রাবিতে হলে সিট বণ্টন সমস্যা ও সমাধান

বর্তমান পদ্ধতিতে সর্বমোট ১০০ নম্বর ধরে মেরিট লিস্ট তৈরি করে শিক্ষার্থীদের আবাসন দেয়া শুরু করেছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলো। এক্ষেত্রে জ্যেষ্ঠতা, প্রাপ্ত জিপিএ/সিজিপিএ এবং সহশিক্ষা কার্যক্রমকে বিবেচনায় নিয়ে স্কোরিং করা হয়েছে।

আমরা চাই, বিশ্ববিদ্যালয়ের মোট শিক্ষার্থীর যত শতাংশ শিক্ষার্থী কোন বিভাগ পড়াশোনা করে, সেই শতাংশ সিট সে বিভাগের জন্য বরাদ্দ থাকবে।

উদাহরণ হিসেবে বলা যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের মোট শিক্ষার্থীর ২% ‘ক’ বিভাগ পড়াশোনা করে। প্রতি হলের ২% সিট ‘ক’ বিভাগ পাবে।

একই বিভাগের একাধিক শিক্ষার্থী আবেদন করলে, জ্যেষ্ঠতা ও পারিবারিক অসচ্ছলতার ভিত্তিতে হলে সিট দিতে হবে।

একই বিভাগ ও একই ব্যাচের একাধিক আবেদন করলে, পারিবারিক অসচ্ছলতাকে বেশি গুরুত্ব দিতে হবে। এছাড়া রেজাল্ট, কো-কারিকুলার এসব দিক বিবেচনা করা যেতে পারে। তবে কম গুরুত্ব দিতে হবে।

কোটার ক্ষেত্রে শুধু প্রতিবন্ধীরা পাবে। এতে সব বিভাগ সমান সিট পাবে এবং হলে সিট বৈষম্য দূর হবে।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে যথেষ্ট জায়গা আছে। এজন্য শতভাগ আবাসিকতার প্রকল্প হাতে নিতে হবে।

বিশ্ববিদ্যালয়ে হলে সিট বরাদ্দের ক্ষেত্রে পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ে হলে সিট পাওয়ার ক্ষেত্রে মানদ- হতে পারে না।

আরিফুল ইসলাম

শিক্ষার্থী, ফার্মেসি বিভাগ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়

সম্প্রতি