alt

মুক্ত আলোচনা

আলাউদ্দিন আল আজাদ

এহছানুল মালিকী

: শনিবার, ০৩ জুলাই ২০২১

৩ জুলাই ড. আলাউদ্দিন আল আজাদের ১২তম মৃত্যুবার্ষিকী। বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী, বহুমাত্রিক লেখক ড. আলাউদ্দিন আল আজাদ ছিলেন বাংলা সাহিত্য ও সংস্কৃতির একজন পুরোধা ব্যক্তিত্ব। তিনি ছিলেন একাধারে ভাষা সৈনিক, মুক্তিযোদ্ধা, কবি, কথা সাহিত্যিক, ঔপন্যাসিক, সমালোচক, সব্যসাচী লেখক, শিক্ষাবিদ। তিনি ১৯৩২ সালের ৬ মে নরসিংদী জেলার রায়পুরা উপজেলার রামনগর গ্রামে একটি মধ্যবিত্ত বনেদি পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। উনার পিতা গাজী আব্দুস সোবহান এবং মাতা মোসাম্মাৎ আমেনা খাতুন। মাত্র দেড় বছর বয়সে মায়ের চিরবিদায় এবং দশ বছর বয়সে বাবা ইন্তেকাল করেন। তখন থেকেই উনার জীবন সংগ্রাম শুরু হয়ে যায়। ১৯৪৭ সালে মাধ্যমিক এবং ১৯৪৯ সালে উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করেন। তিনি ১৯৫৩ ও ১৯৫৪ খ্রিষ্টাব্দে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বাংলা বিভাগ থেকে অনার্স ও মাস্টার ডিগ্রি অর্জন করেন। ১৯৭০ খ্রিষ্টাব্দে লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিনি ঈশ্বরগুপ্তের জীবন ও কবিতা বিষযয়ে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন।

কর্মজীবন তিনি সরকারি কলেজের অধ্যাপনা পেশা দিয়ে শুরু করেন। তিনি নারায়ণগঞ্জের তোলারাম কলেজ (১৯৫৫), ঢাকা জগন্নাথ কলেজ (১৯৫৬-৬১), সিলেট এমসি কলেজ (১৯৬২-৬৮) এবং চট্টগ্রাম সরকারি কলেজ (১৯৬৪-৬৭)-এ অধ্যাপনা করেন। তিনি ঢাকা কলেজের অধ্যক্ষের দায়িত্ব পালন করেন এক বছর (১৯৭৪-৭৫) এবং পরবর্তীকালে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা বিভাগের অধ্যাপক হিসেবে অবসর গ্রহণ করেন। পেশাগত জীবনে মস্কোর বাংলাদেশ দূতাবাসে সংস্কৃতি উপদেষ্টা, শিক্ষা সচিব, সংস্কৃতি বিষয়ক বিভাগ ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়েও তিনি গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছেন।

বাংলাদেশের সাহিত্যের ইতিকথা এবং আবহমান বাংলা সাহিত্যের সঙ্গে পরিচিত হওয়ার প্রতি তার ছিল বিশেষ ঝোঁক। তাই দেখা যায় বাংলাদেশ টেলিভিশনে আশির দশকের দিকে ‘হিরামন’ নামে একটি ধারাবাহিক অনুষ্ঠান করতেন। সেখানে বাংলাদেশের লোকজ-দেশজ, বিশেষ করে ময়মনসিংহ গীতিকার কাহিনী অবলম্বনে নাট্যরূপ দেওয়া হতো। আলাউদ্দিন আল আজাদ সঞ্চালকের ভূমিকা পালন করতেন। তার উপস্থাপনা ছিল প্রাণবন্ত। তার শব্দচয়ন ও বাকভঙ্গি বিশেষ আকর্ষণীয় ছিল। ঠিক সেভাবেই তার স্বাতন্ত্র এবং ঐশ্বর্য বাংলা কবিতা ভুবনে নিঃসন্দেহে এক অনন্য সংযোজন। স্বদেশপ্রেম-সমাজ সচেতনতা এবং সংগ্রামী চেতনা তাঁর কাব্যচর্চার প্রধান কেন্দ্রভূমি হয়েছিল। একজন শক্তিশালী কথা-সাহিত্যিক তিনি, কবি হিসেবে যেমন আলোকোজ্জ্বল নক্ষত্র, আবার উপন্যাসে-ছোটগল্পে বা প্রবন্ধেও জুড়ি মেলা ভার। পঞ্চাশের দশকের গোড়ার দিকেই তাঁর স্ফুরণ চোখে পড়ে। গল্পে যেমন নিজেকে উজাড় করেছেন, তেমনি সাহিত্যের সকল শাখায় পদচারণ চোখে পড়ার মতো। তার সমসাময়িক কবি-সাহিত্যিকদের মধ্যে তিনি একমাত্র ব্যতিক্রম, যে সব শাখায় বিচরণ করে সাফল্যের সঙ্গে নিজেকে তুলে ধরেছেন।

