alt

পাঠকের চিঠি

সমাজ পরিবর্তন করে চিন্তার পরিবর্তন, নাকি চিন্তাধারার পরিবর্তন করে সমাজ পরিবর্তন?

: বুধবার, ২০ নভেম্বর ২০২৪

সমাজে দৃৃশ্যমান অদৃৃশ্যমান বিভিন্ন নিয়ম কানুন, আচার-অনুষ্ঠান, বিশ্বাস, মূল্যবোধ ও নানাবিধ প্রতিষ্ঠান বিদ্যমান। সমাজ স্বয়ং সৃষ্ট কোনো গোষ্ঠী নয় বরং এটি একটি মানব সৃষ্ট সামাজিক গোষ্ঠী।

চিন্তা ভাবনার পার্থক্যের কারণে সমাজ কথাটি একেকজনের কাছে একেক ভাবে সমাদৃৃত হয়ে থাকে। সুশীল সমাজের কাছে যেটা গভীর এবং অভিনব ভাবনার ব্যাপার, সাধারণ জনমনে সেটা গতানুগতিক। চিন্তার নিয়ন্ত্রণে মানব মন ও মস্তিষ্কের বিক্রিয়ার প্রতিফলন হচ্ছে বর্তমান সমাজব্যবস্থা। এই সামাজিক গোষ্ঠীকে পরিচালনা করার জন্য বিশিষ্ট নামধারী এক দল প্রতিনিধি প্রতিনিধিত্ব করে চলেছে। যাদের হাত ধরে অতীত কাঠামো এর উঠানামা হয়ে থাকে। কখনো বা সেই সম্ভাবনাকে অবহেলা করে সমাজ কাঠামো নিজ অবস্থানে অনড় থাকে। তাই হয়ত চারিদিকের এই অনড়কে নাড়া দেয়ার জন্য চিন্তার জগৎ এ পরিবর্তন আনা অতীব জরুরি। তবেই সমাজ পরিবর্তন এর মুখ দেখবে।

সমাজ ব্যবস্থাকে সামগ্রিকভাবে দেখতে গেলে অর্থনৈতিক, সামাজিক, রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক এই চারটি ভাগে ভাগ করা যেতে পারে। যেখানে অর্থনৈতিক সমাজব্যবস্থায় “অর্থই অর্থ আনে” আবার “অর্থই অনর্থের মূল”। সামাজিক সমাজব্যবস্থায় ‘দশে মিলি করি কাজ হারি জিতি নাহি লাজ’ আবার একই সঙ্গে সমান ও সমতার পার্থক্য প্রগাঢ়, সামাজিক শ্রেনীর আধিক্যও লক্ষ্যণীয়। রাজনৈতিক সমাজব্যবস্থায় জনগণের মুখপাত্র হয়ে সমঅধিকার নিশ্চিত করতে যেমন সচেষ্ট, তেমনি ‘জোড় যার মুল্লুক তার’ ভাবধারাও বিরাজমান। ক্ষমতার চেয়ারে বসে বাম পাশে সমতার কথা বলে ডান পাশেই কর্মক্ষেত্রে আত্মীয়কে অগ্রাধিকার দেওয়ার সংবাদও অহরহ। সাংস্কৃতিক সমাজব্যবস্থা একই সঙ্গে সমাজকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য আবশ্যক। কথিত আছে জাতি তার চিন্তায়, জাতি তার মননে। সংস্কৃতি একই সঙ্গে বিশ্ব সমাজব্যবস্থাকে নিজ সমাজে এনে বিশালতার জানান দেয়, আবার নিজ সমাজব্যবস্থাকে বিশ্বদরবারে উপস্থাপন করে বিশালতা ছিনিয়ে আনে; কিন্তু বর্তমান সমাজব্যবস্থা নিয়ে জনমনে নানা অসন্তোষ। কোথাও বাজারের চড়া দ্রব্যমূল্য নিয়ে বাগবিত-া, কোথাও চাকরির বয়স নিয়ে অসন্তোষ, কোথাও বা পোশাকের স্বাধীনতা চাই নামক আন্দোলনের জোয়ার।

