alt

পাঠকের চিঠি

হাত ধোয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন

: বুধবার, ৩০ অক্টোবর ২০২৪

সুখের জীবনযাপনের জন্য সর্বপ্রথম প্রয়োজন সুস্থ থাকা। আর দেহ ও মনে সুস্থতার মাধ্যমে জীবনের যে আনন্দময় অভিব্যক্তি ঘটে, তারই পুষ্পিত রূপ হলো যথার্থ স্বাস্থ্য। অন্যদিকে সুস্বাস্থ্যের জন্য অত্যাবশ্যক হলো নিয়মিত হাত ধোয়া। এই একটি অভ্যাস আমাদের সুস্থতায় বড় ভূমিকা রাখতে পারে। অপরিষ্কার হাতের মাধ্যমেই জীবাণু সবচেয়ে বেশি ছড়ায়। তাই সুস্থ থাকতে হাত ধোয়া অত্যাবশ্যক।

খাদ্য পুষ্টি যেমন জীবন বেঁচে থাকার জন্য প্রধান সহায়ক তেমনিভাবেই জীবনের সুস্থতার জন্য হাত ধোয়া একান্ত দরকার। আমরা সারাদিনে কখনো বাহিরে বা ঘরের ভিতর চলাচলের সময় বিভিন্ন জিনিস হাত দিয়ে ধরি। ফলে দেখা যায়, আমাদের অজান্তেই হাতে চোংরা চলে আসে বুঝতেও পারিনা। তখন এই সব জীবাণু খাদ্যের মধ্যমে আমাদের ভিতরে প্রবেশ করে এবং ডায়রিয়া, পেটের পীড়া, গ্যাস্ট্রীক সহ নানা অসুখের সৃষ্টি করে। বিশেষ করে শিশুদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তেমন বেশি না থাকার ফলে তারা বেশি ভুক্তভোগী। তাই নিয়মিত হাত ধোয়ার বিকল্প জুড়ি নেই।

তাই বিশ সেকেন্ড ধরে হ্যান্ডওয়াশ বা সাবান দিয়ে হাত ধুতে হবে। অপরিষ্কার হাতে চোখ, নাক ও মুখ স্পর্শ করা যাবে না। হাত ধুয়ে টিস্যু বা পরিষ্কার তোয়ালে দিয়ে মুছতে হবে। হাত ধোয়ার সময় নখও ভালোভাবে পরিষ্কার করে নিতে হবে। হাত ধোয়া করোনার মতো অন্যান্য অনেক ছোঁয়াচে রোগের সংক্রমণ থেকেও আমাদের রক্ষা করে। যেমন- কিছুক্ষণ পর পর হাত ধোয়া ডায়রিয়া, শ্বাসনালির সংক্রমণ, ত্বক ও চোখের সংক্রমণ থেকে আমাদের রক্ষা করে। হাত না ধুয়ে খাবার তৈরি বা পরিবেশন করলে হাতে লেগে থাকা জীবাণু খুব সহজেই খাবারে প্রবেশ করতে পারে। আবার শৌচাগার ব্যবহারের পর ভালোভাবে হাত না ধোয়ার কারণে জীবাণু আমাদের পেটের ভিতর চলে যায়। যার ফলে আমরা দিনের পর দিন খাদ্য সমস্যা নিয়ে ভুগতে থাকি।

প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস প্রতিরোধে নিয়মিত হাত ধোয়ার তাগিদ দিয়েছিলো জাতিসংঘের বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে আবার হাত না ধোয়ার সেই পুরনো অভ্যাস নতুন রূপে ফিরতে শুরু করেছে আমাদের মাঝে। করোনার সময় দেখা মিলেছে স্বাস্থ্য সচেতনতার; কিন্তু করোনার প্রাদুর্ভাব কমে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মানুষও সুঅভ্যাস থেকে সরে এসেছে। করোনা কমে গেছে ঠিক, কিন্তু সংক্রামক আরও বহু রোগ রয়ে গেছে। তাই হাত ধোয়ার এই অভ্যাসে আবার জোর দিতে হবে। শিশু কিংবা প্রাপ্তবয়স্ক যে–ই হোন না কেন, নিয়মিত হাত ধোয়া সুস্থ রাখবে একজন মানুষকে।

