আজ থেকে সশরীরে ক্লাস-পরীক্ষায় ফিরলো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। এর মাধ্যমে দীর্ঘ দেড় বছরের অচলায়তন ভেঙ্গে পুরোদমে শুরু হলো বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাভাবিক সকল কার্যক্রম ।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সকাল আটটা থেকেই শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন আবাসিক হল থেকে দলবেঁধে ক্লাসে যাচ্ছেন। ঢাকা শহরের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে শিক্ষার্থীদের নিয়ে আসা লাল বাসগুলো সারিবদ্ধ হচ্ছে। কলাভবন, কার্জন, টিএসসি, সমাজবিজ্ঞান চত্বর মুখোরিত হয়ে উঠেছে শিক্ষার্থীদের পদচারণায়।
শিক্ষার্থীরা বলছেন, দীর্ঘসময় পর আমরা ক্লাসে ফিরতে পেরেছি। অনেকদিন বন্ধ-বান্ধবদের সাথে দেখা হয় না। আবার দেড় বছর ক্লাস না হওয়ায় আমাদের শিক্ষাবর্ষ শেষ হওয়া নিয়েও দুশ্চিন্তায় ছিলাম। নানা উদ্বেগ আর উৎকন্ঠা মাথায় ছেপে বসেছিলো। এখন ক্লাসে ফিরতে পেরে আমাদের অনেক খুশি লাগছে।
করোনাভাইরাসের এক ডোজ টিকা নেওয়ার শর্তে আজ থেকে সব বর্ষের শিক্ষার্থীদের সশরীরে পাঠদান শুরু হয়েছে। কোনো বিভাগে সশরীরে ক্লাস নেয়া সম্ভব না হলে বা তারা কোনো সমস্যা দেখলে অনলাইনে ক্লাস নেবে। যেসব বিভাগে শিক্ষার্থী বেশি তাদের কয়েক শিফটে ক্লাস নিতে হবে, যেন স্বাস্থ্যবিধি এবং সামাজিক দূরত্ব বজায় থাকে।
এছাড়া চলমান পরীক্ষাগুলো যেভাবে শুরু হয়েছে সেভাবেই শেষ করতে হবে। অনলাইনে শুরু হওয়া পরীক্ষাগুলো অনলাইনে এবং অফলাইনে শুরু হওয়া পরীক্ষাগুলো অফলাইনে হবে। এছাড়া যেসব বিভাগে বা ব্যাচে শতভাগ শিক্ষার্থী অন্তত এক ডোজ টিকা নেননি সে বিভাগের শিক্ষক চাইলে উনার নির্ধারিত কোর্সের শতকরা ৪০ ভাগ অনলাইনে নিতে পারবেন। বাকি ৬০ ভাগ সরাসরি নেবেন।
গত (৭ অক্টোবর) বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আখতারুজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত একাডেমিক কাউন্সিলের এক বৈঠকে সশরীরে ক্লাসে ফেরার এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
এর আগে গত ২৬ সেপ্টেম্বর থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রন্থাগার ও বিভাগীয় সেমিনারগুলো অনার্স চতুর্থ বর্ষ এবং মাস্টার্সের শিক্ষার্থীদের জন্য খুলে দেওয়া হয়। অনার্স চতুর্থ বর্ষ ও মাস্টার্সের শিক্ষার্থীদের জন্য ৫ অক্টোবর থেকে এবং সকল বর্ষের শিক্ষার্থীদের জন্য ১০ অক্টোবর থেকে পর্যায়ক্রমে আবাসিক হলগুলোও খুলে দেওয়া হয়। ১০ তারিখ থেকে সকল বর্ষের শিক্ষার্থী হলে উঠার কথা থাকলেও এর আগ থেকেই শিক্ষার্থীরা হলে উঠতে শুরু করে।
দুপুরে কলাভবন পরিদর্শন করতে আসেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ আখতারুজ্জামান। তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় খোলার যে নানা ধাপ ও প্রদক্ষেপ সশরীরে ক্লাস শুরু হওয়ার মাধ্যমে তার পরিপূর্ণতা পেল। একটি বিষয় খুবই আশাব্যঞ্জক যেসব শিক্ষার্থী ক্লাসে অংশগ্রহণ করেছে সকলেই ভ্যাকসিনেটেড। ছেলে-মেয়েরা ক্লাসে ফিরতে পেরে খুবই উচ্ছ্বসিত। তারা যে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ক্লাসে অংশগ্রহণ করছে এটা সমগ্র জাতির জন্য অনুকরণীয়। করোনাকালীন শিক্ষার্থীদের যে ক্ষতি হয়েছে লস-রিকভারি প্লান অনুসরণ করে আমরা শিক্ষার্থীদের সে ক্ষতি পুষিয়ে নিব।