ড. আলাউদ্দিন আল আজাদ গ্রন্থ তালিকার মধ্যে উপন্যাসগুলো হলো- তেইশ নম্বর তৈলচিত্র (১৯৬০), তের শেষরাত বসন্তের প্রথম দিন (১৯৬২), কর্ণফুলী (১৯৬২), ক্ষুধা ও আশা (১৯৬৪), খসড়া কাগজ (১৯৮৬), শ্যাম ছায়ার সংবাদ (১৯৮৬), জ্যোৎস্নার অজানা জীবন (১৯৮৬), যেখানে দাঁড়িয়ে আছি (১৯৮৬), স্বাগতম ভালোবাসা (১৯৯০), অপর যোদ্ধারা (১৯৯২), পুরানা পল্টন (১৯৯২), অন্তবৃক্ষে বৃক্ষরাজি (১৯৯২), প্রিয় প্রিন্স (১৯৯৫), ক্যাম্পাস (১৯৯৪), অনূদিত অন্ধকার (১৯৯১), স্বপ্নশীলা (১৯৯২), কালো জ্যোৎস্নায় চন্দ্রমল্লিকা (১৯৯৬), বিশৃঙ্খলা (১৯৯৭)।

তার প্রথম প্রকাশিত গল্প হলো- জেগে আছি, ধানকন্যা, মৃগণাভি, অন্ধকার সিঁড়ি, উজান তরঙ্গে, যখন সৈকত, আমার রক্ত স্বপ্ন আমার।

কবিতা গ্রন্থগুলো হলো- মানচিত্র, ভোরের নদীর মোহনায় জাগরণ, সূর্য জ্বালার স্বপন, লেলিহান পান্ডুলিপি।

নাটকগুলো হলো- নরকে লাল গোলাপ : মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক নাটক, এহুদের মেয়ে, মরোক্কোর জাদুকর, ধন্যবাদ, মায়াবী প্রহর, সংবাদ শেষাংশ। রচানবলী- শিল্পের সাধনা, স্বাধীনতা যুদ্ধের ওপর লেখা বই- ফেরারী ডায়েরী (১৯৭৮)।

ড. আলাউদ্দিন আল আজাদ সর্বপ্রথম ১৯৬৪ বাংলা একাডেমি পুরস্কার হতে পুরস্কারপ্রাপ্ত হন। তারপর ইউনেস্কো পুরস্কার ১৯৬৫, জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ১৯৭৭, আবুল কালাম শামসুদ্দীন সাহিত্য পুরস্কার ১৯৮৩, আবুল মনসুর আহমেদ সাহিত্য পুরস্কার ১৯৮৪, লেখিকা সংঘ পুরস্কার ১৯৮৫, রংধনু পুরস্কার ১৯৮৫, অলক্তা সাহিত্য পুরস্কার ১৯৮৬, একুশে পদক ১৯৮৬, শেরে বাংলা সাহিত্য পুরস্কার ১৯৮৭, নাট্যসভা ব্যক্তিত্ব পুরস্কার ১৯৮৯, কথক একাডেমী পুরস্কার ১৯৮৯, দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাশ স্বর্ণ পদক ১৯৯৪ পান।

