alt

প্লাস্টিক দূষণ প্রতিকার প্রসঙ্গে

: বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪

২২ এপ্রিল ‘পৃথিবী দিবস’। ২০২৪ সালে এ দিবসটির প্রতিপাদ্য বিষয় ঢ়ষধহবঃ াং ঢ়ষধংঃরপ. বিভিন্ন দেশ, জাতি, সংস্কৃতি রয়েছে আমাদের এই পৃথিবীতে। তবে বিশ্ব পরিম-লে আমাদের একটা পরিচয় রয়েছে-আমরা পৃথিবীবাসী।

পৃথিবীর পরিবেশ রক্ষায় আমাদের সবাইকে এক হয়ে কাজ করতে হবে। বিভিন্নভাবে পরিবেশ দূষণ হচ্ছে। প্লাস্টিক, পানি, বায়ু দূষণ যেন প্রতিদিনের অহরহ ঘটনা। বর্তমানে অন্যান্য দুষণের পাশাপাশি প্লাস্টিক দূষণ ক্রমশ বেড়ে চলছে। প্লাস্টিক পণ্যের সহজলভ্যতা, টেকসই এবং দীর্ঘদিন ব্যবহার করার উপযোগী হওয়ার কারনে সবাই এটির ব্যবহার করছে। প্রতিদিন টুথব্রাশ, প্লাস্টিক বোতল, প্লাস্টিক ব্যাগ, পাইপসহ নানা ধরনের প্লাস্টিক পণ্য উৎপাদিত হচ্ছে ও ব্যবহার করা হচ্ছে। যা আমাদের পৃথিবীর জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে।

বিশ্বে প্রতি মিনিটে ২ মিলিয়ন প্লাস্টিক ব্যাগ ব্যবহার হয়। অন্যান্য পণ্যগুলোর ব্যাপক ব্যবহারের কারণে বাড়ি থেকে বের হলেই যেখানে যেখানে বিশেষ করে- রাস্তা-ঘাট, নদী-নালা, খাল-বিল পর্যটন এলাকাগুলোতে নজরে পরে এই প্লাস্টিক পণ্যগুলোর।

পৃথিবীর জলবায়ু পরিবর্তনের একটি উল্লেখযোগ্য কারণ প্লাস্টিক। ২০২০ সালেই প্লাস্টিক শিল্প থেকে ১.৮ বিলিয়ন টন কার্বন-ডাই-অক্সাইড গ্যাস তৈরি হয়েছিল; যা বায়ুমন্ডলের উল্লেখযোগ্য ক্ষতি সাধন করে। ফলে তাপমাত্রা বৃদ্ধিসহ বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগ এর সংখ্যা ও তীব্রতা বাড়ছে। তাছাড়া নদ-নদী, খাল-বিল, সমুদ্রে এ প্লাস্টিক পণ্য ছড়িয়ে পড়ার কারণে জলজ প্রাণী আবাসস্থল হারিয়ে যাচ্ছে। অনেক জলজ প্রাণির প্লাস্টিক পণ্যগুলোতে আটকে থেকে মৃত্যু হচ্ছে। প্লাস্টিকের কারণে নানা প্রজাতি বিলুপ্ত হওয়ার পথে।

এখন আমাদের প্রয়োজন প্লাস্টিক ব্যবহার রোধ করা এবং প্লাস্টিকের বিকল্প বের করা। বাংলাদেশের বিজ্ঞানী মোবারক আহমদ খান প্লাস্টিক ব্যাগের বিকল্প হিসেবে পাট থেকে সোনালি ব্যাগ উদ্ভাবন করেছেন। যা সারা বিশ্বের জন্য একটি মাইলফলক হয়ে থাকবে। এই সোনালী ব্যাগসহ কাগজ, সুতার তৈরি বিভিন্ন কাপড়, ব্যাগ ইত্যাদি ব্যবহার করতে পারলে প্লাস্টক পণ্যের ব্যবহার কমবে।