রোববার, ১৭ অক্টোবর ২০২১
আজ থেকে সশরীরে ক্লাস-পরীক্ষায় ফিরলো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। এর মাধ্যমে দীর্ঘ দেড় বছরের অচলায়তন ভেঙ্গে পুরোদমে শুরু হলো বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাভাবিক সকল কার্যক্রম ।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সকাল আটটা থেকেই শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন আবাসিক হল থেকে দলবেঁধে ক্লাসে যাচ্ছেন। ঢাকা শহরের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে শিক্ষার্থীদের নিয়ে আসা লাল বাসগুলো সারিবদ্ধ হচ্ছে। কলাভবন, কার্জন, টিএসসি, সমাজবিজ্ঞান চত্বর মুখোরিত হয়ে উঠেছে শিক্ষার্থীদের পদচারণায়।
শিক্ষার্থীরা বলছেন, দীর্ঘসময় পর আমরা ক্লাসে ফিরতে পেরেছি। অনেকদিন বন্ধ-বান্ধবদের সাথে দেখা হয় না। আবার দেড় বছর ক্লাস না হওয়ায় আমাদের শিক্ষাবর্ষ শেষ হওয়া নিয়েও দুশ্চিন্তায় ছিলাম। নানা উদ্বেগ আর উৎকন্ঠা মাথায় ছেপে বসেছিলো। এখন ক্লাসে ফিরতে পেরে আমাদের অনেক খুশি লাগছে।
করোনাভাইরাসের এক ডোজ টিকা নেওয়ার শর্তে আজ থেকে সব বর্ষের শিক্ষার্থীদের সশরীরে পাঠদান শুরু হয়েছে। কোনো বিভাগে সশরীরে ক্লাস নেয়া সম্ভব না হলে বা তারা কোনো সমস্যা দেখলে অনলাইনে ক্লাস নেবে। যেসব বিভাগে শিক্ষার্থী বেশি তাদের কয়েক শিফটে ক্লাস নিতে হবে, যেন স্বাস্থ্যবিধি এবং সামাজিক দূরত্ব বজায় থাকে।
এছাড়া চলমান পরীক্ষাগুলো যেভাবে শুরু হয়েছে সেভাবেই শেষ করতে হবে। অনলাইনে শুরু হওয়া পরীক্ষাগুলো অনলাইনে এবং অফলাইনে শুরু হওয়া পরীক্ষাগুলো অফলাইনে হবে। এছাড়া যেসব বিভাগে বা ব্যাচে শতভাগ শিক্ষার্থী অন্তত এক ডোজ টিকা নেননি সে বিভাগের শিক্ষক চাইলে উনার নির্ধারিত কোর্সের শতকরা ৪০ ভাগ অনলাইনে নিতে পারবেন। বাকি ৬০ ভাগ সরাসরি নেবেন।
গত (৭ অক্টোবর) বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আখতারুজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত একাডেমিক কাউন্সিলের এক বৈঠকে সশরীরে ক্লাসে ফেরার এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
এর আগে গত ২৬ সেপ্টেম্বর থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রন্থাগার ও বিভাগীয় সেমিনারগুলো অনার্স চতুর্থ বর্ষ এবং মাস্টার্সের শিক্ষার্থীদের জন্য খুলে দেওয়া হয়। অনার্স চতুর্থ বর্ষ ও মাস্টার্সের শিক্ষার্থীদের জন্য ৫ অক্টোবর থেকে এবং সকল বর্ষের শিক্ষার্থীদের জন্য ১০ অক্টোবর থেকে পর্যায়ক্রমে আবাসিক হলগুলোও খুলে দেওয়া হয়। ১০ তারিখ থেকে সকল বর্ষের শিক্ষার্থী হলে উঠার কথা থাকলেও এর আগ থেকেই শিক্ষার্থীরা হলে উঠতে শুরু করে।
দুপুরে কলাভবন পরিদর্শন করতে আসেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ আখতারুজ্জামান। তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় খোলার যে নানা ধাপ ও প্রদক্ষেপ সশরীরে ক্লাস শুরু হওয়ার মাধ্যমে তার পরিপূর্ণতা পেল। একটি বিষয় খুবই আশাব্যঞ্জক যেসব শিক্ষার্থী ক্লাসে অংশগ্রহণ করেছে সকলেই ভ্যাকসিনেটেড। ছেলে-মেয়েরা ক্লাসে ফিরতে পেরে খুবই উচ্ছ্বসিত। তারা যে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ক্লাসে অংশগ্রহণ করছে এটা সমগ্র জাতির জন্য অনুকরণীয়। করোনাকালীন শিক্ষার্থীদের যে ক্ষতি হয়েছে লস-রিকভারি প্লান অনুসরণ করে আমরা শিক্ষার্থীদের সে ক্ষতি পুষিয়ে নিব।