সমাজকে পুনরায় গঠন করা তখনই সম্ভব হবে যখন সমাজের মানুষের চিন্তাভাবনা সুগঠিত হবে এবং প্রতিনিধিরা সহনশীলতার সহিত মতামতের ভিত্তিতে কাজ করবে। যদি সীমিত কয়েক জনের কথায় সমাজ পরিচালিত হয় তবে চিন্তাও হবে সীমাবদ্ধ। তাই আসুন পরিবর্তিত হই, সমাজ পরিবর্তনে সহায়তা করি।

নাহিদা আক্তার মিম

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

বিদ্যালয়ের সংস্কার প্রয়োজন

ছবি

অতিথি পাখি শিকার বন্ধ হোক

আন্দোলন, ন্যায্যতার দাবি ও জনদুর্ভোগ

কক্সবাজারগামী ট্রেনের লাকসাম জংশনে যাত্রাবিরতি চাই

ছবি

যত্রতত্র বাস থামানো বন্ধ করুন

ছবি

বৈদ্যুতিক খুঁটি যেন মাকড়সার জাল

ছবি

কপ-২৯ সম্মেলন ও বাংলাদেশ প্রসঙ্গ

ছবি

পরীক্ষাগুলো বিভাগীয় শহরে নেয়া হোক

খাল ও জলাশয়ের বদ্ধ পানি এডিস মশার উৎস

রাস্তা সংস্কার করুন

কৃষককে ন্যায্য মূল্য দিন

চবির ব্যাংকিং সিস্টেমের ডিজিটালাইজেশন জরুরি

ভবনের অভাবে পাঠদান ব্যাহত হচ্ছে

চরাঞ্চলের শিক্ষার সংস্কার চাই

ছবি

ট্রেনের ছাদে ভ্রমণ

ঠাকুরগাঁও বাস টার্মিনাল

ছবি

মাজারে হামলাকারীদের আইনের আওতায় আনুন

ছবি

গলার কাঁটা প্রিপেইড মিটার

আর যেন হল দখল না হয়

ছবি

পথচারীদের হাঁটার জায়গা দিন

ছবি

আবাসিক হলে দ্রুত গতির ইন্টারনেট জরুরি

ছবি

অতিথি পাখিদের সুরক্ষা

রাবিতে হলে সিট বণ্টন সমস্যা ও সমাধান

আগে সেশনজট বিদায় করুন

যবিপ্রবি মেডিকেল সেন্টারের সেবার মান

লাইব্রেরি চাই

ছবি

নারী খেলোয়াড়দের বঞ্চনার অবসান হোক

হাসপাতালে ‘ফার্মাসিস্ট’ নিয়োগের মধ্য দিয়েই শুরু হউক স্বাস্থ্য খাতের সংস্কার

শব্দ দূষণ বন্ধ করুন

ক্যাম্পাসে পর্যাপ্ত ডাস্টবিন দরকার

উদ্যোক্তা হওয়ার নতুন দৃষ্টিভঙ্গি

রাস্তা সংস্কার হোক

পিটিআই ইন্সট্রাক্টরদের বদলি নীতিমালা

ড্রেনেজ ব্যবস্থার সংস্কার চাই

ছবি

কাবাডি কেন পিছিয়ে?

ছবি

টাঙ্গুয়ার হাওর রক্ষা করুন

tab

পাঠকের চিঠি

সমাজ পরিবর্তন করে চিন্তার পরিবর্তন, নাকি চিন্তাধারার পরিবর্তন করে সমাজ পরিবর্তন?

