উদ্বোধনের প্রায় ২০ বছর পেরিয়ে গেলেও ঠাকুরগাঁও জেলার কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালটি এখনো সঠিকভাবে ব্যবহার করা হয়নি। পরিবহন মালিক-শ্রমিকরা বিদ্যুৎ সংযোগ ও ড্রেনেজ ব্যবস্থাসহ সুযোগ-সুবিধা না থাকায় তা এড়িয়ে যাচ্ছেন। এটি অব্যবহৃত রয়ে যাওয়া এবং রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে টার্মিনাল ভবনটি ভেঙে পঙছে। ঠাকুরগাঁও-দিনাজপুর মহাসঙকের পাশে পাঁচ বিঘা জমির ওপর টার্মিনালটি নির্মাণ করা হয়েছে এবং যানজট নিরসন ও অবৈধ বাসস্ট্যান্ড অপসারণের কথা ছিল। ২০০৩ সালে এটি উদ্বোধন করা হলেও বাস মালিক ও চালকদের ব্যবহারে আগ্রহের অভাবে এটি চালু করা যায়নি।
টার্মিনালে যাত্রীদের বসার ব্যবস্থা, টিকিট কাউন্টার, ক্যান্টিনসহ যাবতীয় সুবিধা থাকলেও যাত্রী নেই। পরিবহন সংস্থাগুলো এই টার্মিনাল ব্যবহার করে না এবং তাদের বাসগুলি মহাসঙকের বিভিন্ন স্থানে পার্ক করা হয় যাতে তারা সহজেই তাদের যাত্রী তুলতে পারে। এসব বাস মহাসড়কে ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে যানজটের সৃষ্টি করে। ফলে যাত্রীদের চরম ভোগান্তির মধ্যে দিয়ে যেতে হয়। উদাহরণস্বরূপ, তাদের প্রচ- গরমে রাস্তার ধারে বা ভারি বৃষ্টির সময় কর্দমাক্ত রাস্তায় অপেক্ষা করতে হয়।
টার্মিনালটি বছরের পর বছর ধরে অব্যবহৃত অবস্থায় পড়ে থাকায় এর ভবনটি ভেঙে পড়ছে। ভবনের দরজা-জানালা চুরি হচ্ছে। রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে জায়গাটিতে ময়লা-আবর্জনার স্তূপ পড়ে আছে। এটি এখন মাদকসেবী ও ভাসমান মানুষের নিরাপদ আশ্রয়স্থলে পরিণত হয়েছে। যানজট ও দুর্ঘটনা কমাতে সরকার দেশের অনেক জেলায় বাস টার্মিনাল নির্মাণ করেছে। কিন্তু বাস চালকরা এগুলো ব্যবহার করেন না কারণ তারা মনে করেন তারা সঙক ও মহাসঙক থেকে বেশি যাত্রী তুলতে পারবেন। ঠাকুরগাঁও কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালসহ সারাদেশে অব্যবহৃত বাস টার্মিনালগুলো খুলে সচল করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে। এই পদক্ষেপটি যাত্রীদের তাদের বাসের জন্য স্বাচ্ছন্দ্যে অপেক্ষা করতেও সহায়তা করবে।
আশিকুজ্জামান আশিক,
বুধবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৪
উদ্বোধনের প্রায় ২০ বছর পেরিয়ে গেলেও ঠাকুরগাঁও জেলার কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালটি এখনো সঠিকভাবে ব্যবহার করা হয়নি। পরিবহন মালিক-শ্রমিকরা বিদ্যুৎ সংযোগ ও ড্রেনেজ ব্যবস্থাসহ সুযোগ-সুবিধা না থাকায় তা এড়িয়ে যাচ্ছেন। এটি অব্যবহৃত রয়ে যাওয়া এবং রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে টার্মিনাল ভবনটি ভেঙে পঙছে। ঠাকুরগাঁও-দিনাজপুর মহাসঙকের পাশে পাঁচ বিঘা জমির ওপর টার্মিনালটি নির্মাণ করা হয়েছে এবং যানজট নিরসন ও অবৈধ বাসস্ট্যান্ড অপসারণের কথা ছিল। ২০০৩ সালে এটি উদ্বোধন করা হলেও বাস মালিক ও চালকদের ব্যবহারে আগ্রহের অভাবে এটি চালু করা যায়নি।
টার্মিনালে যাত্রীদের বসার ব্যবস্থা, টিকিট কাউন্টার, ক্যান্টিনসহ যাবতীয় সুবিধা থাকলেও যাত্রী নেই। পরিবহন সংস্থাগুলো এই টার্মিনাল ব্যবহার করে না এবং তাদের বাসগুলি মহাসঙকের বিভিন্ন স্থানে পার্ক করা হয় যাতে তারা সহজেই তাদের যাত্রী তুলতে পারে। এসব বাস মহাসড়কে ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে যানজটের সৃষ্টি করে। ফলে যাত্রীদের চরম ভোগান্তির মধ্যে দিয়ে যেতে হয়। উদাহরণস্বরূপ, তাদের প্রচ- গরমে রাস্তার ধারে বা ভারি বৃষ্টির সময় কর্দমাক্ত রাস্তায় অপেক্ষা করতে হয়।
টার্মিনালটি বছরের পর বছর ধরে অব্যবহৃত অবস্থায় পড়ে থাকায় এর ভবনটি ভেঙে পড়ছে। ভবনের দরজা-জানালা চুরি হচ্ছে। রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে জায়গাটিতে ময়লা-আবর্জনার স্তূপ পড়ে আছে। এটি এখন মাদকসেবী ও ভাসমান মানুষের নিরাপদ আশ্রয়স্থলে পরিণত হয়েছে। যানজট ও দুর্ঘটনা কমাতে সরকার দেশের অনেক জেলায় বাস টার্মিনাল নির্মাণ করেছে। কিন্তু বাস চালকরা এগুলো ব্যবহার করেন না কারণ তারা মনে করেন তারা সঙক ও মহাসঙক থেকে বেশি যাত্রী তুলতে পারবেন। ঠাকুরগাঁও কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালসহ সারাদেশে অব্যবহৃত বাস টার্মিনালগুলো খুলে সচল করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে। এই পদক্ষেপটি যাত্রীদের তাদের বাসের জন্য স্বাচ্ছন্দ্যে অপেক্ষা করতেও সহায়তা করবে।
আশিকুজ্জামান আশিক,