ড. আলাউদ্দিন আল আজাদ ২০০৯ সালের ৩ জুলাই, শুক্রবার রাতে ঢাকার উত্তরায় নিজ বাসভবন ‘রত্মদ্বীপে’ ৭৭ বছর বয়সে বার্ধক্যজনিত কারণে মারা যান। তিনি অনন্তকাল ধরে বাংলা সাহিত্য ও সংস্কৃতি অঙ্গনে চির স্মরণীয় ও বরণীয় হয়ে থাকবেন।

[লেখক: গবেষক]

মুজিবনগরে স্বাধীনতার সূর্যোদয়

বঙ্গাব্দ প্রচলনের ইতিকথা

পহেলা বৈশাখ বাঙালির প্রাণের উৎসব

কেউতো অপেক্ষায় নেই

ফরগেট মি নট

ছবি

বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ সমার্থক

স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে বীমা শিল্পের গুরুত্ব

একুশে ফেব্রুয়ারি আত্মপরিচয়ের দিন

দিদি, আপা, “বু” খালা

হিজল-করচ-আড়াংবন

ছবি

শেখ হাসিনা, এক উৎসারিত আলোকধারা

মনমাঝি

সেই ইটনা

ছবি

আংকর ওয়াট : উন্নত সভ্যতার স্মৃতিচিহ্ন যেখানে

নিয়ত ও নিয়তি

হারিয়ে যাওয়া ট্রেন

টম সয়ার না রবিনহুড

ছবি

‘ঝড়-বৃষ্টি আঁধার রাতে, আমরা আছি তোমার সাথে’

বাংলাদেশ-জাপান সহযোগিতা স্মারক: স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে অনন্য মাইলফলক

রাষ্ট্রের কূটনৈতিক মিশনের পরিবর্তন আশু প্রয়োজন

কুয়েতের জীবনযাত্রার সাতকাহন: পর্ব-১-বিয়ে

বিবেকের লড়াই

ছবি

ছবি যেন শুধু ছবি নয়

বাত ব্যথার কারণ ও আধুনিক চিকিৎসা

ছবি

স্বাধীন স্বদেশে মুক্ত বঙ্গবন্ধু

ছবি

মহান নেতার স্বভূমিতে ফিরে আসা

ছবি

মেট্রোরেল : প্রধানমন্ত্রীর দূরদর্শী চিন্তার ফসল

ছবি

আমার মা

ডিজিটাল বাংলাদেশ: প্রগতিশীল প্রযুক্তি, অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নতি