নিয়মিত হাত ধোয়ার অভ্যাস মহামারির মতো এমন অনেক রোগ থেকেই সুরক্ষা দেয়। স্বাস্থ্যসচেতন নই বলে আমরা অনেকেই নিজেদের অজান্তে হাত না ধুয়ে খাবার খাই। পরিবারের বড়দের সঙ্গে সঙ্গে শিশুরাও এতে অভ্যস্ত হয়ে পড়ে। সংক্রামক রোগ শিশুদের মধ্যে দ্রুত ছড়ায়। তাই স্কুলগুলোতে জরুরিভিত্তিতে হাত ধোয়ার ব্যবস্থা করতে হবে।

আল আমিন হোসাইন

শিক্ষার্থী, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়।

সমাজ পরিবর্তন করে চিন্তার পরিবর্তন, নাকি চিন্তাধারার পরিবর্তন করে সমাজ পরিবর্তন?

বিদ্যালয়ের সংস্কার প্রয়োজন

ছবি

অতিথি পাখি শিকার বন্ধ হোক

আন্দোলন, ন্যায্যতার দাবি ও জনদুর্ভোগ

কক্সবাজারগামী ট্রেনের লাকসাম জংশনে যাত্রাবিরতি চাই

ছবি

যত্রতত্র বাস থামানো বন্ধ করুন

ছবি

বৈদ্যুতিক খুঁটি যেন মাকড়সার জাল

ছবি

কপ-২৯ সম্মেলন ও বাংলাদেশ প্রসঙ্গ

ছবি

পরীক্ষাগুলো বিভাগীয় শহরে নেয়া হোক

খাল ও জলাশয়ের বদ্ধ পানি এডিস মশার উৎস

রাস্তা সংস্কার করুন

কৃষককে ন্যায্য মূল্য দিন

চবির ব্যাংকিং সিস্টেমের ডিজিটালাইজেশন জরুরি

ভবনের অভাবে পাঠদান ব্যাহত হচ্ছে

চরাঞ্চলের শিক্ষার সংস্কার চাই

ছবি

ট্রেনের ছাদে ভ্রমণ

ঠাকুরগাঁও বাস টার্মিনাল

ছবি

মাজারে হামলাকারীদের আইনের আওতায় আনুন

ছবি

গলার কাঁটা প্রিপেইড মিটার

আর যেন হল দখল না হয়

ছবি

পথচারীদের হাঁটার জায়গা দিন

ছবি

আবাসিক হলে দ্রুত গতির ইন্টারনেট জরুরি

ছবি

অতিথি পাখিদের সুরক্ষা

রাবিতে হলে সিট বণ্টন সমস্যা ও সমাধান

আগে সেশনজট বিদায় করুন

যবিপ্রবি মেডিকেল সেন্টারের সেবার মান

লাইব্রেরি চাই

ছবি

নারী খেলোয়াড়দের বঞ্চনার অবসান হোক

হাসপাতালে ‘ফার্মাসিস্ট’ নিয়োগের মধ্য দিয়েই শুরু হউক স্বাস্থ্য খাতের সংস্কার

শব্দ দূষণ বন্ধ করুন

ক্যাম্পাসে পর্যাপ্ত ডাস্টবিন দরকার

উদ্যোক্তা হওয়ার নতুন দৃষ্টিভঙ্গি

রাস্তা সংস্কার হোক

পিটিআই ইন্সট্রাক্টরদের বদলি নীতিমালা

ড্রেনেজ ব্যবস্থার সংস্কার চাই

ছবি

কাবাডি কেন পিছিয়ে?

tab

পাঠকের চিঠি

হাত ধোয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন

বুধবার, ৩০ অক্টোবর ২০২৪

সুখের জীবনযাপনের জন্য সর্বপ্রথম প্রয়োজন সুস্থ থাকা। আর দেহ ও মনে সুস্থতার মাধ্যমে জীবনের যে আনন্দময় অভিব্যক্তি ঘটে, তারই পুষ্পিত রূপ হলো যথার্থ স্বাস্থ্য। অন্যদিকে সুস্বাস্থ্যের জন্য অত্যাবশ্যক হলো নিয়মিত হাত ধোয়া। এই একটি অভ্যাস আমাদের সুস্থতায় বড় ভূমিকা রাখতে পারে। অপরিষ্কার হাতের মাধ্যমেই জীবাণু সবচেয়ে বেশি ছড়ায়। তাই সুস্থ থাকতে হাত ধোয়া অত্যাবশ্যক।

