alt

ইয়াবা পাচারের মামলায় নারায়ণগঞ্জের সাবেক ওসি কারাগারে

প্রতিনিধি, নারায়ণগঞ্জ : বৃহস্পতিবার, ২৯ অক্টোবর ২০২০

৪৯ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধারের মামলায় নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার সাবেক ওসি কামরুল ইসলাম এখন কারাগারে। গত ২২ অক্টোবর নারায়ণগঞ্জের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আত্মসমর্পন করে জামিন আবেদন করেন কামরুল ইসলাম। পরে আদালত জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করে জেলা আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি (পিপি) ওয়াজেদ আলী খোকন সংবাদকে জানান, গত ২২ অক্টোবর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কাওসার আলমের আদালত জামিন নামঞ্জুর করে আদালতে প্রেরণের নির্দেশ দিয়েছেন। ৪৯ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধারের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় সদর থানার সাবেক ওসি কামরুল ইসলাম বর্তমানে নারায়ণগঞ্জ জেলা কারাগারে আছেন।

নারায়ণগঞ্জ জেলা কারাগারের তত্ত্বাবধায়ক (সুপার) মো. মাহবুবুল আলম সংবাদকে বলেন, ইয়াবা মামলায় কামরুল ইসলাম কারাগারেই আছেন।

উল্লেখ্য, ওসি কামরুল ইসলাম প্রেসিডেন্ট পুলিশ মেডেল (পিপিএম) প্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তা।

২০১৮ সালের ৭ মার্চ নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) আলম সরোয়ার্দী রুবেলকে বন্দর থানার রূপালী আবাসিক এলাকার বাসা থেকে ৪৯ হাজার ইয়াবা ও ৫ লাখ টাকাসহ গ্রেফতার করে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের এসআই মাসুদ রানা। পরদিন বন্দর থানায় চারজনকে আসামি করে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে একটি মামলা করা হয়। এই মামলায় পুলিশ কনস্টেবল আসাদুজ্জামানসহ কয়েকজনকে আটক করা হয়। পরে সরোয়ার্দী ও আসাদুজ্জামানের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুল ইসলামের নাম উঠে আসে। জবানবন্দিতে এএসআই রুবেল ও কনস্টেবল আসাদুজ্জামান বলেন, ওসি কামরুল ইসলামের নির্দেশেই টাকা ও ইয়াবা রেখে আসামিদের ছেড়ে দিয়েছেন তারা।

গত বছরের ৪ মার্চ উচ্চ আদালতের নির্দেশে সদর থানা থেকে প্রত্যাহার করা হয় ওসি কামরুল ইসলামকে। কিন্তু মামলার অভিযোগপত্রে (চার্জশিটে) ওসি কামরুল ইসলামকে অব্যাহতি দেয় সিআইডি। ফলে প্রত্যাহারের এক মাসের মাথায় ২ এপ্রিল আবারও একই পদে বহাল করা হয় তাকে। এরপর তিন মাস ওসির দায়িত্ব পালন করেন তিনি। পরে তাকে বদলি করে জেলা গোয়েন্দা শাখায় (ডিবি) আনা হয়। তবে বর্তমানে তিনি নারায়ণঞ্জ জেলা পুলিশে নেই বলে জানান জেলা পুলিশের বিশেষ শাখার কর্মকর্তা (ডিআইও-১) ইকবাল হোসেন। তিনি বলেন, ‘তিনি নারায়ণগঞ্জ থেকে অন্যত্র পোস্টিং পেয়েছিলেন। বর্তমানে কোথায় আছেন জানি না। তবে তিনি নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশে নেই।’

এদিকে দুই পুলিশ সদস্যের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে তৎকালীন ওসি কামরুল ইসলামের নাম আসার পরেও অভিযোগপত্রে তাকে আসামি না করায় গত বছরের ২৯ আগস্ট এক আদেশে মামলার অধিকতর তদন্তের নির্দেশ দেন উচ্চ আদালত। চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে আদালতে এই মামলার অভিযোগপত্র দাখিল করেন তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নাজিম উদ্দিন আজাদ। এবার অভিযোগপত্রে ওসি কামরুল ইসলামকে অভিযুক্ত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তদন্ত কর্মকর্তা।

বৃহস্পতিবার (২৯ অক্টোবর) সন্ধ্যায় নাজিম উদ্দিন আজাদ মুঠোফোনে সংবাদকে বলেন, ‘দেড় মাস পূর্বে চার্জশিট দাখিল করা হয়েছে। এই চার্জশিটে ওসি কামরুল ইসলামকেও অভিযুক্ত করা হয়েছে।’