ছবি

৩ নভেম্বর: ১৫ আগস্টের হত্যাকান্ডের ধারাবাহিকতা

দেশের ইতিহাসে কলঙ্কজনক দ্বিতীয় অধ্যায়

এইচ এস সি ও সমমান পরীক্ষার্থীদের অনুশীলন

ছবি

ত্রিশ বছর পূর্তিতে বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়

শিল্প কারখানার পানি সম্পদ ব্যবস্থাপনায় এনভায়রনমেন্টাল ইন্জিনিয়ারিং

অসুর: এক পরাজিত বিপ্লবী

অসুর জাতির ইতিহাস

tab

মুক্ত আলোচনা

আলাউদ্দিন আল আজাদ

এহছানুল মালিকী

শনিবার, ০৩ জুলাই ২০২১

৩ জুলাই ড. আলাউদ্দিন আল আজাদের ১২তম মৃত্যুবার্ষিকী। বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী, বহুমাত্রিক লেখক ড. আলাউদ্দিন আল আজাদ ছিলেন বাংলা সাহিত্য ও সংস্কৃতির একজন পুরোধা ব্যক্তিত্ব। তিনি ছিলেন একাধারে ভাষা সৈনিক, মুক্তিযোদ্ধা, কবি, কথা সাহিত্যিক, ঔপন্যাসিক, সমালোচক, সব্যসাচী লেখক, শিক্ষাবিদ। তিনি ১৯৩২ সালের ৬ মে নরসিংদী জেলার রায়পুরা উপজেলার রামনগর গ্রামে একটি মধ্যবিত্ত বনেদি পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। উনার পিতা গাজী আব্দুস সোবহান এবং মাতা মোসাম্মাৎ আমেনা খাতুন। মাত্র দেড় বছর বয়সে মায়ের চিরবিদায় এবং দশ বছর বয়সে বাবা ইন্তেকাল করেন। তখন থেকেই উনার জীবন সংগ্রাম শুরু হয়ে যায়। ১৯৪৭ সালে মাধ্যমিক এবং ১৯৪৯ সালে উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করেন। তিনি ১৯৫৩ ও ১৯৫৪ খ্রিষ্টাব্দে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বাংলা বিভাগ থেকে অনার্স ও মাস্টার ডিগ্রি অর্জন করেন। ১৯৭০ খ্রিষ্টাব্দে লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিনি ঈশ্বরগুপ্তের জীবন ও কবিতা বিষযয়ে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন।

কর্মজীবন তিনি সরকারি কলেজের অধ্যাপনা পেশা দিয়ে শুরু করেন। তিনি নারায়ণগঞ্জের তোলারাম কলেজ (১৯৫৫), ঢাকা জগন্নাথ কলেজ (১৯৫৬-৬১), সিলেট এমসি কলেজ (১৯৬২-৬৮) এবং চট্টগ্রাম সরকারি কলেজ (১৯৬৪-৬৭)-এ অধ্যাপনা করেন। তিনি ঢাকা কলেজের অধ্যক্ষের দায়িত্ব পালন করেন এক বছর (১৯৭৪-৭৫) এবং পরবর্তীকালে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা বিভাগের অধ্যাপক হিসেবে অবসর গ্রহণ করেন। পেশাগত জীবনে মস্কোর বাংলাদেশ দূতাবাসে সংস্কৃতি উপদেষ্টা, শিক্ষা সচিব, সংস্কৃতি বিষয়ক বিভাগ ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়েও তিনি গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছেন।

বাংলাদেশের সাহিত্যের ইতিকথা এবং আবহমান বাংলা সাহিত্যের সঙ্গে পরিচিত হওয়ার প্রতি তার ছিল বিশেষ ঝোঁক। তাই দেখা যায় বাংলাদেশ টেলিভিশনে আশির দশকের দিকে ‘হিরামন’ নামে একটি ধারাবাহিক অনুষ্ঠান করতেন। সেখানে বাংলাদেশের লোকজ-দেশজ, বিশেষ করে ময়মনসিংহ গীতিকার কাহিনী অবলম্বনে নাট্যরূপ দেওয়া হতো। আলাউদ্দিন আল আজাদ সঞ্চালকের ভূমিকা পালন করতেন। তার উপস্থাপনা ছিল প্রাণবন্ত। তার শব্দচয়ন ও বাকভঙ্গি বিশেষ আকর্ষণীয় ছিল। ঠিক সেভাবেই তার স্বাতন্ত্র এবং ঐশ্বর্য বাংলা কবিতা ভুবনে নিঃসন্দেহে এক অনন্য সংযোজন। স্বদেশপ্রেম-সমাজ সচেতনতা এবং সংগ্রামী চেতনা তাঁর কাব্যচর্চার প্রধান কেন্দ্রভূমি হয়েছিল। একজন শক্তিশালী কথা-সাহিত্যিক তিনি, কবি হিসেবে যেমন আলোকোজ্জ্বল নক্ষত্র, আবার উপন্যাসে-ছোটগল্পে বা প্রবন্ধেও জুড়ি মেলা ভার। পঞ্চাশের দশকের গোড়ার দিকেই তাঁর স্ফুরণ চোখে পড়ে। গল্পে যেমন নিজেকে উজাড় করেছেন, তেমনি সাহিত্যের সকল শাখায় পদচারণ চোখে পড়ার মতো। তার সমসাময়িক কবি-সাহিত্যিকদের মধ্যে তিনি একমাত্র ব্যতিক্রম, যে সব শাখায় বিচরণ করে সাফল্যের সঙ্গে নিজেকে তুলে ধরেছেন।