বুধবার, ২০ নভেম্বর ২০২৪

সমাজে দৃৃশ্যমান অদৃৃশ্যমান বিভিন্ন নিয়ম কানুন, আচার-অনুষ্ঠান, বিশ্বাস, মূল্যবোধ ও নানাবিধ প্রতিষ্ঠান বিদ্যমান। সমাজ স্বয়ং সৃষ্ট কোনো গোষ্ঠী নয় বরং এটি একটি মানব সৃষ্ট সামাজিক গোষ্ঠী।

চিন্তা ভাবনার পার্থক্যের কারণে সমাজ কথাটি একেকজনের কাছে একেক ভাবে সমাদৃৃত হয়ে থাকে। সুশীল সমাজের কাছে যেটা গভীর এবং অভিনব ভাবনার ব্যাপার, সাধারণ জনমনে সেটা গতানুগতিক। চিন্তার নিয়ন্ত্রণে মানব মন ও মস্তিষ্কের বিক্রিয়ার প্রতিফলন হচ্ছে বর্তমান সমাজব্যবস্থা। এই সামাজিক গোষ্ঠীকে পরিচালনা করার জন্য বিশিষ্ট নামধারী এক দল প্রতিনিধি প্রতিনিধিত্ব করে চলেছে। যাদের হাত ধরে অতীত কাঠামো এর উঠানামা হয়ে থাকে। কখনো বা সেই সম্ভাবনাকে অবহেলা করে সমাজ কাঠামো নিজ অবস্থানে অনড় থাকে। তাই হয়ত চারিদিকের এই অনড়কে নাড়া দেয়ার জন্য চিন্তার জগৎ এ পরিবর্তন আনা অতীব জরুরি। তবেই সমাজ পরিবর্তন এর মুখ দেখবে।

সমাজ ব্যবস্থাকে সামগ্রিকভাবে দেখতে গেলে অর্থনৈতিক, সামাজিক, রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক এই চারটি ভাগে ভাগ করা যেতে পারে। যেখানে অর্থনৈতিক সমাজব্যবস্থায় “অর্থই অর্থ আনে” আবার “অর্থই অনর্থের মূল”। সামাজিক সমাজব্যবস্থায় ‘দশে মিলি করি কাজ হারি জিতি নাহি লাজ’ আবার একই সঙ্গে সমান ও সমতার পার্থক্য প্রগাঢ়, সামাজিক শ্রেনীর আধিক্যও লক্ষ্যণীয়। রাজনৈতিক সমাজব্যবস্থায় জনগণের মুখপাত্র হয়ে সমঅধিকার নিশ্চিত করতে যেমন সচেষ্ট, তেমনি ‘জোড় যার মুল্লুক তার’ ভাবধারাও বিরাজমান। ক্ষমতার চেয়ারে বসে বাম পাশে সমতার কথা বলে ডান পাশেই কর্মক্ষেত্রে আত্মীয়কে অগ্রাধিকার দেওয়ার সংবাদও অহরহ। সাংস্কৃতিক সমাজব্যবস্থা একই সঙ্গে সমাজকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য আবশ্যক। কথিত আছে জাতি তার চিন্তায়, জাতি তার মননে। সংস্কৃতি একই সঙ্গে বিশ্ব সমাজব্যবস্থাকে নিজ সমাজে এনে বিশালতার জানান দেয়, আবার নিজ সমাজব্যবস্থাকে বিশ্বদরবারে উপস্থাপন করে বিশালতা ছিনিয়ে আনে; কিন্তু বর্তমান সমাজব্যবস্থা নিয়ে জনমনে নানা অসন্তোষ। কোথাও বাজারের চড়া দ্রব্যমূল্য নিয়ে বাগবিত-া, কোথাও চাকরির বয়স নিয়ে অসন্তোষ, কোথাও বা পোশাকের স্বাধীনতা চাই নামক আন্দোলনের জোয়ার।

সমাজকে পুনরায় গঠন করা তখনই সম্ভব হবে যখন সমাজের মানুষের চিন্তাভাবনা সুগঠিত হবে এবং প্রতিনিধিরা সহনশীলতার সহিত মতামতের ভিত্তিতে কাজ করবে। যদি সীমিত কয়েক জনের কথায় সমাজ পরিচালিত হয় তবে চিন্তাও হবে সীমাবদ্ধ। তাই আসুন পরিবর্তিত হই, সমাজ পরিবর্তনে সহায়তা করি।

নাহিদা আক্তার মিম

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

back to top