পীরগাছায় অ্যানথ্রাক্স আতঙ্ক, উপসর্গ নিয়ে দু’জনের মৃত্যু

ছবি

পটুয়াখালীতে সড়ক দুর্ঘটনায় ২ জনের মৃত্যু, আহত ১

ছবি

টাঙ্গাইলের মগড়ায় বিএনপি নেতাকে না পেয়ে স্ত্রীকে কুপিয়ে হত্যা

ছবি

ভাঙ্গার কুমার নদে কিশোর-তরুণদের অস্ত্র প্রদর্শনের মহড়া

ছবি

জয়পুরহাটে ৭ ছাত্রদল নেতাকে বহিষ্কার

ছবি

কালীগঞ্জে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ

ছবি

কুড়িগ্রামে কৃষক সংলাপ অনুষ্ঠিত

ছবি

রংপুর বিভাগের গুণী প্রধান শিক্ষক উলিপুরের মাহবুবার রহমান

ছবি

কোটি টাকার স্বর্ণবারসহ পাচারকারী আটক

ছবি

থানচিতে নির্মাণের দুই বছরেই সড়ক মৃত্যুফাঁদ!

ছবি

খুড়ে রাখা সড়কে হাঁটু পানি ভোগান্তিতে সাধারণ মানুষ

ছবি

রুমায় সরকারি জমি দখল করে স্থাপনা নির্মাণের অভিযোগ

ছবি

রায়গঞ্জে পাখির তাড়াতে ধান খেতে নেট ব্যবহার

ছবি

কুষ্টিয়ায় দুর্গাপূজায় বেড়েছে ২২টি পূজা মন্ডপ

ছবি

যশোরের শ্রেষ্ঠ প্রধান শিক্ষক শার্শার খাদিজা খাতুন

ছবি

রিয়াদ হত্যার প্রতিবাদে মানববন্ধন

ছবি

পার্বতীপুর-রাজশাহী রুটে ২২ মাস ধরে বন্ধ উত্তরা এ´প্রেস ট্রেন

ছবি

সিরাজগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ১

ছবি

বরুড়ায় আখের ভাল ফলনে চাষী ও বিক্রেতা উভয়েই খুশি

ছবি

মোল্লাহাটে গৃহবধূর আত্মহত্যা

ছবি

জাল সনদে ১২ বছর চাকরি, বেরোবির ইরিনা নাহার বরখাস্ত

ছবি

৫০ হাজার শিশুরা পাচ্ছেন বিনামূল্যে টাইফয়েড প্রতিরোধ টিকা

ছবি

ধ্বংসের পথে শরৎচন্দ্রের স্মৃতিবিজড়িত কাশিপুর জমিদার বাড়ি

ছবি

দুমকিতে ঝুঁকিপূর্ণ বাঁশের সাঁকো ভোগান্তিতে কোমলমতি শিক্ষার্থীরা

ছবি

দশমিনায় মাচায় লাউ আবাদ বাড়ছে

ছবি

মোরেলগঞ্জে সরকারি ভাতা বঞ্চিত হানিফের সংসার চলে বিলের শাপলায়

ছবি

চট্টগ্রামে ব্যাংক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে পরোয়ানা

ছবি

মহাদেবপুরে শিক্ষার্থীদের মাঝে চারা বিতরণ

ছবি

আলোচনা সভায় বক্তারা রোহিঙ্গা সংকটকে বৈশ্বিক সমস্যা হিসেবে দেখা উচিত

ছবি

চুয়াডাঙ্গায় ছাদ থেকে পড়ে নির্মাণ শ্রমিকের মৃত্যু

ছবি

চাঁদপুর শহরের খেলার মাঠসমূহ খেলাধুলার উপযোগী করার দাবি

ছবি

সস কারখানার মালিককে ৩ লাখ টাকা জরিমানা

ছবি

পূর্বাচল এলাকায় পরিবহনে হিজড়াদের চাঁদাবাজি, গ্রেপ্তার ১২

ছবি

আমার জীবন আমার স্বপ্ন উদযাপন

ছবি

১০ টাকা কেজি ইলিশ বিক্রি, জনতার চাপে পালালেন সম্ভাব্য এমপি প্রার্থী

ছবি

লড়াই ষাঁড়ের আঘাতে প্রাণ গেল যুবকের

tab

ইয়াবা পাচারের মামলায় নারায়ণগঞ্জের সাবেক ওসি কারাগারে

প্রতিনিধি, নারায়ণগঞ্জ

বৃহস্পতিবার, ২৯ অক্টোবর ২০২০

৪৯ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধারের মামলায় নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার সাবেক ওসি কামরুল ইসলাম এখন কারাগারে। গত ২২ অক্টোবর নারায়ণগঞ্জের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আত্মসমর্পন করে জামিন আবেদন করেন কামরুল ইসলাম। পরে আদালত জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করে জেলা আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি (পিপি) ওয়াজেদ আলী খোকন সংবাদকে জানান, গত ২২ অক্টোবর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কাওসার আলমের আদালত জামিন নামঞ্জুর করে আদালতে প্রেরণের নির্দেশ দিয়েছেন। ৪৯ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধারের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় সদর থানার সাবেক ওসি কামরুল ইসলাম বর্তমানে নারায়ণগঞ্জ জেলা কারাগারে আছেন।