ড. আলাউদ্দিন আল আজাদ গ্রন্থ তালিকার মধ্যে উপন্যাসগুলো হলো- তেইশ নম্বর তৈলচিত্র (১৯৬০), তের শেষরাত বসন্তের প্রথম দিন (১৯৬২), কর্ণফুলী (১৯৬২), ক্ষুধা ও আশা (১৯৬৪), খসড়া কাগজ (১৯৮৬), শ্যাম ছায়ার সংবাদ (১৯৮৬), জ্যোৎস্নার অজানা জীবন (১৯৮৬), যেখানে দাঁড়িয়ে আছি (১৯৮৬), স্বাগতম ভালোবাসা (১৯৯০), অপর যোদ্ধারা (১৯৯২), পুরানা পল্টন (১৯৯২), অন্তবৃক্ষে বৃক্ষরাজি (১৯৯২), প্রিয় প্রিন্স (১৯৯৫), ক্যাম্পাস (১৯৯৪), অনূদিত অন্ধকার (১৯৯১), স্বপ্নশীলা (১৯৯২), কালো জ্যোৎস্নায় চন্দ্রমল্লিকা (১৯৯৬), বিশৃঙ্খলা (১৯৯৭)।

তার প্রথম প্রকাশিত গল্প হলো- জেগে আছি, ধানকন্যা, মৃগণাভি, অন্ধকার সিঁড়ি, উজান তরঙ্গে, যখন সৈকত, আমার রক্ত স্বপ্ন আমার।

কবিতা গ্রন্থগুলো হলো- মানচিত্র, ভোরের নদীর মোহনায় জাগরণ, সূর্য জ্বালার স্বপন, লেলিহান পান্ডুলিপি।

নাটকগুলো হলো- নরকে লাল গোলাপ : মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক নাটক, এহুদের মেয়ে, মরোক্কোর জাদুকর, ধন্যবাদ, মায়াবী প্রহর, সংবাদ শেষাংশ। রচানবলী- শিল্পের সাধনা, স্বাধীনতা যুদ্ধের ওপর লেখা বই- ফেরারী ডায়েরী (১৯৭৮)।

ড. আলাউদ্দিন আল আজাদ সর্বপ্রথম ১৯৬৪ বাংলা একাডেমি পুরস্কার হতে পুরস্কারপ্রাপ্ত হন। তারপর ইউনেস্কো পুরস্কার ১৯৬৫, জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ১৯৭৭, আবুল কালাম শামসুদ্দীন সাহিত্য পুরস্কার ১৯৮৩, আবুল মনসুর আহমেদ সাহিত্য পুরস্কার ১৯৮৪, লেখিকা সংঘ পুরস্কার ১৯৮৫, রংধনু পুরস্কার ১৯৮৫, অলক্তা সাহিত্য পুরস্কার ১৯৮৬, একুশে পদক ১৯৮৬, শেরে বাংলা সাহিত্য পুরস্কার ১৯৮৭, নাট্যসভা ব্যক্তিত্ব পুরস্কার ১৯৮৯, কথক একাডেমী পুরস্কার ১৯৮৯, দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাশ স্বর্ণ পদক ১৯৯৪ পান।

ড. আলাউদ্দিন আল আজাদ ২০০৯ সালের ৩ জুলাই, শুক্রবার রাতে ঢাকার উত্তরায় নিজ বাসভবন ‘রত্মদ্বীপে’ ৭৭ বছর বয়সে বার্ধক্যজনিত কারণে মারা যান। তিনি অনন্তকাল ধরে বাংলা সাহিত্য ও সংস্কৃতি অঙ্গনে চির স্মরণীয় ও বরণীয় হয়ে থাকবেন।

[লেখক: গবেষক]

back to top