক দৃষ্টিভঙ্গি নারীকে প্রতিনিয়ত প্রমাণ দিতে বাধ্য করছে-সে সমান সক্ষম, সমান মানুষ। রাষ্ট্রের দায়িত্ব কেবল আইন প্রণয়ন নয়; বাস্তবে সেই আইনের প্রয়োগ নিশ্চিত করা। পুলিশ, প্রশাসন, শিক্ষা ও গণমাধ্যম-সবখানে যদি নারী-বান্ধব নীতি কার্যকর না হয়, তবে “নতুন বাংলাদেশ” কেবল পুরনো প্রতারণার নতুন নাম হয়ে থাকবে। নারী আজ বাংলাদেশের উন্নয়নচিত্রের অনিবার্য অংশ। তবুও, যদি সে ভয়, বৈষম্য ও অনিশ্চয়তার মধ্যে থাকে, তবে সে দেশকে “নতুন” বলা যায় না। “নতুন বাংলাদেশ” তখনই অর্থবহ হবে, যখন নারীর কণ্ঠ অবরুদ্ধ হবে না, তার শ্রম উপেক্ষিত হবে না, তার মর্যাদা প্রশ্নবিদ্ধ হবে না। নারী যদি নিরাপত্তা ও মর্যাদার নিশ্চয়তা না পায়, তবে সেই রাষ্ট্র উন্নয়নের নয় অন্যায়ের ধারাবাহিকতা মাত্র।
[লেখক: সাবেক সিনিয়র কনসালটেন্ট, এমডিসি বাংলাদেশ; ডিরেক্টর, আর্থ ফাউন্ডেশন]