প্লাস্টিকের একটি অসাধারণ বিকল্প হতে পারে বাঁশের তৈরি পণ্যসামগ্রী। বর্তমানে বাঁশ থেকে চামচ, গ্লাস, বোতলসহ পরিবেশবান্ধব পণ্য উৎপাদন করা হচ্ছে। এগুলোর প্রসার করতে পারলে প্লাস্টিক দূষণ কমিয়ে আনা সম্ভব। পরিশেষে আমাদের জন্যই এই দূষণ হয়ে থাকে। সচেতনতাই পারে এটিকে প্রতিরোধ করতে। চলুন পরিবেশবান্ধব পণ্য ব্যবহার করি একটি সুন্দর পৃথিবী গড়ি।

মো. রিমেল

প্রাণীর প্রতি সহমর্মিতা

র‌্যাগিং: শিক্ষাঙ্গনের ছায়ায় বেড়ে ওঠা এক অমানবিকতার সংস্কৃতি

বর্জ্য অব্যবস্থাপনায় হুমকির মুখে নগরের ভবিষ্যত

ঢাকায় তাল-নারকেল-সুপারির সবুজ সম্ভাবনা

শকুন বাঁচানো মানে ভবিষ্যৎ বাঁচানো

ছবি

এআই যুগে নিরাপত্তার সংকট : প্রযুক্তির অন্ধকার দিক

রাজধানীর নগর জীবন : ঝুঁকি, দূষণ ও মানুষের নিরাপত্তা

সরকারি স্বাস্থ্যসেবা : গ্রামীণ রোগীর পাশে আছে কি?

ছবি

দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি : সাধারণ মানুষের নৈরাশ্যের কারণ

জিপিএ-৫ এবং শিক্ষার প্রকৃত মান

প্রবাসী শ্রমিকদের মর্যাদা ফিরিয়ে আনা জরুরি

ছবি

এইচএসসি ফল : শিক্ষার বাস্তব চিত্র

ছবি

গার্মেন্টস শ্রমিকের মানবিক অধিকার নিশ্চিতকরণ জরুরি

নিউমার্কেটে সড়ক-ফুটপাত দখলমুক্ত করা জরুরি

সুন্দরবন রক্ষায় দ্রুত পদক্ষেপ প্রয়োজন

আগুনের শিখায় ভস্মীভূত স্বপ্ন

কোথায় যাচ্ছে আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থা?

ছবি

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে সিএনজি-ট্যাক্সি চলাচল নিষিদ্ধের আহ্বান

ছবি

ভবদহে জলাবদ্ধতা নিরসনে জরুরি টিআরএম প্রকল্প বাস্তবায়ন প্রয়োজন

গণপরিবহনে নারীর নিরাপত্তা নিশ্চিত হোক

পোস্তগোলা থানা গঠনের দাবি

বিশ্ববিদ্যালয়ে অ্যামেরিকান স্টাডিজ কোর্স চালুর প্রয়োজনীয়তা

ছবি

প্রাথমিক শিক্ষায় শিক্ষক সংকট

শিক্ষকদের বেতন-ভাতার বৈষম্য দূর করতে হবে

বাংলাদেশ টেলিভিশন চট্টগ্রাম কেন্দ্রের সংবাদ প্রসঙ্গে

মাটি কেটে নষ্ট হচ্ছে ফসলি জমি

পিঠা উৎসব : ঐতিহ্যের পুনরুত্থান ও জনপ্রিয়তা

পরিবেশ সুরক্ষায় সবুজ অর্থনীতি

পানির অপচয় রোধে সচেতনতা

নিরাপত্তায় মনোযোগ বাড়ানো জরুরি

ছবি

প্লাস্টিক দূষণ : সমাধানের পথ কী?

ছাত্রত্বহীন আদুভাইদের রাজনীতি বন্ধ হোক

অগ্নিকা- থেকে মুক্তির উপায় কী?

ছবি

নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে কাঁকড়া শিকার

ছবি

টিসিবির ট্রাকে চাল নেই কেন?

