১২ মে প্রকাশিত হয়েছে এবারের এসএসএসি পরীক্ষার ফলাফল। ফলাফল বিশ্লেষণে দেখা যায় অকৃতকার্য হওয়া শিক্ষার্থীদের মধ্য থেকে গণিত ও ইংরেজিতে সবচেয়ে বেশি ফেল করেছে। শুধু কুমিল্লা শিক্ষাবোর্ডে ১৮ হাজার ৮১২ জন শিক্ষার্থী গণিতে এবং ১১ হাজার ৬৫৯ জন শিক্ষার্থী ইংরেজিতে অকৃতকার্য হয়েছে; কিন্তু কেন এত অকৃতকার্য এই দুই বিষয়ে?
বিদ্যালয়, শিক্ষক, বই সব আছে। তার পরেও কেন এত অবস্থা তৈরি হচ্ছে। আমাদের অধিকাংশ বিদ্যালয়ের অবস্থান গ্রাম অঞ্চলে। অনেক বিদ্যালয় আছে যেখানে পড়াশোনার পরিবেশ নেই। বিদ্যালয়গুলো রয়েছে অবকাঠামো গত সমস্যা, পর্যাপ্ত পরিমাণে শ্রেণিকক্ষ না, প্রয়োজনীয় উপকরণ না থাকাসহ অনেক সমস্যা।
বিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষক আছে। তবে যুগোপযোগী শিক্ষা দিতে পারে এমন শিক্ষক নেই। অনেক জায়গায় অদক্ষ শিক্ষক নিয়োগ দেয়া হচ্ছে। কিছু কিছু বিদ্যালয়ে সংশ্লিষ্ট বিষয়ের শিক্ষক নেই।
তাই অন্য বিষয়ের শিক্ষক দিয়ে গনিত, ইংরেজি বিষয় পড়ানো হচ্ছে। তাছাড়া শিক্ষার্থীরা শিক্ষকদের ভয়ে না বুঝলেও বলে বুঝতে পেরেছি এমন মনোভাব পোষণ করে। তাই শিক্ষকদের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে ও যেখানে শিক্ষক স্বল্পতা আছে সেখানে শিক্ষক নিয়োগ দিতে হবে।
আমাদের নেই শিক্ষার্থীদের মনোভাবের সাথে মানাইসই বই। তাই বই লেখাতে শিক্ষার্থীদের আগ্রহের দিকটি মাথায় রেখে বই গুলো এমনভাবে সাজাতে হবে যাতে তারা সহজে বুঝতে পারে। শিক্ষার্থীরা গনিত ও ইংরেজি নিয়ে কি ভাবছে এবং তাদের সমস্যা কোন জায়গায় সে সম্পর্কে তাদের থেকে একটি গবেষণামূলক জরিপ নিয়ে সেগুলো পর্যালোচনা করে সমস্যার সমাধান করা যেতে পারে।
পরিশেষে বিদ্যালয়ের পাশাপাশি অভিভাবকদেরও সচেতন হবে হবে তাদের সন্তানদের নিয়ে, তবেই এ সমস্যার সমাধান সম্ভব।
মো. রিমেল
বুধবার, ২৯ মে ২০২৪
১২ মে প্রকাশিত হয়েছে এবারের এসএসএসি পরীক্ষার ফলাফল। ফলাফল বিশ্লেষণে দেখা যায় অকৃতকার্য হওয়া শিক্ষার্থীদের মধ্য থেকে গণিত ও ইংরেজিতে সবচেয়ে বেশি ফেল করেছে। শুধু কুমিল্লা শিক্ষাবোর্ডে ১৮ হাজার ৮১২ জন শিক্ষার্থী গণিতে এবং ১১ হাজার ৬৫৯ জন শিক্ষার্থী ইংরেজিতে অকৃতকার্য হয়েছে; কিন্তু কেন এত অকৃতকার্য এই দুই বিষয়ে?
বিদ্যালয়, শিক্ষক, বই সব আছে। তার পরেও কেন এত অবস্থা তৈরি হচ্ছে। আমাদের অধিকাংশ বিদ্যালয়ের অবস্থান গ্রাম অঞ্চলে। অনেক বিদ্যালয় আছে যেখানে পড়াশোনার পরিবেশ নেই। বিদ্যালয়গুলো রয়েছে অবকাঠামো গত সমস্যা, পর্যাপ্ত পরিমাণে শ্রেণিকক্ষ না, প্রয়োজনীয় উপকরণ না থাকাসহ অনেক সমস্যা।
বিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষক আছে। তবে যুগোপযোগী শিক্ষা দিতে পারে এমন শিক্ষক নেই। অনেক জায়গায় অদক্ষ শিক্ষক নিয়োগ দেয়া হচ্ছে। কিছু কিছু বিদ্যালয়ে সংশ্লিষ্ট বিষয়ের শিক্ষক নেই।
তাই অন্য বিষয়ের শিক্ষক দিয়ে গনিত, ইংরেজি বিষয় পড়ানো হচ্ছে। তাছাড়া শিক্ষার্থীরা শিক্ষকদের ভয়ে না বুঝলেও বলে বুঝতে পেরেছি এমন মনোভাব পোষণ করে। তাই শিক্ষকদের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে ও যেখানে শিক্ষক স্বল্পতা আছে সেখানে শিক্ষক নিয়োগ দিতে হবে।
আমাদের নেই শিক্ষার্থীদের মনোভাবের সাথে মানাইসই বই। তাই বই লেখাতে শিক্ষার্থীদের আগ্রহের দিকটি মাথায় রেখে বই গুলো এমনভাবে সাজাতে হবে যাতে তারা সহজে বুঝতে পারে। শিক্ষার্থীরা গনিত ও ইংরেজি নিয়ে কি ভাবছে এবং তাদের সমস্যা কোন জায়গায় সে সম্পর্কে তাদের থেকে একটি গবেষণামূলক জরিপ নিয়ে সেগুলো পর্যালোচনা করে সমস্যার সমাধান করা যেতে পারে।
পরিশেষে বিদ্যালয়ের পাশাপাশি অভিভাবকদেরও সচেতন হবে হবে তাদের সন্তানদের নিয়ে, তবেই এ সমস্যার সমাধান সম্ভব।
মো. রিমেল