নারায়ণগঞ্জ জেলা কারাগারের তত্ত্বাবধায়ক (সুপার) মো. মাহবুবুল আলম সংবাদকে বলেন, ইয়াবা মামলায় কামরুল ইসলাম কারাগারেই আছেন।

উল্লেখ্য, ওসি কামরুল ইসলাম প্রেসিডেন্ট পুলিশ মেডেল (পিপিএম) প্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তা।

২০১৮ সালের ৭ মার্চ নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) আলম সরোয়ার্দী রুবেলকে বন্দর থানার রূপালী আবাসিক এলাকার বাসা থেকে ৪৯ হাজার ইয়াবা ও ৫ লাখ টাকাসহ গ্রেফতার করে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের এসআই মাসুদ রানা। পরদিন বন্দর থানায় চারজনকে আসামি করে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে একটি মামলা করা হয়। এই মামলায় পুলিশ কনস্টেবল আসাদুজ্জামানসহ কয়েকজনকে আটক করা হয়। পরে সরোয়ার্দী ও আসাদুজ্জামানের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুল ইসলামের নাম উঠে আসে। জবানবন্দিতে এএসআই রুবেল ও কনস্টেবল আসাদুজ্জামান বলেন, ওসি কামরুল ইসলামের নির্দেশেই টাকা ও ইয়াবা রেখে আসামিদের ছেড়ে দিয়েছেন তারা।

গত বছরের ৪ মার্চ উচ্চ আদালতের নির্দেশে সদর থানা থেকে প্রত্যাহার করা হয় ওসি কামরুল ইসলামকে। কিন্তু মামলার অভিযোগপত্রে (চার্জশিটে) ওসি কামরুল ইসলামকে অব্যাহতি দেয় সিআইডি। ফলে প্রত্যাহারের এক মাসের মাথায় ২ এপ্রিল আবারও একই পদে বহাল করা হয় তাকে। এরপর তিন মাস ওসির দায়িত্ব পালন করেন তিনি। পরে তাকে বদলি করে জেলা গোয়েন্দা শাখায় (ডিবি) আনা হয়। তবে বর্তমানে তিনি নারায়ণঞ্জ জেলা পুলিশে নেই বলে জানান জেলা পুলিশের বিশেষ শাখার কর্মকর্তা (ডিআইও-১) ইকবাল হোসেন। তিনি বলেন, ‘তিনি নারায়ণগঞ্জ থেকে অন্যত্র পোস্টিং পেয়েছিলেন। বর্তমানে কোথায় আছেন জানি না। তবে তিনি নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশে নেই।’

এদিকে দুই পুলিশ সদস্যের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে তৎকালীন ওসি কামরুল ইসলামের নাম আসার পরেও অভিযোগপত্রে তাকে আসামি না করায় গত বছরের ২৯ আগস্ট এক আদেশে মামলার অধিকতর তদন্তের নির্দেশ দেন উচ্চ আদালত। চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে আদালতে এই মামলার অভিযোগপত্র দাখিল করেন তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নাজিম উদ্দিন আজাদ। এবার অভিযোগপত্রে ওসি কামরুল ইসলামকে অভিযুক্ত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তদন্ত কর্মকর্তা।

বৃহস্পতিবার (২৯ অক্টোবর) সন্ধ্যায় নাজিম উদ্দিন আজাদ মুঠোফোনে সংবাদকে বলেন, ‘দেড় মাস পূর্বে চার্জশিট দাখিল করা হয়েছে। এই চার্জশিটে ওসি কামরুল ইসলামকেও অভিযুক্ত করা হয়েছে।’

back to top