মেট্রোরেলে মশা

tab

প্লাস্টিক দূষণ প্রতিকার প্রসঙ্গে

বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪

২২ এপ্রিল ‘পৃথিবী দিবস’। ২০২৪ সালে এ দিবসটির প্রতিপাদ্য বিষয় ঢ়ষধহবঃ াং ঢ়ষধংঃরপ. বিভিন্ন দেশ, জাতি, সংস্কৃতি রয়েছে আমাদের এই পৃথিবীতে। তবে বিশ্ব পরিম-লে আমাদের একটা পরিচয় রয়েছে-আমরা পৃথিবীবাসী।

পৃথিবীর পরিবেশ রক্ষায় আমাদের সবাইকে এক হয়ে কাজ করতে হবে। বিভিন্নভাবে পরিবেশ দূষণ হচ্ছে। প্লাস্টিক, পানি, বায়ু দূষণ যেন প্রতিদিনের অহরহ ঘটনা। বর্তমানে অন্যান্য দুষণের পাশাপাশি প্লাস্টিক দূষণ ক্রমশ বেড়ে চলছে। প্লাস্টিক পণ্যের সহজলভ্যতা, টেকসই এবং দীর্ঘদিন ব্যবহার করার উপযোগী হওয়ার কারনে সবাই এটির ব্যবহার করছে। প্রতিদিন টুথব্রাশ, প্লাস্টিক বোতল, প্লাস্টিক ব্যাগ, পাইপসহ নানা ধরনের প্লাস্টিক পণ্য উৎপাদিত হচ্ছে ও ব্যবহার করা হচ্ছে। যা আমাদের পৃথিবীর জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে।

বিশ্বে প্রতি মিনিটে ২ মিলিয়ন প্লাস্টিক ব্যাগ ব্যবহার হয়। অন্যান্য পণ্যগুলোর ব্যাপক ব্যবহারের কারণে বাড়ি থেকে বের হলেই যেখানে যেখানে বিশেষ করে- রাস্তা-ঘাট, নদী-নালা, খাল-বিল পর্যটন এলাকাগুলোতে নজরে পরে এই প্লাস্টিক পণ্যগুলোর।

পৃথিবীর জলবায়ু পরিবর্তনের একটি উল্লেখযোগ্য কারণ প্লাস্টিক। ২০২০ সালেই প্লাস্টিক শিল্প থেকে ১.৮ বিলিয়ন টন কার্বন-ডাই-অক্সাইড গ্যাস তৈরি হয়েছিল; যা বায়ুমন্ডলের উল্লেখযোগ্য ক্ষতি সাধন করে। ফলে তাপমাত্রা বৃদ্ধিসহ বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগ এর সংখ্যা ও তীব্রতা বাড়ছে। তাছাড়া নদ-নদী, খাল-বিল, সমুদ্রে এ প্লাস্টিক পণ্য ছড়িয়ে পড়ার কারণে জলজ প্রাণী আবাসস্থল হারিয়ে যাচ্ছে। অনেক জলজ প্রাণির প্লাস্টিক পণ্যগুলোতে আটকে থেকে মৃত্যু হচ্ছে। প্লাস্টিকের কারণে নানা প্রজাতি বিলুপ্ত হওয়ার পথে।

এখন আমাদের প্রয়োজন প্লাস্টিক ব্যবহার রোধ করা এবং প্লাস্টিকের বিকল্প বের করা। বাংলাদেশের বিজ্ঞানী মোবারক আহমদ খান প্লাস্টিক ব্যাগের বিকল্প হিসেবে পাট থেকে সোনালি ব্যাগ উদ্ভাবন করেছেন। যা সারা বিশ্বের জন্য একটি মাইলফলক হয়ে থাকবে। এই সোনালী ব্যাগসহ কাগজ, সুতার তৈরি বিভিন্ন কাপড়, ব্যাগ ইত্যাদি ব্যবহার করতে পারলে প্লাস্টক পণ্যের ব্যবহার কমবে।

প্লাস্টিকের একটি অসাধারণ বিকল্প হতে পারে বাঁশের তৈরি পণ্যসামগ্রী। বর্তমানে বাঁশ থেকে চামচ, গ্লাস, বোতলসহ পরিবেশবান্ধব পণ্য উৎপাদন করা হচ্ছে। এগুলোর প্রসার করতে পারলে প্লাস্টিক দূষণ কমিয়ে আনা সম্ভব। পরিশেষে আমাদের জন্যই এই দূষণ হয়ে থাকে। সচেতনতাই পারে এটিকে প্রতিরোধ করতে। চলুন পরিবেশবান্ধব পণ্য ব্যবহার করি একটি সুন্দর পৃথিবী গড়ি।

মো. রিমেল

back to top