খাদ্য পুষ্টি যেমন জীবন বেঁচে থাকার জন্য প্রধান সহায়ক তেমনিভাবেই জীবনের সুস্থতার জন্য হাত ধোয়া একান্ত দরকার। আমরা সারাদিনে কখনো বাহিরে বা ঘরের ভিতর চলাচলের সময় বিভিন্ন জিনিস হাত দিয়ে ধরি। ফলে দেখা যায়, আমাদের অজান্তেই হাতে চোংরা চলে আসে বুঝতেও পারিনা। তখন এই সব জীবাণু খাদ্যের মধ্যমে আমাদের ভিতরে প্রবেশ করে এবং ডায়রিয়া, পেটের পীড়া, গ্যাস্ট্রীক সহ নানা অসুখের সৃষ্টি করে। বিশেষ করে শিশুদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তেমন বেশি না থাকার ফলে তারা বেশি ভুক্তভোগী। তাই নিয়মিত হাত ধোয়ার বিকল্প জুড়ি নেই।

তাই বিশ সেকেন্ড ধরে হ্যান্ডওয়াশ বা সাবান দিয়ে হাত ধুতে হবে। অপরিষ্কার হাতে চোখ, নাক ও মুখ স্পর্শ করা যাবে না। হাত ধুয়ে টিস্যু বা পরিষ্কার তোয়ালে দিয়ে মুছতে হবে। হাত ধোয়ার সময় নখও ভালোভাবে পরিষ্কার করে নিতে হবে। হাত ধোয়া করোনার মতো অন্যান্য অনেক ছোঁয়াচে রোগের সংক্রমণ থেকেও আমাদের রক্ষা করে। যেমন- কিছুক্ষণ পর পর হাত ধোয়া ডায়রিয়া, শ্বাসনালির সংক্রমণ, ত্বক ও চোখের সংক্রমণ থেকে আমাদের রক্ষা করে। হাত না ধুয়ে খাবার তৈরি বা পরিবেশন করলে হাতে লেগে থাকা জীবাণু খুব সহজেই খাবারে প্রবেশ করতে পারে। আবার শৌচাগার ব্যবহারের পর ভালোভাবে হাত না ধোয়ার কারণে জীবাণু আমাদের পেটের ভিতর চলে যায়। যার ফলে আমরা দিনের পর দিন খাদ্য সমস্যা নিয়ে ভুগতে থাকি।

প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস প্রতিরোধে নিয়মিত হাত ধোয়ার তাগিদ দিয়েছিলো জাতিসংঘের বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে আবার হাত না ধোয়ার সেই পুরনো অভ্যাস নতুন রূপে ফিরতে শুরু করেছে আমাদের মাঝে। করোনার সময় দেখা মিলেছে স্বাস্থ্য সচেতনতার; কিন্তু করোনার প্রাদুর্ভাব কমে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মানুষও সুঅভ্যাস থেকে সরে এসেছে। করোনা কমে গেছে ঠিক, কিন্তু সংক্রামক আরও বহু রোগ রয়ে গেছে। তাই হাত ধোয়ার এই অভ্যাসে আবার জোর দিতে হবে। শিশু কিংবা প্রাপ্তবয়স্ক যে–ই হোন না কেন, নিয়মিত হাত ধোয়া সুস্থ রাখবে একজন মানুষকে।

নিয়মিত হাত ধোয়ার অভ্যাস মহামারির মতো এমন অনেক রোগ থেকেই সুরক্ষা দেয়। স্বাস্থ্যসচেতন নই বলে আমরা অনেকেই নিজেদের অজান্তে হাত না ধুয়ে খাবার খাই। পরিবারের বড়দের সঙ্গে সঙ্গে শিশুরাও এতে অভ্যস্ত হয়ে পড়ে। সংক্রামক রোগ শিশুদের মধ্যে দ্রুত ছড়ায়। তাই স্কুলগুলোতে জরুরিভিত্তিতে হাত ধোয়ার ব্যবস্থা করতে হবে।

আল আমিন হোসাইন

শিক্ষার্থী, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়।

back to top